নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মূর্তি না ভাস্কর্য? - ০৪

১১ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩২

অন্যের বিচার করো না তুমিও বিচারিত হবে না।
কাউকে দোষ দিও না দেখবে তুমিও দোষী হবে না।
ক্ষমা করো তুমিও ক্ষমা পাবে।
কেউ ভিক্ষা চাইলে তাকে কিছু দিও ।
----- ঈসা ইবনে মারিয়াম -----


ছবি তোলার স্থান : সেন্ট নিকোলাস চার্চ, নাগরি, গাজীপুর, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ১১/০৯/২০১৪ ইং



উইকিপিডিয়া বলছে -
ভাস্কর্য : ত্রি-মাত্রিক শিল্পকর্মকে ভাস্কর্য বলে।
মূর্তি : মূর্তি হিন্দু সংস্কৃতিতে দেবতা বা মর্ত্যের প্রতিমা।

মূর্তির ইতিহাস ঘাটতে গেলে নানান প্যাঁচ লেগে যেতে পারে। সেই তুলনায় ভাস্কর্য অনেক নিরিহ। তা যাইহোক আমি কিছু ছবি তুলেছি নানান যায়গায় বেড়াবার সময়। তার কোনোটা মূর্তি, কোনোটা ভাস্কর্য। সেখান থেকে আজকে রইলো ৫টি বুদ্ধ মূর্তির ছবি।





ভুবন শান্তি বৌদ্ধ বিহারের তোরণের মূর্তি

ছবি তোলার স্থান : রামু, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ৩০/০৯/২০২০ ইং



ভুবন শান্তি বৌদ্ধ বিহারের তোরণের মূর্তি

ছবি তোলার স্থান : রামু, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ৩০/০৯/২০২০ ইং



ভুবন শান্তি বৌদ্ধ বিহারের তোরণের মূর্তি

ছবি তোলার স্থান : রামু, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ৩০/০৯/২০২০ ইং



শ্বেত বুদ্ধ মূর্তি

ছবি তোলার স্থান : রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার, রাম, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ৩০/০৯/২০২০ ইং




=================================================================
মূর্তি না ভাস্কর্য? - ০১
মূর্তি না ভাস্কর্য? - ০২
মূর্তি না ভাস্কর্য? - ০৩

=================================================================

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

পুরো পৃথিবী মিলিয়ে বুদ্ধের মূর্তি/ ভার্স্কয কত হবে? হাজার খানেক?

১১ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একশ হতে পারে ;)

২| ১১ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:


ধর্মীয়নেতা ও ধর্মে নিবেদিতদের লোকজনের মু্র্তি নির্মাণ করে, তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়া ও তাদের অবদানের প্রতি বিনয় প্রকাশ আদি সকল ধর্মেই ছিলো; উহাই এক সময় আর্টস'এর অংশ হয়েছে, যাকে ভাস্কর্য বলা হচ্ছে।

১১ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বেশ ভালো বলেছেন + রইলো

৩| ১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৬

কামাল৮০ বলেছেন: যে ভাস্কর্যকে পুজা করা হয় তাকেই মনে হয় মুর্তি বলে।

১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মোটা দাগে এটাই সঠিক।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০১

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: যে যেভাবে দেখে। কারো যা কাছে যা মুর্তি অন্য কারো কাছে তা ভাস্কর্য ।

১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কারো যা কাছে যা মুর্তি অন্য কারো কাছে তা ভাস্কর্য
এ কথাও অস্বীকার করা যায় না।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২২

আখেনাটেন বলেছেন: যেটাই হোক...ঘৃণার দৃষ্টিতে আমরা না দেখি.....

