নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেষ্ট কবির কষ্টে কথা - ১

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৮

কালিকচ্ছ কুমারপাড়ার কিষাণ কুটিরের কর্ণধার কমল কুমারের কনিষ্ঠ কাকু কেষ্ট। কেউ কেউ কেষ্টরে কবি কেষ্ট' করেও কয়। কিছুকাল কবিতায় কাব্যেও কির্তনে কাজ করেছে কেষ্ট। কেষ্টর কণ্ঠে কিনা কঠিন কারুকাজ। “কিন্তু কপাল কুন্ডলা কেষ্ট”। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে কণ্ঠরুদ্ধ কেষ্টর।


উপরের গদ্যাংশের প্রতিটি শব্দের শুরু হয়েছে বর্ণটি দিয়ে। এমন অনেক আছে আমাদের জানা। এমন ছোটখাটো লেখা আপনার আমার প্রায় সকলের পক্ষেই ধৈর্য আর সময় ব্যয় করলে তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু যদি বলি ১০ পাতার একটি গদ্যাংশ লিখুন এমনি করে। কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন ১০ পাতা নয় বরং অর্ধশত পাতার উপন্যাস লিখেছেন একজন শুধু ক দিয়ে শুরু শুব্দ ব্যবহার করে। আরো অবাক হবেন এটা যেনে যে তিনি ১টি নয়, বরং ৩টি উপন্যাস তিনি লিখেন এইভাবে।



সরদার মোঃ নাজমুল কবির ইকবাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই লেখক ইসমোনাক ছদ্মনামে লিখেছেন এই ৩টি উপন্যাস। তিনটি বইতে মোট ২৭,০০০ শব্দ রয়েছে, যার প্রতিটি শব্দ শুরু হয়েছে বর্ণ দিয়ে। উপন্যাসের শেষে প্রধান চরিত্রের মৃত্যু হবার শব্দটি ‘ক’ দিয়ে মেলাতে না পরে শেষ পর্যন্ত কুপোকাত শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

বইটি এখনো আমার পড়ার সুযোগ যদি, ফলে এর ভালো মন্দ কিছুই বলতে পারছি না। কাহিনী সম্পর্কে কোনোই ধারনা না থাকলেও শুধ ক দিয়ে শুরু শব্দ ব্যবহার করে এমন সাহিত্য রচনা বাংলায় এই প্রথম। এই ধরনের সাহিত্যকে বলে টটোগ্রাম। বাংলা সাহিত্যে টটোগ্রাম উপন্যাসের এটাই প্রথম প্রচেষ্টা।

২০১০ সালে প্রকাশিত হয় ইসমোনাকের প্রথম বই।
বইয়ের নাম : কেষ্ট কবির কষ্টগুলো

প্রথম প্রকাশ : ২০১০ ইং
প্রকাশক : প্রজন্ম পাবলিকেশন
শব্দ সংখ্যা : ৭,০০০ টি

বইটির প্রথম কয়েক পতার নমুনা-
কালিকচ্ছ কুমারপাড়ার কিষাণ কুটিরের কর্ণধার কমল কুমারের কনিষ্ঠ কাকু কেষ্ট। কেউ কেউ কেষ্টরে কবি কেষ্ট' করেও কয়। কিছুকাল কবিতায় কাব্যেও কির্তনে কাজ করেছে কেষ্ট। কেষ্টর কণ্ঠে কিনা কঠিন কারুকাজ। “কিন্তু কপাল কুন্ডলা কেষ্ট”। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে কণ্ঠরুদ্ধ কেষ্টর। কালিকচ্ছের কাজী কটেজের কাছে কামরাঙ্গিতলায় কুঁড়ের কুটিরে কোষ্ঠকাঠিন্যে কোনক্রমে কাল কাটায় কেষ্ট। কিছুকাল কাজীর কটেজে কাজ করেছিল, কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে কাজী কটেজেও কাজ করছেনা কিছুকাল। কেমনেইবা করবে। কাজ করাতাে কেষ্টর কাছে কঠিন। কঠিন কাজ কেষ্ট করবে কেমন করে। কাজ কাম করেনা, কাগজ কড়িও কামাই করেনা, কান্তু কড়ি কামাইনা করলে, কাম কাজ করলে কষ্টতাে করবেই। কেষ্টর কেবলই কষ্ট কেবলই কষ্ট। কত কিযে কষ্ট কেষ্টর, কেমনে কমু কষ্টের কথা। কেষ্টর কাকীমা কুসুম কলি কইল “কেষ্টরে, কষ্টের কথা কেউরে কইসনা। কইয়া কাম কি? কইলে কেবল করুণাই করবে। কটাক্ষ করে কথা কইবে।” কাকীমার কথায় কেষ্ট কষ্টেই কাল কাটাচ্ছে। কিন্তু কাউকে কয়না। কষ্ট করে, কেবলই কষ্ট করে “কষ্ট করাটাই কেবল কেষ্টর কাজ।"

