নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুষ্পিতা.

পুষ্পিতা. › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার কি করেছে তা জাতিকে জানাতেই হবে...

০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৬



মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া ব্যাক্তিদের ব্যাপারে সৌদি বাদশাহর কাছে আবেদন করলে নাকি জানানো হয়েছিল, নিহত মিশরীয় ব্যাক্তির পরিবার যদি ক্ষমা করে তাহলে সৌদি আরবের কোন আপত্তি নেই। এটা তো ছিল বিশাল এক সুযোগ। এই সুযোগের প্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল?



শিরশ্চেদের পর (আগে নয়) রিয়াদ দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলর হারুন অর রশিদের মাধ্যমে নিম্মলিখিত তথ্য গুলো জানা যায়)-



১। বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাস, রিয়াদস্থ মিশরীয় দূতাবাসের মাধ্যমে নিহত ব্যাক্তির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল।

২। এ বিষয়ে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াদস্থ মিশরীয় রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল।

৩। মিশরের রাষ্ট্রদূত জানান যে, নিহত হাসান আল সাইদ মিশরের প্রত্যন্ত জনপদ শারকাইয়া এলাকার অধিবাসী। ওই এলাকার অধিবাসীরা সাধারণভাবে হত্যার বদলে হত্যার নীতি একনিষ্ঠ ভাবে বিশ্বাস করে। এ কারনে নিহত হাসান আল সাইদ-এর উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে প্রাণভিক্ষার সম্মতি আদায় করা একটি কঠিন কাজ। তবে তিনি নিহতের পরিবারকে যেকোনওভাবে দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশ্বাস প্রদান করে।

৪। এ ব্যাপারে রিয়াদস্থ মিশরীয় দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়।

৫। দুই বছর আগে মিশরীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়ে দেন যে, নিহতের পরিবার কোনও ভাবেই হত্যাকারীদের ক্ষমা করতে রাজি নয়।



এখন যে প্রশ্ন গুলো সামনে আসে-



১। মিশরে কি বাংলাদেশের দূতাবাস নেই? নিশ্চয় আছে। তাহলে বাংলাদেশ কেন শুধু রিয়াদস্থ মিশরীয় দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করল? কেন মিশরস্থ বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে নিহত ব্যাক্তির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেনি? সরকার কেন মিশরের দূতাবাসের মাধ্যমে সমযোতার চেষ্ঠা করেনি?

২। নিহতের পরিবার যে ক্ষমা করতে রাজি নয় তা দুই বছর আগেই যদি বাংলাদেশকে জানিয়ে দেয়া হয় তাহলে এই দুই বছর সরকার ও বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাস কি করেছে?

৩। বাংলাদেশের সৌদি দূতাবাস সূত্রেই জানা যায়, নিহত ব্যাক্তির পরিবারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের কেউ সরাসরি কথা বলেনি। কেন বলেনি? তারা কেন শুধু রিয়াদস্থ মিশর দূতাবাসের উপর দায়িত্ব দিয়ে বসে ছিল?

৪। বাংলাদেশেও মিশরের দূতাবাস আছে। এখান থেকেও একটি চেষ্ঠা করা যেত। কেন ঢাকাস্থ মিশরীয় দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়নি?

৫। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি কতটুকু জানতো? একবারের জন্যও তো বাংলাদেশের কোন সংবাদপত্রে বিষয়টি আসেনি। তাহলে কি পুরো বিষয়টি সরকার সিরিয়াসলি নেয়নি? সংবাদপত্রে আসলে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি হতো। জনমত তৈরি হতো। কেন দেশের কাউকে জানানো হয়নি?

৬। মিশরের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোন সমস্যা নেই। তাহলে সরকার কেন রাষ্ট্রীয় ভাবে বিষয়টি মিশরের সাথে হ্যান্ডেল করেনি? কেন রিয়াদস্থ মিশরীয় দূতাবাসকে দায়িত্ব দিয়ে বসে ছিল?

৭। যদি সরকার সিরিয়াস হতো, মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের পরিবারের সদস্যেদের মিশর যাওয়ার ব্যবস্থা করে নিহত ব্যাক্তির পরিবারকে অনুরোধ করতে পারতো। তারা প্রয়োজনে হাতে-পায়ে ধরে ক্ষমা আদায় করতো। তা কেন করা হয়নি?

৮। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মাধ্যমে চেষ্ঠা করতে পারতো। সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষকসহ, মিশরে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের মাধ্যমে চেষ্ঠা করা যেত। কোন কিছুই কেন করা হয়নি?

৯। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী সরাসরি নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলতো। অনুরোধ করতো। আরো প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রপতি নিজে গিয়ে অনুরোধ করতো। তারপরও তো এই অসহায় শ্রমিকগুলো প্রাণে বেঁচে যেত। কেন করা হয়নি?

১০। সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কি করেনি? লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করে বিভিন্ন দেশে গোয়েন্দা ও লবিষ্ট নিয়োগ করেনি? সম্ভাব্য দেশে যখনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়েছে সেখানে সেই আসামীদের ফিরিয়ে আনার জন্য লবিং করেনি? এদের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়বার সৌদি আরব ও মিশর সফর করেছে?

১১। শেখ হাসিনার কথিত শান্তির ফর্মূলা প্রচারের জন্য বিশ্বের অনেক দেশে কোটি টাকা খরচ করে প্রতিনিধি দল কি পাঠানো হয়নি? বারাক ওবামার সাথে বৈঠক করার জন্য লক্ষ ডলার খরচ করে লবিষ্ট নিয়োগ করা হয়নি? প্রয়োজনে সেই রকম প্রতিনিধি দল মিশরে পাঠানো হতো। তারা গিয়ে নিহত ব্যাক্তির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতো। কেন করা হয়নি?

১২। সরকার দুই বছর আগে জানার পরও দেশের মানুষ কেন জানলো না যে আটজন লোক মৃত্যুর প্রহর গুনছে? আসলে এই লোকদের জীবন বাঁচানোর জন্য কি করেছে?

১৩। দূতাবাসের লেবার কাউন্সেলরের মাধ্যমে যা জানা যায়. গত দুই বছরে আর কোন প্রকার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সামান্য যা কিছু করা হয়েছিল তা দুবছর আগে। কেন এরপর সরকার নিশ্চুপ ছিল?

১৪। দুই বছর সময় পাওয়ার পরও সকল ধরনের বিকল্প পথে কেন চেষ্ঠা করা হয়নি? এই দুবছর কেন সরকার বসে ছিল?

১৫। আসলে সৌদি আরবের আইনের কারণে ওই সব শ্রমিকের জীবন গিয়েছে, না বাংলাদেশ সরকারের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে গিয়েছে?



সেই গানের কথাগুলো বার বার মনে পড়ছে-

আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া

করিতে পারিনি চিৎকার

বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার

কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য

নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ



কিছু কি করা যেতোনা. এই অসহায় শ্রমিকদের জন্য? কারো কি কোন দায়িত্ব ছিলনা? তাদের রক্ত পানি করা পাঠানো ডলারে কি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিনে দিনে বড় হয়নি? তাদের পাঠানো সেই হাজার কোটি ডলার থেকে ব্যয় করে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমাসে বিদেশ সফর করেনা? সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির শারিরীক চেকআপের বিল কি সেই ডলার থেকে দেয়া হয়নি? জাতিসংঘ সম্মেলনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বুকিং করা সবচেয়ে বিলাস বহুল হোটেলের বিল কি সেই ডলার দিয়ে পরিশোধ করা হয়নি? প্রধামনন্ত্রীর কানের চিকিৎসার বিলের সেই ডলার ব্যয় করা হয়নি? আমলাদের বিদেশ ভ্রমনের বিল কি সেই ডলার থেকে দেয়া হয়নি? যারা ছিল ওই সব ডলারের যোগানদাতা তাদের বাঁচানোর দায়িত্ব কি কারো ছিলনা? এত দায়িত্বহীন কিভাবে হতে পারে একটি দেশের সরকার? প্রভু তোমাকেই জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয়, যে দেশের সরকার এত দায়িত্বহীন সে দেশে কেন আমাদেরকে পাঠিয়েছ?



