নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন ও ব্যক্তিগত ভাবনা

০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০০



বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দেশের গর্ব বলেই আমি মনে করি। ছোট বেলায় স্কুলে পড়াকালীন সময়ে ক্লাস রুমের জানালা দিয়ে দেখতাম সেনা বাহিনীর সদস্যরা ভারী সরঞ্জাম কাঁধে নিয়ে হেটে যাচ্ছেন। সেই থেকে মিলিটারী বাহিনীর প্রতি আকর্ষণ জন্ম নেয়। আমেরিকায় এসেও এখানকার সেনা বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য রিক্রুটিং সেন্টারে গিয়ে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষায় পাশের পর শারীরিক ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিলাম। ছ'মাসের ট্রেনিং এর মানসিক প্রস্তুতি নেয় হলো, দিনক্ষণ নির্ধারণ হওয়ার পর বুঝতে পারলাম খুব সম্ভবত আমাদের ট্রেনিং শেষে ডিপলয়মেন্ট ইরাকে হবে। কিছুটা ভেবে-চিন্তে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বিষয়টা আমাকে পীড়া দিলেও ব্যক্তিগতভাবে নীতির কাছে আপোষ করা আমার জন্য অনেকটাই কঠিন। আমি প্রথম থেকেই ইরাক যুদ্ধের বিরোধীতা করেছি, করছি আর আগামীতেও করবো। আমেরিকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমার অস্ত্র ধরতে কোন দ্বিধা নেই, তবে বিনা কারণে কোন দেশ আক্রমণের পক্ষে আমি নই, বিশেষ করে সেটা যদি হয় মিথ্যের উপর ভিত্তি করে।

যাইহোক বলছিলাম বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী নিয়ে, আমি বিশ্বাস করি আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারাই আমাদের প্রথম লাইন অফ ডিফেন্স। আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি আমাদের সামরিক বাহিনী চৌকশ ও দক্ষ। পাশাপাশি এটাও মনে করি বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীগুলোর আরো অনেক বেশী আধুনিকায়ন প্রয়োজন যা কোন একটা অজানা কারণে খুব ধীর গতিতে হচ্ছে। তাদের আধুনিকায়ন জরুরী।

দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনী ও তাদের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে জানার চেষ্টা করছি। লব্ধ জ্ঞান বারবার আমাকে এটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে যে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী সরঞ্জামের দিক থেকে ঠিক ততটা আধুনিক নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের সরঞ্জাম আধুনিকায়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে তারপরেও বলবো তাদের সরঞ্জামের মান খুব একটা সন্তোষজনক নয় বলে আমার মনে হয়। বিগত কয়েক বছরে দেশে কিছু সরঞ্জাম দেশে এসেছে কিন্তু এগুলোর কোনকিছুই অত্যাধুনিক নয়। বলতে পারেন অনেকটা দায় সারা কাজের মতো করেই সরঞ্জাম আসছে। বুঝতে পারি দেশ কঠিন অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তবুও সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নকে কোনভাবেই হালকাভাবে নেয়া উচিত নয় বিশেষ করে আমরা যখন ধীরে ধীরে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।

যেকোন দেশের সামরিক বাহিনীগুলো মূলত সেনা, নৌ এবং বাহিনী দিয়ে সাজানো যদিও কিছু কিছু দেশে এর ব্যাতিক্রমও দেখা যায় ভৌগোলিক কারণে। যেমন ধরুন নেপালের কোন নৌ বাহিনী নেই কারণ তাদের দেশে জলসীমা বলতে তেমন কিছু নেই বা কোন সমুদ্র তীরবর্তী দেশও সেটা নয়। তবে এই তিন বাহিনী ছাড়াও স্বাভাবিকভাবে কোস্ট গার্ড এবং বর্ডার গার্ড বাহিনীও দেখা যায় বিভিন্ন দেশে। তবে আমি আমার দৃষ্টিতে মূলত তিন বাহিনীর সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবো।

