নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিঙ্গেল বোর্ড কম্পিউটিং

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৩


বিগত বেশ ক'বছর ধরেই প্রযুক্তি বাজারে সিঙ্গেল বোর্ড কম্পিউটার (এস.বি.সি.) এর বেশ রমরমা অবস্থা চলছে। যারা প্রযুক্তি নিয়ে খোঁজ-খবর রাখেন তারা হয়তো জেনে থাকবেন মূলত রেসবেরী পাই ফাউন্ডেশনের উৎপাদিত পাই কম্পিউটার এই নতুন যাত্রার পথিকৃত। ২০১২ সাল থেকে তারা অত্যন্ত সুলভে পৃথিবীর সবার হাতে কম্পিউটার তুলে দেয়ার মহান ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক বছর ধরেই তাদের জনপ্রিয়তা বেশ তুঙ্গে।

প্রচলিত ধারার কম্পিউটারগুলো মূলত এক্স৮৬ আর্কিটেকচারে তৈরী। জনপ্রিয় কোম্পানী যেমন ইন্টেল, এ.এম.ডি. মূলত এই ধারার মাইক্রোপ্রসেসর উৎপাদন করে থাকে। স্বাভাববিকভাবে আমরা অফিস কিংবা বাসা বাড়িতে যেসব ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ কম্পিউটারগুলো দেখি, বিশেষ করে যেগুলোতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার হয়, সেগুলোই মূলত এই ধারার কম্পিউটার।

পাই কম্পিউটারগুলো মূলত এ.আর.এম. আর্কিটেকচারের হয়ে থাকে। আধুনিক স্মার্টফোন কিংবা টিভি, ওয়াচ, রাউটার ছাড়াও অসংখ্য ছোট ছোট ডিভাইসে এই আর্কিটেকচারের মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার হয়ে থাকে। বোঝার সুবিধার্থে বলতে পারি বাংলাদেশে এ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক যত ডিভাইস দেখতে পাবেন তার সবই এই ধারার অর্ন্তগত।

এ.আর.এম. ভিত্তিক কম্পিউটিং প্রযুক্তির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারন হলো, এই মাইক্রোপ্রসেসরগুলো আকারে বেশ ছোট হয়ে থাকে এবং কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এক্স৮৬ প্রযুক্তির মাইক্রোপ্রসেসর তুলনামূলকভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে শাস্ত্রয়ী নয় বিধায় অনেক বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানী, বিশেষ করে যারা সার্ভার ভিত্তিক প্রযুক্তি সেবা প্রদান করেন, তাদের মাঝে সাম্প্রতিক সময়ে এ.আর.এম. ভিত্তিক কম্পিউটিং প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। মূলত তুলনামূলকভাবে দামে কম ও ব্যবহারের দিক থেকে পরিচালন খরচ কম হওয়া একটা বড় কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এ.আর.এম. ধীরে ধীরে মূল ধারার কম্পিউটার (এক্স৮৬) এর বাজারে ঢোকার প্রবেশ করছে। বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ দেখাচ্ছেন। বাজারে ইতোমধ্যেই এই ধারার বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে যা ভোক্তা পর্যায়ে চলে গেছে।

আমার ব্যক্তিগত ধারনা আগামী এক/দুই দশকে এই ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এক্স৮৬ মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক বাজার ধীরে ধীরে এ.আর.এম. দখল করে নেবে, বলা যায় এটা অবশ্যসম্ভাবী।

ছবি কপিরাইট: পাই ফাউন্ডেশন

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

এসো চিন্তা করি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাই ❤️ আমার লেখাগুলো পড়ার আমন্ত্রণ রইলো ☺️
ধন্যবাদ ভাই

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ, জ্বী, সময় করে অবশ্যই পড়বো। ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৭