আগের পোষ্ট- এই আমাদের ইংরেজি জ্ঞান?!

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০৬

ইমু ৪৬৮ বলেছেন: আমারও একই প্রশ্ন ??? :#> :#> :#>

০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০৮

পুষ্পিতা. বলেছেন: কিন্তু কে দিবে এই প্রশ্নের উত্তর? সে রকম দায়িত্ববান কেউ কি আছে?

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া
করিতে পারিনি চিৎকার
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার
কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য
নির্মমতা কতদূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ

আসলে কি সৌদি আরবের আইনের কারণে ওই সব শ্রমিকের জীবন গিয়েছে না বাংলাদেশ সরকারের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে গিয়েছে?

স্রেফ অবহেলা। ওফ্ ভাবা যায়...

তাদের রক্ত পানি করা পাঠানো ডলারে কি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিনে দিনে বড় হয়নি? তাদের পাঠানো সেই হাজার কোটি ডলার থেকে ব্যয় করে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমাসে বিদেশ সফর করেনা? সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির শারিরীক চেকআপের বিল কি সেই ডলার থেকে দেয়া হয়নি? জাতিসংঘ সম্মেলনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বুকিং করা সবচেয়ে বিলাস বহুল হোটেলের বিল কি সেই ডলার দিয়ে পরিশোধ করা হয়নি? প্রধামনন্ত্রীর কানের চিকিৎসার বিলের সেই ডলার ব্যয় করা হয়নি? আমলাদের বিদেশ ভ্রমনের বিল কি সেই ডলার থেকে দেয়া হয়নি? যারা ছিল ওই সব ডলারের যোগানদাতা তাদের বাঁচানোর দায়িত্ব কি কারো ছিলনা? এত দায়িত্বহীন কিভাবে হতে পারে একটি দেশের সরকার? প্রভু তোমাকেই জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয়, যে দেশের সরকার এত দায়িত্বহীন সে দেশে কেন আমাদেরকে পাঠিয়েছ?

কেন? কেন? কেন?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:২২

পুষ্পিতা. বলেছেন: আমরা সরকারের স্পষ্ট জবাব চাই।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:২৮

Hanif বলেছেন: এক সময়কার বাংলাদেশের সেরা ধনী জহিরুল ইসলামের হাত কাটার হুকুম হয়েছিল আরবে । সম্ভবত এরশাদ সরকারের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত হাতের একটি আঙ্গুল কেটে দেয় । অর্থাৎ বাংলাদেশের সেরা ধনীকে ও তারা ছাড়ে নাই । আইনের প্রায়োগ আছে বলেই আরবের মানুষ আমাদের চেয়ে অনেক সুখে আছে ।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৩৩

সত্যযুগের মানুষ বলেছেন: হে হে মুজিব অনেক বড় ডাকাত, বিরাট প্রতিভা। তার জন্য পয়সা খরচ করা যায়।

এরা ছোটখাট ডাকাত, বেশি প্রতিভা নাই। এরকম ডাকাত আমাদের দেশে অনেক আছে। দুএকটা মরলে প্রবলেম নাই।

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৪৪

মোকাম্মেল ওয়াহিদ বলেছেন: অভিযুক্তদের কি কোন উকিল ছিল?
আরবী ভাষার বিচার কার্য কি তার সম্যক উপলব্ধি করেছিল?
তাদের উপর হত্যার অভিযোগ কি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হয়েছিল?
এই কেনগুলোর উত্তর কখনই জানা যাবেনা হয়ত।
তবে এ ব্যাপারে জনমত গড়ে উঠা জরুরী।
আরও দুজন বাংলাদেশী রিয়াদের কারাগারে, শিরোচ্ছেদের অন্তিম মুহুর্তের অপেক্ষায়, হয়তো তারা দোষী হয়ত বা না।
না জানি কোন মায়ের বুক খালি হবে, কোন বধু বিধবা হবে, কোন শিশু এতীম হবে।
যেখানে সরকারের দায়িত্ব ছিল এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, যেখানে তার নিজ উদ্যোগে বিদেশ গিয়েছে, তারপর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রেমিটেন্স নামক লাইফ সাপোর্ট প্রদানকরেছে, এই লোকগুলো কি আমাদের, সরকারের একটু মনযোগ পেতে পারেনা?

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:০৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: তাদের পাঠানো সেই হাজার কোটি ডলার থেকে ব্যয় করে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমাসে বিদেশ সফর করেনা? সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির শারিরীক চেকআপের বিল কি সেই ডলার থেকে দেয়া হয়নি? জাতিসংঘ সম্মেলনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বুকিং করা সবচেয়ে বিলাস বহুল হোটেলের বিল কি সেই ডলার দিয়ে পরিশোধ করা হয়নি? প্রধামনন্ত্রীর কানের চিকিৎসার বিলের সেই ডলার ব্যয় করা হয়নি? আমলাদের বিদেশ ভ্রমনের বিল কি সেই ডলার থেকে দেয়া হয়নি?

-অবশ্যই হয়েছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সবচে' বড় যোগানদার এই হতভাগ্য শ্রমিকেরা- তৈরি পোষাক নয়।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:২০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এই প্রসংগে ব্লগে প্রচুর পোস্ট দেখলাম। পরিষেশে আমার কয়েকটা প্রশ্ন,

১। সৌদি আরবে কি এই প্রথম কারো শিরশ্ছেদ হল?
২। ওখানে শরীয়াহ আইন অনুসারে আরো শিরশ্ছেদ হয়েছে, আমরা কি তাহলে এই আইনের বিরোধিতা করার মাধ্যমে আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করতে চাচ্ছি?
৩। কিছু অপরাধীকে বাচানোর জন্য আমরা এত তৎপর কেন? আমরা কি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে অপরাধ এর প্রবণতা কমুক সেটা চাই না??
৪। যেই ব্যাক্তিকে হত্যা করা হল, সেই ব্যাক্তির ক্ষেত্রে যে জুলুম হয়েছে তার দ্বায়ভার কি আমরা নেব? আমরা কি সেই ক্ষতি পূরণ করতে পারব?
৫। যেহেতু নিহতে পরিবার ক্ষমা করেনি বা অর্থের বিনিময়ে ক্ষমা করেনি, তারপর আর এই বিষয় নিয়ে কথা বলে কি লাভ?

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:০০

জীবনকেসি বলেছেন: প্রভু তোমাকেই জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয়, যে দেশের সরকার এত দায়িত্বহীন সে দেশে কেন আমাদেরকে পাঠিয়েছ?

কেন? কেন? কেন?

