নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তাজমহল ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত একটি সমাধি সৌধ।
মুঘল সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম, তিনি মুমতাজ মহল নামেও পরিচিত ছিলেন, তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। তাজমহল বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম একটি। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তাজমহলকে তালিকাভুক্ত করে।
মুঘল সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী মুমতাজ মহল যখন তাদের চতুর্দশ কন্যা সন্তান গৌহর বেগমের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন তখন সম্রাট শাহজাহান তার প্রিয়মতা স্ত্রীর মৃত্যুতে প্রচণ্ডভাবে শোকাহত হয়ে পড়েন। তখনি তিনি তার মৃত স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিজের ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে এই সৌধটি নির্মাণ করেন, যা তাজমহল নামে পরিচিত।
মুমতাজের মৃত্যুর পর সম্রাট শাহজাহান তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে। মূল সমাধিটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয় ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে। আর বাগানসহ সম্পূর্ণ সমাধিক্ষেত্রটির সমস্ত কাজ শেষ হয় প্রায় ৫ বছর পরে ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে।
তাজমহলকে মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। তাজমহল সমাধিটি তৈরি করা হয়েছে মহামূলবান সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে। আর তার লতা-পাতা ও ফুলের নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে মহামূল্যবান রঙ্গিন সব পাথর।
সৌধের মূল ইমারতটি একটি বড় বর্গাকার বেদি বা ভিত্তির উপরে নির্মিত হয়েছে এবং ইমারতের প্রতিটি দিকেই হুবহু একই রকম দেখতে। বেদি বা ভিত্তির চার কোনায় চারটি মিনার রয়েছে। মিনার গুলি অনেকেটাই মজিদের মিনারের মতো দেখতে। প্রতিটি মিনারেই দুইটি করে বারান্দা দিয়ে তিনটি করে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি মিনারের উচ্চতা প্রয়া ৪০ মিটার। প্রতিটি মিনারই বেদি বা ভিত্তির বাইরের দিকে কিঞ্চিৎ হেলানো আছে। যদি কখনও এই মিনার গুলি কোনো কারণে ভেঙ্গে পড়ে তাহলে এগুলি মূল সমাধির উপরে না পড়ে বাইরের দিকে পরবে।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া
ছবি তোলার স্থান : তাজমহল, আগ্রা, ভারত।
ছবি তোলার তারিখ : ১২/০৩/২০১৪ ইং
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে মন্তব্য ও প্লাস প্রদানের জন্য।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৮
সোহানী বলেছেন: তিনবার প্লান করেও যাওয়া হয়নি। আর এখনতো আরো কঠিন যাওয়া। তারপরও চেস্টা করছি একটা ট্যুর প্লান করার। যদিও কানাডা থেকে বেশ ঝামেলার।
ছবি ও লিখায় ভালোলাগা।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
- আমি দুবার গেছি। প্রথমবার কোনো প্লান ছাড়াই, দ্বিতীয়বার প্লান করেই।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৯
কামাল১৮ বলেছেন: তাজ মহল যারা নির্মান করেছিল তারা সঠিক মঝুরি পায় নাই।অনেক কে হত্যা করা হয়।ব্যাপক পড়াশুনা করে জেনেছি।সূত্র চাইলে দিতে পারবো না।আবার সেই সব পুরনো বই পড়তে হবে যা আছে বাংলাদেশে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনার কথা বিশ্বাস করলাম। আপনাকে কষ্ট করে প্রমান দিতে হবে না।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: তাজমহলের ছবি নিয়ে আপনি আগেও পোষ্ট দিয়েছেন। হ্যাঁ জানি সব গুলো এক ছবি না।
আমি অনেকদিন ধরে ছবি ব্লগ পোষ্ট দেই না। আপনার পোষ্ট দেখে আমারও ছবি ব্লগ দিয়ে মন চাইছে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সঠিক বলেছেন আপনি। তাজমহলের ছবির অন্তত আর দুই-তিনটি পোস্ট আমি সামুতে করেছি। এবং এটিও সঠিক বলেছেন যে প্রতিটি ছবিই আলাদা আলাদা।
- ছবি ব্লগ পোস্ট করুন। ছবি ব্লগ আমার বেশ পছন্দের বিষয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩১
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: সুন্দর ছবি তাজমহলের। পোস্টে প্লাস।