কত কিযে কষ্ট কপাল কুন্ডলা কেষ্টর। কেমন করে কমু কেষ্টর কষ্টের কথা। কড়ির কষ্ট, কাগজের কষ্ট, কুঁড়ে কুটিরে কাঁথা কাপড়ের কষ্ট, কাম কাজ করার কষ্ট, কলমের কষ্ট, কালাে কালাে কষ্ট, কমলা কালার কষ্ট, কেষ্টর কেবলই কষ্ট। কমল কান্তের কনিষ্ট কুমারী কন্যা কমলারে কাছের করে করে কাবিন করে কালনা কাটানাের কষ্ট। কেষ্টর কেবল কষ্ট, কেবলই কষ্ট। কমল কান্তের কন্যা কংকনাকেও কইছিল, কংকনারে কাবিন করে, কাছের করে কামরাঙ্গিতলার কুঁড়ের কুটিরে কাল কাটাবে। কিন্তু কংকনা কেষ্টরে কাবিন করে কুঁড়ের কুটিরে কাল কাটায়নি। কেষ্টর কথায় কর্ণপাত করেনি। কিন্তু কেষ্টর কলিজার কোমল কুঠরির কঠিন কঠিন কথাগুলােকে কলঙ্কিত করেছে।

কিন্তু কেষ্ট! কষ্টের কথাগুলাে কারে কইব, কেমন করে কইব, কীভাবে কইব, কারে কইলে কেষ্টর কষ্ট কমবে?

কষ্টের কথা কি কেউ কর্ণপাত করে? করেনা। কেষ্টর কষ্টের কথা কেউ কর্ণপাত করবেনা। কি করবে কেষ্ট? কেমন করে কাল কাটাবে? কেষ্টর কাকিমা কুসুমকলি কালিকচ্ছের কয়েকজন কবিকে কইল; কবিগণ, কয়েকটা কথা কই।।

কবিগণ কইলেন; কও কুসুমকলি কও। কী কথা কইবা কও! কুসুমকলি কয়: কে কোথায়, কখন, কারাে কাছে কথাগুলাে কইছিল কিনা কমু কেমনে, কিন্তু কমু, কথাগুলাে কমু, কুসুম কোমল করে কুকিল কণ্ঠে কমু। কঠিন কঠোর কষ্টের করে কর্ণপাত করুন। কেননা কথাগুলাে কাজের কথা। কঠোর কঠিন কষ্টের কথা। কর্ণপাত করুণ, কবিগণ কর্ণপাত করুন। কাহিনীটি কবিগুরু কায়কোবাদের কওয়া কেষ্টর কঠিন কষ্টের কাহিনী। কবি কেষ্টর ক্রান্তিকালের কিছু করুণ কাব্য কথা।

কেউ কেউ কইবেন: কওতাে, কওতাে, কেমনতর করুণ কাব্য কথা। কেউ কেউ কইবেন, কাব্য কথা কীসের? কাব্য কথা কইয়া কাম কী? কিন্তু কবিগুরু কায়কোবাদ কী কয় কনতাে? কেমনেই বা কইবেন? কানেতাে কোন কাজ করেনা। কানে কাজ করলে কবিগুরু কী কয় কইতেন কিংবা কর্ণপাত করতেন।

কবিগণ কহে: কবিগুরু কায়কোবাদ কী কয়? কবিগুরু কায়কোবাদ কয় কৃপা করাে করুণাময়ী কৃপা করাে, করুণা করাে কঠিন কালের কর্তা। কেষ্টরে কৃপা করাে। কতনা করুন কণ্ঠে কেষ্ট কবিতা কইত। কির্তণ কইত। কিন্তু কোথায়! কোথায় কেষ্টর কষ্টের কবিতা। কোথায় কেষ্টর করুণ কির্তণ। কোথায়?

