নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০ : দ্বিতীয় দিনের সমূদ্র স্নান-১

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭



কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০ এর যাত্রা শুরু ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২০ বাংলাদেশ বিমানের দুপুর ২টার ফ্লাইটে। ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ৪০ মিনিটে প্লেন থেকে পাখির চোখে দেখা অপরূপ দৃশ্যের স্বাদ নিতে নিতে আমরা ৪ জন পৌছে যাই কক্সবাজার এয়ারপোর্টে। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে একটি ইজিবাইক ভাড়া করে চলে আসি কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টের কল্লোল হোটেলের রেস্টুরেন্ট কাশুন্দি-তে। এখানে দুপুরের খাবার খেয়ে পাশেই হোটেল অভিসারে উঠে আসি। তারপর চলে যাই সাগর সৈকতে প্রথম দিনে সূর্যাস্ত দেখবো বলে। বিকেল আর সন্ধ্যেটা কাটে সাগর পারে ভাড়া করা বিচ চেয়ারে আয়েসী আলসেমীতে চারধার দেখতে দেখতে।

পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বরের পরিকল্পনা সাজাই রাতেই।
সকালে যাবো সমূদ্র স্নানে।
দুপুরে লাঞ্চ শেষ করে যাবো মাছ দেখতে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড।
বিকেলটা কাটাবো বৌদ্ধ ক্যাং দেখে।

আর সন্ধ্যায় ফিরে আসবো আবার সৈকতে।



পরিকল্পনা মাফিক সকালেই চলে আসি সাগর পারে।
ছোট মেয়ে নুয়াইরা তার খেলনা নিয়েছে সাথেই। খুব খেলবে সাগর পারে বালির মাঝে। কিন্তু ওর ভয় কিছুতেই কাটে না।

করনাকালিন সময় বলে সৈকতে লোক সমাগম কম। তবুও নানান কর্মব্যস্ততা চোখে পরে।
সৈকতে এসেই একটি বিচ চেয়ারে ৩০ টাকা ঘন্টা হিসেবে ভাড়া নিয়ে ছাতার নিচে বসলাম।
সাথে থাকা টুকটাক জিনিস, জলের বোতল, মোবাইল, ক্যামেরা, মানিব্যাগ সহ লটবহর কম নয়।
নুয়াইরার সাগর দেখতে আসার আগ্রহ গ্রাস করেছে অচেনা ভয়। কিছুতেই সাগর জলে নামবে না। স্ত্রী আর বড় কন্যা চেষ্টা করছে ওর ভয় কাটিয়ে জলে নিয়ে যেতে। আমি বিচ চেয়ারে শুয়ে শুয়ে দেখছি।











ওয়াটার বাই নিয়ে হাজির আছে মামারা। চাইলেই সগর জলে প্রচন্ড গতিতে ছুটে চলা যায় এটায় চরে।
অনেকেই চড়ে বসেছে। ছুটে গেছে সৈকত ছেড়ে সাগরের অনেকটা ভিতরে। পিছনে জলের ধারা রেখে ছোটে চলেছে সামনে





তারও দূরে সাগরের নীল জলে কালো ধুয়া ছেড়ে ভেসে চলেছে জেলেদের মাছ ধরার নৌকা। কি সাহসী আর কষ্ট সহিংসু জীবযাত্রা তাদের।
আমি সাঁতার পারিনা বলে জলের প্রতি সবসময় আলাদা একটা ভয় মেশানো ভালোবাসা কাজ করে আমার।



ফটোগ্রাফার মামারা তাদের ক্যামেরা নিয়ে ছুটে চলেছে টুরিস্টদের কাছাকাছি।
আমার ক্যামেরা দেখার পরেও কয়েকজন এসে ছবি তুলে দিতে চাইলো। না করে দিলাম।
আপনারা যদি ওদের দিয়ে ছবি তোলাতে চান তাহলে দরদাম ঠিক করার পাশাপাশি এটাও বলে নিবেন –
“যে কটা ছবি পছন্দ হবে সেটাকার দাম দিবেন।“
নইলে ১০ মিনিটে ৫০ টা ছবি তুলে সবকটারই দাম আদায় করবে।




এবার সৈকতে দেখলাম ঘোড়ার সংখ্যা কম।
করনার কারণে অনেকেরই রুজি নষ্ট হয়েছে।
ওদের ঘোড়াগুলির এতো করুন অবস্থা কেনো থাকে কে জানে।



ঝালমুরি ওয়ালা প্রচন্ড রোদে মাথায় একটা গামছা দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিক্রি করে চলেছে।
হঠাত করেই একটু তিনি সরে গেলেন ছাঁয়ার খোঁজে। ঝাল মুড়ির সমস্তটাই রোদে পরে রইলো।




সারফাররা প্রস্তুতি নিচ্ছে সারফিং এর। কি সাহস ওদের এই উত্তাল সাগরের জলে ঢেউয়ের মাথায় চড়ে যায় অনায়াসে। কেনো যে সাঁতাড়টা শিখলামনা, আফসোস!! বসে বসে তাই ভাবছি.....
চলবে.....


