নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন মানুষ। বলার মতো বিশেষ কিছু নেই। মনের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাই। ভালো লাগে কবিতা, লিখা-লিখি আর ছবি তোলা, এইতো! https://prokashoni.net

ইফতেখার ভূইয়া

গণতন্ত্র মুক্তি পাক, পরিবারতন্ত্র নিপাত যাক

ইফতেখার ভূইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক বিশ্বাস

০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:১৩


বেশীরভাগ মানুষের কথা, মন্তব্য কিংবা লেখনি থেকে অনেক সময় মানুষের রাজনৈতিক বিশ্বাস কিংবা আদর্শ সম্পর্কে কম-বেশী ধারনা পাওয়া যায়। তবে এটা সব সময় সঠিক ধারনা নাও দিতে পারে। উন্নত বিশ্বের বেশীরভাগ মানুষ তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শকে খোলাখুলি সবার সামনে তুলে ধরেন না। বিশেষ করে যারা আমাদের মত খেটে-খাওয়া সাধারন চাকুরিজীবি শ্রেনীর, এখানেও ভিন্নতা আছে। এটা অনেকটাই ব্যক্তিগত বিষয় তাই এটা নিয়ে কেউ কখনো অন্য কাউকে সরাসরি প্রশ্নও করেন না। বলতে পারেন, এটা এক ধরনের ভদ্রতার অংশও। তবে সবাই যে ওমন, সেটাও নয়। অনেকেই তাদের রাজনৈতিক আদর্শকে সরাসরি প্রকাশ করতে ভালোবাসেন। এটি মূলত তাদের ব্যক্তিগত আদর্শেরই একটা অংশ।

ব্যতিক্রম ধরনেরও মানুষ আছেন। যেমন, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি কখনো ডেমোক্র্যাটিক পার্টি কখনো রিপাবলিকান পার্টিকে সমর্থন করেছেন। বলতে পারেন তার মতাদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গি বেশ ক'বার পরিবর্তন করেছেন। এটাকেও আমি অস্বাভাবিক বলে মনে করি না। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি তথা মানবিক আদর্শের পরিবর্তন হওয়াটা বেশ সাধারণ একটা বিষয়।

তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের মানুষ এসব ব্যাপারে খুব বেশী রাখ-ঢাক করেন না। জাতি হিসেবে আমরা রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে ও শুনতে পছন্দ করি বলেই আমার মনে হয়েছে। আমিও যে খুব বেশী ব্যতিক্রম তাও নয়। তবে আমি সুর্নিদিষ্ট কোন দলকে কখনোই সমর্থন করিনি আর আজও করিনা। আর কখনো করবো বলেও মনে হয় না, যদি না আমি নিজেই কোন রাজনৈতিক দল খুলে বসি। তবে সে সম্ভাবনাও বলতে গেলে শূন্যের কোঠায়।

ছোট বেলায় বাবার মুখে শেখ মুজিবের অনেক গল্প শুনেছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় বেঁচে থাকা পরিণত বেশীরভাগ মানুষকেই দেখেছি তার প্রতি সম্মান দেখাতে। খানিকটা বড় হয়ে যখন বুঝতে শিখেছি, তখনো তাকে অসম্মান করার মতো কোন বিষয়ও আমার তেমন চোখে পড়ে নি। তবে ধীরে ধীরে ইতিহাস নিয়ে যখন পড়াশোনা করা শুরু হলো তখন এমন অনেক বিষয় এসেছে যা আমাকে বিস্মিত করেছে। অনেক বিষয়ই আমার কাছে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর বিভিন্নজন ও বিভিন্ন সূত্রথেকে বিভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়ছে বলে মনে হয়েছে। একই প্রশ্নে তিনি কারো কাছে মহানায়ক তো অন্য কারো কাছে মহাভিলেন। একই কথা বলা যায় জিয়াউর রহমান-কে নিয়েও। বিষয় হলো, যেহেতু আমরা তাদের সমসাময়িক জেনারেশন নই বা তাদের সময় ঘটে যাওয়া ঘটনার চাক্ষুস স্বাক্ষী নই তাই সত্য-মিথ্যে নির্ধারণ করা আমাদের জন্য বেশ কঠিন।