কোথায়? কৃপা করাে করুণাময়ী করুণা করাে। কেষ্টরে কৃপা করাে কেননা কেষ্ট কঠিন কপালকুণ্ডলা। কেষ্টরে কৃপা করাে। কিন্তু কপাল, কপালের কষ্টের কথা কেপারে কইতে?
কবি কালিপদ কয়: কবিগুরু কায়কোবাদের কথাই কন। কবিগণ কইলেন: কী কইবেন কবিগুরু কায়কোবাদের কপালের
কথা?
কালিপদ কয়: কেমন কপাল কবির, কয়েকটা কাঠের কারখানা, কয়টা কাপড়ের কল, কিন্তু...
কবিগণ কহে: কিন্তু কী?
কালিপদ কয়: কইতেছি।
কবিগণ কয়: কও কও; কবিগুরু কায়কোবাদের কথা কও।



লেখক ঠিক এভাবেই লিখেছেন ৭,০০০ শব্দের এই বইটি। সুযোগ হলে পড়ে দেখার ইচ্ছে রইলো আমার। আপনাদের কারো কাছে বইটির পিডিএফ কপি থাকলে শেয়ার করতে পারেন।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ প্রতিভা। এমন প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেয়া উচিত। এটা বহু পরিশ্রমের কাজও বটে।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অবশ্যই এটি পরিশ্রম এবং ধর্যের কাজ। বাংলা সাহিত্যে নতুন একটি ধারা এটি- টটোগ্রাম

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার সংগ্রহে আছে বছর তিনেক হলো। চমতকার একটা বই।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমারও বইগুলি পড়ে দেখার ইচ্ছে আছে।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: উনি ২০ বছর গবেষণা করে যে কষ্ট সাধ্যের কাজটি করেছেন এজন্য উনাকে পুরুষ্কৃত করা উচিৎ ছিল এবং উনার গবেষণা চালিয়ে যাবার একটা ব্যবস্থা করা দরকার ছিল। অথচ একটি নিউজের পর উনাকে নিয়ে আর তেমন কোন নিউজ চোখে পড়েনি। ৩০ কোটি মানুষের মুখের ভাষা এই বাংলা ভাষা যে কতটা সমৃদ্ধ তা উনি তা দেখিয়ে দিছেন।
আমি চাই অর্থ কষ্টে থাকা এই লেখকের বই সবাই কিনে পড়ুক, পিডিএফ নয়।
ধন্যবাদ।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার সাথে মোটামুটি সহমত আমি।
অবশ্যই এটি পরিশ্রম এবং ধর্যের কাজ। বাংলা সাহিত্যে নতুন একটি ধারা এটি- টটোগ্রাম।
এই হিসেবে অবশ্যই উনাকে পুরুষ্কৃত করা উচিৎ। এবং এমন আরো কিছু যাতে তিনি সৃষ্টি করতে পারেন সেই জন্য হলেও উনাকে সাপোর্ট দেয়া উচিত সব রকম।

বই কিনলে লেখক রয়ালিটি পাবে বলে আমার মনে হয় না।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এমন প্রতিভাধর কবিকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে
পুরস্কৃত করার দাবী জানাই।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইনি কবি নন।
তবে বিরল প্রদিভা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৭

অপ্‌সরা বলেছেন: বাপরে!!

এতই ক প্রীতি!!!!!!!!!!!

ইসমোনাক না লিখে কিসকোকাক লিখলেই পারতো।

নিদেন পক্ষে কিসমোনাক! :)

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
কিসমোনাক টাই ভাল।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,




এভাবে লেখাকে যে "টটোগ্রাম" বলে তা এই প্রথম জানলুম। জানলুম, নাজমুল কবিরের নামটা্ও । একটা অসাধ্য আর অকল্পনীয় কাজ করেছেন তিনি। সর্বোত্তম প্রশংসার যোগ্য অবশ্যই।
এমন একটি লেখার জন্যে আপনি্ও ধন্যবাদের যোগ্য।

আমি্ও স্কুল জীবনের মাঝামাঝি সময়ে এই রকম একটি গল্প পড়েছিলুম ----
কারমাইকেল কলেজের কিছু কাছে কেশরীকান্ত কাজ করিত। কমলা কেশরীর কন্য। কাকভোরে কমলা কলসী কাঁখে কলের কাছে কেলি করিত.......... ( এইটুকুই মনের মধ্যে এখন্ও জেগে আছে। )

