নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
বাউল সঙ্গীতের ভূবনে শাহ আবদুল করিমকে "বাউল সম্রাট" হিসেবেই মূলত সম্বোধন করা হয়ে থাকে। সেটা নিয়ে কারো কোন দ্বিমত থাকলেও (আছে বলে আমার জানা নেই) বাউল সঙ্গীতে তার অসামান্য অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। বাউল সঙ্গীতে লালন সাঁই এর পরে আর কোন নাম যদি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় তবে সেটা হবে শাহ আবদুল করিম। বাংলাদেশী এই কিংবদন্তী তার জীবদ্দশায় ঠিক কতগুলো গান রচনা করেছেন, তার শতভাগ সঠিক সংখ্যা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয় নি। মতান্তরে সেটির সংখ্যা পাঁচশতাধিক হলেও তার রচিত গ্রন্থগুলো ঘাটাঘাটি করে আমরা প্রায় চারশ গান খুঁজে পেয়েছি। জেনে রাখা ভালো যে তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে কিছু গান পুন:সংযোজিত হয়েছে যা আমাদের সংরক্ষণাগারে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। তার রচিত কিছু অপ্রকাশিত বা অগ্রন্থিত গানও খুঁজে পাওয়া গেছে, কিছু গান তার ছেলে সরবরাহ করেছেন যা তার রচিত সর্বশেষ গ্রন্থের (কালনীর কূলে, ২০০১) শেষে সংযোজন করে দেয়া হয়েছে যদিও সেটা মূল গ্রন্থের অংশ নয়।
শাহ আবদুল করিমের গান সময়োপযোগী, বাস্তবাদী এবং গভীর ভাবনার উদ্রেককারী। তার জীবনদর্শন, তার ভাবনা বরাবরই প্রত্যেককেই শেখায় নিজেকে জানতে জানার চেষ্টা করতে। শুধু তার গান সরংক্ষণের কাজ করতে গিয়েই বিভিন্ন সময় ভাবনার অতলে হারিয়ে গিয়েছি আমি এবং আমরা। ব্যক্তি পর্যায়ে বহুবার অশ্রুসিক্ত হয়ে শুধু গুরুকে স্মরণ করেছি, ভেবেছি, তার ছবি স্মৃতিপটে ভেসে উঠেছে বহুবার। গুরু স্বশরীরে আমাদের মাঝে আজ আর নেই, তবুও তিনি আছেন, থাকবেন শত-সহস্র বছর পরেও। গুরুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
গুরু শাহ আবদুল করিমের গানগুলো পড়তে পারবেন এখান থেকে।
অতি সম্প্রতি বাংলা সাহিত্যের এই অমূল্য সম্পদ (বাউল গান) সংরক্ষণ এর কাজ হাতে নিয়ে তা সম্পাদন করতে গিয়ে আমাদের যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে। তথ্যসূত্রের অভাব, গানের পুন:মুদ্রন/সংযোজন ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় রেখে সুচারুভাবে সম্পাদন করা বেশ কঠিন কাজ ছিলো। তবুও বন্ধু রাশেদ আমার অনুরোধে পুরো বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে নিজ দায়িত্বে কাজ করে বাউল গান সংরক্ষণের এই উদ্দ্যোগে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে শাহ আবদুল করিমের গানগুলো সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তার অক্লান্ত পরিশ্রম আর আন্তরিকতার জন্য আমি ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অবশ্যই সংগ্রহ করুণ, প্রয়োজনে আমাদের সাইটেও পড়তে পারবেন। ধন্যবাদ।
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩২
সোনাগাজী বলেছেন:
উনার জীবন দর্শনটা কি, জীবনকে উনি কিভাবে দেখছেন?
০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তার জীবন দর্শন তিনি ছাড়া কারও জানার কথা নয়। তবে তার লিখায় নিজেকে, সৃষ্টিকর্তাকে জানা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা, প্রকৃতি ও মানবপ্রেম এর ভাবাদর্শ বেশ গভীর।
০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তবে আমার ধারনা, তাকে বা তার জীবন দর্শন জানার জন্য তার লিখা গানগুলো অন্তত মানুষের পড়া উচিত। সেক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ কারো কাছে ভুল মনে হলেও পাঠক ঠিকই তার নিজস্ব ভাবনায় গুরুকে চিনে নিতে পারবেন। ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি শাহ আবদিল করিমের কোনো লেখা পড়ি নি।
তবে পড়ার ইচ্ছা আছে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সময় করে পড়ে নিতে পারেন। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার এই বইটা সংগ্রহ করতে হবে ।