এক এক সময় এক এক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে, যখন যারা ক্ষমতায় এসেছে তখন তারা তাদের নেতার গুণগান গেয়েছে। নতুুন করে ইতিহাসের সত্য-মিথ্যে নির্ধারণ করেছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি অতীত আঁকড়ে পড়ে থাকাটাকে ঠিক বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করি না। সময় এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে বদলে যাচ্ছে এই পৃথিবীর তথা আমাদের মাতৃভূমির ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা। তবে দিন শেষে রাজনৈতিক শক্তি যে দলের হাতেই থাকুক না কেন, যারাই দেশকে সত্য, সুন্দর আর ন্যায়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমি তাদের পক্ষেই কথা বলবো। কারন, সবার আগে দেশ।

বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে আমি আমার ব্যক্তিগত ব্লগে বহু বছর আগে লিখেছিলাম, কেন আমি একজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভোটার। মানে আমি একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে কেন আমেরিকার কোন রাজনৈতিক দলের সরাসরি (রেজিস্টার্ড) সমর্থক নই। এর অন্যতম একটা কারণ ছিলো কোন একক দলের সব মতাদর্শের সাথে আমি কখনো একমত হতে পারি নি। যখন যে প্রতিনিধি নির্বাচনে এসেছে আমি তাদের নির্বাচনী এজেন্ডাগুলো বোঝার চেষ্টা করেছি আর সে অনুযায়ী ভোট দিয়েছি।

ব্যক্তি জীবনে আমি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করি যদিও আমি আপাতত বাংলাদেশের ভোটার নই। এদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকে আমি ক্ষমতায় দেখেছি। তাদের শাসনামলও দেখা হয়েছে অতীতে। অন্যদিকে ধর্ম ভিত্তিক দলে আমার আস্থা নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির চর্চার পক্ষে নই, তাই বলে ৫২-'র ভাষা আন্দোলনকে আমি অস্বীকার করি না আবার ২৪-শের আন্দোলনেও ছাত্রদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে সেটাও অস্বীকার করা যায় না। তবে ২৪-এর ছাত্রদের থেকে আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো কিছুটা ভিন্ন। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তদুপরি আমি আমার বা আমার সন্তানদের জন্য কোন কোটা চাই নি, সেটাই মূখ্য বিষয় ছিলো। আমি চেয়েছি এদেশের মেধাগুলো তাদের যোগ্যতায় সামনে এগিয়ে আসুক, বাপ-দাদার পরিচয়ে নয়। কৃষকের ছেলেও যেন সরকারি চাকুরিতে নিজ যোগ্যতায় আসতে পারে, তেমন একটা ব্যবস্থা বা পথ খোলা থাকুক। এতটুকুই।

এক সময় বিট্রিশ সামরাজ্য পৃথিবী শাসন করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সে চিত্র পাল্টে আর্বিভাব হয়েছে নতুন শক্তির। সময়ের ক্রম ধারায় একদিন তারাও অতীত হবে আর এটাই বাস্তবতা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও এর ব্যতিক্রম নয়। সময়ের ব্যবধানে রাজাও যে ফকির হতে পারে তা এক জীবনে আমি দেখেছি। তাই কে কোন দলের সমর্থক সেটা আমার কাছে মুখ্য নয়, মুখ্য হলো কে বাংলাদেশের জন্য কাজ করছে, কে এদেশের পতাকা-কে সবার উপরে তুলে ধরতে পারছে আমি তাদেরই বাহবা দেবো, তাদেরই গুণগান গাইবো। তুমি আর তোমার চৌদ্দ পুরুষের দল, তোমাদের কাছেই থাকুক। আই ডোন্ট কেয়ার। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৫৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেকে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় গোপন রেখে একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। তারা মনে করে কেউ তাদের কৌশল ধরতে পারবে না। ধরা ঠিকই পড়ে। এদের চেয়ে যারা নির্দিষ্ট দল করে তারাই ভালো। লুকোচুরি বা মোনাফেকি করে না। তবে এদের সমস্যা হলো এরা অন্ধ সমর্থক। নিজেদের দলের দোষ চোখে পড়ে না, পড়লেও এড়িয়ে যায় অথচ অন্য দল একই রকম কাজ করলে ঠিকই সমালোচনা করে। এই দ্বিচারি মনোভাব জাতির জন্য ক্ষতিকর। আমার মনে হয় রাজনৈতিক পছন্দ যার যেটাই হোক, সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলার সুযোগ থাকা উচিত। কেউ অন্য মতাদর্শের হলেও তাকে পরিত্যাগ করার মানসিকতা পরিহার করা উচিত।