ভ্রমণ সংক্রান্ত আমার সকল লেখার লিংক -

মরুভূমির জলদস্যুর ভ্রমণ বিলাস

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো ভালো লাগলো।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো লাগা জানানোর জন্য।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

অধীতি বলেছেন: ভ্রমন মনকে প্রফুল্ল রাখে।ছবিগুলো সুন্দর।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য ও মতামতের জন্য।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চমৎকার হয়েছে ভাই ছবিগুলো, অবশ্য বরাবরই তাই হয়.......শুভ কামনা সব সময়।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকবেন সবসময়।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালী ছেলে, আপনি সাঁতার জানেন না

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: না জানি না।
আমার মতো প্রায় সমস্ত শহরের বাসিন্দাদেরও একই অবস্থা।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

করুণাধারা বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার হয়েছে। কিন্তু এতো শুধু সকাল গেল, আশাকরি দুপুর বিকালে কী দেখলেন সেগুলো নিয়ে আসবেন আবার। অপেক্ষায় থাকলাম।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সকাল শেষে দুপুর বিকলের হিসাবও আসবে। একটু সময় লাগে, তবে আসে।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,



সুন্দর ছবি দিয়ে সাজানো এক সকালের গল্প।
হ্যা ... সৈকতের শীর্ণকায় ঘোড়াগুলো দেখে আমারও কষ্ট হতো ঐ পশুগুলোর জন্যে। কয়টা টাকাই বা আয় করে ঐ ঘোড়ার মালিকেরা ? তা দিয়ে নিজেদের পেট বাঁচাবে না ঘোড়াদের বাঁচাবে ?

এটা কোনও কথা নয় যে সাঁতার জানেন না। শিখে ফেলুন। ভ্রমন পিপাসু যখন, তখন এটা অনেক কাজে দেবে বিশেষ করে জল পরিবৃত্ত জায়গার আলাদা মজা লুটে নিতে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য আর আলোচনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে আহমেদ জী এস স্যার।

তাগড়া ঘোড়ার জন্য বিশেষ খাবার দিতে হয়, সেই খাবার জোগাড় করা ওদের জন্য কষ্টকর হওয়ারই কথা না। কারণ কোনো দড়িদ্র ব্যাক্তি ঐখানে ঘোড়ার ব্যবসা করতে পারবে বলে মনে হয় না।

১০০ কেজী ওজন নিয়ে এখন সাঁতাড় শিখতে গিয়ে বিপদে পড়ার চান্স বেশী।

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মনোরম প্রকাশ।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুকরিয়া

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সব মিলিয়ে জমজমাট লাগলো। সাঁতার জানলেও সমুদ্রে সাঁতার কাটার কৌশল সম্পূর্ণ আলাদা। বড় বড় ঢেউকে যথাযথ না কাটাতে পারলে ঢেউ সহ তীরে আঁছড়ে পরে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
সাঁতার জানলে সারফিং করতে পারতাম। বড় ঢেউ কাটানোর কৌশল আয়েত্তে আছে আমার।

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১২

ঢুকিচেপা বলেছেন: ভালো লাগলো বর্ণনাসহ ভ্রমন অভিজ্ঞতা।
প্রথম ছবিতে নুয়াইরার সাথে আপনার চেহারার দারুণ মিল আছে।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য আপনাকে।
ছোটির চেয়ে বড় মেয়ে সাইয়ারার চেহারা আমার সাথে অনেক বেশী মিল।
ছোটি ওর বড় মামার চেহারা পেয়েছে।

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১১

ফয়সাল রকি বলেছেন: সমুদ্রের পানি কি মরুভূমিকে ভেজাতে সক্ষম হলো?
যাইহোক, ছবিগুলো সুন্দর। সুস্থ ভাবে ফিরে আসুন। শুভকামনা।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভেজায় ঠিকই, কিন্তু খায়েস মিটে না।
কয়েমাস পরেই আবার ছুটে যেতে ইচ্ছে করে সাগর জলে,
নানান সীমাবদ্ধতার করণে যাওয়া হয় না।

এটি গত সেপ্টেম্বর মাসের ভ্রমণচিত্র, অনেক আগেই ফিরে এসেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে ফয়সাল রকি ।

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:



খাটিয়া না বলে বিচ চেয়ার বা অন্য কোনো প্রতিশব্দ কী বলা যায় ।
খাটিয়া শুনলেই কেমন যেনো, ইউ নো হোয়াট আই মিন, ডেডবডি ক্যারি করে সেই খাট মনে হয় :(

নীলাকাশ আর সমুদ্র জলরাশি এক হলে আর কি চাই, কি অসাধারণ সুন্দর !


২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বিচ চেয়ার লেখা যায়।
ধন্যবাদ।

মনে মনে অনেক খুঁজেছি কোথায় যেনো খুব জুতসই একটা নাম এর পড়েছি (সুনীলের কোনো লেখায় হয়তো), কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.