নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাভারতের গপ্পো - ০০৭

০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:৫৩





আস্তিকের জন্ম

শেষনাগ (অনন্ত-বাসুকি) কদ্রুর বড় ছেলে। মায়ের অভিশাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি নানা পবিত্র তীর্থে গিয়ে কঠোর তপস্যা করতে লাগলেন। একদিন ব্রহ্মা তাঁর কাছে আসলেন। শেষনাগ তখন জানালেন তার ভাইয়েরা অসৎপ্রকৃতির তাই তিনি ভাইদের সাথে কোনো সম্পর্ক না রেখে তপস্যায় জীবন পার করবেন।



ব্রহ্মা খুশী হয়ে শেষনাগকে ঝড়-ঝঞ্জা-ভূমিকম্পে নড়বড়ে পৃথিবীকে স্থীর করে ধরে রাখতে বললেন। শেষনাগ পাতালে গিয়ে তাঁর মাথা দিয়ে পৃথিবীকে স্থীর করে ধরে রাখলো। ব্রহ্মার ইচ্ছায় গড়ুর তাঁর সহায় হলেন। পাতালবাসী নাগগণ তাঁকে নাগরাজ বাসুকি রুপে অভিষিক্ত করলো।



মায়ের অভিশাপ খন্ডন করবার জন্য বাসুকি তাঁর ধার্মিক ভাইদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন। তখন এলাপত্র নামে এক নাগ জানালো; ব্রহ্মা বলেছেন তপস্বী পরিব্রাজক জরৎকারুর ঔরসে বাসুকির বোন মনসার গর্ভে আস্তীক নামে এক পুত্র জন্মগ্রহণ করবে, তিনিই ধার্মীক সপদের রক্ষা করবে।



বাসুকি বহু খোঁজাখুঁজির পর মহর্ষি জরৎকারুকে পেয়ে তাঁর সাথে মসনার বিয়ে দেন। বাসুকির দেয়া বাড়িতে তাঁরা বসবাস করতে শুরু করে। জরৎকারু তার স্ত্রীকে প্রথমেই জানিয়ে দেয় স্ত্রীর কোনো কাজে জরৎকারু অসন্তুষ্ট হলে এই বাড়ি ও স্ত্রী ত্যাগকরে চলে যাবে। মনসা তাতেই সম্মত হলেন। নিষ্ঠার সাথে স্বামীর সেবা করে গেলেন এবং যথাসময়ে গর্ভবতী হলেন।



একদিন জরৎকারু মনসার কোলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলো। সূর্যাস্তের সময় হয়ে গেলে মনসা মৃদুস্বরে স্বামীকে জাগালেন। জরৎকারুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলায় তিনি রেগে গেলেন। মনসা অনেক অনুনয় করে বললো সূর্য অস্ত যাচ্ছিলো বলেই শুধু তার ঘুম ভাঙ্গিয়েছে। জরৎকারু বললো তিনি যতক্ষণ ঘুমান ততোক্ষণ সূর্যের অস্ত যাবার ক্ষমতা নেই। তার ঘুম ভাঙ্গানোর অপারাধে জরৎকারু গর্ভবতী মনসাকে একা ফেলে চলে গেলেন। যথাসময়ে মনসার এক পুত্র জন্ম নিলো তার নাম আস্তীক মুনি।


====================================================================

বিশেষ ঘোষণা : হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ মহাভারতের কথা আমরা সকলেই জানি। আমি এটিকে পড়ছি একটি কল্পকাহিনীর সাহিত্য হিসেবে, ধর্মগ্রন্থ হিসেবে নয়। এই গ্রন্থে প্রচুর উদ্ভট কল্পকাহিনী রয়েছে। সেগুলিই আমি এই সিরিজে পেশ করবো। যারা মহাভারত পড়েননি তারা এখান থেকে ধারাবাহিক ভাবে সেগুলি জেনে যাবেন।

লেখার সূত্র : কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস কৃত মহাভারত : অনুবাদক - রাজশেখর বসু।
ছবির সূত্র : এই সিরিজে ব্যবহৃত সকল ছবি বিভিন্ন সাইট থেকে সংগৃহীত।


====================================================================

সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
মহাভারতের গপ্পো - ০০১, মহাভারতের গপ্পো - ০০২, মহাভারতের গপ্পো - ০০৩, মহাভারতের গপ্পো - ০০৪
মহাভারতের গপ্পো - ০০৫, মহাভারতের গপ্পো - ০০৬

====================================================================

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৩৭

বারবোসা বলেছেন:

জলদস্যু ভাই
কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস নামটার বেদব্যাস টাইটেলটা দেয়া হয়েছে বেদকে ব্যাস করার জন্য।বেদব্যাস সম্পর্কে জানতে চাই।
অনুগ্রহপূর্বক এ বিষয়ে বিস্তারিত সুখপাঠ্যরূপে উপস্থাপন করলে কৃতার্থ হতাম।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বারবোসাা ভাই সম্পর্কে তেমন কিছু আমার জানা নাই। যতটুকু জানি উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে -

