![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে যাওয়ার সবগুলো রাস্তাতেই পুলিশের সতর্ক প্রহরা আছে। রয়েছে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের চৌকি। আর হলি আর্টিজান বেকারি যাওয়ার গলির মুখে রাখা আছে তারকাঁটার ব্যারিকেড। অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কাউকেই যেতে দেয়া হচ্ছে না ভেতরে। তারপরও উৎসুক মানুষ রেস্তোরাঁয় ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে সামনে তাকিয়ে থাকেন। যেখানে পুলিশের ব্যারিকেড সেখানে এসে ভেতরের অবস্থা জানতে চান।
হলুদ রঙের ব্যারিকেডের ওপরে ১ জুলাইয়ের জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে বেশ কিছু কাগজের প্ল্যাকার্ড ঝোলানো আছে। বৃষ্টিতে ধুয়ে লেখাগুলো বেশ অস্পষ্ট হয়ে গেছে। কিছু আবার ছিঁড়েও গেছে। তবে ডিজিটাল ব্যানারগুলো এখনো আছে ভালোভাবেই। একটিতে লাল হরফে লেখা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা তোমাদের সঙ্গেই আছি।
ব্যারিকেডের সামনে রাখা ফুলগুলো এখন কিছুটা মলিন হয়ে এসেছে। গাঁদা আর গোলাপের পাপড়িগুলোতে লেগেছে তামাটে রং। তবে মলিন হয়ে যাওয়া ফুলগুলোর ভিড়ে তাজা ফুলও পাওয়া গেল। দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা বললেন, একজন জাপানি নাগরিক সকালে এসে দিয়ে গেছেন।
১ জুলাইয়ের ওই জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশি, তিনজন বাংলাদেশি ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও রেস্তোরাঁর এক কর্মী নিহত হন। ১৭ জন বিদেশি নাগরিকের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতীয় নাগরিক। এরপর ১৫ দিন কেটে গেছে। হলি আর্টিজানে উৎসুক মানুষের ভিড়ও এখন অনেক কম। কেউ কেউ আসছেন আগের স্মৃতির সঙ্গে এখনকার অবস্থা মিলিয়ে দেখতে। ঢোকার সুযোগ অবশ্য পাচ্ছেন না। এমনই একজন হলেন তপন হালদার। পেশাগত কারণে আগে অনেকবারই সহকর্মীদের সঙ্গে আসা হয়েছিল হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। জঙ্গি হামলার পর আজই এসেছিলেন এর সামনে। পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞেস করছিলেন ভেতরে যাওয়া যাবে কি না। অনুমতি না পেয়ে ধরলেন ফেরার পথ।
পরিচিত একটি জায়গায় এমন হামলার পর দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত আছেন বলে জানালেন তপন। তিনি বলেন, ‘নিজের নিরাপত্তা নিয়েই এখন ভয়ে থাকি।
বাড্ডার নতুন বাজার এলাকায় থাকেন সুহানা রহমান। টিভিতে দেখা হলি আর্টিজান বেকারিকে একপলক দেখতে এসেছিলেন এই গৃহবধূ। এই প্রতিবেদকের কাছেও জানতে চাইলেন রেস্তোরাঁর সঠিক অবস্থান। সুহানা বলেন, এমন নৃশংসতা কোনো ধর্মই সমর্থন করে না। জানালেন টিভিতে আর পত্রিকায় পড়েই জঙ্গিদের কাজকর্মে তিনি শিউরে উঠেছিলেন।
হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর সামনে দায়িত্বরত এস আই মো. মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ আসছে। এখন ?আগের চেয়ে কম মানুষ আসছেন। বিদেশি নাগরিকেরাও আসছেন। আর আসছেন উৎসুক কিছু মানুষ। তবে সাধারণ মানুষের সেই ভিড় আর আগের মতো নেই।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০৯
পুষ্পজিৎ বলেছেন: হুম তা ঠিক
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০৩
ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: এভাবে সবাই সবকিছু ভুলে যায়।
আবার নতুন ঘটনার অপেক্ষায়!!!