নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতির খেয়াল - ০৬

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৩

১ : রংধনু রাঙ্গা মাছ

রংধনু রাঙ্গা এই মাছটির নাম Rose-Veiled Fairy Wrasse যা মালদ্বীপের সমূদ্রের ঢেউয়ের নীচের কোরাল প্রাচীর এলাকায় বসবাস করে। এটিকে জীবন্ত রংধনু বললে কোনো ভুল হবে না। এর বৈজ্ঞানিক নাম সিরহিলাব্রাস ফিনিফেনমা। মালদ্বীপের জাতীয় ফুল হচ্ছে গোলাপী গোলাপ। আর স্থানীয় ভাষায় "ফিনিফেনমা" মানে হচ্ছে "গোলাপ"
ছবি: ফেসবুক



২ : পিতা!!

মা জাউফিশ (Jawfish) ডিম দিয়েই খালাস। বেচারা বাবা সেই ডিমগুলি ফুটে বাচ্চা জন্মানো পর্যন্ত নিজের মুখের ভিতরে রেখেই শিকারিদের হাত থেকে ডিম ও বাচ্চাদের হেফাজত করে যায়। তবে পুরুষটির ভাগ্য ভালো। মাত্র ৫ থেকে ৭ দিনেই তার ডিউটি শেষ হয়।
ছবি: সংগৃহীত




৩ : হাতির দাঁত

তানজানিয়ার কাছে মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো এলাকায় বিশাল দাঁতাল এই হাতিটিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিলো। এতো বড় দাঁতাল হাতি খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। এই হাতিটির প্রতিটি দাঁতারে ওজন আনুমানিক ৯০ কেজি হবে।
ছবি: মোহাম্মদ মির্জা



৪ : সাঁতার কাটার ইচ্ছে আছে?

ধারনা করা হয় ব্রাজিলের প্যান্টানালের জলাভূমিতে প্রায় এক কোটি ইয়াকেয়ার ক্যাম্যান (yacare caimans) বা কুমিরের বসবাস। ছবিতে যে কয়টি কুমির দেখছেন সেখানেই শেষ নয়। তাদের পিছনে যতগুলি চকচকএ উজ্জ্বল বিন্দু দেখা যাচ্ছে তাদের প্রতিটি বিন্দুই কুমিরের চোখ। ফলে এটি সাঁতার কাটতে যাওয়ার সেরা জায়গা গুলির মধ্যে একটি নাও হতে পারে আপনার জন্য।
ছবি: লুসিয়ানো ক্যান্ডিসানি



৫ : ভিন গ্রহের প্রাণী!!

প্রেয়িং ম্যান্টিস (Praying mantis) কে প্রথম দর্শনে ভিনগ্রহের প্রাণী মনে হলেও এরা আমাদের পৃথিবীরই বাসিন্দা। এই পোঁকাদের প্রায় ২,৪০০ প্রজাতি আছে। দেখতেই পাচ্ছেন এদের দুটি চোখ আছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এদের মাত্র একটি কান, সেটি থাকে আবার তাদের পেটের নীচে। এরা আল্ট্রাসাউন্ড শব্দ সনাক্ত করতে পারে।
ছবি: ফেসবুক


=======================================================================

প্রকৃতির খেয়াল - ০১, প্রকৃতির খেয়াল - ০২, প্রকৃতির খেয়াল - ০৩, প্রকৃতির খেয়াল - ০৪, প্রকৃতির খেয়াল - ০৫
=======================================================================

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কুমিরের খামারে এত কুমিরের খাবার কে দেয়? ওখানে সাঁতার কাটতে পারলে জীবনের সাধ মিটিত :)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হা হা, এইটা কোনো কুমিরের খামার না।
এটা ব্রাজিলের প্যান্টানালের জলাভূমির ছবি।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জ ফিশের মতো আরেকটা মাছ আছে, 'এ গুড ফাদার' - তেলাপিয়া, যারা ডিমকে মুখের ভিতর রাখে যদ্দিন বাচ্চা না হয়।

আমার প্রশ্ন হলো, এ কয়দিন কি এরা না খেয়ে থাকে?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই ধরনের অনেক মাছ আছে। এদের বলা হয় mouthbrooders মাছ।
এরা সম্ভবতো মুখ থেকে ডিম বের করে দিয়ে খাবার খায়। তবে কোনো কোনো প্রজাতী সম্ভতো মোটেও খাবার খায় না এই কয়দিন। এমনটাই পড়েছিলাম অনেক আগে যতদূর মনে পরে।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩১

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাইয়া রংধনু মাছ কি বাংলাদেশে পাওয়া যায়?


