নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোর্ড লিলি বা মেক্সিকান সোর্ড লিলির নামের সাথে লিলি থাকলেও এটি আসলে লিলি বা লিলি পরিবারের কোনো ফুল নয়। কিভাবে কিভাবে যেনো এর নামের সাথে লিলি জুড়ে গেছে। এতো চমৎকার একটি ফুল কিন্তু এর কোনো বাংলা নাম নেই। মুখে মুখে সোর্ড লিলি নামটাই বাংলার মতো হয়ে গেছে। তবে সোর্ড লিলির আরেকটি প্রজাতি আছে যেটিকে "জল গোলাপ" বলা হয়।
সোর্ড লিলি / মেক্সিকান সোর্ড লিলি
Common Name : Mexican sword plant, Sword lily, Radican Sword, Creeping Burhead
Scientific Name : Echinodorus palifolius
মেক্সিকান সোর্ড লিলি মেক্সিকো ও ব্রাজিলের স্থানীয়। বাংলাদেশে এর বিস্তার বেশ ভালোই। বিশেষ করে বর্তমানে ছাদ বাগানে এবং বারান্দা বাগানে সোর্ড লিলি নিজেদের যায়গা করে নিয়েছে। তেমন একটা যত্ন নিতে হয় না। কিছুটা রোদ পেলেই চলে। ভেজা মাটি, পুকুরের ধার, নালা-নর্দমায় অনায়াসেই এর বিস্তার ঘটতে পারে। কেটে ছেটে না রাখলে চারপাশে ছড়িয়ে পরার চেষ্টা করে। যদিও খুব একটা আগ্রাসী নয় এরা। সোর্ড লিলি একটি জলজ উদ্ভিদ হলেও কচুরি পানার মতো জলে ভেসে চলা জলজ উদ্ভিদ নয়। এরা বহুবর্ষজীবী অর্নামেন্টাল জলজ উদ্ভিদ। সোর্ড লিলি সাধারণত শিকড় মূল, বীজ ও ফুলের ডাঁটায় শিকড় গজানোর মধ্য দিয়ে বংশবিস্তার করে।
সোর্ড লিলির কান্ড গুলি কৌণিক ও মসৃণ। কান্ড গুলি ২ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কান্ডের চূড়ায় থাকে একটি চকচকে সবুজ পাতলা শিরাযুক্ত লম্বাটে উপবৃত্তাকার পাতা। পাতাগুলি ৬ থেকে ৮ ইঞ্চির মত লম্বা এবং প্রস্থে ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। তবে কিছু কিছু পাতা ১৬ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে পাতার ওজনে ডালগুলি নিচে ভেঙ্গে পরে। পুরনো কান্ড ও পাতা শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে যাওয়া কান্ড ও পাতা সরিয়ে না ফেললে দেখতে বেশ খারাপই লাগে। প্রতি গুচ্ছ গাছে ৯ থেকে ১২টির মতো পাতা থাকে।
সোর্ড লিলির ফুল প্রায় সারা বছরই ফুটতে দেখা যায়। তবে বসন্ত থেকে শরৎ পর্যন্ত অবাধে প্রস্ফুটিত হয়। গাছের গুচ্ছের গোড়া থেকে ২ থেকে ৩ ফুট লম্বা একটি অনমনীয় পুষ্পদন্ড বের হয়। পুষ্পদন্ডের কয়েক ইঞ্চি পরপর ঘূর্ণায়মান ভাবে কয়েকটি করে ফুলের গুচ্ছ থাকে। গুচ্ছগুলিতে এক সাথে বেশ কয়েকটি করে ফুল ফুটতে শুরু করে। সোর্ড লিলি দীর্ঘ-প্রস্ফুটিত ফুল, এরা এক সাথে সবাই না ফুটে কয়েকটি করে দীর্ঘ সময় নিয়ে ফোটে।
ফুলগুলি হয় সাদা রঙ্গের। প্রতিটি ফুলে শ্বেতশুভ্র ৩টি করে পাপড়ি থাকে। ফুলগুলি দেখতে সসারের মতো। প্রতিটি পাপড়ি একে অপরের সাথে অভারলেপিং করে থাকে। পাপড়ি গুলি প্রায় এক ইঞ্চি লম্বা এবং এক ইঞ্চির চেয়ে সামান্য বেশি চওড়া হয়। এক-একটি পুষ্পদন্ডে ৮ থেকে ১৫ টি ফুলের গুচ্ছ হতে পারে। এই গুচ্ছগুলিতে পরবর্তীতে শিকড় গজায় এবং এগুলি দিয়ে অনায়াসেই চারা করা যায়। প্রতিটি ফুলের কেন্দ্রে হলদে রং এর ২০ থেকে ২৪টি পুংকেশর থাকে।
সোর্ড লিলি গাছে তেমন কোনো রোগ বালাই নেই। পোকা-মাকর, কীটপতঙ্গ খুব একটা আক্রমন করে না। তবে ছাদে বা বারান্দায় গাছ লাগালে পানির দিকে সব সময় নজর রাখতে হবে। মশার লাভা দেখা গেলে পানিতে কিটনাশক দিতে হবে। এর কোনো ঔষধীগুণাগুণ রয়েছে কিনা তা আমার জানা নাই।
ছবি ও বর্ণনা : মরুভূমির জলদস্যু।
ছবি তোলার স্থান : বাড্ডা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২০শে আগষ্ট ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ।
=================================================================
আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী, এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কালো বাসক, কালো বাদুড় ফুল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, ক্যাসিয়া রেনিজেরা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কাঠগোলাপ, কাঁটামুকুট, কন্টকমুকুট, কাঞ্চনার, কাঞ্চনক, কুর্চি, কুরচি, কৃষ্ণচূড়া, খাড়া মুরালি