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:১৮

দাসত্ব বলেছেন: @ মুহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম :

আপনার সব গুলো প্রশ্নের সাথে আমি একমত।
ঐ ৮ বাংলাদেশী যদি নিরপরাধ মিশরীয় হত্যার সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদের মৃত্যুদন্ডই প্রাপ্য।

এমনকি নিহতের পরিবার ক্ষমা না করলে "সুপ্রীমকোর্ট / রাষ্ট্রপতি/ রাজা বাদশাহের বাপ" ও ক্ষমা করতে পারবেনা- সৌদি আরবের এই আইনটা আমাদের দেশে খুবই জরুরী প্রয়োজন।

কিন্তু যেখানে আমার আপত্তি : মৃত্যুদন্ডের প্রকার -

ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড দেয়া যায়
ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ড দেয়া যায়
লীথাল ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড দেয়া যায়......

কেন শিরচ্ছেদের মাধ্যমে......?

কোরআন শরীফে তো বলা হয়েছে হত্যার বদলা হত্যাকারীর মৃত্যু।

সেটা তরবারীর কোপ দিয়ে কল্লা ফেলে হতে হবে সেটা তো বলা হয় নাই।

ঐ অপরাধী ৮ জনকে তো প্রকাশ্যে ফাঁসি / ফায়ারিং স্কোয়াড / লীথাল ইনজেকশন পুশ করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা যেতো।

আমার আপত্তিটা মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ধরন নিয়ে......

১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:২৮

লাইট ভাই বলেছেন: মাহাথির মোহাম্মদ কে আমাদের সবারই মনে আছে, তাই না?
এই মহান ভদ্রলোকও মালেশিয়ায় বাংলাদেশিদের নিষিদ্ধ করেছিলেন।
সত্যি কথাটা অপ্রিয়। বাংলাদেশিরা প্রবাসে গিয়ে যা করে তা আমাদের দেশেও সমান ধিক্কার পেত।
আর শুনুন, শিরচ্ছেদ আল্লাহ-প্রদত্ত অতিকার্যকর শাস্তি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে জীবিত দর্শকদের সতর্কবাণী ঠিকমত পৌছানো যায়, অন্যদিকে ড্রাগের কারণে শাস্তিপ্রাপ্তও কম কষ্ট পায়। ফাসি, ইলেকট্রিক চেয়ারের থেকে অনেক ভাল।
অনেকে এই আইনকে সৌদী আইন বলছে, কিন্তু এটা শরীয়া আইন, সৌদী আইন নয়। শরীয়া আইনের পুরাটাই আমাদের দরকার।

১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:১৫

সুফল_সিএসই বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ভাই এর সাথে আমি এক মত। আর তার চেও বড় কথা হল যে কে বলেছে তারা অসহায়? আর তারা জাকে খুন করেছে সে কি ছিল? খুব সহায় ছিল? আমি মেনে নিচ্ছি যে চেষ্টা করা জেত।কিন্তু কেন? আপনার ভাই কে যদি আমি মেরে ফেলতাম আপনি মনে হয় আমাকে ক্ষমা করে দিতেন? এক্তু নিজের দিকে সব কিছু ভেবে দেখবেন.। অনুরধ রইল.। ড় এখানে খুনের সাস্তি খুন হইসে.।বাংলাদেশ আ খালি এ রকম কয়েকটা হত, তাহলে আর এ দেশ এর আইন এর এ অবস্থা হতনা.। ধন্যবাদ

১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৩৭

সবুজ-ভাই বলেছেন: প্রথমে বলি, পুষ্পিতা আমার একজন প্রিয় ব্লগার। যে প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচোনা তা নিয়ে আমি আগেও মন্তব্য করেছি তা কপে পেষ্ট করেই দেব তার আগে সংযুক্ত আলোচোনা যে প্রশ্নটা পুষ্পিতার ব্লগে করেছেন।

সরকার কি করল ?

সরকার যদি আন্তরিকই হত তাহলে ২০১১ তে বিদেশে গিয়ে আমদের পচতে হত না। বাস্তবতা কি তা আপনি আমি সবাই জানি, জেনে শুনে এমন প্রশ্ন মনে আসলেও উত্তরটাও তো আপনার এতদিনে জেনে থাকার কথা।

কোন এমন দল আছে বাংলাদেশে যারা দেশের জন্যে বা দেশের মানুষের জন্যে কিছু করেছে ? যা করেছে তারা তাডের নিজেরদের দল ও দলের সামর্থক দের জন্যে, জেনে শুনে সরকারকে এমন প্রশ্ন করাই অবান্তর। সরকারই কি দায়ী নয় যাদের জন্যে দেশ ছেড়ে অজানা দেশে পাড়ি জমাতে হয়।

আরেকটি প্রশ্ন হল কেন মিদিয়াতে আসল না:
আমি ২০০৪ এ ইতালী আসি , ২০০৯ এও ইন্টারনেটে ইতালীয়ান ভাষায় বাংলাদেশি লিখলে কিছুই আসতো না। শুধু গত ২ মাসে ইটালীতে ধর্ষণ, যৌন অপরাধ, মাদক ব্যবসা নিয়ে ইটালীতে ১০০ এর উপরে বাংলাদেশী গ্রেফটার হয়েছে। আরও ১০০০ ছোট খাটো অপরাধে গ্রেফতার হয় ও সতর্কতআ নোটিশে ছাড়া পায়। গত ২ বছরের লিস্ট ঘাটলে পারিবারিক কলহ শ ১০০০০ বাংলাদেশীর নাম আসবে। এখানে সরকার কোন বিদেশী গ্রেফতার করলে দূতাবাস এর সাথে যোগাযোগ করে না। বাংলাদেশীদের জনয্ে নয় কোন দেশীদের জনয্েই করে না।

এখন , প্রবাসে যারা বাংলাদেশী তারা সবাই এক একজন বাংলাদেশের প্রেতিনিধি, তাহলে তাডের কি আরও সতর্ক ও দায়োত্বশীল আচরণ করা উচিৎ নয় ?

এখানে এখন সকার ৬ টা বাজে, রাত ২ টা সময় থেকে আমার বাসার পাশেই বাংলাদেশী বার ে মারামারি শুরু হয় বোতল বান্গার শব্দ পাই।
রাত ৪টা নাগাদ আরেকদল এসে গালিগালাজ চিল্লাচাল্লি শুরু করলে আসে পাশের ইটালীয়ানরা থামতে অনুরোধ করে, ুলটো ইটালীয়ানদের গালিগালাজ করে ভোর ৫ টা নাগাদ াপর বাংলাদেশী গ্রুপটি চলে যায় তার ৫ মিনিট পরে পুলিশ আসে। গত ১৫ মিনিট ধরে পরিবেশ ঠান্ডা কিন্তু সকাল ১০ টা ১১ টা থেকেই শুরু হবে।

আসপাসের সকল গলিতেও একই অবস্হা।

যাই হোক, আমি আরও আগে থেকেই মৃত্যুদন্ডের বিরোধী। কিন্তু যেহেতু পৃঠিবীর বিভিন্ন দেশে যেমন: আমেরিকাতেও মৃত্যুদন্ড কার্যকর তাই বাস্তবতা মেনে নিয়েই বেচে থাকতে হয়।

বিডিনিউজে বলেছে: ৮ জন যা করেছিলেন:

দণ্ডিত ৮ জনের অপরাধ সম্পর্কে শ্রম কাউন্সেলর বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ৮ বাংলাদেশিসহ মোট ১১ জন বাংলাদেশি ২০০৭ সালের ২২ এপ্রিল রিয়াদে এক গুদাম থেকে বৈদ্যুতিক তার চুরির সময় সে গুদামের মিশরীয় গার্ড হাসান আল সাইদ-কে হত্যা করে। অভিযুক্তরা আদালতে তাদের এ কাজের কথা স্বীকারও করেন।’

