নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুলের নাম : নাগেশ্বর

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২০

ফুলের নাম : নাগেশ্বর
Common Name : Ceylon ironwood, Indian rose chestnut, Cobra's saffron.
Scientific Name : Mesua ferrea
সংস্কৃত নাম : নাগচম্পা, নাগকেসর [নাগকেশর” নামে সম্পূর্ণ ভিন্ন আরেকটি ফুল রয়েছে]



নাগেশ্বর গাছটি এক প্রকার চিরসবুজ বৃক্ষ। এটি শ্রীলঙ্কার স্থানীয় বৃক্ষ হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণ ভারতে প্রচুর দেখা যায়। বাংলাদেশেও এই গাছের দেখা মেলে প্রচুর। মোট কথা সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এটি প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়। সাগর সমতলের ১০০০ থেকে ১৫০০ মিটার উঁচুতেও এটি জন্মাতে পারে।





নাগেশ্বর শোভাবর্ধক চিরসবুজ গাছ, গাছে প্রচুর পাতা হয়। পাতাগুলো সরু ও বল্লমাকৃতির। পাতার রং গাঢ় সবুজ। কচি পাতা দেখে মনে হয় রঙ্গের ছোপ লেগেছে গাছের উপরে। এই গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সারা বছর নতুন নতুন পাতা গজানো। পাতার বিন্যাস ঘনবদ্ধ ফলে নাগেশ্বর গাছ বেশ ছায়া সুনিবিড় হয়।



নাগেশ্বর গাছ প্রায় ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে, আর গাছের গুঁড়ির পরিধি প্রায় ২ মিটার হতে পারে। এদের কাণ্ড থেকে আঠা পাওয়া যায়। এই গাছের কাঠ বেশ শক্ত হয়। কাঠের রঙ লাল। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মে। ছোট চারা দেখতে হুবুহু লিচু চারার মত হয়। নাগেশ্বর গাছ খুবই ধীর গতিতে বড় হয়। ফুল আসতে বেশ কয়েকবছর সময় লাগে।




নাগেশ্বরের আদি নিবাস শ্রীলঙ্কা। ১৯৮৬ সালে এটিকে সে দেশের জাতীয় ফুল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। শ্রীলঙ্কায় নাগেশ্বর গাছ 'না' বৃক্ষ নামে পরিচিত।



বয়স্ক নাগেশ্বর গাছে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে ফুল ফোটে। তবে নাগেশ্বর ফুল সবচেয়ে বেশি ফোটে বসন্তকালে। কিছু কিছু গাছে বর্ষায়ও ফুল ফুটতে দেখা যায়। নাগেশ্বর ফুল সুগন্ধিযুক্ত। ফুলগুলি দুধ সাদা। তবে কিছু কিছু গাছে হালকা গোলাপী রঙ্গের হয়ে থাকে। ফুলের ব্যাস ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি। প্রতিটি ফুলে চারটি বড়বড় কিছুটা কোঁকড়ানো পাপড়ি থাকে।



পাপড়ির রং সাদা ও হালকা গোলাপী হলেও ফুলের মাঝ খানে অসংখ্য হলদে সোনালী রংঙ্গের পুংকেশর থাকে। একেবারে কেন্দ্রে থাকে গর্ভকেশর। অর্থাৎ ফুলগুলো উভয় লিঙ্গিক। পূজার উপকরণে এ ফুল কাজে লাগে। নাগেশ্বরের ফুল ভেষজগুণেও অনন্য।



নাগেশ্বর গাছে সেপ্টেম্বর মাসে ফল হয়। ফলগুলি দেখতে অনেকটা আমাদের দেশি গাবের মত।
ফলের আকার ১ থেকে ১.২৫ ইঞ্চি। ১ থেকে ৪টি বীজ হয়। বীজের রঙ ধূসর।




নাগেশ্বর ফুলের নাম অনেকে জানলেও অনেকেই আছেন যারা ফুলটিকে চিনেন না। আবার অনেকেই আছেন যারা ফুলটিকে ভুল চিনেন। মূলতো তিনটি ফুলকে অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন। সমস্যাটা দেখা দেয় ফুলগুলির নামের সাথে নাগ শব্দটি আছে বলেই। ফুল তিনটি হচ্ছে নাগলিঙ্গম, নাগেশ্বর ও নাগকেশর। নিচের ছবিতে পাশাপাশি তিনটি ফুলের ছবি ও তথ্য দিয়ে দিলাম।

নাগলিঙ্গম, নাগেশ্বর ও নাগকেশর

ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, নমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান।
সূত্র : নিজ, উইকি, অন্যান্য।


=================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অলকানন্দা, আকন্দ, আমরুল,
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা
গাঁদা, গামারি, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া,
ঘোড়া চক্কর
জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা,
পপী, পুন্নাগ
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মধুমঞ্জরি
রঙ্গন, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধাচূড়া, রাণীচূড়া
লতা পারুল
শাপলা (সাদা), শিউলি, শিবজটা, সুলতান চাঁপা
জবা - ১, জবা - ২, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, গোলাপী জবা


=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩, রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩

অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অলকানন্দা (বেগুনী)-২, অলকানন্দা (বেগুনী)-৩, আমরুল-২,
কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গাঁদা-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২, গোলাপি আমরুল-২,
ঝুমকোলতা-২
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
তারাঝরা- ২, দাদমর্দন-২
নাগলিঙ্গম-২, নাগলিঙ্গম-৩
পপী-২, পপী-৩, পপী-৪,
বাগানবিলাস-২, বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩,
মাধবীলতা-২
রাধাচূড়া-২, রাধাচূড়া-৩,
লতা পারুল-২, লতা পারুল-৩
গামারির হলুদ বন্যা, আরো কিছু গামারি, শিমুল গাছে আগুন, কদম ফুলের ১০টি ছবি, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভোমড়, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি

=================================================================

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৩৫

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: নাগেশ্বর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারছি পোস্ট থেকে। পাতার বিবরণ ভালো হয়েছে।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৩৮

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ...লতা ছাড়া নাম
পুরুষ ফুল !