এখানে এটা বিষয় মনে রাখা জরুরী যে, কোন দেশের সামরিক সরঞ্জাম ও তার প্রয়োজনীয়তা মূলত সুর্নিদিষ্ট বাহিনী প্রস্তুত করলেও প্রশাসন এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রস্তাবিত সরঞ্জাম আদৌও ক্রয় করা হবে কি না বা তার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু রয়েছে তার সিদ্ধান্ত কোন দেশের নীতি নির্ধারকরাই করে থাকেন। তাই নীতি নির্ধারকদেরও কিছুটা সামরিক জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করলে সুফল পাওয়া সম্ভব। দেশ ভেদে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন সংসদীয় কমিটিও গঠিত হয়ে থাকে যারা বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে থাকেন।

উদাহরণ হিসেবে ধরুন, সেনা/বিমান বাহিনী বললো তারা রাশিয়ার এস-৩০০/৩৫০/৪০০ অথবা আমেরিকার প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন। কিংবা বিমান বাহিনী বললো তারা আমেরিকার এফ-১৫ ঈগল/এফ-১৮ হরনেট যুদ্ধ বিমান কেনার প্রয়োজন বোধ করছেন। কিংবা নৌ বাহিনী বললো তারা এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ার ক্রয় করা প্রয়োজন। খুব সম্ভবত এ ধরনের প্রস্তাব গুলো কখনোই পাশ হবে না। হয়তো আমাদের বাহিনী কখনোই এ ধরনের প্রস্তাবও দেবেন বলে আমি মনে করি না তবুও আলোচনার জন্য বলছি। বাংলাদেশের জন্য এ ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। বিষয়গুলো অনেকটাই দেশের আকার, ভৌগোলিক অবস্থান, ক্রয় ক্ষমতা, পররাষ্ট্র নীতি ছাড়াও বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভরশীল বলে আমার ধারনা।

এসব কিছুর আলোকে আগামী পোস্টে কিছু কিছু সুর্নিদিষ্ট সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে।

দ্রষ্টব্য: আমার ভাবনাগুলো নিতান্তই ব্যক্তিগত। আমি কোন দেশের কোন সামরিক বাহিনীর সদস্য নই বা কখনো ছিলাম না এবং এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রী অর্জন করিনি। পুরো বিষয়গুলোই দীর্ঘদিনের নিজস্ব গবেষণা ও লব্ধ জ্ঞাণ থেকে নেয়া। এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাও থাকতে পারে।

ছবি কপিরাইট: দি ডিপ্লোম্যাট।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: আইএসে যোগ দিতেন,তা হলে আর নীতির সাথে আপোষ করতে হতো না।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার লিখায় অতীতে মন্তব্যে অনুরোধ করা সত্ত্বেও অযাচিত মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আমার ব্লগে স্থায়ীভাবে কমেন্ট ব্যান করা হলো।

উন্মুক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণ, কটাক্ষ করে উসকানিমূলক ও আপত্তিজনক মন্তব্য অব্যাহত রাখা হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করে আপনার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫২

