নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০২০ইং সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি। আমরা ১২ জন ছিলাম বান্দরবানের থানচিতে। থানচি থেকে নদীপথে রেমাক্রি গিয়ে রেমাক্রি খাল ধরে পায়ে হেঁটে যাবো নাফাখুম। তো সেদিন রেমাক্রি থেকে পায়ে হেঁটে নাফাখুম যাওয়ার পথে হঠাত করেই চোখে পরলো খুবই সুন্দর নীল একটি ফুল। মাটির কাছাকাছি এক সাথে অনেকগুলি ফুল ছোট গাছটিকে যেনো আলো করে ফুটে রয়েছে। দেখেই চিনতে পারলাম এটি বেশ রেয়ার একটি গাছ, সুখ মুরালি বা কালো বাসক। কিন্তু আমার একটু খটকা লেগে রইলো মনের কোনো। ২০১৮ সালে মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে দেখা সুখ মুরালির সাথে এর একটা পার্থক্য রয়েছে। এর গাছ, ফুল, গাছের পাতা, ঝোপ সব কিছুই সুখ মুরালির চেয়ে আকারে বেশ কিছুটা ছোট। পরে জানতে পেরেছি এটি আসলে সুখ মুরালি নয়, বরং এর নাম খাড়া মুরালি বা নীল বাসক।
সমতলে আজ পর্যন্ত খাড়া মুরালি বা নীল বাসক কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে পাহাড়ে দেখি আমি এদের বেশ কয়েকবার। শীতের সময় বান্দরবানের পাহাড়ে খাড়া মুরালি বা নীল বাসক প্রচুর ফুটতে দেখি আমি। পাহাড়ে এদের কোনো ভাবেই রেয়ার বলা যাবে না, তবে সমতলে খুবই রেয়ার তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আমি যেমন না জেনেই খাড়া মুরালি বা নীল বাসককে সুখ মুরালির বা কালো বাসক হিসেবে ভুল করেছি, তেমনি অনেকেই খাড়া মুরালি আর সুখ মুরালিকে এক সাথে মিলিয়ে ফেলেন। অথচ এরা দুজন সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি উদ্ভিদ।
ফুলের নাম : খাড়া মুরালি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : নীল বাসক
Common Name : East-Himalayan Eranthemum
Scientific Name : Eranthemum strictum
খাড়া মুরালি বা নীল বাসক ২ থেক ৩ ফুট উচ্চতার একটি ছোট গুল্ম জাতিয় উদ্ভিদ। গাছের তুলনায় ফুলগুলি বড়। ফুলের রং গাঢ়-নীল বা নীলচে বেগুনী। ফ্লাওয়ার-টিউবট সরু নলাকার। গাছের শাখার চূড়ায় লম্বা মঞ্জুরির নিচের দিক থেকে ফুল ফুটতে শুরু করে। গাছের পাতাগুলি মসৃণ এবং চকচকে, উপরে ধূসর-সবুজ রঙের শিরা রয়েছে। পাতাগুলি প্রায় ১০ সেমি লম্বা।
সাধারণত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত গাছে বেশী ফুল ফোটে। খাড়া মুরালি বা নীল বাসক বাংলাদেশ, বার্মা, পূর্ব হিমালয়ের নিজস্ব গাছ।
ছবি তোলার স্থান : নাফাখুম, বান্দারবান, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৮/০২/২০২০ ইং
=================================================================
আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী,
এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কালো বাদুড় ফুল, কাঁটামুকুট, কাঁটামুকুট
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু
ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা)
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীল বনলতা, নীল লতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল,
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লালকাঞ্চন
শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সুলতান চাঁপা, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,
=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ১৪, ফুলের রাণী গোলাপ - ১৫
রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩, রাতের গোলাপ - ০৪, রাতের গোলাপ - ০৫
অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অর্কিড-৫, অর্কিড-৬
কচুরিপানা ফুল-২, কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কসমস-৭, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-৩, গোলাপি আমরুল-২,
জারবেরা-২
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
দাদমর্দন-২, দাদমর্দন-৩, দাদমর্দন-৪, দাদমর্দন-৫, দোলনচাঁপা-২
পপী-২, পপী-৩, পপী-৪, পপী-৫
বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩, বোতল ব্রাশ-৪
শিমুল গাছে আগুন, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, বিষকাটালি
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০২, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৩, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৪
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৫, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৬, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৭, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৮
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৯, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১০, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১২
=================================================================
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য ও পরামর্শের জন্য।
- চলার পথেই অচেনা ফুলের দেখা মেলে, পরে চিনে নিতে হয় সূত্র খুঁজে খুঁজে।
- ওয়েবসাইট তৈরি করার মতো জ্ঞান এবং দক্ষতা আমার নেই।
- ফেসবুকে আমার এ্যকাউন্টে একটি এ্যালবাম করেছি ফুলগুলি যেন কথা নামে। সেখানে আমার তোলা ফুলের তালিকা তৈরি করছি। সেখানে ২৪৭টি ফুলের তথ্য আছে। আরো আসবে।
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
এ ফুলের পাতা কোথায়?
