নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদ দর্শন : ০২ : ষাট গম্বুজ মসজিদ

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০৯


বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত মসজিদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ। এই মসজিদের নাম শুনেননি এমন লোক বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া ভার।


খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার আইকন এই ষাট গম্বুজ মসজিদ। ষাট গম্বুজ মসজিদে কোনো শিলালিপি না থাকায় এটি কে নির্মাণ করেছিলেন সেটার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হয় হযরত খানজাহান আলি (র.) ষাট গম্বুজ মসজিদটি নির্মান করেছিলেন। যেহেতু কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি তাই এর নির্মাণকাল সম্পর্কেও অনুমান করা ছাড়া উপায় নেই। অনুমান করা হয় ১৫শ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ হয়েছে।











ষাট গম্বুজ মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৬০ ফুট লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ১০৪ ফুট চওড়া। দেয়ালগুলো প্রায় ৮·৫ ফুট পুরু।

মসজিদটির নাম ষাট গম্বুজ (৬০ গম্বুজ) মসজিদ হলেও মসজিদটির গম্বুজ সংখ্যা ৬০টি নয়। বরং ষাট গম্বুজ মসজিদের গম্বুজ সংখ্যা ৭৭টি। ৭৭টি গম্বুজের মধ্যে ৭০ টির উপরিভাগ গোলাকার এবং পূর্ব দেয়ালের মাঝের দরজা ও পশ্চিম দেয়ালের মাঝের মিহরাবের মধ্যবর্তী সারিতে যে সাতটি গম্বুজ সেগুলো দেখতে অনেকটা বাংলাদেশের চৌচালা ঘরের চালের মতো। তাছাড়া মিনারের গম্বুজের সংখ্যা ৪ টি। এই ৪টি হিসেবে ধরলে গম্বুজের সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ৮১ তে ।












ষাট গম্বুজ মসজিদের ৪ কোণে ৪টি মিনার আছে। মিনার গুলির চূঁড়ায় গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। মিনারগুলি ছাদের চেয়ে উচু। সামনের দুটি মিনারে প্যাঁচানো সিঁড়ি আছে এবং এখান থেকে আজান দেবার ব্যবস্থা ছিল। এদের একটির নাম রওশন কোঠা, অপরটির নাম আন্ধার কোঠা।
















ষাট গম্বুজ মসজিদের ভেতরে পশ্চিম দেয়ালে ১০টি মিহরাব আছে। মাঝের মিহরাবটি আকারে বড় এবং কারুকাজময়। এই মিহরাবের দক্ষিণে ৫টি ও উত্তরে ৪টি মিহরাব আছে। মসজিদের মাঝের মিহরাবের ঠিক পরের জায়গাটিতে উত্তর পাশে যেখানে ১টি মিহরাব থাকার কথা সেখানে আছে ১টি ছোট দরজা। কারো কারো মতে, হযরত খানজাহান আলি এই মসজিদটিকে নামাজের কাজ ছাড়াও তাঁর দরবার ঘর হিসেবে ব্যবহার করতেন, আর এই দরজাটি ছিল দরবার ঘরের প্রবেশ পথ। হযরত খানজাহান আলি (র.) ১৪৫৯ইং সালের ২৫শে অক্টোবর তারিখে ষাট গম্বুজ মসজিদে এশার নামাজ রত অবস্থায় ৯০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।











মসজিদের ভেতরে ৬০টি স্তম্ভ বা পিলার আছে। এগুলো উত্তর থেকে দক্ষিণে ৬টি সারিতে অবস্থিত। প্রতিটি সারিতে ১০টি করে স্তম্ভ আছে। প্রতিটি স্তম্ভই পাথর কেটে বানানো। পাথরগুলো আনা হয়েছিল ভারতের উড়িষ্যার রাজমহল থেকে। প্রচলিত মিথ হচ্ছে- হযরত খানজাহান আলি তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা বলে পাথর গুলি জলে ভাসিয়ে বাগেরহাটে নিয়ে এসেছিলেন। মসজিদের গম্বুজ সংখ্যা সর্বমোট ৮১টি হলেও ধারণা করা হয় এই ৬০ পিলারের কারণেই এর নাম হয়েছে ষাট গম্বুজ মসজিদ।




















ষাট গম্বুজ মসজিদের পূর্ব দেয়ালে ১১টি বিরাট আকারের খিলানযুক্ত দরজা আছে। মাঝের দরজাটি অন্যগুলোর চেয়ে বড়। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে আছে ৭টি করে দরজা। প্রবেশ পথের উপরে পোড়ামাটির কারুকাজ করা আছে।
