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই ব্যক্তির ধৈর্য সম্পর্কে আমার কোনো সন্দেহ নাই।
আমার ধারনা উনাকে একটি ভালো পরিবেশ, পর্যাপ্ত বই, একটি ইন্টারনেট সংযোগ সহ কম্পিউটার এবং এটি ব্যবহারের সঠিক প্রশিক্ষণ ও কিছুটা আর্থিক চিন্তামুক্ত রাখতে পারলে আরো কিছু এমন টটোগ্রাম সাহিত্য বাংলা ভাষায় যুক্ত হবে।

আপনার দেয়ে ক-এর কথার মতো আরো অনেকগুলি ভ্যারাইটি আছে।
কারমাইকেল কলেজের কিছু কাছে কলোম্বো ক্যামিক্যাল কোম্পানীতে কাজ করিত কেশরীকান্ত। কেশরীকান্তের কনিষ্ঠা কন্যা কমলাকান্ত। কমলাকান্ত কেশে ক্লীপ, কন্ঠে কুন্ঠলীর কারণে কেবলই ক্রন্দন করিত। কেশরীকান্ত কহিত: “কমলা ক্রন্দন করিওনা। কড়িতে কুলায় না। কায়-ক্লেশে কোন ক্রমে কালাতিপাত করিতেছি।” কোন কারণে কথাটি কর্মচারীদের কর্নগোচর করিল। কেন কর্মচারীদের কর্ণগোচর করিল কহিয়া কর্মচারী-কর্মচা
রীরা কিলাকিলী করিল। কারনে কথাটি ক্রমে কর্তার কর্ণগোচর করিল। কর্তা কেশরীকান্তের কিছু কড়ি কাড়াইল। কারণটি কেশরীকান্তের কড়ি কাড়াইবার কারণ করিল।


বাকিগুলি দেখতে চাইলে - ক কাব্যের কচকচানি দেখতে পারেন।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দারুণ রিভিউ।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আসলে এটি রিভিউ বলা ঠিক হবে না। বরং বই এবং লেখকের প্রচারণা বলতে পারেন।

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৮

কামাল৮০ বলেছেন: মূল্যহীন পরিশ্রম।অকারন সময় নষ্ট।

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
দুনিয়ার সভ্যতাটাই মূল্যহীন পরিশ্রম, অকারন সময় নষ্ট।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪২

কামাল৮০ বলেছেন: সভ্যতার সাতে এটার কি সম্পর্ক।দুঃখবাদী চিন্তা।জগত মিথ্যা,জীবন মিথ্যা,সভ্যতা মিথ্যা।একমাত্র পরকালই সত্য।যার কোন প্রমান নাই।বেঁচে আচেন এটা চরম সত্য,তার পরও এটাই মূল্যহীন।অকারন সময় নষ্ট।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমার মন্তব্যের সাথে ইহোকাল-পরকাল কি করে যুক্ত হলো?
আপনার কাছে সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা মূল্যহীন পরিশ্রম।অকারন সময় নষ্ট। মনে হয়েছে।
সভ্যতার সাথে সাহিত্যের যোগসূত্র আপনার দৃষ্টিগোচর হয়নি। তাই সভ্যতাও একই পাল্লার।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫২

কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাল প্রতিভা বলতেই হয়!
তবে ৭০০০ শব্দের লেখাকে আমার মনে হয় উপন্যাস বলা ঠিক না! এটা গল্প/বড় গল্প বলা যেতে পারে বড় জোড়!

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
হয়তো তাই।
তবুও প্রায় ৫০ পাতা একেবারে কম নয়।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: বইয়ের সন্ধান যদি পান আমাকে জানানোর অনুরোধ রইলো । পিডিএফ কিংবা কাগুজে বই যারই সন্ধান পান জানাবেন ! অবশ্যই পড়বো ।

এভাবে প্রতিটি শব্দ একই অক্ষর দিয়ে শুরু করে ২৭০০০ শব্দ লেখা কিন্তু সহজ কথা নয় !

