![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবর অনুযায়ী আজ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের সুপারিশ জমা দেয়ার কথা। তাদের প্রস্তাবিত কিছু বিষয় পড়ার পর আমার মনে বিষয়গুলো নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। তাদের প্রস্তাবিত সুপারিশের কিছু বিষয় তুলে ধরছি।
১। পারিবারিক আইনে পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পদ-সম্পত্তি, সন্তানের অভিভাবকত্ব ও হেফাজত, বিবাহ–বিবাহবিচ্ছেদে সব ধর্মের নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
২। জাতীয় সংসদে আসনসংখ্যা ৬০০ করে সেখান থেকে ৩০০ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত রাখার সুপারিশ করা হচ্ছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (২০৩০ সাল) রাজনৈতিক দলের প্রতিটি স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না হলে ওই দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশও থাকছে।
কথা হলো, প্রতিটি ধর্মের নিজস্ব কিছু আইন কানুন রয়েছে যা ঐ ধর্মের অনুসারীদের নিকট অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশ ঠিক কিভাবে ধর্মীয় বিধি-বিধান-কে উপেক্ষা করবে বা তাদের প্রস্তাবিত সংস্কার বাস্তবায়ন করে তা ঐ ধর্মের অনুসারীদের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পাবে তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। বিশেষ করে সম্পত্তি ইস্যুতে এ বিষয়টি বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করবে বলে আমার ধারনা।
কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে এসে, ঠিক কি ভাবে এই কমিশনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জাতীয় সংসদের প্রস্তাবিত আসনের ৫০% নারীদের জন্য "বরাদ্দ" রাখার কথা মাথায় এনেছেন তা আমার অতি সাধারণ ব্যক্তির পক্ষে বোঝা বেশ দুষ্কর। আর কোন রাজনৈতিক দলে কত শতাংশ নারী প্রতিনিধি থাকবেন তাও কিভাবে সেই কোটা দিয়েই তা নির্ধারন করা হচেছ তা আমার কাছে বোধগম্য হচ্ছে না। আপনারা কেউ যদি এ ব্যাপারে আমাকে আলোর পথ দেখাতে পারেন তাহলে বেশ ভালো হয় কারণ এ ধরনের অমূলক, যুক্তিহীন প্রস্তাব আমি কখনো সমাজের জ্ঞাণী-গুণী ব্যক্তিদের নিকট থেকে শুনিনি।
আমি জানতাম একটি সুস্থ সমাজ ব্যবস্থায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের মূল্যায়ন হওয়া উচিত তার মেধা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ভিত্তিতে, কোন ব্যক্তি লিঙ্গের ধরন কি তার উপর ভিত্তি করে নয় বিশেষ করে যখন ঐ ব্যক্তি স্বয়ং তার লিঙ্গ নির্ধারনে কোন অবদান রাখেন না। দয়া করে আমাকে এই ইস্যুতে এনলা্ইট (জ্ঞান দিয়ে) করুন। ধন্যবাদ।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দুঃখজনক বৈ কি!
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৪
কু-ক-রা বলেছেন: উহারা ইউনুস সরকারকে বিপদে ফেলিবার জন্য এইরুপ করিয়া থাকিতে পারে।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সেই সম্ভাবনাকেও একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছি না। ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪২
করুণাধারা বলেছেন: এই মহিলারা ইসলামোফোবিক। নারীদের শিক্ষার উন্নয়ন, মধ্যপ্রাচ্যের এবং দেশের নারী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নানা রকম নির্যাতন এবং হয়রানির বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান তৈরি করা, যৌতুকের বিরুদ্ধে আইন যেন ঠিক ভাবে প্রয়োগ করা যায় তার ব্যবস্থা করা এমন নানারকম কাজ করতে পারতেন। এটা না করে এরা এই কয়মাস ধরে শুধু ইসলামের বিধান কীভাবে লঙ্ঘন করা যায় তার উপায় খুঁজেছেন।
ধিক্কার এই সংস্কারকদের।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: এরা ওয়েস্টার্ন পেইড বলে আমার ধারনা। অবশ্য আমার ধারনা ভুল হতেও পারে।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯
Sulaiman hossain বলেছেন: : কথিত নারীসংস্কারকরা সংস্কারের নামে নারীদের মর্যাদা কে বিনষ্ট করেছে।ধর্ষন, অবৈধ প্রেম বাড়িয়েছে,আসলে তারা নারীজাতির মহাশত্রু।এদেরকেৃ বিতারিত করা উচিত আন্দামান দ্বীপে।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বেশ ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটি মন দিয়ে দুবার পড়লাম।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৩৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ২য় সুপারিশটা পুরা হাস্যকর।
০১ লা মে, ২০২৫ রাত ৮:৪২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: এগুলো নারীবাদী, অযৌক্তিক আর অসুস্থ মস্তিষ্ক থেকে বের হয়ে আসা চিন্তা-ভাবনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কিছু গর্দভ মার্কা মহিলাদের দিয়ে এই নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন করা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। কিছুই হবে না এই রিপোর্টে, অবাস্তব সব প্রস্তাবনা!