তিনি বাংলানিউজকে আরও বলেন, ‘আসামীদের স্বীকারোক্তি ও পারিপার্শ্বিক ঘটনাবলী বিচার করে আসামিদের বিরুদ্ধে ‘ডাকাতি, নরহত্যা এবং জমিনে দাঙ্গা-ফ্যাসাদ সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারিক আদালত এই ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য তিন জনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও বেত্রাঘাতের দণ্ড প্রদান করে।’


অন্য একটি পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম,

সবুজ-ভাই বলেছেন:

আপনি বলেছেন এখানে ভারতীয় ব্লগাররাও আসে।

ভাই, ভারতীয় ও বাংলাদেশীদের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।

বাংলাদেশী রা যতই খারাপ হোক ভারতীয়দের মত অমানুষ না। আমরা খারাপ হলেও মানুষ বা খারাপ মানুষও বলতে পারেন।

বাংলাদেশী আবেগী কিন্তূ নগ্ন মিথ্যাচার করে বেড়ায় না। যার কাছে যেটা ঠিক মনে হয় সেটাই বলে যায়। এখানে সামাজিক ভাবে আমাদের শিক্ষার মান এর ঘাটতি আছে বা আমরা জীবন দর্শন কম বুঝি, কিন্তু অমানবিকতায় ভারতীয়রা আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে।

বাংলাদেশীরা অল্পতে তুষ্ট জাতি এবং নিজেদের অধিকার সম্পরকে সচেতন নয় কিন্তু ভারতীয়দের মত মিথ্যা অহমিকা করে বেড়ায় না বাংলাদেশীরা।

আপনার ব্লগে আপনি আমার মতামত ব্যক্ত করবেন লুকানোর কিছু নেই, বাংলাদেশীরা স্বচ্ছ মানসিকতা রাখে হয়তো দেশে দূর্ণিতী আছে কিন্তু সেটা স্বচ্ছ ভাবেই। ভারতীয়দের মত লুকানো স্বভাব আমাদের নেই।

আমাদের দেশের মানচিত্র পলিটিক্যাল ম্যপে ১৯৭১ স্বাধীন হলেও দেশের মানুষ তখনও পরাধীন ছিল এবং আজ ২০১১ তেও তারা স্বাধীনতা দেখেনি।

----

আমি সোহান মুরাদ ভাই এর পোষ্টে মন্তব্য করেছিলাম এটা ঠিক

ইতালীতে শুধু আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মারামারির জন্যে রোমে যেখানে বাংলাদেশীরা সুনামের সাথে কাজ করে যেত সেখানে বাংগালী বা বাংলাদেশী এখন একটা গালী। যদি ভিডিও করে দেখানো যেত বাংলাদেশীরা এখানে রাজনিতীর নামে কি করে বেড়া্য় তাহলে লজ্জায় সবাই নিজেদের মুখে নিজেরাই থুতু দিত।

আমি মৃত্যু দন্ডের পক্ষে নই তবে বিদেশে বাংগালীরা যা করে বেড়ায় তা মৃত্যু দন্ডের থেকেও বড় কোন শাস্তি যোগ্য অপরাধ। অন্যদেশের আইন নিয়ে কথা বলতে চাই না, তবে যারা শৃন্খলা ভণ্গ করে তাদের শাস্তি প্রাপ্য বলে মনে করি।

এটা লিংক দিলাম : Click This Link

আমি আমার মন্তব্যের কোথাও সৌদি প্রেমের কথা বলিনি। সৌদি রয়্যাল ফ্যামিলীকে আমি শয়তান কে যতটুকু ঘৃণা করি তার থেকেও বেশী ঘৃণা করি। আমি মনে করি না আল্লাহ দেশ বানিয়ে দিয়েছেন, মনে করি পুরা পৃথিবীটাই তার সৃষ্টি। আমি ইসলামী আইন বা ইসলামী শাসন ব্যবস্হা বলতে কোন দেশ আছে মানি না। তবে কুরআনের অনেক আইন আমার কাছে যথেষ্ট ব্যলানস্ড মনে হয় তবে সেই আলোচোনায় যেতে চাই না।
ইসলাম স্বতন্ত্র েবং কেও ইসলামের প্রনতিনিধিত্ব করে বলে আমি মনে করি না, ঠিক তেমন আমি ইসলামের ফলোয়ার হলেও নিজেকে খাটী ইমানদার মুসলিম বলতে কনফিউসড থাকি কারণ সঠিক ইসলামী সঙ্গায় আমি ইমানদার মুসলিম ১০০% নই।

এবার আসি আমি যা বলেছি কেন বলেছি ?

৮ বাংলাদেশী ও ৩ পাকিস্তানি মিলে হত্যা করেছে এক মিশরীয় কে।
তাদের শিরচ্ছেদ দিয়েছে সাউদি সরকার।


সমস্যাটা আমি এখানে পাই মূলত ৩টা প্রধান ও ২-১টা অপশনাল সমস্যা।

১।) বাংলাদেশের আইনে শিরচ্ছেদ নেই তবে মৃত্যুদন্ড ফাসী আছে।
সাউদি বিচারে যদি এদের ফাসী হত তাহলে আমাদের রিএ্যাকশানটাও অনেক কম হত। ব্যাপারটা অনুভূতির। যেমন প্রানী প্রেমিরা মাংশ খায় না সবজি খায়, এখন বৃক্ষেরও প্রাণ আছে কিন্তু তারপরও তারা খায় এই যুক্তিতে যে এদের রক্ত নেই। আলোচোনার শেষ নেই এখানে।


২।) বাংলাদেশী বলেই পারলো ? আমেরিকান হলে পারতো না। সহজ কথায় রেসিজম। এখন রেসিজমের কথায় আসি, আমাদের নিজের দেশের মানুষ আমাদের ঘরে কাজ করে ২৪ ঘ্ন্টা, বেতন সামান্য খাওয়া থাকা ফ্লোরে । মার খায় কি না সেটা আমি বল্লাম না। এটা কি রেসিজম নয় ? তারাও এই দেশের নাগরিক এবং এই দেশের সকল কিছুর উপর তাদের (সমান) অধিকার আছে । তারা মরে না ঠিকই কিন্তু বেচে থাকে মৃত্যুর থেকেও বেশী কষ্ট বুকে নিয়ে। একই অনস্হা রিকসাওয়ালার ক্ষেত্রে সেও মার খায় ভাড়া বেশী চাইলে। বা, পাড়ার ভাল ছেলেটা বা মেয়েটাকে উত্যক্ত করে বখাটে সমাজ যাদের কে কেউ কিছু বলতে পারে না, সেই না বলতে পারার যন্ত্রণাটাও কম না মৃত্যর থেকে। পুলিশের কাছে গেলে আরও খারাপ অবস্হা কারণ সে পুলিশ আপনি সাধারণ। নেতাদের কাছে গেলেও একই সমস্যা সে নেতা আপনি কিছুই না। এমনকি ণেটা বা পাড়ার বখাটে দের মাঝেও রেসিজম আছে, এক এলাকার বখাটে আরেক এলাকায় যেতে পারে না। প্রায় সবখানেই শ্রেণী ব্যবধান আছে আমাদের দেশে আর মানবাধিকার বলতে ?? কিছু নেই বললেই চলে। কিন্তু সাউদিয়ান রা এখানে রেসিজম করেছে বা অসম আচরণ করেছে বা বিচার সুষ্ঠ হয়নি এটাই মূল সমস্যা।