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ৪র্থ ছবি পাতা কিছুটা দেখা যায়।
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১
রাজীব নুর বলেছেন: এই ফুল আমি দেখেছি। নামটা আজই জানলাম। বড় অদ্ভুত নাম- খাড়া মুরালি। এই নাম রাখলো কে?
শুনলাম বাড়ীর কাজ ধরেছেন।
একটা বাড়ির কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অনেক পরিশ্রম করতে হবে আপনাকে। ইট, খোয়া, বালু, সিলিকন বালু কি পোস্তাগোলা (মুন্সিপাড়া) থেকে আনছেন? যদি সম্ভব হয় মিস্ত্রিরা যখন কাজ করবে আপনি সামনে থাকবেন। অন্যথায় মিস্ত্রিরা দশ দিনের কাজ বিশ দিনে শেষ করবে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ফুলের নামটি অদ্ভূত তাকে কোনো সন্দেহ নেই। এমন বিচিত্র নাম কেযে রেখেছে, আর কেনোইবা রেখেছে আমার জানা নেই।
- জ্বী, বাড়ির কাজ ধরেছি। বেশ ভালোই পরিশ্রম যাচ্ছে। সব দিক একাই দেখতে হচ্ছে, সারা দিনই নজর রাখতে হচ্ছে, মাঝে মাঝেই রাত জেগে পাথর, রড, বালু রিসিভ করতে হচ্ছে।
- আপাততো ইট, খোয়া, বালু লাগছে না। সিলেট থেকে আসছে কালো পাকুর পাথর আর লাল বালু। রড কিনছি রহিম স্টিলের আর সিমেন্ট দিচ্ছি সুপারকিট।
- মিস্ত্রিদের কাজ চুরির টেনশন আমার নেই। কারণ কাজের ঠিকাদারি অন্য জনকে দেয়া আছে। তবে নজর রাখতে হয় ভুল কাজের। বেশ কিছু ভুল ধরে ধরে ঠিক করাতা হয়েছে।
- মন্তব্য ও পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: জীবন অনেক ছোট।কিন্তু আপনি ঘুরাঘুরি করে বেশ বড় বানিয়ে ফেলেছেন।
আমার স্ত্রী ছয় মাস থেকে আসলো বাংলা দেশে।এগার তালার কাজ শেষ।তিন বছরে হলো এগারো তালা।হয়তো এক দিনের জন্যও থাকবে না তবু তার অনেক আনন্দ।
এই গাছের ঐষধী গুণ কি?রংটা আমার পছন্দের একটা রং।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অন্য ভাবে চিন্তা করলে জীবন কিন্তু অনেক বড়। বছরে ৩৬৫ দিন, তার সবটাই কাজের জন্য কিন্তু নয়। ৫২ শুক্র আর ৫২ শনি হিসেবে ১০৪ দিন বন্ধ আছে। সেই সাথে আছে আরো ১২-১৫ দিন অন্যান্য ছুটি। সব মিলিয়ে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১২০ দিনই ছুটি। আনন্দ নিয়ে বাঁচতে চাইলে অনেকটা সময়। আর আমারতো প্রায় সবটাই ছুটি, ধরতে গেলে ৩৬৫ দিনই ছুটি।
- ৩ বছরে ১১ তলা!! বেশ দ্রুত কাজ হয়েছে। অভিনন্দন। তা আপনি কেনো দেশে এলেন না?
- এই গাছের ঐষধী গুণ সম্পর্কে কোনো দথ্য আমার জানা নেই। সরি।
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের বাড়ির কাজ করার সময়, টানা এক বছর দৌড় ঝাঁপ করার সময় আমি প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার অবস্থা আরো বেগতিক হবে। আমি একা মানুষ, সব দিক নিজেকেই দেখতে হচ্ছে। অলরেডি পায়ে ৪টা শেলাই লেগেছে। পায়ের বুড়ো আঙ্গুল এখনো ফুলে আছে, ব্যথাও আছে। লাভ হবে একটাই, ওজন একটু কমবে হয়তো।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: এভাবে চলতে ফিরতে ফুল চিনে ফেললেন! আপনার ফুল সম্পর্কে আসলেই জ্ঞান রয়েছে ।
আমি আপনাকে বলেছিলাম যে আলাদা ভাবে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে যেখানে কেবল বাংলাদেশের বিভিন্ন ফুলের নাম ছবি আর সেই মোতাবেক তথ্য থাকবে !
বান্দারবানের পাহাড়ে চলতে চলতে এমন অনেক নাম না জানা ফুল দেখেছি । কিছু ছবিও আছে ।