১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
যেকোন মূর্তি অথবা ভাস্কর্য কোনোটা দেখতেই আমার আপত্তি নেই। বরং আগ্রহ নিয়েই দেখি।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৭

আখেনাটেন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
যেকোন মূর্তি অথবা ভাস্কর্য কোনোটা দেখতেই আমার আপত্তি নেই। বরং আগ্রহ নিয়েই দেখি।
---মানুষ হিসেবে সেটাই হওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমানে এ ভাবনার মানুষের বড় অভাব। পরিবারগুলোর বেশির ভাগই মানুষের মতো ভাবতে সহায়তা করছে না বলেই নানামুখি ঘৃনার বাড়বাড়ন্ত চারপাশে।

১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমি বেড়াতে ভালোবাসি, দেখতে ভালোবাসি।
আমি মসজিদে যাই, মাজারে যাই, মন্দিরে যাই, গির্জায় যাই, প্যাগোডাতে যাই।
আমি মাজারে সেজদা করি না, মন্দিরে প্রনাম করি না, গির্জায় বুকে ক্রস করে না, প্যাগোডায়ও কোনো কিছু নিবেদন করি না। যারা ঐসব করেন তাদের প্রতিও আমার কোনো অভিযোগ নেই।
আমি মাজারে সেজদা না করায় প্রায় গলা ধাক্কা খেয়েছি বলা যায়, মন্দির থেকেও ঠেলে বের করে দিয়েছে প্রনামী না দেয়ায়, বড় দিনেও গির্জায় ঢুকতে দেয়নি, প্যাগোডা বা বৌদ্ধ মন্দিরতো সব সময় তালা মারাই দেখেছি।
আমার আগ্রহ তাতে কমেনি। আমি এখনো ঘুরি, দেখি। আমার মেয়েরাও তাই করে।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:০৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শুধু মাত্র নিজের পছন্দের সাথে অমিল বলে যাদের মুর্তি দেখলে বা মসজিদ দেখলেই ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছা করে ওরা ছাগু ও মোল্লা। ছাগু ও মোল্লা মুক্ত বাংলাদেশ চাই।

ভালো পোস্ট।

১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মন্তব্যটা উলটা হয়ে গেলো না!!
মুর্তি দেখলে বা মসজিদ দেখলেই ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছা করে ওরা ছাগু ও মোল্লা।

মোল্লার মসজিদ ভাঙ্গে চাইবে কেনো?

৮| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:২৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধর্ম বিদ্বেষিদের আমি মোল্লা বলি। যে যার যার ধর্ম পালন করবে। কার কি? এক ধর্ম অন্য ধর্মের মানুষ কে ঘৃণাই বা কেন করবে? মোল্লা বলতে শুধু মুসলিম নয় । যে কোন ধর্মে মোল্লা আছে।

১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
গায়ের জোড়ে আপনি একটি শব্দের ভিন্ন অর্থ করছে।
বেশ ভালো।

৯| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: এবার ঈদে কোথায় যান নাই?

১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কোনো ঈদেই আমি কোথাও যাই না।
আপনি ঈদ কোথায় করলেন?

১০| ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৫৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যে লোক অপর ভাইয়ের দোষ ত্রুটি গোপন করে,
শেষ বিচারের দিন আল্লাহ তার দোষ গোপন করবেন!

১২ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এই সব কথা আমাদের মনে থাকে না।

১১| ১২ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৪২

লেখার খাতা বলেছেন: আখেনাটেন বলেছেন: যেটাই হোক...ঘৃণার দৃষ্টিতে আমরা না দেখি.....

১২ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সহী বলেছেন উনি।

১২| ১২ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৩২

অগ্নিবেশ বলেছেন: এইখানে সব মিয়ারাইতো দেহি ভালো ভালো কথা কয়, তয় কাবার মুর্তি গুলো ভাংঙ্গছিল কে?

১২ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনি কোনো সজিদে গিয়ে যেকোনো মূর্তি রাখলে এখনো তা ভেঙ্গে ফেলা হবে।
হিন্দু মন্দিরে আপনি যীসুর মূর্তি রাখলে তা ভেঙ্গে ফেলা হবে।
বৌদ্ধ মন্দিরে আপনি হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি রাখলে তা ভেঙ্গে ফেলা হবে।
খীয়ষ্টানের চার্জে আপনি গৌতম বুদ্ধের মূর্তি রাখলে তা ভেঙ্গে ফেলা হবে।

১৩| ১২ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
কোনো ঈদেই আমি কোথাও যাই না।
আপনি ঈদ কোথায় করলেন?

