![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্মদিন আর পহেলা বৈশাখ বরাবরই একসাথে পালন করা হয়। নিমন্ত্রণের অপেক্ষা না করে বন্ধুরা বাসায় আসে। এবারের পহেলা বৈশাখেও অতিথি বন্ধুরা আসবে পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ মাছ আর এক/দুইটা তরকারী রান্না করলেই হবে। পরে মনে হলো পান্তা ভাত তো পেট ভরার জন্য না শুধু ‘পান্তা’ থাকার জন্যই থাকে...সবাইকে এক সাইজের মাছ দেয়ার জন্য পাঁচটা ইলিশ কেনা হলো (গন্ধ দেখে মনে হলো একটা পুরাতন মাছ)। কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে আইসিং বাদ দিয়ে ফ্রেশ ক্রিম কেকও আনা হলো।
গত বছর পহেলা বৈশাখ ছিলো মঙ্গলবারে মা বলেছিলেন, ‘বছর শুরু হলো মঙ্গলবারে না জানি বছর কেমন যায়?’
‘মঙ্গল’ শব্দটি মঙ্গল বাহক না হয়ে দেশি আচারব্যবহারে কেন যে বার’টিকে অমঙ্গল মানা হয় আজও বোধগম্য নয়। ভালো মন্দ যে ভাবেই হোক পেরিয়ে গেছে গত বছরটি।
এবারে পহেলা বৈশাখ এসেছে সোমবারে আশা করছি সকলের জন্য বছরটি আনন্দ বয়ে আনবে।
আমাদের খাবারের মেনু ছিলো-
পান্তা ভাত, গরম ভাত, সরিষা ইলিশ, পাঁচমিশালি সব্জি, ডিম ভুনা, খাসীর মাংস, ছোলার ডাল, সালাদ, কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, চিকেন তরকারি। এক বন্ধু নিয়ে এসেছিলেন দই বড়া আর অন্যজন সব্জি পনির।
মিষ্টি খাবারের মধ্যে ছিলো পায়েস, জন্মদিনের কেক এবং নববর্ষের কেক, ডিমের পুডিং, পাঁচমিশালি শুকনো মিষ্টি, জুস ও কোক...সবাই খাবার উপভোগ করেছেন বলে মনে হলো। বেশ রাত পর্যন্ত চলেছে কবিতা আর গান।
পর পর তিনদিন সকালে পান্তা ভাত খেয়েছি। প্রথম বার খাওয়ার সময় বুঝতে পারলাম পান্তা ভাতে পানি থাকার জন্য প্লেটে খাওয়া সমস্যা। পরে বাটিতে খেতে অসুবিধা হয় নাই। পান্তা ভাত মাইক্রোওয়েভে গরম করে খাওয়া এই প্রথম দেখলাম।
ঘটা করে উৎসব পালন করার প্রথা যিনিই প্রথম আরম্ভ করুন না কেন হলপ করে বলতে পারি তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছিলেন তা না হলে কোনো কোনো উৎসবের দিন হতাশার দিন হতে পারতো। চিরতরে সময় হারানোর কষ্টে মানুষ হয়তো মন খারাপ করে বসে থাকতো।
উৎসব পালনের মাঝে আমরা মেনে নেই যা যাওয়ার তাকে যেতে দিতে হবেই আর যা আসে তাকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়ে পথ চলার নামই জীবন।
সবার ভালোবাসা
সবাইকে ভালোবাসা
শুভ নববর্ষ ১৪২১ !!
©somewhere in net ltd.