নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগেশ্বর

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯



নাগেশ্বর গাছটি এক প্রকার চিরসবুজ বৃক্ষ। এটি শ্রীলঙ্কার স্থানীয় বৃক্ষ হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণ ভারতে প্রচুর দেখা যায়। বাংলাদেশেও এই গাছের দেখা মেলে প্রচুর। মোট কথা সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এটি প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়। সাগর সমতলের ১০০০ থেকে ১৫০০ মিটার উঁচুতেও এটি জন্মাতে পারে।

ফুলের নাম : নাগেশ্বর
Common Name : Ceylon ironwood, Indian rose chestnut, Cobra's saffron.
Scientific Name : Mesua ferrea
সংস্কৃত নাম : নাগচম্পা, নাগকেসর [নাগকেশর” নামে সম্পূর্ণ ভিন্ন আরেকটি ফুল রয়েছে]


নাগেশ্বর শোভাবর্ধক চিরসবুজ গাছ, গাছে প্রচুর পাতা হয়। পাতাগুলো সরু ও বল্লমাকৃতির। পাতার রং গাঢ় সবুজ। কচি পাতা দেখে মনে হয় রঙ্গের ছোপ লেগেছে গাছের উপরে। এই গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সারা বছর নতুন নতুন পাতা গজানো। পাতার বিন্যাস ঘনবদ্ধ ফলে নাগেশ্বর গাছ বেশ ছায়া সুনিবিড় হয়।



নাগেশ্বর গাছ প্রায় ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে, আর গাছের গুঁড়ির পরিধি প্রায় ২ মিটার হতে পারে। এদের কাণ্ড থেকে আঠা পাওয়া যায়। এই গাছের কাঠ বেশ শক্ত হয়। কাঠের রঙ লাল। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মে। ছোট চারা দেখতে হুবুহু লিচু চারার মত হয়। নাগেশ্বর গাছ খুবই ধীর গতিতে বড় হয়। ফুল আসতে বেশ কয়েকবছর সময় লাগে।



নাগেশ্বরের আদি নিবাস শ্রীলঙ্কা। ১৯৮৬ সালে এটিকে সে দেশের জাতীয় ফুল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। শ্রীলঙ্কায় নাগেশ্বর গাছ 'না' বৃক্ষ নামে পরিচিত।



বয়স্ক নাগেশ্বর গাছে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে ফুল ফোটে। তবে নাগেশ্বর ফুল সবচেয়ে বেশি ফোটে বসন্তকালে। কিছু কিছু গাছে বর্ষায়ও ফুল ফুটতে দেখা যায়। নাগেশ্বর ফুল সুগন্ধিযুক্ত। ফুলগুলি দুধ সাদা। তবে কিছু কিছু গাছে হালকা গোলাপী রঙ্গের হয়ে থাকে। ফুলের ব্যাস ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি। প্রতিটি ফুলে চারটি বড়বড় কিছুটা কোঁকড়ানো পাপড়ি থাকে।



পাপড়ির রং সাদা ও হালকা গোলাপী হলেও ফুলের মাঝ খানে অসংখ্য হলদে সোনালী রংঙ্গের পুংকেশর থাকে। একেবারে কেন্দ্রে থাকে গর্ভকেশর। অর্থাৎ ফুলগুলো উভয় লিঙ্গিক। পূজার উপকরণে এ ফুল কাজে লাগে। নাগেশ্বরের ফুল ভেষজগুণেও অনন্য।



নাগেশ্বর গাছে সেপ্টেম্বর মাসে ফল হয়। ফলগুলি দেখতে অনেকটা আমাদের দেশি গাবের মত।
ফলের আকার ১ থেকে ১.২৫ ইঞ্চি। ১ থেকে ৪টি বীজ হয়। বীজের রঙ ধূসর।




নাগেশ্বর ফুলের নাম অনেকে জানলেও অনেকেই আছেন যারা ফুলটিকে চিনেন না। আবার অনেকেই আছেন যারা ফুলটিকে ভুল চিনেন। মূলতো তিনটি ফুলকে অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন। সমস্যাটা দেখা দেয় ফুলগুলির নামের সাথে নাগ শব্দটি আছে বলেই। ফুল তিনটি হচ্ছে নাগলিঙ্গম, নাগেশ্বর ও নাগকেশর। নিচের ছবিতে পাশাপাশি তিনটি ফুলের ছবি ও তথ্য দিয়ে দিলাম।
ছবি তোলার তারিখ : ২শেই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ।
তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, অন্তর্জাল।
ছবি ও বর্ণনা : নিজ।


=================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে

অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী, এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কালো বাদুড় ফুল, কাঁটামুকুট, কন্টকমুকুট, কাঞ্চনার, কাঞ্চনক, কৃষ্ণচূড়া, খাড়া মুরালি
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু, ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা), ছোটপানা
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা, ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
ডালিয়া, তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা, ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীল বনলতা, নীল লতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা, বার্মিজ গোলাপি সোনাইল, ভাট ফুল
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল,
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লাল কাঞ্চন, লাল শাপলা
শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শিমুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সুলতান চাঁপা, সুখ মুরালি, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,

অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল

মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, তিল ফুল, বিষকাটালি, পাহাড়ি বিষকাটালি,

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১০

শাওন আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ! গুছিয়ে বর্ণনা করে বোজানোর জন্য।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: চার নম্বর ছবির সাদাটা চমৎকার লাগছে সব থেকে বেশি !

ফুলের নাম এই রকম কেন? বর্ণনা পড়ে খুজে পেলাম না ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

- এই ফুলের নামকরণ সম্পর্কে এই মুহুর্তে কিছু মনে পড়ছে না। সরি।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: আপনার পোস্ট গুলো সবসময়ই বেশ ভালোলাগে

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার পোস্ট আপনার ভালো লাগে জেনে আমি খুবই খুশী হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: বসন্তের প্রথম দিনে চমৎকার সব ছবি উপহার দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনাকে বসন্তের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাই মন্তব্যের জন্য।

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো আর একটু আলো থাকলে ভালো হতো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবাদ মতামতের জন্য।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার শেষ পোস্ট ও মন্তব্য ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩। আপনি কেমন আছেন? কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন নাকি বাসা বাড়ি তৈরি কাজে ঝামেলাতে আছেন? আশা করি ভালো আছেন, তারপরও চিন্তিত, আশা করছি আপনি দ্রুত ব্লগে ফিরে আসবেন। আর প্রামানিক ভাইয়ের কোনো খোঁজ খবর থাকলে প্লিজ জানাবেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।
- গত পরশু ও গতকাল পর্যন্ত বাড়ির কাছে বেশ ব্যস্ত ছিলাম। গতকাল দুপুরে কাজ শেষ করে চলে গিয়েছিলাম আশ্রমে। আজ সন্ধ্যার পরে ফিরে এসেছি বাড়িতে, সাথে ব্লগেও।
- প্রামানিক ভারতে পৌছানোর পরেই উনার ছোট ছেলে ফ্লাইটে অসুস্থ হয়ে পরে। তার হৃদযন্ত্রের কিছু একটা সমস্যা হয়। নিজের চিকিৎসার আগে তাই ছেলের চিকিৎসার পিছনেই সময় দিতে হয়েছে বেশী। পরে অবশ্য উনার সম বেশ ভাই কাটছিলো বলেই মনে হয়েছে ছবি পোস্ট দেখে। আমার ব্যস্ততার কারণে শেষ কিছুদিন তেমন ভাবে আর উনার পোস্ট দেখা হয়ে উঠেনি। তবে উনি ভালো আছেন বলেই ধারনা করি।
- অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.