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হা হা হা

৩| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:০১

বিজন রয় বলেছেন: নাগেশ্বর নিয়ে মনে হয় আগেও পোস্ট দিয়েছিলেন।

যাহোক, আবারো হোক বা নতুন করে হোক নাগেশ্বর সম্পর্কে জানলাম।

কিন্ত জানতে পারিনি আপনার মরুভূমির জলদস্যু নাম নেওয়ার কারণ কি?
আশা করি জানাবেন।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নাগেশ্বর নিয়ে আগে দুটি পোস্ট করেছি
১। ফুলের নাম : নাগেশ্বর,
২। নাগেশ্বর ও ভমর

নিধিরাম সর্দারের গল্প শুনেছেন-
নিধিরাম নামের একজন লোক কোনো এক গ্রামে বাস করতো। সে নিজের সাহস এবং শক্তির কথা জাহির করতে খুবই ভালোবাসতো। গ্রামের লোকও ভাবতো এতোই যখন বলে হয়তো বা সে আসলেই অনেক বলশালী ও সাহসী। তার কথা বিশ্বাস করে সবাই বরং এই ভরসায় থাকতো যে কখনও যদি গ্রামে ডাকাত-টাকাত পরে তাহলে আর চিন্তা নেই, নিধিরাম তো আছেই।

একদিন গ্রামে সত্যিই ডাকাত পরলো। ডাকাত পরলে যা হয় আর কি, একদম গ্রাম শুদ্ধ লুটে নিয়ে গেলো। গ্রামের লোকেরাও নিধিরামের ভরসায় কিছুটা বেখেয়ালই ছিলো তাই তারা কোনো রকমেই তাদের কিছু বাঁচাতে পারলো না। এত বড় ঘটনা যখন ঘটছিলো তখন কিন্তু নিধিরামের ছায়াও কেউ দেখতে পায়নি। মোট কথা নিধিরাম ডাকাতদের সঙ্গে যুদ্ধ করা তো দূরে থাক ডাকাতদের সামনেও পড়েনি।

ডাকাতির এই ঘটনায় গ্রামের মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিলো এই যে নিধিরাম এত বড় বড় কথা বলতো আজ সে কোথায়? নিধিরামকে তারা প্রশ্ন করল, তোমার মতো একজন সর্দার থাকতে এ ঘটনা কীভাবে ঘটলো? নিধিরাম তার কাজের জন্য লজ্জিত হবে কি, উল্টো সবাইকে রাগ দেখিয়ে বলতে লাগলো, আমার কাছে কি কোনো ঢাল-তরোয়াল আছে নাকি যে আমি ডাকাত বধ করবো? যদি ঢাল-তরোয়াল থাকতো তবে দেখিয়ে দিতাম না এক হাত?

নিধিরামের এহেন মন্তব্য শুনে গ্রামবাসীরা পরিষ্কার বুঝে যায় ব্যাটা নিধিরামের মুখে বড় বড় কথা বলা ছাড়া আর কিছু করার যোগ্যতা নাই। তার মোটেই ডাকাত তাড়ানোর ক্ষমতা নাই ইচ্ছা তো নাইই, তাই এইসব আজগুবি অজুহাত দেখাচ্ছে।

সেদিন থেকে লোকে নিধিরামকে নিয়ে এক প্রবাদ বেঁধে ফেলল, ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার। ঢাল তরোয়াল ছাড়া সে এমনিতেই কিছু পারবে না শুধু মুখে মুখে আলাপ করা ছাড়া।


আমার নিক নেম মরুভূমির জলদস্যু নিধিরামের ঠিক উলটো বলতে পারেন।
নিধিরাম ঢাল তরোয়াল নেই বলে কিছু করতে পারে নাই। আর আমি-
মরুভূমিতে জল নাই বলেই জলদস্যুতা শুরু করতে পারছিনা।

৪| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:


বিজন রয় বলেছেন, " ...কিন্ত জানতে পারিনি আপনার মরুভূমির জলদস্যু নাম নেওয়ার কারণ কি? "

-উনি সাঁতার না'জানাতে শুকনো এলাকায় জলদস্যু হতে চেয়েছেন।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:২০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গাজী সাহেবের এইটাও সহীহ জবাব। ১০০ তে ১০০ পাওয়া জবাব।
আরো ২টা সহীহ জবাব আছে, যার একটা উপরের মন্তব্যের প্রতি উত্তরে দিয়েছি।

৫| ০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১:৪৩

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: ছোট ছোট গোটা গুলা গোলাপজাম ভেবে গাধার মত খাওয়ার জন্য নিয়ে আসছিলাম, পরে দেখি অন্য কিছু। এখন নাম জানলাম। ফুলগুলার ঘ্রাণ নেই।

০৮ ই মে, ২০২২ রাত ২:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হা হা হা
তবে আমিতো জানি নাগেশ্বর ফুলে ঘ্রাণ আছে।

৬| ০৮ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: মনে হচ্ছে- নাগেশ্বর নিয়ে আপনার এই পোস্ট আগেও পড়েছিলাম।

০৮ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জ্বী পড়েছেন হয়তো।
২০১৭ সালে নাগেশ্বরের পোস্টটি করেছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.