৩।) অমানবিকতা, বিভৎসতা। জনসম্মুখে এভাবে শিরচ্ছেদ ? শেখেরাতো নিজেরাই খারাপ আর ৮ জনই তো খুন করেনি। মোটামোটি এটাও একটা বড় সমস্যা।

অপশনাল সমস্যাগুলো হলো

১।) সরকার কি করল ? কেন ব্যবস্হা নিল না।

২।) সাউদি প্রমীদের ইসলামের নামে এই বিচার মেনে নেওয়ার পক্ষে যুক্তি।

৩।) আরেকটা সমস্যা হল বাংলাদেশীরা কেন বাংলাদেশীদের বদনাম গেয়ে সাউদির সাফাই গেয়ে যাচ্ছে।

আগে বলি, আমরা এমন একটা দেশের মানুষ যাদের নিজের দেশ, নিজের ধর্ম নিয়ে শেখার জানার ব্যবস্হা অনেক কম। আমরা পরাধিনতার শৃংখলায় বসবাস কারী। আমাদের দেশে কারেন্ট যায় না, মাঝে মাঝে আসে। মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়াশুনা করে মানুষ মশার কামড় খেতে খেতে।

মা, বাবা কষ্ট করে বড় করে আর প্রেমিক প্রেমিকার জন্যে সেকরিফাইস করতে করতে মা বাবার জন্যে কিছু করার সুযোগও আমডের থেকে না। দেশের মানুষের রাজনৈতিক মতাদর্শের জনয্ে সেকরিফাইস করতে করতে, নিজের সন্মান বাচাতে একজোড়া জুতো পলিশ করে পরতে পরতে সেটার আসল রঙ ই যেখানে চলে যায়। যে দেশটা নামে স্বাধীন হলেও ক্ষমতা শালী সরকার আর ও অন্যদেশগুলো পতিতার মত ফ্রিতে ধর্ষণ করে যাচ্ছে যাকে আপমরা মা এর মত ভালবাসী। এমন দেশ থেকে বিদেশে আসার উদ্দেশ্য কি ?

যাইহোক আসলেন বিদেশে এখানে আপন তো কেউ নেই তাই সব বাংলাদেশীরাই একে অপরের ভাই এর মতন। বিদেশে যে সোনার হরিন দৌড়াচ্ছে এমন নয়। এখানেও কষ্ট করতে হয়, সবার না হলেও অধিকাংশেরই কষ্ট করতে হয়। তো সেই বিদেশে এসে যখন আপনি দেখবেন বিদেশীরা নয় আপনার দেশের ভাইয়েরাই রেসিজম করছে আপনার সাথে, কিভাবে ? এলাকা ভিত্তিদল করে, মাদারীপুর, নোয়াখালী নামে।
রাজনৈতিক দলের নামে।
দেশে বাব, দাদার ক্মতার দাপটে।
তার উপর আদম ব্যবসায় নিজেদের আত্মী্য , এলাকার মানুষ দের থেকে টাকা কামানোর জন্যে গ্রুপিং।
এ ছাড়াও আছে আলাদা আলাদা বিয়ার, মদের ব্রান্ডের নামে গ্রুপিং।
ষহুধু গত দুমাসে ইতালীতে ১০০ এর উপরে বাংলাদেশী গ্রেফতার হয়েছে শুধু যৌন হয়রানী, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার াপরাধে আর আরও ১০০০ গ্রেফতার হয়নি কিন্তু ক্রাইম করে সতর্ক বানী নিয়ে চলে গেছে।

অপরাধ বাড়ছে কিন্তু বিচার হচ্ছে না। দু মাস আঘে এক বাংলাদেশী ভাই তার কাজের মালিক বৃদ্ধ করে হত্য করে, আর গত বছর দু বাংলাদেশী ভাই ৫ বছরের বচ্চার সাথে যৌন আচরনের সিডি প্রকাশ করে বিক্রি করার অপরাধে আটক হন। তো এদের জনয্ে আপনি যখন বিদেশের মাটিতে মুখ দেখাতে পারবেন না আপনাকে ব্যখয্া করে বোঝাতে হবে যে সবাই এক না, বা আপনার কাজ চলে যাবে বা কোন বাংলাদেশী গ্রুপ আপনাকে পথ আটকাবে আপনি কি করেন ? কোন দল করেন ? আগামী কাল মিটিংে আসবেন না আসলে আপনাকে হয়রানী করবে। পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ বলবে তোমাদের নিজেদের সমস্া নিজেরা মিটমাট করো তবে রক্তক্ষরণ হলে কেইস করা যাবে। আপনার বউ, ভাতিজি করে বাংলাদেশী ছেলেরা রাস্তায় কমেন্ট করবে। ৫০০০ ইউরো মালিকে দিলে একটা লোক আনা যায় আঘে ফ্রিতে আনা যেত কিন্তু বাংলাদিরাই মালিককে বলবে কেন ফ্রিতে আনবে আমাদের দেশে ২০০০০ ইউরো পাওয়া যাবে একটা লোক আনলে। হুন্দিতে টাকা পাথাবে , সেখানে আপনাকে কম দেবে এভাবে হাজার অন্যায় রোজ বাংলাদেশীদের সাথে বাংলাদেশীরা করে যাচ্ছে যাদের বিচার হয়না হবে না। কিন্তু এই সামান্য ক জনের জনয্ে হাজার হাজার, লক্ষ লকষ বাংলাদেশীরা বেছে থেকেও মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করে যাচ্ছে এডএর কি বিচার হওয়া উচিৎ না ? কোতাহয় হবে আমাদের দেশে ? প্রধানমন্ত্রী ইতালী আসলে তার সামনে আোয়ামিলীগের দু গ্রুপের মারাপারি হয় এবং যারা করে তাডের কে প্রধানমন্রী ক্ষমতা দিয়ে যান এত বেশী যে এখান তাদের ভয়ে সাধারনের রাস্তায় বের হওয়াটাও সমস্যা। যখন এটা লিখছি রাত ২ টা পাশে বাংলাদেশী বার এ মারা মারি হচ্ছে বোতল ভান্গার শব্দ পাচ্ছি।
একজনকে মারল বুঝলাম কিন্তু কোটি কোটি মানুষের গলার টুটি যে চেপে ধরে রেখেছে তার বিচারটা কে করবে ?

যাদের কে বাংলাদেশী বলে মায়া দেখাচ্ছেন এডের যদি নিজের দেশের প্রতি নুন্যতম ভালবাসা থাকতো তাহলে এক প্যকেট সিগারেট খাওয়ার আঘে ভাবতো যে এই টাকায় আমার দেশে ৩ টা সংসারের বাজার হয়ে যাবে। যদি তারা একটাবার নিজের দেশের মুখটা কল্পনাও করতো তাডের আজ এই হাল হত না। এডের জনয্ে যদি আরও নিরাপরাধ বাংলাদেশীর অন্যায় ভোগ করতে হয় তাহলে এরা কি বেইমান হয় ? Click This Link

আমাদের দেশে শিক্ষার সুযোগ নাই, জানার সুযোগ নাই। মানুষ জানে না সাউদি কি কেন তাদের দোষ ? বাংলাদেশীরা ভাড়ট, পাকিস্তান সাপোর্ট করে দেখেছেন ক্রিকেটে ? বা ব্রাজিল , আরজেন্টিনা ? কেন ? কারণ তাডের সাপোর্টেো কিছুই নেই না আছে বিনোদোন না আছে গর্বের কিছু ? এক ইত্যাদি খেয়েতপ আর সবার পেট ভবরে না ৪০ বছর। সাউদি নামটা বাংলাদেশে একটা ফ্যানটাসীর মত কারণ ওখানে নবীর জন্ম তারা ওখানে হজ্জ করতে যায়। আপনি যদি তাদের বলেন কেন বাংলাদেশের মান ইজ্জত ডুবাচ্ছেন তারাও আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করতে পারে যে, ব্লগে তো অন্য ধর্মের মানুষরাও আসে তাহলে কেন ইসলামের নামে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন ?