আমি ভাই ঘরকুনো স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সাথে থাকতেই পছন্দ করি। সারাটা জীবন ঢাকায় ঈদ করেছি। আমরা ৫১বর্তী পরিবার। আমার ছোট দুই ভাই। এক ভাই গিয়েছে আসাম। আরেক ভাই গিয়েছে তার পুরো পরিবার নিয়ে কক্সবাজার। আমি বউ বাচ্চা নিয়ে পার্কে গিয়েছিলাম।

১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনাদের সকলের রান্নাবান্না এক সাথে হয়?
কোরবানী কি সব ভাই মিলে এক সাথে দেন? নাকি যার যার গরু আলাদা আলাদা কেনেন?
আপনার পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।

১৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: হুবাল মক্কা নগরীতে পূজিত দেবতা ছিলেন। কাবা শরীফের হুবালের একটি ছবিকে পূজা করা হতো। কারেন আর্মস্ট্রংয়ের মতানুসারে, উপাসনাগৃহটি হুবালের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত ছিলো এবং কাবা শরীফে রক্ষিত ৩৬০ টি মূর্তির মধ্যে হুবালকে প্রধান দেবতা হিসেবে পূজা করা হতো।
এই কাবা শরীফ মহম্মদের হস্তগত কিভাবে হল? মহম্মদ কত টেহা দিয়ে কাবা খরিদ করে তারপর ভাঙ্গার জন্য মুর্তি রেখেছিল???

১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার মতো জ্ঞানী মানুষের কি মনে হয়, কত লাগছিলো?

১৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একটা কথা বলি - প্রকৃত পড়াশোনা বা জ্ঞানের একটা 'ভার' আছে যা মানুষকে বিনয়ী হতে শেখায় এবং অপ্রয়োজনীয় তর্ক থেকে দুরে রাখে। আমি জ্ঞানী নই। যে সামান্য অতি ক্ষুদ্র থেকে অতি ক্ষুদ্র পড়াশোনা করেছি, তার ভিত্তিতে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা করি, তিনি যেন তা উপলব্ধির সুযোগ করে দেন। নইলে আপনি অহংকারী হয়ে উঠবেন এবং কাউকে সম্মান দিতে পারবেন না।

একজন প্রশ্ন করেছেন - কাবা শরীফের মুর্তি নিয়ে একজন প্রশ্ন করেছেন। প্রশ্নের ধরন নিয়ে আমি কোন বক্তব্য দিতে চাই না। কারন মানুষ কোন জিনিসকে প্রচন্ড ঘৃণা করলে তখন তা সম্পর্কে ভালো কিছু বলতে পারবে না, এটাই লজিক।

ইসলামিক ইতিহাস নিয়ে মুসলিম ও অমুসলিম লেখকদের বেশ কিছু বই পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। বিভিন্ন বইতে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনাকে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে বর্ননা করা হয়েছে। রাসুল সাঃ পরবর্তী অনেকেই ইসলামের মুল আকিদাগুলোকে ব্যক্তিগত দর্শন ও ধর্ম পালনের যে বোধ তার সাথে মিলিয়ে ফেলে বেশ কিছু সংকট সৃষ্টি করেছেন। এইভাবে বিভিন্ন হাদীস বা ঐতিহাসিক ঘটনা বা উদহারনগুলোকে ভুলভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক কারনে ব্যবহার করায় অনেক হাদিস কোরান ও রাসুল সাঃ এর সুন্নাহ বিরোধী হয়ে গেছে। পাশাপাশি, একটা জিনিস আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, ইতিহাস বিজয়ীরা লিখে। ফলে পাকিস্থানীরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে ইতিহাস লিখবে আর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে ইতিহাস লিখবে, সেটায় অনেক শব্দ ও দৃষ্টির তারতম্য থাকবে।