আমি মূলত গিয়েছিলাম পরিবার নিয়ে সুন্দরবন সফরে। সুন্দরবনে ৩ দিনের সফর শেষে বাকিদের সাথে ঢাকায় না ফিরে থেকে গিয়েছিলাম খুলনায়। আমি যখন ষাট গম্বুজ মসজিদটি দেখতে গিয়েছিলাম তখন এটিতে কাজ চলছিলো। ভিতরের পাথরের পিলারগুলি প্লাস্টার করে ঢেকে দিচ্ছিলো। ছাদের উপরে উঠার ইচ্ছে থাকলেও তেমন কোনো সুযোগ পাইনি। আমি প্রথম বার যখন বাগেরহাট গিয়েছি তখন আমার বয়স ছিলো সম্ভবতো ৬ বছর। আগামীতেও আবার যাওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।


ছবি তোলার তারিখ : ২৪/১১/২০১৪ইং
অবস্থান : বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ
GPS coordinates : 22°40'28.2"N 89°44'30.6"E

পথের হদিস : ঢাকা থেকে সরাসরি বাগেরহাটে বাস যায়। ভাড়া নন এসি ৪৫০ টাকার মত। বাসের হেলপারকে বলে রাখলে ষাট গম্বুজ মসজিদের সামনে নামিয়ে দিবে। বাস স্টেশন থেকে ষাট গম্বুজ মসজিদ প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে, ইজিবাইক নিয়ে অনায়াসেই চলে যাওয়া যায়।

তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট।



=================================================================
মসজিদ দর্শন : ০১ : মহজমপুর শাহী মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০২ : ষাট গম্বুজ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৩ : বিবি বেগনী মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৪ : চুনাখোলা মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৫ : নয় গম্বুজ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৬ : জিন্দা পীর মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৭ : সিঙ্গাইর মসজিদ
=================================================================


আরো দেখুন -
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ১ম পর্ব
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ২য় পর্ব
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ৩য় পর্ব


বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০১
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০২
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৩
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৪
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৫
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৬


বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০১
বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০২


আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০১
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০২
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০৩

=================================================================

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ষাট গম্বুজ মসজিদ সমপর্কে তথ্যবহুল পোস্ট।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে প্রথম মন্তব্য ও + এর জন্য।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৪২

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব তথ্যবহুল এবং সুন্দর ছবিময় পোস্ট!
মনে আছে, ষাট গম্বুজ নিয়ে আমি এই ব্লগে বছর দশেক আগে একটা পোস্ট লিখেছিলাম।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তথ্যগুলি উইকি থেকে নেয়া

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:১৯

সুনীল সমুদ্র বলেছেন: চমৎকার সব ছবি সমন্বিত একটি তথ্যবহুল পরিশ্রমী পোস্ট। তবে একটা ছোট্ট সাজেশান আছে ... প্রতিটি ছবির কর্ণারে "মরুভূমির জলদস্যু" নামের লোগোর সাইজ আর একটু ছোট করে দিলে দেখতে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ, সুন্দর পোস্টের জন্য।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য ও পরামর্শের জন্য।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭

নিয়াজ সুমন বলেছেন: যাওয়ার ইচ্ছে আছে খুব। খুলনা বিভাগে এখনো পা রাখা হয়নি। :((

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: খুলনায় যাওয়া হয়েছে, তবে খুব একটা ঘুরে দেখা হয়ে উঠেনি।

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর। ফ্যান্টাসি কিংডমে ছোট করে এই ইমারত বানিয়ে রেখেছে। ছবিও তুলেছিলাম

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ওখানে আমিও গিয়েছি, ছবিও তুলেছি।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রতন্ত অঞ্চলে এতোবড় একটা মসজিদ নির্মানের কারনটা কি ?স্থানীয় লোকদের সাথে আলাপ করে কিছু জানা গেলো।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: স্থানীয় লোকদের সাথে কোনো আলাপ করিনি।
খান জাহান আলী সম্পর্কে কিছু খোঁজ খবর করলে ঐ এলাকার সেই সময়ের চিত্র সম্পর্কে ভালো ধারনা পাবেন।
উইকি থেকে জানা যায় -
"বিশ্বের হারিয়ে যাওয়া ১৫টি শহরের একটি তালিকা তৈরী করেছিলো ফোর্বস, আর ৫০টির বেশি ইসলামিক স্থাপত্যের সমন্বয়ে তৈরী এই শহরটি এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১৯৮৩ সালে এই শহরটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয় "স্থাপত্য কর্মের একটি অসাধারণ নিদর্শন হিসেবে যা মানব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বর্ণনা করে।"