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌
আমাদের জুল ভার্ন ভাইয়ের কাছে নাকি বইটি আছে।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ২:২৭

কামাল৮০ বলেছেন: এটা একটা সাহিত্য । বাংলা সাহিত্যের এতো এতো সাহিত্যিক কে কবে এমন কাজ করেছে।বিশ্ব সাহিত্যের কে এমন অপচেষ্টা করছে।
ইহকাল পরকাল আসলো এই জন্য যে,আপনি বলেছেন,সভ্যতাটাই মূল্যহীন।পৃথিবীর প্রায় সকলের চেষ্টা আর একটু উন্নত জীবন,আর একটু সভ্য জীবন আর আপনার কাছে সেটা মূল্যহীন।তাহলে কোন জীবন মূল্যবান।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনি আবারও ভুল করেছেন এবং ভুল বুঝেছেন।
আপনি আমার লেখা পোস্টটি পড়েননি। বিশ্ব সাহিত্যে এটি একটি বিশেষ ধারা। এর জন্য বিশ্ব সাহিত্যে আলাদা একটি নাম আছে - "টটোগ্রাম"। হয়তো আপনার কাছে এই ধারাটি অপরিচিত। তারপরেও বিশ্বের নানান ভাষাতেই এই টটোগ্রাম সাহিত্যের চর্চা আছে। উইকি থেকে উদাহরন দিচ্ছি-

ইংরেজি টটোগ্রাম
Truly tautograms triumph, trumpeting trills to trounce terrible travesties.

Idiots innately irksome inflame inactive ire instantly into infuriating internal infernos igniting intense incendiary intent.

Five funny features feel fairly finished for forum fodder, foolish followers falsely fancy, for failing further focus fueling full foresight, fellow fiction fanciers frankly forget fundamental facts framing fruits from frenzied freelancing, for first fragments flowing from frantic freshman fingers frequently fall flat, forming forced, flawed fakeries feigning fluency, faded facsimiles fractionally fitting for fatuous Facebook flapdoodle, familiar formulaic fragments famously fouling friends' feeds; fine, for furthermore, fascinatingly, first forays facing far-flung fringe frontiers, finding faith's fortitude ferociously fighting formidable foes—fear, frustration, flaky functioning, foot fungus—forge foundations for future feats, figurative furniture for fortune's foyer, faintly favoring fantastic fairytale fates, fervently foremost finally finishing forever.

আর্মেনীয়
Զինված զինվորի՝ Զոհն էր զինվորը զինված


Շախմատամրցումը շահած

Շուշանագույն շքեղ

Շիֆոնե շրջազգեստով

Շառագույն շրթնաներկոտ շրթունքներով

Շշիկահեր շնորհալի Շենավանցի

Շքեղիրա՛ն շախմատիստուհի

Շողիկ Շաքարյանը

Շատ-շատ շնորհակալ

Շփոթվաց ու շոյված էր

Շրջապատող շատամարդ

Շնորհքով շախմատասերների

Շռայլ շնորհավորանքներից...


বেলারুশীয়
Адзін Армэн-аратар, ах, арыгінальнічаў - апроч аральнічаць, Армэн ашчэ анальнічаў.


ইতালীয়
Aristotele, ancora adolescente, aveva avuto accesso all’associazione accademica.

Appena apprese abbastanza, abbandonò Atene andando ad abitare ad Atarneo.

Adulto, avviò alcuni allievi all’astronomia, all’aritmetica, all’anatomia, all’arte amatoria.

– Adesso argomenteremo attorno agli affetti, – affermò Aristotele avvicinandosi adagio ad Alessandro, accomodandoglisi accanto. – Ascoltami anziché addormentarti.


লাতিন
Król Karol kupił królowej Karolinie korale koloru koralowego.


রুশ (রাশীয়)
Ленивых лет легко ласканье,

Луга лиловые люблю,

Ловлю левкоев ликованье,

Легенды ломкие ловлю.

Лучистый лён любовно лепит

Лазурь ласкающих лесов.

Люблю лукавых лилий лепет,

Летящий ладан лепестков.

রুশ ভাষায় টোটোগ্রামের আরেকটি উদাহরণ
Пётр Петрович Петухов, поручик пятьдесят пятого Подольского пехотного полка, получил по почте письмо, полное приятных пожеланий. «Приезжайте, — писала прелестная Полина Павловна Перепёлкина, — поговорим, помечтаем, потанцуем, погуляем, посетим полузабытый, полузаросший пруд, порыбачим. Приезжайте, Пётр Петрович, поскорее погостить».

Петухову предложение понравилось. Прикинул: приеду. Прихватил полуистёртый полевой плащ, подумал: пригодится.

Поезд прибыл после полудня. Принял Петра Петровича почтеннейший папа Полины Павловны, Павел Пантелеймонович. «Пожалуйста, Пётр Петрович, присаживайтесь поудобнее», — проговорил папаша. Подошёл плешивенький племянник, представился: «Порфирий Платонович Поликарпов. Просим, просим».