পাকিস্থানী বিভিন্ন লেখকের ভাষ্যমতে ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার আকাশ কাঁদছিল, কিন্তু আদৌ বাস্তবে এমন কিছু ঘটে নাই। - এই উদহারন টানলাম কারন মক্কা বিজয়ের দুইটি পক্ষ আছে। আপনি কোন পক্ষের বক্তব্য শুনবেন, সেটা আপনার নিজস্ব ব্যাপার। আরবে তৎকালীন যে বর্বর সংস্কৃতি ছিলো, আইয়ামে জাহিলিয়াত ছিলো - তা নিশ্চয়ই সমর্থনযোগ্য নয়। ফলে সেই বর্বরতা থেকে মুক্তি, সাম্য ও ন্যায় বিচারের যে ধারা ইসলাম নামক ধর্মের মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছিলো, তাকে সমর্থন করা অযৌক্তিক ছিলো না। তাই সঠিক পক্ষ হিসাবে মক্কা বিজয়ীদেরকে বেছে নিলে খুব একটা অন্যায় হবার কথা না।

ফলে আমার জানা মতে, ( অর্থাৎ যত সামান্য পড়ার চেষ্টা করেছি, সেই অনুসারে) কাবা শরীফের মুর্তি ভাঙ্গা নিয়ে যে সকল বক্তব্য পাওয়া যায় তার প্রায় সবগুলোই খন্ডিত বক্তব্য। সত্যিকার জানার উদ্দেশ্যে ইসলামিক ইতিহাস নিয়ে যদি পক্ষে বিপক্ষে দুই পক্ষের যৌক্তিকগুলো বিশ্লেষন করলে একদম শিশুতোষ পর্যায়ে জানা যায় যে, হিজরী অষ্টম বছরে মক্কা বিজয় যখন হয়, তখন প্রচুর মানুষ দলে দলে ইসলাম গ্রহন করে। কেউ স্বেচ্ছায়, কেউ বুঝে, কেউ না বুঝে বা কেউ ভয়ে। এখানে ভয়ের বিষয়টি ব্যক্তিগত, জোরকৃত নয়। ফলে তখন কাবার মুর্তিগুলোর কোন প্রয়োজন ছিলো না। যেমন মক্কা বিজয়ের পর সাকিফ নামে জনৈক গোত্র শুধু বাকি ছিলো ইসলাম গ্রহনের। একবছর পর সর্বশেষ গোত্র হিসাবে তাঁরা ইসলাম গ্রহন করে এবং তারা নিজেদের উপাস্য মুর্তিকে নিজেরাই ধ্বংস করে।

ফলে মোহাম্মদ সাঃ জোর করে মুর্তি ভেঙ্গেছেন তা প্রমান হয় না, এটা তাঁর প্রতি মিথ্যাচার এবং অন্যায় বক্তব্য।
সবচেয়ে কথা কথা হচ্ছে, কোরানে সুরা আন আমের মাধ্যমে আল্লাহ সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন অন্য ধর্মের প্রতিমা বা তথাকথিত সৃষ্টিকর্তাকে মন্দ কথা বা অ্যাবিউজ না করতে। ফলে রাসুল সাঃ আল্লাহর আদেশ মানবেন না, এটা সম্ভব নয়।

এই সব ভাংচুরের সংস্কৃতি উঠে এসেছে বিভিন্ন হাদীসে, যেখানে আল্লাহ প্রেম প্রমানের জন্য অনেকেই স্বউদ্যোগী হয়ে এই সব ভাংচুর চালায় যার প্রভাব বর্তমানে পড়েছে।

১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার এই মন্তব্যটি আলাদা একটি পোস্ট হতে পারতো। তাতে করে আরো অনেকেই এটি দেখার ও পড়ার সুযোগ পেতো। তবে তাতে কিছু কিছু পাঠকের লাভের লাভ কিছুই হোত না। তারা তাদের নিজেদের তেড়া যুক্তি নিয়েই থাকবে এবং আরো নানান যুক্তি খুঁজে বের করবে।