ইমরান আশফাক বলেছেন: ঠিক আছে,আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:১৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:০৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ক্যান্টনমেন্টগুলো এখন বেশ আধুনিক ও বিলাসবহুল। সামরিক বাহিনী এখন ব্যবসাতে পরিপক্ব।
আপনি কি কখনো সিআইএ"তে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন?
একটা সময় আমিও ভাবতাম আর্মিতে যোগ দিব। তবে যোগ্যতা না থাকায় সেটা সম্ভব হয় নি।
এখনতো নানা দুর্ঘটনায় জীবন বিপর্যস্ত। তবে আমার বিশ্বাস বেঁচে থাকলে একদিন ঠিকই পাওয়ার ব্রোকার হব।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:২৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ক্যান্টনমেন্ট আধুনিক এবং পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরী। পরিচ্ছন্নতা, নিমানুবর্তিতা সব কিছু মিলিয়ে মিলিটারী লাইফের নিয়ম-কানুন বেশ কঠিন হলেও আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। বিষয়গুলো আমার বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকেও অনেক শুনেছি। আমার এক বন্ধু (প্রথমে ক্লাসমেট ছিলো) ইউ.এস. মেরিন-এ আছে বর্তমানে, আর একজন ইউ.এস আর্মির ন্যাশনাল গার্ড নিউ ইয়র্কে কর্মরত আছে। আরেক জনের সাথে পরিচয় হয়েছিলো যিনি এফ-২২ এর টেস্ট পাইলট ছিলেন। ওদের কাছ থেকে বেশ তথ্য জানা হয়েছে।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ব্যবসা করে বলে আমার জানা ছিলো না। বিস্তারিত জানালে ভালো হতো। সি.আই.এ-তে যোগ দেয়ার ইচ্ছে কখনোই ছিলো না, এফ.বি.আই-তে এ্যাপ্লাই করেছিলাম তবে সে সময়ে হঠাৎই বাবা গত হন তাই বিষয়টি আর সামনে এগিয়ে নিতে পারিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশে অবস্থান করার করনে। সত্যি বলতে কি আমাদের এখন আর ঐ বয়স নেই, মানে যোগ দেয়ার জন্য বয়সের যে কোটা থাকে সেটা পার হয়ে গেছে। এখন পরিবার বাচ্চ-কাচ্চা নিয়ে অন্য গ্রহের বাসিন্দা বলে নিজেকে মনে হয়। তবে সামরিক বাহিনীতে যারা কর্মরত আছেন, তাদের প্রতি বরাবরই ভালোলাগা কাজ করে।

বড় হওয়ার পর বুঝতে পেরেছি, দেশে জন্য কিছু করতে চাইলে নানা ভাবে করা সম্ভব। মিলিটারীতে সম্ভব না হলেও সিভিলিয়ান লাইফেও অনেক কাজ করার আছে, প্রয়োজন শুধু ইচ্ছের। ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: এ বিষয়ে আপনার বেশ জ্ঞান আছে বোজা যাচ্ছে- পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম...

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: টুকটাক ঘাঁটাঘাঁটি করেছি। জানার ইচ্ছেটা বরাবরই ছিলো। ইনশাল্লাহ খুব তাড়াতাড়িই আসবে। ধন্যবাদ তপন দা।

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার কামাল১৮ বলেছেন: আইএসে যোগ দিতেন,তা হলে আর নীতির সাথে আপোষ করতে হতো না। র কমেন্টে আমিও মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আপনি রেড ফ্ল্যগ ক্লীক করতে পারেন।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী আমি ইতোমধ্যেই জানিয়েছি। মন্তব্যের স্ক্রীণশটও রাখা হয়েছে। ধন্যবাদ।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাবার ইচ্ছা ছিলো আমরা চার ভাইয়ের যে কোনো একজন যেন সামরিক বাহিনীতে যোগ দেই। বাবার ইচ্ছা পূরন হয় নাই।

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার বাবাও পছন্দ করতেন, তবে কখনো ওভাবে বলেন নি। এখানে যখন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলাম বাবাকে বেশ উৎসাহিত মনে হয়েছে। ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পরের পোস্টে বিস্তারিত থাকবে মনে হয়। আশা করবো আপনি কি ধরণের অস্ত্র কেনার কথা বলছেন এবং কেন বলছেন সেটা ব্যাখ্যা করবেন। কোন অস্ত্রের প্রয়োজন নাই এবং কেন প্রয়োজন নাই সেই বিষয়েও যদি পরের পর্বে আলাপ করেন তাহলে আরও ভালো হবে। ব্লগে সামরিক বাহিনীর লোক নিশ্চয়ই আছেন। তারা এই বিষয়গুলি ভালো বুঝবেন।

আমাদের দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই ওনার নির্দেশ ছাড়া কোন কিছুই কেনা সম্ভব না। আমার ধারণা ওনাকে সাহায্য করার জন্য এই বিষয়ে অভিজ্ঞ সমর বিশেষজ্ঞ আছেন।