কৃষ্ণ দ্বৈপায়ণ বা কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বা বেদব্যাস বা সংক্ষেপে ব্যাস একজন ঋষি ছিলেন। ইনি বশিষ্ঠের প্রপৌত্র, শক্তির পৌত্র, পরাশরের পুত্র এবং শুকদেবের পিতা। ইনি হিন্দুধর্মের প্রাথমিক প্রত্যাদিষ্ট হিন্দুশাস্ত্র হিসেবে স্বীকৃত বেদের ব্যবহারিক-বিন্যাসকারী , পৌরাণিক মহাকাব্য মহাভারত, বেদান্তদর্শন, প্রভৃতির সংকলক, সম্পাদক ও অবশেষে সমন্বায়ক এক জ্ঞানান্বেষী ঋষি। যমুনানদীতে খেয়া নৌকার ভিতর পরাশর মুনি সত্যবতীর সাথে মিলিত হলে, সত্যবতী গর্ভবতী হন। পরে যমুনার একটি দ্বীপে তার জন্ম হয়। যমুনার দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন বলে এর নাম হয় দ্বৈপায়ন। এঁর গায়ের রং কালো ছিল বলে, পুরো নাম দাঁড়ায় কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন। তার মাথায় কপিল বর্ণের জটা ছিল। তার চোখ ছিল উজ্জ্বল ও মুখে পিঙ্গল বর্ণের দাড়ি ছিল। তিনি তপস্যাবলে মহর্ষিত্ব প্রাপ্ত হয়ে বেদকে চার ভাগে ভাগ করেছিলেন। এই কারণে ইনি বেদব্যাস বা 'ব্যাস' নামে পরিচিত হন। জন্মের পরপরই ইনি তার মায়ের অনুমতি নিয়ে তপস্যার জন্য যাত্রা করে।। তার তপস্যার স্থান ছিল বদরিকাশ্রম। এই কারণে ইনি বাদরায়ণ নামেও পরিচিত ছিলেন।

আগামীতে মহাভারতেই ইনার সম্পর্কে লেখা আসবে।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেকুবী বেকূবী রূপকথা সব।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: রূপকথা বেকুবীই হয় চালাক চালাক রূপ কথা হয় না।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলেই উদ্ভদ। কল্পকাহিনি উদ্ভটই হয় কিন্তু অনেকের কাছে খুব আকর্ষনীয়।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী খুবই সঠিক বলেছন সেলিম আনোয়ার ভাই।
মহাভারতের কল্পনার ঘোড়া লাগাম ছাড়া।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:১৬

আরোহী আশা বলেছেন: স্টার জলসায় কাহিনী দেখেছি। আমার বুঝে আসে না এইটা কিভাবে রূপকথা হয়।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার কাছে এটা কি মনে হয়?

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মায়ের কাছে শুনেছি যে তাদের গ্রামে নাকি অনেক মুসলমানও মনসা পূজা করতো।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাইজান এর যৌক্তিক কারণ আছে।
আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ মূলতো হিন্দু ধর্ম থেকেই পরে মুসলিম হয়েছে। ফলে প্রথম প্রথম যারা মুসলিম হয়েছেন তাদের মাঝে কিছু কিছু হিন্দু ভাব রয়ে গিয়েছিলো। তাদের অনেক পরের বংশধরেরাও বাপ-দাদা পালন করতো ভেবে এটা পালন করা দোষনীয় নয় মনে করে তারাও কিছু কিছু হিন্দুয়ানী বিষয় পালন করতে। এখনো করে।
তাছাড়া সাপুরে বা ওঝারা নিজেদের হিন্দু গুরুর কাছ থেকে মনসা পূজায় অভ্যস্ত হয়ে অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দেয়। সুন্দরবনে নানান কাজে যারা যায় তাদের অনেকেউ মনসা ও বন দেভীর পূজা করে হিন্দু না হয়েও।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিকেরা বুদ্ধি প্রতিBoন্ধী তাই কাল্পনিক বেহেশত / জাহান্নামে অন্ধ বিশ্বাস করে বাস্তব ইহকাল নষ্ট করে।

০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনিও আধা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, আধা অন্ধ বিশ্বাসী, কারণ আপনি ধর্মের আধা মানেন।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

হাবিব বলেছেন: উদ্ভট কাহিনী। গল্পগুলো আমাদের এক স্যারের মুখে শোনা

০১ লা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি পুরটা এখনো পড়ে শেষ করিনি। এখন পড়া বন্ধ করে লিখা শুরু করেছে এইখানে।

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহারে ঘুম ভাংগােনার অপরাধে ছেড়েই গেলো!!!!!!

++++

০১ লা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একেই বলে লঘু পাপে গুরু দন্ড।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

উদ্ভট কল্পকাহিনী !!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সঠিক বলেছেন।

১০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২০

হাসান রাজু বলেছেন: আমি,
মহাভারত পড়ে (!) বলি, উদ্ভট কল্পকাহিনী।
কোরআন পড়ে (!) বলি, টুকলিফাই করা টেস্টামেন্ট।
কবিতা পড়ে (!) বলি, ন্যাকা ন্যাকা ।
সাইন্সফিক্সন পড়ে (!) বলি, অসম্ভব গাল গল্প।
হুমায়ূন পড়ে (!) বলি, অবাস্তব গারভেজ।
ড্যান ব্রাউন পড়ে (!) বলি, এগুলো ও চলে নাকি।

আহা আমি কি মাল হনু রে। আমি কি মাল ......

পড়ছি। সাথে আছি । যদিও ' আলস্য ' আমায় মন্তব্যটা করতে ও বারণ করে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার মন্তব্যে একজনে ছবি আঁকা হচ্ছে, বিশ্লেষণ ভালো হয়েছে। মন্তব্যে +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.