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপনার মন্তব্যটি আমাকে প্রিয় চাঁদগাজী সাহেবের কথা মনে করিয়ে দিলো।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৯০ সালে গিয়েছিলাম। তারপর আর যাওয়া হয়নি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সময় সুযোগ হলে আমার আবারও যাওয়ার ইচ্ছে আছে।

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সৌজন্যে ষাট গম্বুজ মসজিদ বাড়ি বসে দেখার সুযোগ হলো। কি অসাধারণ মসজিদের কাজকারবার।
আচ্ছা গতবছর ধরে এখানে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা ছিল সেটা কি বলতে পারবেন?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
নির্মাণের পর থেকেই নিশ্চয় নামাজ শুরু হয়েছে, এবং সম্ভবতো তারপর থেকে এখন পর্যন্ত নাজ চালু আছে ঐখানে।
তবে আমি সঠিক তথ্য জানি না, এটি আমার অনুমান মাত্র।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন।
ঢাকার ভাস্কর্য গুলো নিয়ে আমার ধারাবাহিক পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে।

ষাট গম্বুজ মসজিদ আমি গিয়েছি। কিন্তু কোনো ছবি তুলি নাই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ভাস্কর্য নিয়ে পোস্ট করেন, আগ্রহ নিয়ে দেখবো।

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: ২০১৪ সালের ছবি । অনেক দিন আগে তোলা । আমি আপনার ঠিক এক বছর আগে এখানে গিয়েছিলাম । কিছু ছবি আমারও রয়েছে এখানে ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি অলস মানুষ, তাই সব সময়ই দেড়ি হয়ে যায়।
আপনার তোলা ছবিগুলিও দিয়েন সময় করে, দেখবো আমরা।

১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
++++++

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫১

বিটপি বলেছেন: ষাট গম্বুজ মসজিদের আশেপাশেই একই ধরণের স্থাপত্যশৈলির আরো অনেক ইমারত দেখতে পাওয়া যায়, যেগুলো দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তিনিই এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। উনার আগে এদেশে তুর্কী বংশোদ্ভূত আর কারো আগমন বা বসবাসের কথা কখনও শোনা যায়নি। মসজিদটি যেহেতু তুর্কী স্থাপত্যে তৈরি, তাই এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকেনা।

খান জাহান আলীর অনুসারীরা সবসময় অস্ত্র সাথে রাখতেন। তিনি নিজেও খুতবা দেবার সময় তার বল্লম/তলোয়ারে ভর দিয়ে দাঁড়াতেন। সৈন্যদের সুবিধার্থে তিনি প্রথম কাতারের সামনের দিকে অস্ত্র রাখার জন্য দেয়ালের মধ্যে জায়গা করে দেন, যাতে অস্ত্র সেখানে রেখে তারা নামাজ আদায় করতে পারে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য। অনেকগুলি তথ্য জানা হলো।
ষাট গম্বুজ মসজিদের আশেপাশে আরো কিছু মসজিদ আছে সমকালীন, সেগুলির কয়েকটিও দেখেছি আমি।

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

শায়মা বলেছেন: ষাট গম্বুজ মসজিদ নিয়ে খুবই সুন্দর পোস্ট ভাইয়া।

মিনার চিনেছি কিন্তু মিহরাভ মানে কি ? কাকে বলে?

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
মিহরাব বা মেহরাব হচ্ছে ইমামের দাঁড়ানোর স্থান। তবে পুরনো মসজিদে একাধিক মিহরাব দেখা যায়। মূল মিহরাবটি অবশ্যই মসজিদের পশ্চিম দেয়ালের ঠিক মাঝ বরাবর থাকবে এবং সেখানেই ইমাম দাড়িয়ে নামজ আদায় করবেন। বাকি মেহরাব গুলি সৌন্দর্যের জন্য এবং সেগুলিতে কোরআন ইত্যাদি রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়।

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস।

আমার ক্লাসে একটা মেয়ে আছে তার নাম নাকি মিহরাভে। আসলে হয়তো মিহরাভ কিন্তু তাকে তার মা ওভাবেই ডাকে আমিও প্রনানসিয়েশনটা শুনেছি ওভাবেই করে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আরবী এক শব্দের অনেকগুলি অর্থ হয়। মিহরাভ এর অন্য কোনো অর্থ থাকতে পারে। মসজিদে থাকে মেহরাব বা মিহরাব আপনার ছাত্রীর নামের শেষ "", উচ্চারনে তফাত আছে।

আমার বড় কন্যার নাম "সাইয়ারা নাজিবা সোহেন"
আরবীতে সাধারণত সাইয়ারা অর্থ - প্লেন বা যানবাহন।
আর আমি যে "সাইযারা" নাম রেখেছি সেটির অর্থ "তারা"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.