নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন। সেই সমস্ত ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে একটি বিশেষ অবস্থান দখল করে আছে জমিদার বাড়িগুলি। এই জমিদার বাড়িগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
নানান যায়গায় বেড়াবার সময় বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট-বড় নানান ধরনের রাজবাড়ি, জমিদার বাড়ি, নবাব বাড়ি, পোদ্দার বাড়ি, বনিক বাড়ি, বাবুর বাড়ি, ঠাকুর বাড়ি, কুঠি বাড়ি, কাচারি বাড়ি, চৌধুরী বাড়ি সহ শত-শত পুরনো বাড়ি ঘর দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। আমার দেখা সেই সমস্ত বাড়িগুলি আমি একে একে শেয়ার করবো এখানে।
বড় সর্দার বাড়ি
ঢাকা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত সোনারগাঁয়ের "বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন" যা "সোনারগাঁও জাদুঘর" নামে লোকজন বেশী চিনেন। সেখানে ঢুকতেই প্রথমেই হাতের বাম দিকে একটি অসম্ভব সুন্দর কারুকাজ খচিত ঝলমলে বাড়ি চেখে পরে। চোখ ধাঁধানো অপরূপ এই বাড়িটি "গোপীনাথ সাহা সরদার বাড়ি" বা "বড় সর্দার বাড়ি"। তবে "ঈশাখার জমিদার বাড়ি" নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। প্রচলিত আছে যে সোনারগাঁওয়ের এই দ্বিতল বড় সর্দার বাড়িটি ঈসা খাঁ তৈরী করেছিলেন কিন্তু আসলে তা সত্য নয়।
বাড়ির পূর্ব ও পশ্চিমে প্রকাণ্ড দুটি দিঘি রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমের দিঘিটি খুবই মনকাড়ে। বাড়িটির প্রতিচ্ছবি পরে দিঘির জলে। দেখতে অসাধারন লাগে তখন। বাড়ির পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুইপাশের দিঘিতেই একাধিক ইটের তৈরী বাঁধানো ঘাট নেমে গেছে দিঘির জলের নিচ পর্যন্ত। পশ্চিমের দিঘির একটি ইটের তৈরী বাঁধানো ঘাটের দুই দিকে দুজন ইংরেজ অশ্বারোহীর মূর্তি রয়েছে।
কারুকাজময় দৃষ্টিনন্দন এই বাড়িটি নির্মাণ করিয়েছিলেন "গোপীনাথ সাহা অথবা ঐশ্বর্যকান্ত সাহা সরদার" নামের একজন ধনী ব্যবসায়ী। ঐশ্বর্যকান্ত সাহা সরদারের তৈরি করা বাড়িটি কি করে "গোপীনাথ সাহা সরদার বাড়ি" হলো তা আমার জানা নেই। এখানে তথ্যগতো কোনো ভুল থাকতে পারে। সেই কাল থেকেই লোকমুখে বাড়িটি পরিচিতি পায় "বড় সরদার বাড়ি" নামে। যদিও উইকিপিডিয়ার বাংলা অংশে এই বাড়িটিকে "ছোট সর্দার বাড়ি" লিখে রেখেছে।
একটি দেয়াল লিখনে এর নির্মাণকাল ১৩০৮ বঙ্গাব্দ লেখা আছে। ১৩০৮ লেখা থাকলেও অনুমান করা হয় মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয় প্রায় ছয়শ’ বছর আগে। সম্ভবতো বাড়ির মালিকানা হাতবদল হয়ে সর্বশেষ সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজ হয় ১৩৩০ সনে। যতদূর জানা যায় পিছনের ভবনটি মুঘল আমলের প্রথমদিকে নির্মিত। মধ্যভাগের লাল বর্গাকার ভবনটি বাংলার বারো ভূইয়ার সময় নির্মিত হয়েছে। সামনের অংশটি ১৯০২ সালে নির্মাণ করা হয়েছে।
বাড়িটির প্রবেশ পথের গেট হাউসটি দক্ষিণমুখী। চিনিটুকরির কারুকাজময় এই প্রবেশ পথটি যেকোনো মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই। মুগ্ধ হয়ে শুধু তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছে করে সেদিকে। চিনিটুকরির এমন কারুকাজ সচারাচর দেখা মেলে না। গেট হাউজের প্রহরীদের কুঠুরি পার হলে আছে প্রকাণ্ড জলসা ঘর। প্রায় ৩০ ফুট উঁচু ছাদ। পরের দ্বিতল ভবনের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। নিচতলায় ও দ্বিতল বারান্দায় পাঁচ ফুট পর পর সুনিপুণ কারুকার্যময় খিলান। কার্নিশে লতাপাতার মনোরম কারুকাজ। ভবনের নিচ তলায় রুমের সংখ্যা ৪৭টি আর দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ৩৮টি রুম। ৮৫টি রুম সহ সম্পূর্ণ ভবনের আয়তন ২৭ হাজার ৪০০ বর্গফুট।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় পর বাংলাদেশ সরকার এটি অধিগ্রহণ করে। আশির দশকের প্রথম দিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটি উদ্ধার করে আংশিক সংস্কার করে। তখন এটিকে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
২০১২ সালের দিকে কোরীয় বহুজাতিক কোম্পানি ইয়ংওয়ান করপোরেশন ২০ লক্ষ ডলার ব্যয়ে সর্দার বাড়িটি যথাযথ ভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