০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৪৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অন্ধভাবে কোন আদর্শই অনুসরণ করা ঠিক নয়। জেনে-শুনে আর বুঝেই করা উচিত। সততা এমন একটা গুণ যেটা নিচু শ্রেনীর/স্বভাবের/মানের মানুষ থেকে আপনি কখনোই আশা করবেন না। ধন্যবাদ।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ভোটার আইডি কার্ড নেই??
করান নি?

০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: প্রথম দিকে বাংলাদেশে যে সময় ভোটার আইডি করানো হচ্ছিলো, তখন আমি বাংলাদেশে ছিলাম না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যায় অটোম্যাটিক্যালি। ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এবারের নির্বাচনে জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবার সম্ভাবনা আছে। টাকা দিয়ে এবার ভোট কেনার সম্ভাবনা থাকবে না বলেই মনে হচ্ছে। আমি এনসিপির বিষয়ে খুবই আশাবাদি। তারা যদি দল ও ছাত্রদের মাঝে ঐক্য বজায় রাখতে সক্ষম হয় এবং জবাবদিহিতার বিষয়টা সুস্পষ্ট করে , তাহলে তারা ব্যপক জনসমর্থন পাবে। মানুষ পরিবারতন্ত্রের অবসান চায়।

০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৪৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার সাথে আমিও একমত। তবে তাদের আরো অনেক পরীক্ষা দিতে হবে। তাদের দলের লোকজন এমন অনেক কাজ করছে যা তাদের দলের ব্যাপারে জনগণকে কিছুটা ভাবনায় ফেলে দিচ্ছে। দলের নেতৃত্বেও কিছু পরিবর্তন জরুরী। ধন্যবাদ।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইফতেখার ভূইয়া,




এদেশের মানুষের কারো "সত্যিকারের রাজনৈতিক বিশ্বাস" বলে আদৌ কি কিছু আছে ? সবাই-ই তো নিজের নিজের ধান্ধায়, সুবিধা মতো কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের ঝান্ডার নীচে এসে লেজুরবৃত্তি করে আখের গোছানোর জন্যে!!!!!!!!!!!! একে "রাজনৈতিক বিশ্বাস" বলে না, বলে - সুবিধাবাদের বিশ্বাস।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি গত নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন - এতেই বোঝা যায়, রাজনীতি সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের কতটা ঘাটতি রয়েছে!
কয়েকদিন আগে আরেকটি পোস্টে জোহরান মামদানিকে নিয়ে আপনার কটূক্তিও চোখে পড়েছে। ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া এবং মামদানির বিরুদ্ধে এমন ভাষা ব্যবহার দেখে মনে হয়, আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

মামদানির ভাষায়, তার নমিনেশনে "বাংলাদেশি আন্টিরা" গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। নিউইয়র্কে বসবাসরত আমাদের এই প্রবাসী আন্টিরা তাঁদের সহজ বুদ্ধিতে যা বুঝতে পেরেছেন, তা আপনি বুঝতে পারেননি।

আপনার রাজনৈতিক অবস্থান জায়োনিস্ট ও উগ্র-পুঁজিবাদীদের বয়ানের সঙ্গে মিলে যায়। আপনি মাঝে মাঝে না-বুঝেই তাঁদের প্রোপাগান্ডাগুলো নিয়ে ব্লগে হাজির হন, যা হতাশাজনক!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.