নবীজী মূর্তি ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছেন এটাই এতোদিন জেনেছি তবে আপনার কথাও যুক্তি আছে।
আইয়ামে জাহিলিয়াত সম্পর্কেও কিছু কিছু বিষয় শোনা যায়। বিশেষ করে মেয়ে শিশুকে মাটিচাপা দিয়ে হত্যার বিয়ষটি নিয়ে ভিন্ন মত থাকাটাই স্বাভাবিক। তেমনি ভাবে সহী সাদীস গ্রন্থেও ঝামেলা যুক্ত হাদীস ঢুকেছে বলেই আমার বিশ্বাস।

ধর্মবিষয়ে আমার পড়াশুনা খুবই অল্প। তাছাড়া লিখে লিখে তর্ক করা আমার ঠিক পোষায় না। আমি তর্ক আর ক্যাচাল এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করি। আমি নিরিহ টাইপ ব্লগার।

চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

অ.ট. : সোনাগাজী সাহেবকে কি কারণে জেনারেল করা হয়েছে আমার জানা নেই। যদি কারণটি খুবই বেশী গুরুতর না হয়ে থাকে তাহলে যথা সম্ভব শিঘ্রই তাকে মুক্ত করে দেয়ার অনুরোধ রইলো।

১৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের প্রতি উত্তরের জন্য।

ব্লগার সোনাগাজীকে জেনারেল করা হয়েছে সুনির্দিষ্ট কারনের ভিত্তিতে। ব্লগ টিমের পক্ষ থেকে আমি এই ব্যাপারটি এখানে ব্যাখ্যা করতে চাইছি না। ব্লগ নীতিমালা অনুসরন না করা হলে, নীতিমালার আওতায় আসতেই হবে। এই সত্যটি যত দ্রুত যিনি বুঝবেন, তার জন্য তত ভালো।

সমস্যা হচ্ছে, তিনি কিছু আগাছা টাইপের মানুষের জন্য নিজেকে সংশোধন করার উপযুক্ত মোটিভেশন পাচ্ছেন না।

এক পোস্টে দেখলাম, তিনি ব্লগ টিম নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন। উনার মন্তব্যটি পড়ে আমার বেশ হাসি পেয়েছে।

১৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আবার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগ টিমের পক্ষ থেকে আমি এই ব্যাপারটি এখানে ব্যাখ্যা করতে চাইছি না।
আমি ব্যাখ্যা বা কারণ কোনোটাই জানতে চাইনি, চাইছিও না।
উনার একজন্য ভক্তের অনুরোধে আমি অনুরোধটি করেছি এবং আমার নিজের পক্ষ থেকেও অনুরোধটি ছিলো। যাতে একটু দ্রুত উনি মুক্তি পান। তবে আমি নিশ্চিত উনি কখনোই নিজেকে সংশোধন করতে পারবেন না। কারণ উনার ভুল টুকু উনি দেখতে অক্ষম।

১৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনারা যদি সত্যিই মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে এইসব বেদাতি কাম কাজ ছাড়েন।

প্রশ্ন
ইসলামে প্রতিকৃতি ভাঙ্গা কি আবশ্যক; এমনকি সেটা যদি মানব ঐতিহ্য ও সভ্যতার ঐতিহ্য হয় তবুও? সাহাবায়ে কেরাম যখন বিভিন্ন দেশ জয় করলেন তখন তারা বিজিত দেশগুলোতে প্রতিকৃতিগুলো দেখা সত্ত্বেও সেগুলো ভাঙ্গেননি কেন?

আলহামদু লিল্লাহ।.

শরয়িতের দলিলগুলো মূর্তি ভাঙ্গা আবশ্যক হওয়ার সপক্ষে প্রমাণ বহন করে। এমন দলিলগুলোর মধ্যে রয়েছে:

১। আবুল হাইয়্যাজ আল-আসাদি (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, আলী বিন আবু তালেব (রাঃ) আমাকে বললেন: “আমি কি তোমাকে সে কাজে পাঠাব না; যে কাজে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পাঠিয়েছিলেন? তুমি যত প্রতিকৃতি পাবে সেগুলোকে নষ্ট করবে এবং যত উঁচু কবর পাবে সেগুলোকে সমান করে দিবে।”[সহিহ মুসলিম (৯৬৯)]