আমরা গরীব দেশ তাই চাইলেও অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারি না। সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করতে হয়।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির বড় সমস্যা হোল এই সব দেশে ক্যু এবং অবৈধ সামরিক শাসন বেশী হয়ে থাকে। আমার কাছে মনে হয় তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির সামরিক বাহিনীর জন্য অস্ত্র ছাড়াও যেটা বেশী প্রয়োজন সেটা হোল এদের মাইন্ড সেটকে এমনভাবে তৈরি করা যেন তারা ক্যু করাকে বা অবৈধ সামরিক শাসনকে কঠিন অপরাধ মনে করে। আমাদের দেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যে সামরিক বাহিনীর উঁচু পদের কর্মকর্তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করাকে একটা ব্যক্তিগত সুযোগ মনে করে থাকে যার দ্বারা সে রাষ্ট্র প্রধান হতে চায়। যদিও বাংলাদেশে এই অবস্থা এখন আর নাই। সামরিক বাহিনী অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক না। তবে অতীতে দেখা গেছে সামরিক বাহিনীর সাধারণ সদস্যরাও এই ধরণের অবৈধ ক্ষমতা গ্রহণকে মৌন সমর্থন করে। কিন্তু সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মাইন্ড সেট এমন হওয়া উচিত যেন উঁচু পদের কর্মকর্তারা অন্যায় সামরিক শাসন জারি করলেও সাধারণ সদস্যরা যেন সেটাকে সমর্থন না করে। বাংলাদেশের কোন ক্যু কিংবা সামরিক শাসনই জনকল্যাণে হয় নাই অতীতে। জেনারেলরা প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য সামরিক শাসন ঘোষণা করেছিল। এই রাস্তা প্রথম দেখিয়ে গেছেন আয়ুব খান। বাকিরা ওনাকে অনুসরণ করেছে। তাই আমার কাছে মনে হয় অস্ত্রের পাশাপাশি সামরিক কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের দরকার আছে যেন ক্যু বা অবৈধ সামরিক শাসনকে ঘৃণা করতে তারা শেখে। অবশ্য ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে দেশের জনকল্যাণে সামরিক শাসন জারি করা যায়। সেটা যেন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বা সেনাপতির স্বার্থে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশে সামরিক বাহিনী নিজেই দেশের জন্য একটা হুমকি। উদাহরণ হিসাবে পাকিস্তানের কথা বলা যায়। পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আমাদের চেয়ে অনেক বেশী। কিন্তু ফলাফল হোল দেশটির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে সেনা বাহিনী। ফলে দেশটি এখন পিছনের দিকে যাচ্ছে। তাই এই উদাহরণ থেকেই বোঝা যায় যে ভালো অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও সামরিক বাহিনী ভালোর চেয়ে খারাপ বেশী করতে পারে। সামরিক বাহিনী যেন দানবে পরিনত না হয় এটা নিশ্চিত করতে হলে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন তারা যুদ্ধ এবং প্রতিরক্ষা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ না করে। সামরিক বাহিনীর নৈতিকতার পতন হলে সেই দেশের অবস্থা হবে পাকিস্তানের মত। তাই অস্ত্র বেশী কিনে দেয়াও বিপদজনক হতে পারে। ছেলে বড় হলেই তাকে একটা মটর বাইক কিনে দেয়া উচিত না। আগে তার স্বভাব চরিত্র ঠিক আছে কি না সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে ফলাফল উল্টা হবে।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য মাল্টিরোল এয়ারক্রাফট আপগ্রেড নিয়ে কিছু কথা বলার চেষ্টা করেছি। গরীব দেশ বলেই দামী যুদ্ধ বিমানের বিষয়গুলো কিছুটা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সামরিক শাসন কাম্য নয়, যদিও বাঙালী লাঠির ঘা'তে ভালো পারফর্ম করে। ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১২

