নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিতীয় মানব – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৪

বইয়ের নাম : দ্বিতীয় মানব
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০০২
প্রকাশক : অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬৪ টি



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট


কাহিনী সংক্ষেপ :
খলিলুল্লাহ সেই নেত্রকোনা থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকায় টুনটুনিদের বাড়িতে এসেছে টুনটুনির বাবার সাথে দেখা করতে। গ্রামে সে মাটি কাটার কাজ করতো। সেখানকার স্কুলের হেডমাস্টার একটা চিঠিতে লিখেছে খলিলুল্লাহর অদ্ভূত ক্ষমতা আছে, সেই চিঠি নিয়েই খলিলুল্লাহ এসেছে। পরে দেখাগেল খলিলুল্লাহ পানির নিচে ডুব দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা থাকতে পারে, যেকোন ইলেকট্রনিক নষ্ট যন্ত্র সে চোখের নিমিষেই ঠিক করে ফেলতে পারে। যদিও খলিলুল্লাহ অশিক্ষিত, যন্ত্র সম্পর্কে তাঁর কোন ধারনাই নেই।

টুনটুনির বাবা খলিলুল্লাহর এই বিষয়গুলি দেখে টেনশনে পরে গেল। সে তাঁর বন্ধুকে বিষয়টি জানালো। বন্ধুর পরামর্শে খলিলুল্লাহর ডাক্তারি পরীক্ষা করে জানা গেলো সে স্বাভাবিক একজন মানুষ। কোন রোবট বা জ্বীন-টিন কিছু না। তখন টুনটুনির বাবার বান্ধু বললো খলিলুল্লাহ সুপার হিউম্যান টাইপ কিছু হতে পারে। বিবর্তনের মাধ্যমে যেমন আজকের মানুষ এসেছে তেমনি এই মানুষ থেকেই এক সময় আর উন্নত মানুষ তৈরি হবে। তারা হবে সুপার হিউম্যান।

এদিকে টুনটুনির সাথে খলিলুল্লাহর খুব ভাব হয়ে গেলো। টুনটুনি তার নতুন নাম রাখলো অরণ্য। টুনটুনির সাথে আলাপ করার সময় খলিলুল্লাহ জানালো তার পুরনো কোন কথাই মনে নাই, তার মা বাবার কথা মনে নাই। ছোটবেলায় একবার খুব জ্বর হওয়ার পর থেকেই সে সব ভুলে গেছে, তারপর থেকেই সে এমন হয়ে গেছে।

খলিলুল্লাহ যখন জানলো টুনটুনির মা মারা গেছে সেই ছোট বেলায়, তাই টুনটুনির তার মায়ের কথা কিছুই মনে নেই। তখন অরণ্য ঠিক করল সে এমন একটা যন্ত্র বানাবে যেটা দিয়ে পুরনো কথা যা অনেক বছর আগে বলা হয়েছে তা উদ্ধার করে শোনা যাবে। খলিলুল্লাহ নানান ধরনের টুকি টাকি যন্ত্রাংশ দিয়ে টুনটুনির জন্য সেই অদ্ভুত যন্ত্র তৈরি করে ফেললো।

টুনটুনির বাবার মনে হলো খলিলুল্লাহর মত মানুষ যারা আসলে দ্বিতীয় মানবদের দলে বর্তমান সময়ের মানুষদের মাঝে তারা অতি বিপদজনক। তাই তিনি তার বিশ্বস্ত লোক দিয়ে খলিলুল্লাহকে মেরে ফেলের জন্য ব্যবস্থা করলো। ঠিক তখনই ভিষণ জ্বরে আক্রান্ত টুনটুনি বাথটাবের জলের তলে ডুবে গিয়ে বুঝতে পারে তার জলের নিচে থাকতে কোন সমস্যা হচ্ছে না, সে শুনতে পেলো কারা যেন বলছে দ্বিতীয় মানবদের মাঝে স্বাগতম তোমাকে।

----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: খুব অল্প কথায় বইটির ধারণা পাওয়া গেল।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
অল্প কথায় মোটামুটি একটা ধারনা দেয়ার চেষ্টাই করি আমি।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: বইটি পড়েছি। চমতকার বই। আপনি কাহিনী সংক্ষেপ খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সত্যি বলতে আমি যখন উপন্যাসটি পড়েছি তখন প্রত্যাশা ছিলো আরো অনেক বেশী। সেই কুলনায় একটু কমই পেয়েছিলাম।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫২

সাসুম বলেছেন: বইটির একটা জিনিষ দাগ কেটেছিল- সেটা হল টুন্টুনির বাবাই তার মা'কে খুন করিয়েছিল। খলিলুল্লাহর বানানো যন্ত্রে টুন্টুনির মা যদি সব এসে বলে দেয় সে ভয়েই খলিলুল্লাহ কে ইটভাটায় পুড়িয়ে মেরেছিল টুনটুনির বাবা।

বইটা দাগ কেটে গিয়েছিল সেই ছোটবেলায় মনে! একটা বিদেশী গল্প অবলম্বনে লিখা!

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
এই উপন্যাটি আরো অন্যরকম আশা করেছিলাম। পড়ার আগে পত্রিকাগুল যেভাবে হাইপ উঠিয়েছিলো তাতে পড়ার পরে মন ভরে নি।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সংক্ষেপে একটা ধারণা পাওয়া গেলো।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ঠিক তাই, এতে করে অনেকেরই পড়ার আগ্রহ তৈরি হতে পারে। আর যারা আগে পড়েছেন তাদের কাহিনী মনে পড়ে যাবে।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এটা পড়িনি। গত কয়েকদিন হিমুর মধ্যদুপুর আবার পড়ছি। উনার উপন্যাস যত পড়ি তত ভাল লাগে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
হুমায়ূন আহমেদে উপন্যাস একাধীক বার পড়া যায়।

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৬

কামাল৮০ বলেছেন: আমি আগে পড়িনি।এখন মনে হয়,না পড়ে ভুল করেছি।দেখি পিডিএফ পাওয়া যায় কিনা।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
পিডিএফ আছে। একটু খুঁজলেই পেয়ে যাবেন।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ধন্যবাদ !

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: স্বাগতম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.