নওগাঁ ও পাহাড়পুর থেকে অভিজ্ঞ ১৫০ জন নিপুণ রাজমিস্ত্রি নিয়ে আসা হয়েছিলো এই সর্দার বাড়িটিকে সংস্কার করানোর জন্য। তাদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় অতিসম্প্রতি আদিরূপে ফিরে এসেছে বাড়িটির সৌন্দর্য। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে প্রায় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে বড় সর্দার বাড়িটি।
পথের হদিস :
ঢাকা থেকে প্রথমে যেতে হবে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা। গুলিস্থান থেকে স্বদেশ , দোয়েল ও বোরাকের বাসগুলো মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হয়ে যায়। মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় নেমে যেকোনো ব্যাটারি চালিত অটো নিয়ে সহজেই চলে যাওয়ার যায় সোনারগাঁও যাদুঘর।
সময়সূচী :
শীত মৌসুমে ১লা অক্টোবর থেকে ৩০-শে মার্চ পর্যন্ত সকাল ৯টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
গ্রীষ্মকালে ১লা এপ্রিল থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকাল ১০টা হতে বিকেল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
সপ্তাহে দুই দিন বুধবার ও বৃহস্পতিবার পর্যটকদের জন্য এটি বন্ধ থাকে।
প্রবেশ মূল্য :
বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। বিদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০০ টাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ ইং
অবস্থান : সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°38'57.2"N 90°36'01.0"E
গুগল ম্যাপ : https://goo.gl/maps/no7pXg7vyXQ4Aryn7
তথ্য সূত্র : প্রথম-আলো (২০ আগস্ট ২০১৬), যুগান্তর পত্রিকা (৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮), উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল, নিজ।
ছবি ও বর্ণনা : নিজ।
=================================================================
আরো দেখুন -
জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০১ : বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি
জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০২ : বীরেন্দ্র রায় চৌধুরী বাড়ি
জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৩ : জ্যোতি বসুর পৈতৃক বাড়ি
জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৪ : আমিনপুর ঠাকুর বাড়ি
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০১
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০২
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৩
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৪
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৫
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৬
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৭
=================================================================
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
২| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ছবিগুলোও খুব সুন্দর।
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। আরো কিছু ছবি আগে অন্য কোনো সময় সেগুলিও পোস্ট করবো।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৪
শায়মা বলেছেন: এখানে আমার অনেক ছবি আছে।
আসলেও এক আশ্চর্য্য সুন্দর বাড়ি!
২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বাড়িটিতে বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে আমার। তাই বাড়িটির প্রচুর ছবিও তুলেছি। তবে নিজের তেমন কোনো ছবি সেখানে নেই আমার।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:১০
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার দেখা সবচেয়ে বড় জমিদার বাড়ী (আয়তনে ) কোনটি?
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সঠিক বলা মুশকিল। তবে সন্দেহ করি ১২০ একরের নাটোর রাজবাড়ীটিই সবচেয়ে বড় হবে।
৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:২৭
নাহল তরকারি বলেছেন: আমার পাশের উপজেলা সোনারগাওঁ উপজেলা।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বাহ, বেশ, চমৎকার। তা এতো কাছের সোনারগাওঁ উপজেলার জাদুঘর, পানাম নগর গোয়ালদি মসজিদ ইত্যাদি দেখতে কবার গেছেন?