লিংকন বাবু০০৭ বলেছেন: সামরিক বাহিনীতে যারা কর্মরত আছেন, তাদের প্রতি বরাবরই ভালোলাগা কাজ করে।

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অবশ্যই, দেশ মাতৃকার সেবায় নিবেদিত প্রতিটি সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিকে আমি সালাম জানাই। ধন্যবাদ।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিজস্ব পেশাগত জ্ঞানের অতিরিক্ত জ্ঞান হিসেবে দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন সম্পর্কিত তথ্য আহরণ ও তা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে আপনার এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর আর উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই স্যার।

১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমি মাঝে মাঝেই ঢাকা ক্যন্টামেন্টে গিয়ে সাপ্তাহ খানেক থাকি কিন্তু আমার ভালো লাগে না, সুনসান নীরব, কোন হই হোল্লোর নেই আমি যখন ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে যাই তখন মনে হয় আমি স্বাধীনতা পাইলাম। তবে ঢাকার চেয়ে আমার সাভার ক্যন্টনমেন্ট ভালো লাগে।

আসলে বাংলাদেশ গরীব তাই ইচ্ছে করলেই সবকিছু আধুনিকায়ন করা সম্ভভ হয় না।

পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকবো।

২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৪:০৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদেশে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় থাকা হয় নি তবে বহুবার গিয়েছি। তুলনামূলকভাবে অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, রাস্তা দখল করে পান-বিড়ির দোকান নেই, অযাচিত চিৎকার-চেচােমেচি নেই, হর্ণ দিয়ে দিয়ে কেউ মাথা খাচ্ছে না, চাঁদাবাজি-মাস্তানি শূণ্যের কোঠায়। পুরো বিষয়টিই আমি উপভোগ করি।

ঢাকা শহর আমার কাছে অপরিষ্কার আর নোংরা মনে হয়েছে। মনে হয় বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ ঢাকায় থাকে। মানুষের যন্ত্রনায় নিরিবিলি কোথাও বসারও যায়গা নেই। শুধু মাথা আর মাথা, সি.এন.জি-তে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা, যত্রতত্র বাসের পার্কিং, প্রাইভেট কার উল্টো-পাল্টা জায়গায় পার্ক করা, হাটার রাস্তা হকারদের দখলে, এখানে-সেখানে এটা-সেটা পড়ে আছে, পরিষ্কার করার কেউ নেই। এক কথায় অসভ্য দেশ ছাড়া এগুলো সভ্য দেশে চলতে পারে না। আমরা নোংরা আর অপরিষ্কার জাতি, আমাদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ বলতে কিছু নেই। এগুলোর পথ্য হলো কঠোর নিয়ম ব্যবস্থা চালু ও তার প্রয়োগ করা সেই সাথে সভ্য হওয়ার শিক্ষা দেয়া স্কুল জীবন থেকেই।

বাংলাদেশ গরীব বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুরের চেয়েও আধুনিক দেশ হিসেবে রূপান্তর করা সম্ভব। প্রয়োজন সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের, প্রয়োজন মানুষের জ্ঞান আর সচেতনতা বাড়ানো। ১৭০ কোটি মানুষ আমরা (রাশিয়ার চেয়েও বেশী, ভাবা যায়!), সবাই মিলে দেশের জন্য কাজ করলে এই দেশের রাস্তা-ঘাট সোনা দিয়ে মোড়ানো সম্ভব। বাপ-জামাই-কে বাদ দিয়ে সামনের দিকে দৃষ্টি দিলে সম্ভব।

সরকারের স্বদিচ্ছা থাকলে সব সম্ভব। বলছিনা আমাদের সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র কিনতে হবে, কিন্তু কেনার ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় আর দুই-নম্বরি বন্ধ করতে হবে। চাটুকারি সরকারি সিদ্ধান্তের আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। সোভিয়েত আর চাইনিজ যুদ্ধাস্ত্র কেনা বন্ধ করতে হবে। নিজস্ব কারিগরী প্রযুক্তি উন্নত করতে হবে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.