২। আমর বিন আবাসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেন: “আপনি কী নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন? তিনি বললেন: ‘আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা, মূতি ভাঙ্গা এবং আল্লাহ্‌র এককত্ব প্রতিষ্ঠা ও তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক না করা নিয়ে’ প্রেরিত হয়েছি।”[সহিহ মুসলিম (৮৩২)]

মূর্তি ভাঙ্গার আবশ্যকতা আরও তাগিদপূর্ণ হয় যখন আল্লাহ্‌র বদলে সে সব মূর্তির পূজা করা হয়।

৩। জারীর বিন আব্দুল্লাহ্‌ আল-বাজালি (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন: হে জারীর! তুমি আমাকে যুল খালাসা (এটি খাছআম গোত্রের একটি ঘর যাকে ইয়ামেনী কাবা ডাকা হত) থেকে প্রশান্তি দিতে পার না? তিনি বলেন: তখন আমি দেড়শ অশ্বারোহী নিয়ে অভিযানের প্রস্তুতি নিলাম। আমি আমার ঘোড়ার উপর স্থির থাকতে পারতাম না। এ বিষয়টি আমি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে উল্লেখ করলাম। তখন তিনি তাঁর হাত দিয়ে আমার বুকের উপর আঘাত করলেন এবং বললেন: اللهم ثبته واجعله هاديا مهديا (হে আল্লাহ্! তাকে স্থির রাখুন এবং পথপ্রদর্শক ও সুপথপ্রাপ্ত বানিয়ে দিন।) বর্ণনাকারী বলেন: জারীর (রাঃ) রওয়ানা হয়ে গেলেন এবং গিয়ে সে কাবাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সুসংবাদ দেয়ার জন্য আমাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তিকে পাঠালেন; যার কুনিয়ত ছিল আবু আরতা। সেই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন: আমরা সেই মন্দিরটিকে এমন অবস্থায় রেখে আপনার কাছে এসেছি যেন সেটি রোগের কারণে আলকাতরা দেয়া (কালো) উট। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আহমাস গোত্রের ঘোড়া ও বীরপুরুষদের জন্য পাঁচবার বরকতের দোয়া করলেন।”[সহিহ বুখারী (৩০২০) ও সহিহ মুসলিম (২৪৭৬)]

ইবনে হাজার (রহঃ) বলেন:

এ হাদিসে উদ্ধৃত হয়েছে: যে জিনিস দ্বারা মানুষ ফিতনাগ্রস্ত হয় সেটি দূর করা শরয়ি বিধান; হোক সেটি কোন ভবন বা অন্য কিছু; যেমন- মানুষ, প্রাণী বা ঝড় পদার্থ।[সমাপ্ত]

৪। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) এর নেতৃত্বে উজ্জা নামক মূর্তিকে ধ্বংস করার জন্য অভিযান পাঠিয়েছিলেন।

৫। তিনি সাদ বিন যায়েদ আল-আশহালি (রাঃ) এর নেতৃত্বে মানাত নামক মূর্তিকে ধ্বংস করার জন্য অভিযান পাঠিয়েছেন।

৬। তিনি আমর বিন আ’স (রাঃ) এর নেতৃত্বে সুআ’ নামক মূর্তিটি ধ্বংসের জন্য অভিযান পাঠিয়েছেন। এ সবগুলো অভিযান হয়েছে মক্কা বিজয়ের পর।

[‘আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ (৪/৭১২, ৭৭৬, ৫/৮৩) এবং ড. আলী সাল্লাবীর রচিত ‘আস-সিরাতুন নাবাওয়িয়্যাহ’ (২/১১৮৬)]

ইমাম নববী ‘শারহে মুসলিম’ এ تصوير (প্রতিকৃতি তৈরী, ছবি অংকন/নির্মাণ) সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন: “আলেমগণ ইজমা করেছেন যে, যেটার ছায়া আছে এমন ছবি তৈরী করা নিষিদ্ধ এবং এটি বিকৃত করা আবশ্যক।”[সমাপ্ত]