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ২:২৯
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার আশ্রমের সব ঠিক আছে?
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সব কখনোই ঠিক থাকে না।
- একটি গাভিন গাড়ল মারা গেছে কয়েকদিন আগে। ৩টি বাচ্চা ছিলো পেটে।
- অন্য দুটি গাড়ল দুটি বাচ্চা দিয়েছে।
- রাজহাঁস দম্পতির কাছ থেকে গোটা ১২ ডিম পাওয়া গেছে। সেগুলি একটি মুরগি দিয়ে ফুটানোর চেষ্টা চলছে।
- আশ্রমের ছেলেটি (দিপঙ্কর অরফে পঁচা) হারনিয়া অপারেশন করিয়েছে।
- ঠিক সেই সময়ই আশ্রমের কেয়ারটেকার সাহেবের শ্বশুর মারা গেছে বলে তারা গ্রামে চলে গেছে। ফলে আশ্রমের দেখা শোনার জন্য আমাদের দুজন সদস্যকে আশ্রমে গিয়ে ৪-৫ দিন থাকতে হলো।
প্রতি নিয়তোই এমন নানান ঘটনা ঘটে ভালো মন্দ মিলিয়ে।
৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: জমিদারের কথা মনে হলেই কেন যেন আমার জমিদারদের অত্যাচারের কথা মনে পড়ে যায়।আমরা যখন ছাত্র আন্দোলন করি তখন অবশ্য জমিদারি প্রথা ছিল না।কিন্তু জমিদারদের একধাপ নিচের , জোতদার ছিন।তাদের বিরুদ্ধে অনেক শ্লোগান দিয়েছি,তাই তয়তো জমিদারের কথা মনে পড়ে যায়।জমিদারদের অত্যাচারের কথা পড়েছি অনেক।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- জমিদারদের অত্যাচার না বলে বলা উচিত কিছু কিছু জমিদারদের অত্যাচার, অথবা বলতে পারেন বেশিরভাগ জমিদারদের অত্যাচার। সব জমিদার তো অত্যাচারী ছিলেন না। জানেন নিশ্চয়ই আমাদের সামুতেও জমিদার বংশের লোক আছে।
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২০
কামাল১৮ বলেছেন: জমিদার বংশের লোক আছে কিন্তু জমিদার নাই।জমিদার কোন চাষবাস করতো না ব্যবসা বানিজ্য করতো না।সেই সময় চাকরি বলতে ছিন জমিদারের পেয়াদা।জমিদারের চলতো,পেয়াদার মাধ্যমে প্রজা শোসন।যে যত বড় অত্যাচারি জমিদার সে তত বড় জমিদার।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনি নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নাম জানেন। আপনি জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী নাম হয়তো সেই ভাবে জানেন না। এমন আরো শতশত জমিদার ছিলেন।
৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: সংস্কার বেশ ভাল ভাবে করা হয়েছে মনে হচ্ছে । বেশ ভাল অবস্থায় আছে দেখা যাচ্ছে ।
ঢাকার এতো কাছে অথচ আমি এখনও এখানে যেতে পারলাম না । কবে যে যাবো !