আদিত্য ০১ বলেছেন: এ আর এম আর্কিটেকচারের বোর্ডগুলোর চিপগুলো লাইট ও কম্পিবিট্যাবিলিটি একটা কারন। এক্স ৮৬ যেহেতু পার্সোনাল কম্পিউটার ও স্পেসিফি ওএস বেইসড,তাই কম্পিবিট্যাবিলিটি ইস্যুটা থাকে, আর এই ইস্যুটা অনেকটাই নাই বললেই চলে এ আর এম আর্কিটেকচারে, কারন এমবেডেড ওএস, মোবাইল বেইসড ওএস, লিনাক্স, উইনডোস সহ অনেক ওএস সাপোর্ট করছে

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার ব্ক্তব্য ঠিক আছে। তবে উল্টো দিকটাও ভাবতে হবে। এ.আর.এম. যদি এক্স৮৬-কে টেক্কা দিতে চায় তাহলে জনপ্রিয় এক্স৮৬ বেইজড এ্যাপলিকেশনগুলোকে এ.আর.এম. প্ল্যাটফর্ম সমর্থন করতে হবে। মূলত এ কারনেই এ.আর.এম. এখনো পিসি বা এক্স৮৬ কে পুরোপুরি রিপ্লেস করতে পারে নি। অবশ্য সম্ভাবনা অনেক।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৭

আদিত্য ০১ বলেছেন: ম্যাক ইন্টেলের চিপ বাদ দিয়ে এআরএম বেইসড এম সিরিজ সুপার ইন্টিগ্রেটেড চিপ দিয়ে নতুন ম্যাক মিনি আকারে ছোট করেছে, পাওয়ার ইফিসিয়েন্ট, লাইট ও এপ্লিকেশন সুপার কম্পেটবল ও করেছে

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জ্বী, আপনার ধারনা সঠিক তবে ওগুলো যেহেতু এ্যাপলের নিজস্ব প্রযুক্তি তাই ওগুলোর সাথে বাজারের প্রচলিত এ.আর.এম. এর কিছুটা পার্থক্য আছে। দামের একটা ব্যপার থেকেই যাচ্ছে যেটা স্বল্পন্নোত বা দরিদ্র দেশগুলোতে আই.টি. প্রযুক্তির প্রসারে তেমন ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি না। ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

কাঁউটাল বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: এসব বিষয় আমি কিচ্ছু জানি না।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৩০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জানা ভালো, জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে না পারলে এই পৃথিবীতে মানুষ অচল হয়ে যায়। ধন্যবাদ।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩০

আদিত্য ০১ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: এসব বিষয় আমি কিচ্ছু জানি না।
এগুলো বিষয়ে জানতে পারবেন, আপনি যদি টেক enthusiast হন মানে আগ্রহ প্রতি নিয়ত রাখেন, ইন্টারনেটে প্রচুর পিডিএফ আর ইউটিউবে অনেক ভালো ভিডিও পাবেন, আসলে এগুলো জানলে নিজের জন্যই ভালো, আমি মনে করি, প্রতিটা মানুসের এই যুগে নিকে মানিয়ে নিতে টেক অর্থাৎ কম্পিউটার নলেজ ও প্রোগ্রামিং হাতে খড়ি নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ, সবাইকে প্রো হতে হবে না, বেসিকটুকু যেন থাকে, এতে সামগ্রিক কাজে সহজ করে দিবে.একটু আধটু পড়ুন টেক বিষয় নিয়ে

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে পূর্ণ সহমত পোষণ করছি। হাতেগোণা অল্প কিছু তরুণ-তরুণী বাদ দিলে, বাংলাদেশে এখনো প্রযুক্তি নিয়ে তরুণদের মাঝে ততটা উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে যদি প্রযুক্তি সম্পর্কে তরুনদের উৎসাহিত না করা যায় তবে দেশ অনেক পিছিয়ে পড়বে। শুধু প্রযুক্তিই পারে অনেক নতুন কর্মসংস্থান ও আয়ের পথ তৈরী করতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নতুন নতুন স্টার্ট-আপ নিয়ে এগিয়ে আসছে, সে তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান খুবই খারাপ বলতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.