যে ছবিগুলোর ছায়া হয় সেগুলো তো এই মূর্তিগুলোর মত দেহের অবকাঠামোবিশিষ্ট ছবিগুলো।

আর সাহাবায়ে কেরাম বিজিত দেশসমূহে প্রতিমাগুলো না ভাঙ্গার যে কথা বলা হয় সেটি নিছক ভিত্তিহীন ধারণা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীবর্গ মূর্তি ও প্রতিমা রেখে দেয়ার কথা নয়। বিশেষতঃ যেহেতু ঐ যামানায় এগুলোর পূজা করা হত।

যদি বলা হয়: তাহলে এই ফেরাউনদের প্রতিকৃতি, ফিনিকীনদের প্রতিকৃতি কিংবা অন্যান্য প্রতিকৃতিগুলো বিজয়ী সাহাবীগণ কিভাবে রেখে দিলেন?

জবাব হল: এই মূর্তিগুলোর ব্যাপারে তিনটি সম্ভাবনা রয়েছে:

এক. এ মূর্তিগুলো এত দূরবর্তী স্থানে ছিল যে, সাহাবায়ে কেরাম সে সব স্থানে পৌঁছেননি। উদাহরণস্বরূপ সাহাবীদের মিশর জয় করার মানে এটা নয় যে, তারা মিশরের সকল স্থানে পৌঁছেছেন।

দুই. কিংবা সেই মূর্তিগুলো দৃশ্যমান ছিল না। বরং সেগুলো ফেরাউনদের ও অন্যদের বাসাবাড়ীর অভ্যন্তরে ছিল। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ ছিল জালিম ও শাস্তিপ্রাপ্তদের বাসস্থান অতিক্রমকালে দ্রুত গমন করা। বরং ঐ সমস্ত স্থানে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে এসেছে যে, “তোমরা শাস্তিপ্রাপ্তদের এলাকায় প্রবেশ করলে কেবল ক্রন্দনরত অবস্থায় প্রবেশ করবে। যেন তাদেরকে যা পাকড়াও করেছে তোমাদেরকে সেটা পাকড়াও না করে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরবাসীদের এলাকা অতিক্রম করাকালে এ কথা বলেছেন। যেটা ছিল হুদ আলাইহিস সালামের কওম ছামুদ সম্প্রদায়ের বাসস্থান।

সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমের অপর এক রেওয়ায়েতে আছে: “যদি তোমাদের কান্না না আসে তাহলে এদের গৃহে প্রবেশ করো না; যেন তাদেরকে যা পাকড়াও করেছে তোমাদেরকে সেটা পাকড়াও না করে।”

সাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারে যে ধারণা রাখা যায় সেটা হল তাঁরা যদি এদের মন্দির বা বাড়ীঘর দেখেও থাকেন তারা সেগুলোতে প্রবেশ করেননি এবং এগুলোর অভ্যন্তরে যা রয়েছে সেসব তারা দেখেননি।

এর মাধ্যমে সাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক পিরামিড এবং এর মধ্যে যা কিছু ছিল সেগুলো ধ্বংস না করার যে আপত্তি আসতে পারে সেটার জবাব হয়ে যায়। তবে এর সাথে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, সে যামানায় পিরামিডের প্রবেশপথগুলো বালির স্তুপ দিয়ে ঢাকা ছিল।

তিন. বর্তমানে দৃশ্যমান মূর্তিগুলো তখন বালিতে ঢাকা ছিল, অদৃশ্য ছিল কিংবা এগুলো নব আবিষ্কৃত কিংবা এগুলোকে অনেক দূরবর্তী স্থান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে; যে স্থানগুলোতে সাহাবায়ে কেরাম পৌঁছেননি।

ইতিহাসবিদ যিরিকলিকে পিরামিড ও আবুল হুল (একটি মূর্তির নাম) ইত্যাদি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় যে, যে সকল সাহাবী মিশর প্রবেশ করেছেন তারা কি এগুলোকে দেখেছেন? জবাবে তিনি বলেন: এ মূর্তিগুলোর অধিকাংশই ছিল বালিতে ঢাকা। বিশেষতঃ আবুল হুল।[শিবহু জাযিরাতিল আরব (৪/১১৮৮)]