মৃ্ত্যুদন্ড আমেরিকাতেও আছে। বুশ যখন গভর্নর ছিলেন তখন কয়েক হাজার মানুষকে কর ফাকি ও ছোট কারনে এমনকি হাশপাতাল থেকে ধরে এনেও মৃত্যু দন্ড কার্যকর করেছেন। ব্যপারটা বর্তমান পৃথিবীর শাসন ব্যবস্হার একটা সমস্যা। আমেরিকাতে এক বাংলাদেশীর উপর আক্রমনকারী আমেরিকানের মৃত্যুদন্ড হয় কিছুকাল আগেই। এটা সকল রাজনৈতিক দেশের বিচার ব্যবস্হার অংশ বিচার সুষ্ঠ নাও হতে পারে তবে বিচার করার অধিকার তাদের আছে। এখন আপনি প্রভাব খাটিয়ে কিছু করতে পারলে আলাদা কথা।

বাংলাদেশী বলেই এমনটা করলো ? ধরে নিলাম তাই। সরকার কিছু করেনি । আপনি মধ্যপ্রাচ্যের বাংলদেশী দূতাবাসদের চেনেন ? ফেইসবুক বা ইুটুব দেখে খুজে ণেবেন ব্লগেও পেতে পারেন । তারা কথা বললে যার শাস্তি হবার কথাও না তারও শাস্তি হতে পারে।

ওমানে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত

http://www.youtube.com/watch?v=ji0079JtYV0



বাংলাদেশী জনগন সরকার দ্বারা অবহেলিতো তো আগে থেকেই, দেশে থেকেই অধিকার পান না বিদেশে কিভাবে আশা করেন ? এক বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যার কারণে এক সৌদি নাগরিকের শিরচ্ছেদের খবর Click This Link

আমার মনে হয় আগে বাংলাদেশীদের সতর্ক হতে বলুন। সচেতন হতে বলুন। খারাপ কাজ থেকে সরে আসতে বলুন। তাহলে বিচার চাওয়াও যাবে পাওয়াও যাবে। না হলে উপরে থুতু ণিজের গায়েই পড়বে বার বার। একটু দায়িত্বশীল হলে নিজের দেশটার কথা ভাবলে সম্ভব হত না অপরাধ করা সেই দেশে যেদেশে আপনি রুজি রুটি কামাচ্ছেন।

আমি যদি এমন দেশে যাই যেখানে কাশি দিলেই ফাসী হয়, আমি সেখানে কাশি দিব না। বিদেশটা কর্ম ক্ষেত্র , মানবাধিকার আমাদের দেশের থেকে কোটি গুন বেশী পাই এখানে। যতদিন ণিজেরা স্বাবলম্বী ও শক্তিশালী না হই ততদিন কাজ করে যাই নিজের আত্ম উন্ন্যয়ন ও দেশের উন্ন্যয়ণে মনোযোগ দেই, অপরাধ প্রবণতা থেকে সরে আসি। আমরা আমেরিকান না বাংলাদেশী। অবস্হান বুঝে সিদ্ধান্ত ণেয়াই হল সঠিক সিদ্ধান্ত্ব। যে দেশের মানুষের নাগরিক পরিচয়টুকু নেই , নিজ দেশে সামান্য অধিকারটুকু পায় না সেই মানুষ গুলো, বিদেশে এসে খাওয়া , থাকা, টাকা , বিশ্রাম সব কিছু পেয়েও কেন এসব করে ?

''যখন সারা ইুরোপ ও বিশ্ব ইহুদিদের নির্বিচারেথত্যা শুরু করলো, ইহুদিরা কি বিচারের আশায় বসে ছিল ? না । তারা নিজেদের গ্রহনযোগ্যতা তুলে ধরেছে ১০ বছরের মধ্যে। জাপানের ক্ষত্রেও তাই। চায়না বা ভাড়ট কেও কেউ গণায় ধরতো না কিন্তু এখন ? নিজেদের পলিসিটাই আসল। শ্রেনীভেদ যখন সমাজেরই একটা অংশ তখন সেটাই ফলোকরি নিজেদের কে উচু শ্রেণী বা ক্লসে নিয়ে আসি তখন অটোমেটিক আমাদের কথা সবাই শুনবে। আলোচনা দীর্ঘ করা যায় কিন্তু ফলাফল শূণ্য। বিশ্বে অনেক আইন আছে কিন্তু কে মানে ? আমেরিকা ? ইউরোপ ? আরব ? এশিয়া ? কেউ মানে না তাহলে যা কেউ মানে না তা ণিয়ে চিল্লাচাল্লি করেই কি লাভ ?
নিজ দেশে বিচার পাই না বিদেশে কি আশা করবো ?

ভাই আমরা বাংলাদেশী বা মুসলমান হবার আগে সবার উপরে মানুষ, প্রতিদিন হাজার মানুষ খুন হচ্ছে সবার প্রতিই সমবেদনা। বিশ্ব শাসন ব্যবশ্হা একদিনে পরিবর্তন হবে না।

বাংলাদেশী হয়ে বিচার চাইবেন না কেন অবশ্যই চাইবেন। নিজের ঘর, নিজের এলাকা, নিজের দেশ থেকে শুরু করুন না । যখন আপনি নিজে ঠিক থাকবেন তখন সাউদি কেন ? ইসরাইলকেও যা বলবেন তারা শুনবে। আমি আগেও বলেছি সকল প্রকার মৃত্যুদন্দের বিরোধী আমি কিন্তু
তাই বলে কোন অপরাধীর পক্ষ নিতে রাজী নই। অন্যদেশের আইন নিয়েও কথা বলতে রাজী নই কারন তারা যদি আমাদের আইন ণিয়ে কথা বলে আমরা পারবো না জিততে। জীবণে কল্পনা করা যায় কিন্তু কল্পনা জীবন নয়, জীবন হল বাস্তবতা আর বাস্তবতা দুঃস্বপ্নের থেকেও ভয়ংকর।

আমার মতামতে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে দুঃক্ষিত। মোবাইল থেকে লিখেছি কোন ভুল হতে পারে বা কিছু বাদ পড়ে যেতে পারে।

মানবাধিকারে ব্যপারে একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, খুন করলে বা রেইপ করলে কি মানবাধিকার নষ্ট হয়না ? আন্যায় বিচার করলেই মানবাধিকার নষ্ট হয়ে যায় ?