Появилась прелестная Полина. Полные плечи прикрывал прозрачный персидский платок. Поговорили, пошутили, пригласили пообедать. Подали пельмени, плов, пикули, печёнку, паштет, пирожки, пирожное, пол-литра померанцевой. Плотно пообедали. Пётр Петрович почувствовал приятное пресыщение.

После приёма пищи, после плотного перекуса Полина Павловна пригласила Петра Петровича прогуляться по парку. Перед парком простирался полузабытый полузаросший пруд. Прокатились под парусами. После плавания по пруду пошли погулять по парку.

«Присядем», — предложила Полина Павловна. Присели. Полина Павловна придвинулась поближе. Посидели, помолчали. Прозвучал первый поцелуй. Пётр Петрович притомился, предложил полежать, подстелил полуистёртый полевой плащ, подумал: пригодился. Полежали, повалялись, повлюблялись. «Пётр Петрович – проказник, прохвост», — привычно проговорила Полина Павловна.

«Поженим, поженим!», — прошептал плешивенький племянник. «Поженим, поженим», — пробасил подошедший папаша. Пётр Петрович побледнел, пошатнулся, потом побежал прочь. Побежав, подумал: «Полина Петровна – прекрасная партия, полноте париться».

Перед Петром Петровичем промелькнула перспектива получить прекрасное поместье. Поспешил послать предложение. Полина Павловна приняла предложение, позже поженились. Приятели приходили поздравлять, приносили подарки. Передавая пакет, приговаривали: «Прекрасная пара».


ইউক্রেনীয়
Сипле, стелить сад самотній

Сірий смуток, срібний сніг.

Сумно стогне сонний струмінь,

Серце слуха скорбний сміх.

Серед саду страх сіріє.

Сад солодкий спокій снить.

Сонно сиплються сніжинки.

Струмінь стомлено сичить.

Стихли струни, стихли співи,

Срібні співи серенад,

Срібно стеляться сніжинки —

Спить самотній сад.

ইউক্রেনীয় ভাষায় টোটোগ্রামের আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে
"Перший поцілунок". "Популярному перемиському поету Павлові Петровичу Подільчаку прийшло поштою приємне повідомлення? "Приїздіть, Павле Петровичу, - писав поважний правитель Підгорецького повіту Полікарп Пантелеймонович Паскевич, - погостюєте, повеселитеся". Павло Петрович поспішив, прибувши першим поїздом. Підгорецький палац Паскевичів привітно прийняв приїжджого поета. Потім під'їхали поважні персони - приятелі Паскевичів... Посадили Павла Петровича поряд панночки - премилої Поліпи Полікарпівни. Поговорили про політику, погоду. Павло Петрович прочитав підібрані пречудові поезії. Поліна Полікарпі пограла прекрасні полонези Понятовського, прелюдії Пучіні. Поспівали, пісень, потанцювали падеспан, польку. Прийшла пора - попросили пообідати. Поставили повні підноси пляшок: портвейну, плиски, пшеничної, підігрітого пуншу, пива, принесли печених поросят, приправлених перцем, півники, пахучі паляниці, печінковий паштет, пухкі пампушки під печеричною підливою, пироги, підсмажені пляцки. Потім подали пряники, персикове повидло, помаранчі, повні порцелянові полумиски полуниць, порічок. Почувши приємну повноту, Павло Петрович подумав про панночку. Поліна Полікарпівна попросила прогулятися Підгорецьким парком, помилуватися природою, послухати пташині переспіви. Пропозиція повністю підійшла прихмілілому поету. Походили, погуляли... Порослий папороттю прадавній парк подарував приємну прохолоду. Повітря п'янило принадними пахощами. Побродивши парком, пара присіла під порослим плющем платаном. Посиділи, помріяли, позітхали, пошепталися, пригорнулися. Почувсь перший поцілунок: прощай, парубоче привілля, пора поету приймакувати".


সাহিত্য ছাড়া সভ্যতা কি করে দাঁড়ায় আমার মাথায় আসে না।
আপনার মাথায় আসলে আপনাকে অভিনন্দন।

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৬

কামাল৮০ বলেছেন: সাহিত্যর দুটি ধারা।একটি হলো সাহিত্যের জন্য সাহিত্য, অন্যটি জীবনের জন্য সাহিত্য।আমি দ্বিতীয় দলে।যে সাহিত্যে জীবনের কথা নেই,আমি সেখানে নাই।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেশ, বুঝে পেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.