কুমিরগুলো কি গ্লো ইন দ্যা ডার্ক? জ্বলছে কিভাবে!!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: না বাংলাদেশে এই মাঝ পাওয়া যায় না। তবে সেন্টমার্টিনের কোরালে বেশ কিছু রঙ্গিন পাওয়া যেতো আগে। এখন তাদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে।

কুমিরগুলো গ্লো ইন দ্যা ডার্ক নয়।
অন্ধকারে কুমিরের চোখে আলো পরলে সেটি জ্বলজ্বল করে।
কুমিরেরা শীতল রক্তের প্রাণী বলে রাতের বেলা সাধারণত খুব একটা নড়াচড়া করে না। ছবির পিছনে যে নীল আকাশ দেখা যাচ্ছে সেখানে দেখেন সাদা সাদা দাগ দেখা যাচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে ছবিটি রাতের বেলা Long Exposure বা Slow shutter টেকনিক ব্যবহার করে তোলা হয়েছে। এই টেকনিকে ক্যমেরা নিজেই অনেকটা সময় ধরে আলো গেদার করে ঘুটঘুটে অন্ধকারেও দিনের মতো ছবি তুলতে পারে। ফলে অন্ধকারেও কুমির গুলি দেখা যাচ্ছে। আর যেটুকু সময় ধরে ছবি তোলা হয়েছে সেই সময়ে ক্যামেরার স্বাপেক্ষে তারা গুলি সরে গেছে বলে সেগুলিকে বিন্দুর মত না দেখিয়ে সাদা দাগের মতো দেখা যাচ্ছে।

বিষয়টি সম্ভবতো পরিষ্কার করে বুঝাতে পারি নাই। এর চেয়ে সহজ করে বুঝানোর সুযোগও খুব একটা নেই।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫২

সোহানী বলেছেন: ইয়ে মানে কুমিররে জলাতে সাঁতার ;) !!!!

রংধনু মাছতো দারুন। সেদিন একটা এ্যাকুরিয়ামে গেছিলাম। মাছ যে এতো এতো সুন্দর হতে পারে তা অবিশ্বাস্য। ছবি তোলা নিষেধ বলে শেয়ার করতে পারলাম না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বছর খানেক আগে আমরা কক্সবাজারের ফিস ওয়াল্ডে গিয়েছিলাম। বেশ কিছু ছবিও তুলেছিলাম। সগর তলের প্রাণীদের বিচিত্র জগৎ দেখে বাচ্চারা খুবই আনন্দে ছিলো।

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৬

সোহানী বলেছেন: ও বলে রাখি এ সুযোগে, এ ফিস ওয়ার্ল্ড তৈরীর সাথে আমার বাবা জড়িত ছিল।

নেক্সটা ও রিপ্লেইস এ্যাকুরিয়ামে গেলে ছবি তুলে পোস্ট দিবো নিশ্চয়।

০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাহ!! চমৎকার।
সুন্দর একটি ফিস ওয়ার্ল্ড উপহার দেয়ার জন্য আপনার বাবাকে ধন্যবাদ জানাই।
আপনার তোলা এ্যাকুরিয়ামে ছবি পোস্ট দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। রংধনু মাছ দেখতে সুন্দর! কড়কড়া করে তেলে ভেজে খেলে মন্দ লাগবে না!!!!!

০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
পুঁটি মাছের মতো লাগবে মনে হয়, সাইজতো অতটুকুই!! ;)

৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রকৃতির খেয়াল ভীষণ অদ্ভুত।

০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আসলেই অদ্ভূত। কোনো নিয়মের মধ্যে আটকে রাখা যায় না। কাকে কি দিবে কিচ্ছুই বলা যায় না।

৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:২৬

কামাল৮০ বলেছেন: ছবি দেখে মন ভরে গেলো।পেট ভরার জন্য উটতে হচ্ছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
পেটের জ্বালাই আসল। এই বস্তু করণেরই আমার বুদ্ধীমান হয়েছি।

৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: রংধনু মাছ / এ্যাকুরিয়াম মাছ হরদম পাওয়া যায়। এনিমেল প্ল্যানেট চ্যানেলে এগুলো নিয়ে অনেক ডকুমেন্টারি ফ্লিম দেখেছি। পোস্ট ভালো লেগেছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আমার পছন্দ ছিলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ও ডিসকোভারি চ্যানেল।
বউ চেচামেচি করতো, খাওয়ার সময় এইসব দেখি বলে।

১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাতির প্রতিটি দাঁতের ওজন ৯০ কেজি একটু বেশী মনে হচ্ছে।

হাতির দুই ধরণের দাঁত থাকে। কিছু দেখানোর জন্য আর কিছু খাওয়ার জন্য।

পশুরা দাঁত মাজে না তারপরও ওদের দাঁতে কোন সমস্যা হয় না কেন?

০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হাতির দাঁতের ওজন নিয়ে সন্দেহ থাকলেও সেটি নিরশনের কোনো উপায় নেই।

দেখানো দাঁতেরও কিছু কাছ আছে। তবে এই দাঁতই ওদের বিলুপ্তির কারণ হচ্ছে।

সম্ভবতো ওরা কার্বহাইডেট ও শর্করা অতি অল্প (না এর বরাবর) খায় বলে পশুদের দাঁত মাজতে হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.