![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক
এবার বাংলাদেশে আসার সময় আমি আর ন্যানোপিসি টি৬ এল.টি.এস. কম্পিউটারটা সাথে করে নিয়ে এসেছি। উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশে ছোটখাটো একটা রাউটার কাম ওয়েব সার্ভার সেটআপ করা। কম্পিউটারটিতে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা যায়। প্রয়োজনে লিনাক্স ডেস্কটপ ডিস্ট্রো ইন্সটল করে স্বাভাবিক কম্পিউটারের মতোই ব্যবহার করা যায়।
তবে কম্পিউটারে হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কিন্তু এই এস.বি.সি ক্রয় করিনি। রাউটার ও সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করার জন্যেই কেনা হয়েছে। সেই সাথে বাসায় ওয়াই-ফাই ৭ ব্যবহার করাও একটা বিরাট উদ্দেশ্য ছিলো।
গতকাল গভীররাতে সবাই যখন ঘুমে ব্যস্ত, তখন আমি আমার অফিস রুমে অনেক কেবল, ল্যাপটপ, পাওয়ার এ্যাডাপ্টার নিয়ে বসেছি আমার ছোট পিসিটিতে ওপের ডব্লিউ.আর.টি. ইন্সটল করতে। কিছুক্ষন ঘাটাঘাটি করে ওপেন ডব্লিউ.আর.টি. ইন্সটল করতে পারলেও সমস্যা হয়ে গেল ওয়াই-ফাই ৭ সেটাআপ করা নিয়ে। সেটিংস পেইজে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সিলেক্ট করলেই কোনভাবেই ৬ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ও ১৬০ মেগাহার্টজ-এ ব্যবহার করা যাচ্ছিলো না। দেশ হিসেবে ইউ.এস. সিলেক্ট করলে অবশ্য এই সমস্যা হচ্ছে না। তদুপরি ক্লায়েন্ট ডিভাইস যেমন আমার আইফোন ও আইপ্যাড থেকে ওয়াইফাই ৭ এস.এস.আই.ডি. দেখাই যাচ্ছিলো না।
আমি বর্তমানে মাইক্রোটিকের একটি রাউটার ব্যবহার করছি যেটা ওয়াই-ফাই ৬ সমর্থন করে। ১০/১২টা ডিভাইস চালানো যাচ্ছে, খুব সমস্যা যে হচ্ছে তা নয়। আর রাউটির সিগন্যাল অনেক দূর পর্যন্তও পাওয়া যায়। এস.বি.সি রাউটারের ওয়াই-ফাই ৬ এ ততটা দূরত্বে সিগন্যাল পাইনি। কেন পাচ্ছি না সেটাও বোধগম্য হয় নি যদিও সেটার বাহ্যিক এ্যান্টেনা রয়েছে আর মাইক্রোটিকের রাউটারে কোন বাহ্যিক এ্যান্টেনা নেই।
কিছুদিন আগেই (সেপ্টেম্বর, ২০২৪) সরকার ৬ গিগাহার্টজ ব্যান্ড ব্যবহারের অনুমতি দিলেও কেন ওয়াই-ফাই ৭, ১৬০ মে.হা. এ ব্যবহার করা যাচ্ছিলোনা তা আমার বোধগম্য নয়। মূলত ওয়াই-ফাই ৭ ব্যবহারের উদ্দেশ্যেই আমি বেশ ক'মাস আগে মিডিয়াটেক এর তৈরী এম.টি.৭৯২৫ ওয়াই-ফাই মডিউলটা ক্রয় করেছিলাম। তারও আগে এম.টি.৭৬২১ মডিউল দিয়ে আমি ওয়াই-ফাই ৬ই ব্যবহার করতে পেরেছিলাম আমেরিকায়। কিন্তু বাংলাদেশে কিছুতেই ১৬০ মে.হা. চ্যানেল ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কোন একটা সূত্রতে পড়ছিলাম যে ওয়াই-ফাই ৫ সিগন্যালও ১৬০ মে.হা. চ্যানেলে ব্যবহার সম্ভব নয় কেবলমাত্র বি.টি.আর.সি. এর কিছু রেগুলেশনের কারনে। পুরো বিষয়টিই বেশ ঘোলাটে এবং এ ব্যাপারে সঠিক কোন নির্দেশনাও জানা নেই। অবশ্য এখানে মনে রাখা প্রয়োজন যে এই ধরনের ওয়াই-ফাই ৭ ডিভাইস যে ধরনের ডাটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম (৫.৮ গি.বি./সে.) সেটাকে পূর্ণ সমর্থন করার মতো ইন্টারনেট কানেকশান বাংলাদেশের কোথাও দেয়া হয় না এমনকি এন্টারপ্রাইজ লেভেলেও নয়। অবশ্য এর থিওরেটিক্যাল ডাটা ট্রান্সফার রেট ৪০+ গি.বি./সে. বলে জেনেছি যদিও সেটা ৩২০ মে.হা. চ্যানেলে।
এ ব্যাপারে কেউ কোন সুচিন্তিত মতামত তথা কোন ইন্সট্রাকশান থাকলে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
২৬ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সবাইকে সব জিনিস বুঝতে হবে এমন কোন কথা নেই। তবে ব্লগের মানুষজন যে এটা নিয়ে কোন মতামত দেয় নি সেটাই যা আমাকে ভাবাচ্ছে কারণ ওয়াই-ফাই ব্যবহার করেন নি এমন মানুষ বাংলাদেশেও খুব কমই আছে। সুতরাং এসব বিষয়ে কম-বেশী জানা উচিত নিজের প্রয়োজনেই। ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্ত না হয়ে আমার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন, এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৭ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বিরক্ত হওয়ার কিছু নেই। জানার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:০২
রাজীব নুর বলেছেন: এইসব বিষয় আমি বুঝি না।
এরকম অনেক কিছুই না বুঝেই জীবন পার করে দিচ্ছি। এজন্য নিজের উপর নিজের অনেক রাগ হয়।।