কে বেশি খারাপ সেই তুলনা না করে যেন কেউ খারাপ না হয় সেই চেষ্টা করাি কি ভাল নয় ? মেনে নিলাম ১ জন খুন করেছে, বাকী ১০ জন মিলেও কি তাকে বাধা দিতে পারল না যে মেরে ফেলিস না ? ১০ জনের সামনে যদি একজন কে মারা হয় তাহলে ঐ ১০ দশকনের মানবিকতা নিয়েও কি পৃশ্ন তোলা যায় না।




আমি মনে করি যারা প্রবাসে থাকে তাদের আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া খুব প্রয়োজন । দায়িত্বশীলতআর নমুনা দেখুন Click This Link

আরেকটা কথা পুষ্পিতা ডলার যতখানি না দেশে র্যমিট্যন্সের হিসেবে যায় তার দ্বিগুন দেশ থেকে চলেও যায়, সেটাও আমাদের এই বাংলাদেশী ভাই দের ই কল্যনে। একজন ৮ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে আসে আসার পর দেশ থেকে হুন্ডি করে আরও ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা আনে , ইন এ্যভারেজ ১২ থেকে ৩৫ লাখ টাকা দেশ থেকে আনে মানুষ, ইটালীতে বসে ২০ লাখ দেশ থেকে আনা টাকা দেশে ফেরত পাথাতে সময় লাগবে ৫ বছর । ৫ বছরে দেশের কারেন্সী ভ্যালু আরও কম হয়ে যায় তাহলে দেশের একটা পরিবার স্বাবলম্বী হলেও কেউ না কেউ গরীব হয়ে যায়।


১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৪৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: @দাসত্বঃ

ভাই, এখানে আমাদের বোঝার একটু ভুল আছে। মৃত্যু দন্ডের যে সমস্ত প্রথা দেশে দেশে চালু আছে যেমন, গলায় ফাসি দেয়া (শ্বাস রুদ্ধ করে মারা), ফায়ারিং স্কোয়াডে মারা (আসামী অনেকক্ষণ ধরে মারা যাবে), ইলেকট্রিক চেয়ারে মারা (চরম পাশবিক!, চুড়ান্ত কষ্ট দেয়া আরকি), লেথাল ইনজেকশন (বুঝতেই পারছেন, বিষ ক্রিয়া, চরম ব্যাথাই হবে) এর মধ্যে শিরশ্ছেদই হল সবচেয়ে কম painful প্রক্রিয়া।

মনে রাখতে হবে, মৃত্যু যন্ত্রণা সবাইকে ভোগ করতে হবে। সেটা থেকে কোন মুক্তি নেই।

দেখবেন শিরশ্ছেদ যখন করা হয় তখন সেটা করা হয় পেছন দিক থেকে। মাথা থেকে স্নায়ু তন্ত্রের যেই মূল সংযোগ পুরো শরীরের সাথে সেটা কিন্তু আমাদের Spinal Cord দিয়েই গিয়েছে। সুতরাং আপনি যখন কারো শিরশ্ছেদ করলেন, তখন তার মস্তিষ্কের সাথে পুরো শরীরের স্নায়ুতন্ত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অর্থাৎ তার মস্তিষ্ক শরীরের অন্যান্য অংগের ব্যাথা আর অনুভব করতে পারবে না। বুঝতেই পারছেন, শিরশ্ছেদই হচ্ছে সবচাইতে মানবিক প্রক্রিয়া কাউকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার ক্ষেত্রে।

আর প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড দেয়ার মাধ্যমে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয় সেটাই মানুষকে এই ধরণের অপরাধের কি শাস্তি তার প্রত্যক্ষ দর্শনের মাধ্যমে এই অপরাধ থেকে বিরত থাকার বার্তা প্রদান করে।

১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫৯

সবুজ-ভাই বলেছেন: আপনার পোস্ট কোট করেই আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম Click This Link

আপনি এখানে বলেছেন প্রধামন্ত্রীকি ডলার দিয়ে ভ্রমন আরাম আয়েস করে বেড়ান কিনা। আমি বলি পুষ্পিতা , '' এদেরকে তো আমরা বেতনও দেই তাই না ? দেই

তবে আপনার দু একটা মতামতের বিপক্ষে আমি, ১।) বলেছেন রাস্ট্রপতি সরাসরি কেন গেল না ক্ষমা চাইতে ?

তাহলে কি আমরা খুনি জাতি হিসেবে স্মীকৃতি পেতাম না ? উল্টো এই ব্লগেই লেখা ভেসে যেত যে খুনিদের জন্যে দেশের মান সন্মান নিয়ে খেললেন রাস্টেপতি।

নিহতে পরিবার আরবী ভাষী , তাই দূতাবাসে সরাসরি যোগাযোগ কোন কাজে আসতো না। আর আমি নিজেও যদি অপরাধী হই তাহলেও চাইবো না যে আমার দেশের সন্মান নষ্ট হোক।

ধরুন, আমরা পুরো বাংলাদেশী জাতি গিয়েই ক্মা চাইলাম, তারা ক্ষমা করলো না তখন ? আমাদের দেশে তো সবাই বাংলাদেশী, বাংলাদেশীড়াই বাংলাদেশীদের ক্ষমা করতে শুনিনি আজ পর্যন্ত। শেখ হাসিনা কি তার পিতার খুনিদের ক্ষমা করেছেন ? বা আমরা কি রাজাকারদের বিচার চাই না ৩০ লাখ শহীদদের জন্যে ? এখন সব রাজাকারা তো খুন করে নি তাই বলে বিচার না চেয়ে ক্ষমা করে দেব ?

নাগরিকদের প্রতি সরকারের অবহেলা বরাবরি ছিল, কিন্তু তাই বলে আপনি যে যুক্তি দাড় করাচ্ছেন তা অতিরিক্ত আবেগ ছাড়া কিছুই মনে হচ্ছে না। আপনি কেন এভাবে ভাবলেন না ইসস, সামান্য ইলেক্ট্রিক তারের জন্যে একটা মানউষের জীবন নিয়ে ফেলল ?

বিশ্বের সব বড় বড় মানবাধিকার সংস্হা এক হয়ে, আমেরিকার বড় বড় উচ্চ পর্যা্যের নেতা দের সাথে নিয়েও বাংলাদেশীর উপর আক্রমন কারীকে ভিকটীম ক্ষমা করে দেয়ার পরও আমেরিকার কোর্ট মৃত্যুদন্ড থেকে সরে আসেনি।

জাতি হিসাবে আরবরা বর্বর এই কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা! তবে জীবন ও শাসন ব্যাবস্থাপনায় তারা আর আগের অবস্থানে নাই। অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সমাজ ব্যবস্থাপনায় অন্য দেশগুলোকে অনুসরণ করা শুরু করেছে। পরিবর্তিত হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থাও। সব কিছুর আড়ালে কিছু বর্বর আইন আজও রয়ে গেছে যা আরও অনেক দিন থাকবে, কিন্তু আমরা যারা প্রবাসী রয়েছি আমাদেরও কিছু দায়িত্ববোধ রয়েছে, কোথায় সেই দায়িত্ববোধ ? সামান্য অপরাধ করার আগেও নিজের দেশের কথা একবার ভাবা উচিৎ না হলে নিজের পরিবার পরিজনদের কথা।