যদি ধরে নেয়া হয় যে, কোন একটি মূর্তি দৃশ্যমান ছিল; বালিতে ঢাকা ছিল না; সেক্ষেত্রেও সাহাবীরা ঐ মূর্তিটিকে দেখেছেন এবং তারা ঐ মূর্তিটি ভাঙ্গতে সক্ষম ছিলেন এটা সাব্যস্ত হওয়া আবশ্যক।

বাস্তবতা হচ্ছে কোন কোন মূর্তি ধ্বংস করতে সাহাবায়ে কেরাম অক্ষম ছিলেন। কেননা এ ধরণের কোন কোন মূর্তি ভাঙ্গতে মেশিনারি, যন্ত্রপাতি, বিস্ফোরক ও লোকবল থাকা সত্ত্বেও বিশদিন সময় লেগেছে; যেগুলো সাহাবীদের যামানায় ছিল না।

সাহাবীরা যে এগুলো ভাঙ্গতে অক্ষম ছিলেন এর প্রমাণ হল যা ইবনে খালদুন তাঁর ‘মুকাদ্দিমা’-তে (পৃষ্ঠা-৩৮৩) উল্লেখ করেছেন যে, একবার খলিফা আর-রশিদ পারস্যের বাদশার প্রাসাদ ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি সেটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করে দেন এবং এর লক্ষ্যে লোকবল জমায়েত করেন, কুঠার সংগ্রহ করেন, প্রাসাদটিকে আগুনে উত্তপ্ত করেন, এর উপরে শির্কা ঢালেন। কিন্তু অবশেষে তিনি ব্যর্থ হন। এবং খলিফা মামুন মিশরের পিরামিডগুলো ভাঙ্গার লক্ষ্যে হাতি জড়ো করেন। কিন্তু তিনিও সক্ষম হননি।

আর মূর্তিগুলো না ভাঙ্গার পক্ষে এ কথা বলে কারণ দর্শানো যে, এ মূর্তিগুলো মানব ঐতিহ্য- এমন কথার প্রতি দৃষ্টিপাতের সুযোগ নাই। কেননা লাত, উজ্জা, হুবাল, মানাত ও অন্যান্য মূর্তিগুলোর যারা পূজা করত কুরাইশরা কিংবা আরব উপদ্বীপের অন্যান্য লোকেরা তাদের নিকট এগুলো তো মানব ঐতিহ্যই ছিল।

এগুলো ঐতিহ্য ঠিকই; কিন্তু হারাম ঐতিহ্য যা ধ্বংস করা ওয়াজিব। যখন আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ এসে যায় তখন একজন মুমিন দেরী না করে সে নির্দেশ পালন করে। এ সমস্ত দুর্বল যুক্তি দিয়ে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের আদেশকে প্রত্যাখ্যান করে না। আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “রাসূল তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবেন, এই উদ্দেশ্য যখন তাদেরকে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের দিকে ডাকা হয় তখন মুমিনদের কথা হয় এটাই: তারা বলে আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। আর তারাই সফলকাম।”[সূরা নূর, আয়াত: ৫১]

আমরা আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন সকল মুসলিমকে তিনি যা পছন্দ করেন ও যেটার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট তা পালন করার তাওফিক দেন।

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

১৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩০

অগ্নিবেশ বলেছেন: এগুলো সহি মুসলিম মুমিনভাইদের পেজ থেকে কপি করা তথ্য।
https://islamqa.info/bn/answers/20894/মরত-ভঙগর-আবশযকত

পারলে এই পেজের এডমিন কে ধরেন, আর না পারলে মুর্তির স্বপক্ষে তাকে প্রমোট করে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, এতে অনেকের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগে। আপনার সাথে আমার কোনো শত্রূতা নেই। আমি মুমিনদের ভালোবাসি, অর্ধ-মুসলিমদের পথ দেখাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.