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- খুবই ভালো কাজ করা হয়েছে। খুবই ভালো হয়েছে। আদিরূপে ফেরানো হয়েছে। সেদিন শুনলাম লালবাগ কেল্লার হাম্মাম খানাটিকেও আদিরূপে সংস্কার করা হয়েছে। রমজান শেষে একদিন গিয়ে দেখে আসবো।
- সোনারগাঁয়ে গিয়ে বেরিয়ৈ আসুন সময় করে। অনেক কিছু দেখার আছে আশপাশে। চাইলে আমি সেগুলির লোকেশন আপনাদে দিতে পারবো। শুভকামনা রইলো।
১০| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫০
শাওন আহমাদ বলেছেন: আপনি বেশ ভালো ক্লিক করেন। আমার নিজের ও পুরাতন স্থাপনা দেখতে ভালো লাগে। খড়খড়ির জানলা, কাঠের পাটাতনের উপর ছাদ, সিঁড়ি ঘরের দেয়ালের কোটরে পিদিম রাখার স্থান, বাইরের নান্দনিক কারুকাজ, ঝুল বারান্দ এসবকিছুই আমার পছন্দ।পুরান ঢাকায় নানুর বাসা হওয়ায় খুব কাছ থেকে আমি এসব দেখেছি। নানুর বাসাই পুরতন এক হিন্দু জমিদার পরিবারের ছিলো। নানু তার কাছ থেকে কিনে রেখেছিলেন। আমি সেই বাড়ির আনাচে, কানাচে ইতিহাস খুঁজে বেড়াতাম।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনার আগ্রহের কথা নেজে খুবই ভালো লাগলো।
- আমরা সাধারনতো রমজানের ঈদের পরের দুইদিন পুরান ঢাকায় পায়ে হেঁটে বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসি এবং পুরনো স্থাপনা দেখে বেড়াই।
১১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট দিয়েছেন।
প্রথম ছবিটা এবং সাত নম্বর ছবিটা খুবই সুন্দর হয়েছে।
আমার ইচ্ছা করছে এই জমিদার বাড়িতে গিয়ে দুটা দিন থেকে আসি।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য এবং মতামতের জন্য।
- আমি যখন এই ছবি গুলি তুলেছি তখনও কাজ পুরপুরি শেষ হয়নি। দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ ছিলো। আমরা বিশেষ অনুমতিতে ঢোকার সুযোগ পেয়েছিলাম। আপনার পরিচয় পেলে ওরা আপনাকে সেখানে কয়েক রাত থাকার অনুমতি দিতেই পারে। আপনি একদিন সময় করে চলে যান সেখানে।
১২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার দৃষ্টি নন্দন স্থাপনা এবং ছবিগুলো হয়েছে দুর্দান্ত!
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: - ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য এবং মতামতের জন্য।
১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কারুকাজগুলো বিস্ময়কর সুন্দর। মূল্যবান পোস্ট।
ইংরেজরা আমাদের অনেক উপকার করেছেন। কিন্তু ইংরেজ শাসনকে কখনো ভালো চোখে দেখা হয় না। সেটা ছিল অভিশপ্ত কাল।
কিছু কিছু জমিদার অবশ্যই ভালো ছিলেন, আপনার দাদাও আশা করি ভালো জমিদার ছিলেন, এমনকি সবচাইতে নৃশংস জমিদারেরও কিছু ভালো গুণ বা কীর্তি ছিল। কিন্তু, সার্বিকভাবে 'জমিদার' নামটাই একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং শব্দটা 'অত্যাচারের' সমার্থক। জমিদারদের অত্যাচারের উপর অনেক সাহিত্য, নাটক, ইত্যাদি নির্মিত হয়েছে। তবে, শাসন ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের জন্য বা ট্যাক্স কালেকশনের জন্য জমিদার প্রথা যুগপৎ ভালো ও মন্দ উভয় দিকেরই সূচনা করেছিল।
সুন্দর পোস্ট, যা এ ব্লগের মূল্যবান সম্পদ।
২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ইংরেজ আমলে অনেক কিছুই পেয়েছে এই বাংলা। ইংরেজরা না আসলে বাংলার এই উন্নতি হতো না তখন। তারপরেও তারা অনেক কিছু লুটও করেছে।
- আমার দাদা জমিদার ছিলেন না। যতদূর মনে পরে রজীব সাহেবের মন্তব্যে জানতে পরেছি তার দাদা জমিদার ছিলেন। আরো একজন কবিও সম্ভবতো জমিদার বংশের লোক।
- প্রায় সব জমিদার আর সকল জমিদার নিশ্চয়ই একই অর্থ বহন করে না?
১৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: চমৎকার সব ছবি তুলেছেন। বাংলাদেশের এমন কোন দর্শনীয় স্থান আছে কি, যেখানে আপনার পদধূলি পড়েনি?
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে বেরিয়ে পরি।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি অতি অল্পই দেখেছি, আরো কতোকি দেখার বাকি রয়ে গেছে। সময় সুযোগ আর অর্থের সমন্বয় না হওয়ায় কত কিছু অদেখা রয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সংস্কারের পর তো দারুণ লাগছে !!!
দারুণ স্থাপনা , আপনার লেখায় ইতিহাস ও জানলাম।
চমৎকার পোষ্ট।