নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩

বইয়ের নাম : চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : জুন ২০০৯
প্রকাশক : অন্বেষা প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭১ টি



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট


কাহিনী সংক্ষেপ :
শামসুল আলম তিন বছর আগে এম এ পাশ করেছে। তিন বছর ধরেই চাকরির চেষ্টা করছে, কিছু হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত অজপাড়া গায়ের এক গ্রাম্য স্কুলে একটি শিক্ষকতার চাকরির অফার এসেছে, কিন্তু সেটা তার পছন্দ না। এদিকে বাড়ির অবস্থা বেশ খারাপ, ইন্সুরেন্স কম্পানিতে চাকরি করা বাবার উপরেই সংসারের দায়িত্ব।

আলমের বন্ধু মজিদ থাকে তার ফুপুর বাড়িতে,সারাদিন কাজ করে ফুপার রেশনের দোকানে। বিনিময়ে ফুপার বাড়িতে থাকা আর খাওয়া পায়, আর কোন বেতন বা টাকা পয়সা কিছু পায় না। এক পূর্ণিমার রাতে আলম আর মজিদ দুজনে নেমে আসে রাস্তায়। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তাদের দেখা হয় আরেক বন্ধু মাহিনের সাথে। মাহিন তখন সেলুনে চুল কাটাচ্ছে। মাহিনের অবস্থা তাদের বন্ধুদের মাঝে সবচেয়ে ভালো হলেও সেই সবচেয়ে কৃপন। তার স্বভাব হচ্ছে বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই টাকা ধার চাওয়া। সেলুন থেকে মজিদ একটা খুর চুরি করে। সেই খুর নিয়ে সবাই যখন রাস্তায় নামে তখনই মজিদ কেমন যেন আচরণ করতে শুরু করে,একটা ঘোড়ের মধ্যে চলে যায়।

মির্জা সাহেব তার মেয়ে পলিনকে নিয়ে অনেকদিন পরে বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন মেয়েকে দেশ দেখাবেন বলে। এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি একটি ফাইভস্টার হোটেলে চলে গেলেন তিনি টেক্সি নিয়ে। রাতে হঠাৎ করেই তিনি মেয়েকে হোটেলের রুমে রেখে পথে নেমে এলেন হাঁটতে হাঁটতে। তখন তার দেখা হয়ে যায় খুর হাতে ঘুরে বেরানো মজিদদের দলের সাথে। মজিদ তখন মির্জা সাহেবকে খুর দেখিয়ে তাদের সাথে হাঁটতে বাধ্য করে। আকাশে তখন ফকফকা চাঁদের আলো।

আলমদের বন্ধুস্থানীয় আরেক জন করিম। করিম থাকে তার মামার নির্মাণাধীন একটা দালানে। মূলতো করিম সেখানে থাকে দারোয়ানের মত। তার কাজ কোনো কিছু চরি না হওয়ার তদারকি করা। তার মামার ছেলে মিরন মঝে মাঝে তার এখানে আসে নানা অকাজ করার জন্য। মজিদরা মির্জা সাহেবকে সাথে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এসে পৌছায় করিমে আস্তানায়। করিম তাদের জানায় মিরন আছে উপরে। রাস্তায় ফুল বিক্রি করে এমন একটি ১০-১১ বছরের বাচ্চা মেয়েকে মিরন জোড় করে ঘরের ভিতরে নিয়ে গেছে। এখন ঘরের ভিতর থেকে আর কোন সাড়াশব্দ বের হচ্ছে না।

ঘোরের মধ্য থাকা মজিদ বলতে থাকে খুন করে ফলবো।
কাকে খুন করবে সে?

----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো পোস্ট। পড়েছি মনে হয়। আবার মনে হয় পড়ি নাই :(

০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তাহলে নতুন করে পড়ে ফেলেন।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০০

হাবিব বলেছেন: বইটি পড়া হয়নি। কাহিনী সংক্ষেপ পড়ে জেনে নিলাম। ধন্যবাদ

০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সময় সুযোগ হলে মূল বইটিও পড়ে ফেলেন।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৯

শায়মা বলেছেন: প্রায় সব বই ই পড়েছি। এটাও পড়েছি তবুও বারবার ভালো লাগে।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌আমিও প্রায় সব বই পড়েছি, একাধিকবার পড়েছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

শায়মা বলেছেন: আমার ছোটবেলায় আমি এক এক বই ৫০/৬০বার পড়তাম।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি এতো বার পড়ি নাই!!!
তবে স্কুল-কলেজে পড়ার সময় বই স্বল্পতার কারণে কয়েকটি বই অনেক অনেক বার পড়েছি।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

জুন বলেছেন: প্রথম প্রথম ওনার বই পড়তাম আগ্রহ নিয়ে কিন্তু পরে যখন স্রোতের মত ফরমায়েশি লেখা শুরু করলেন তখন আর পড়ি নাই। একই কথা প্রযোজ্য আমার আরেকজন প্রিয় লেখক শীর্ষেন্দুর ক্ষেত্রে জলদস্যু।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের লেখার একটা বড় দোষ হচ্ছে অতি ছোট্ট একটি গল্পকে প্রকাশকরা নিজেদের লাভের কারণে একটি উপন্যাস হিসেবে প্রকাশ করেছে। ১০০ পাতার সেই বই আসলে ৩০ পাতায় ছাপা হওয়া উচিত ছিলো।
এটা আমার একান্ত নিজস্ব মতামত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.