বাংলাদেশী বলে যে গলা ফাটাচ্ছি, গত মাসে মিশরে একবাংলাদেশী আরেক বাংলাদেশীকে জবাই করে। তবে সাউদি বা আরব দেশের খুনের আইনে একটা মজা আছে, সেটা হল হত্যাকারীকে যদি ভিকটিম এর ফ্যামিলি মাফ করে দেয় তাহলে তাদের আর শাস্তি হয় না, আোন্যদেশের সরকার বাদী হয়ে ঠিকই শাস্তি দেয়। যেমন : আমেরিকায় যে বাংলাদেশীকে হত্যার চেষটা হয় যে বেচে গিয়ে তাকে যে হত্যে চেষটা করেছিল তার মৃত্যুদন্ড যেন না হয় এজন্যে আমেরিকার সরকারের উচ্চপর্যায়ে আবেদন করেছিল কিন্তু আদালত শিনে নি। এখন দেখাযাক বাংলাদেশী দের বেলায় কি হয় ?
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে সামান্য তাশ খেলাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের এক লোক চাদপুরের এক লোককে খুন করে, দুই বছরের বিচার প্রক্রিয়ার পরে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। সৌদি সরকারের তরফ থেকে খুনের অপরাধীকে বলা হয়েছে সে যেন খুন হওয়া বাংলাদেশীর পরিবারের সাথে আলোচনা করে ব্লাড মানি দিয়ে হলেও ক্ষমা চেয়ে নেয়। এই ঘটনা সরকারের পক্ষ থেকে দূতাবাসকেও জানানো হয়, রায় হবার পরেও দির্ঘ ২০ মাস যাবত চেষ্টা করেও খুন হওয়া পরিবারের সাথে কোন সমাধানে আসতে পারেনি, এমনকি কোন কিছুর বিনিময়ে মাফ হবেনা বলে তারা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে। গত ঈদের তিন দিন পরে আল জোউফের সাকাকায় সামান্য ২০০ রিয়ালের জন্য এক বাংলাদেশী আরেক বাংলাদেশী নির্মম ভাবে হত্যা করে। আমরা নিজেরাই সামান্য ব্যাপারে প্রতিনিয়ত নৈতিকতা বিসর্জন দিচ্ছি, একজন বাংলাদেশী যদি আরেকজনকে ব্লাড মানির বিনিময়েও মাফ করতে না চায় তবে মিশরিও বেদুইন/ফেরাউনের বংশধররা কিভাবে মাফ করবে? সুতারং তারাও তাই করেছিলো। ২০০৬ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত ৩৭ বাংলাদেশী লোককে খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নিজ দেশিও। এখন বিষয় হলো এদেরকে মুক্ত করতে অন্য দেশিও কাউকে অনুরোধও করার দরকার নাই, নিজেরাই বিষয়টি মিটানো যায়।

কিন্তু আজ পরযন্ত কোন বাংলাদেশি বিচারে অপর বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেনি। তাহলে কি দাড়ায় ? নিজেদের আত্ম উন্নয়ন কি বেশী জরুরী নয় ?


১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৪১

ব্লগার ইমরান বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৪৮

সবুজ-ভাই বলেছেন: যে দেশের মানুষের নাগরিক পরিচয়টুকু নেই , নিজ দেশে সামান্য অধিকারটুকু পায় না সেই মানুষ গুলো, বিদেশে এসে খাওয়া , থাকা, টাকা , বিশ্রাম সব কিছু পেয়েও কেন এসব করে ? কেন ভুলে যায় নিজের প্রকৃত অবস্হান।

পুস্পিতা মনে করুন আমি বাংলাদেশি তার এর গোডাউন পাহাড়া দেই, আমাকে ১০ জন বা ১১ জন মিলে খুন করল ঐ তার চুরির জন্যে। আমার কেউ আপন নেই। আপনি আমার সহ ব্লগার। একজন বাংলাদেশী। তো আপনাকেই প্রশ্ন করল যারা আপনার সহ ব্লগারকে খুন করেছে তাদের থেকে রক্তের দাম নিয়ে ক্ষমা করে দিন। কত টাকার লেন দেন গ্রহনযোগ্য মনে করতেন ক্ষমা করে দেয়ার জন্যে ?

এখানে মনে রাখবেন ঐ পাহারাদ্বারটির সাথে কারঐ কোন শত্রুতা ছিলনা ঐ ১১ জনের মধ্যে। বেচারা তার দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিল। নিরাপরাধ একজন। কোন মানবাধিকারে সে খুন হল ?

ধরুন ঘটনাটা বাংলাদেশে ঘটলো, জনগন ধরে ফেলল সবাইকে, কি হত ? গণপিটুনিতে মৃত্যু। এর আগে গণপিটুনিতে ৫ ডাকাতের মৃত্যু খবর দেখছি। সেখানে সরকারের ভুমিকা বেশি না আমাদের ?

কাতারে গত মাসেই দুজন বাংলাদেশিকে অন্য দু জন বাংলাদেশী খুন করেছে। দেখি ক্ষমা করে কিনা নিহতের পরিবার।

কত টাকা রক্তের মূল্যে রাজী হয়ে আপনি আপনার অপন জনের খুনিকে ক্ষমা করবেন ? ধরুন আপনার সাথে আমার বিরোধ, আমাদের পরিবার জানে, আপমরা মারামারি করলাম, আমি মরে গেলাম। ঠিকআছে ক্ষমা করে দেয়া যায় বিচার বিবেচনা করে পরিস্হিতি। কিন্তু চিনি না জানি না, দেখিনি হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই আমাকে মেরে ফেলল আর আমার পরিবার তাদের ক্ষমা করে দিল, আমি তো আমার নিজের পরিবারকেই কখনও ক্ষমা করবো না এমন করলে।

খুন মহা পাপ আর ক্ষমা মহৎ গুন।আমি এ পর্যন্ত আমার ক্ষতিকারী সবাইকে ক্ষমা করেছি এবং ভাল ব্যাবহার করি সবার সাথে। আমি মৃত্যদন্ডের ঘোর বিরোধী।

ধরুন একজন আমার বোন কে রেপ করল, আমি টাকা নিয়ে তাকে ক্ষমা করে দিলাম। আমার বোন কি আমাকে ক্ষমা করবে ?

আপনার মানবতা বোধকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কিছুটা আলোচোনার অবকাশ রয়ে যায়। কারন সেনসিটিভ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া খুব কঠিন।

ইতালীতে ৭-৮ বছর আগে আওয়ামিলীগের কিছু মানুষ জামাতের একটা দোকানে গিয়ে মারামারি করে। ৬-৭ বছর পর জামাতিরা আর মাথা ঘহামায় না ব্যপারটা নিয়ে। আর লবিং তো চলেছেই। তো কি হল , সবাই ছাড়া পেয়ে গেল। ছাড়া পেয়ে শুধু এই গত দু বছরে তারা কম হলেও ১০০ টি মারামারি করেছে। বৈশাখি মেলাতে গিয়ে মাতলামী, মারামারি ও করেছে। ২০, ৩০ জন রাস্তায় দাড়িয়ে ভদ্রমানুষদের এমন অপমান করেছে যে সে এক সপ্তাহ আগে রাস্তার দাড়িয়ে কান্না করে বলছিল, সবুজ কিছু কি করা যায় না ? আপনি চাইলে আমি তার সাথে আপনার ফোনে আলাপ করিয়ে দিতে পারি। এই যে ভদ্রলোকটা মানসিন যন্ত্রনায় ভুগছে কিছু না বলতে পারার কষ্টে এই কষ্টটা তাকে আত্মহত্যা করতেও বধ্য করতে পারে। আপনার কি মনে হয় কি করা উচিৎ ?

১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:১২

পিওর গাধা বলেছেন: আপনারা এখন এত চ্যাচাচ্ছেন কেন? ঘটনা ঘটার আগে আপনারা কি করছিলেন? এ নিয়ে তো নিউজ অনেক বার এসেছে। টিভি তে একবার টকশো দেখেছি এ বিষয় নিয়ে। আসলে আপনারা কোন কাজের না। একটা কা্জই ভাল পারেন, আর সে টা হল ব্লগে এসে ঘেউ ঘেউ করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.