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু, গুলমোহর, ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা), ছোটপানা
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, ঝুমকা জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা, হাইব্রিড গোলাপী জবা, হাইব্রিড ক্রিম জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা, ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
টগর, জংলি টগর, ডালিয়া, তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দদ্রুমর্দন, দাদমারী, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা, ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগেসর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীলচূড়া, নীল বনলতা, নীল লতা, নীলাতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা, বার্মিজ গোলাপি সোনাইল, ভাট ফুল, ভ্রমরপ্রিয়া
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল, মূলাপাতা
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক, রক্ত শিমুল
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লাল কাঞ্চন, লাল শাপলা, লাল শিমুল
শটি ফুল, শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শিমুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সুলতান চাঁপা, সুখ মুরালি, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,
অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, তিল ফুল, বিষকাটালি, পাহাড়ি বিষকাটালি,
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================
০১ লা জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- নানান আর্থিক পেরেশানিতে নিয়মিতো ব্লগে আসা হয় না। আসলেও সেই ভাবে পোস্ট করার হয়ে উঠে না। তবে ইদানিং পোস্টের সংখ্যা বেড়েছে।
২| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৪৩
আরইউ বলেছেন:
জলদস্যু,
আমি সোর্ড লিলির রূপে বিমোহিত হয়েছি সন্দেহ নেই তবে আমাদের ঘরের কচুরিপানাই সেরা সুন্দরী!
শুভেচ্ছা।
০১ লা জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি আপনার সাথে একমত। কচুরিপানার ফুলের যে ময়ূর রং এর ছটা আছে তা এই সোর্ড লিলির নেই।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৫৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ফুল নিয়ে অনেকদিন পর এলেন।
০১ লা জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গত মাসে একটি পোস্ট করেছিলাম তো ফুল নিয়ে!
৪| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭
এম ডি মুসা বলেছেন: সুন্দর ছিল।
০১ লা জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ
৫| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০২
এম ডি মুসা বলেছেন: রোদের দাপট হয়ে বয়কট
বৃষ্টি ঝরায় মাঠে,
আলোর মলিন তলিয়ে গহীন
মেঘের মিছিল কাটে।
বাজায় ঘণ্টা থমকে বন টা
ময়ূর পেখম মেলে,
বোয়াল ট্যাংরা হয়েছ চ্যাংরা
যৌবন মনে খেলে।
পুকুরের ধার নাই খালি আর,
পেট আছে তার পুরা,
যে কচুরিপানা ফুলের বিছানা
আছে যেন ফুরফুরা। -মুসা
০১ লা জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- চমৎকার কবিতা হয়েছে।
- শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:০৩
এম ডি মুসা বলেছেন: বসে আছি ঘরে ভাবি আনমনে
সাথে কেউ নাই!!
হঠাৎ বাইরে তাকিয়েই দেখি
আছে ডোবা জল বৃষ্টি বাদল
রোদ উঠে নাই।
আহা একি ঝরে সারাদিন ধরে
বৃষ্টি বাদলে হয়েছে মিতালী
জলে সংঘর্ষ স্যাঁতস্যাঁত কাঁদা
পথ গুলো হলো যেন বেখেযলী,,,-মুসা
০১ লা জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আজ দুপুরে বৃষ্টিতে আটকে গেছিলাম। তখন আপনার এই কবিতা চোখে পড়ে। এই দেখে ফেসবুকে আমিও ৩ লাইন লিখে ছিলাম কবিতার ঢঙ্গে।
[sb]শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টিধারা
আটকে আছি পথের ধারে
এক ফাস্টফুটের দোকানে
৭| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সোর্ড লিলি কি শুভ্র ! কি সুন্দর। ছবি আর লেখা দুটোই অসাধারণ। আপনার লেখা মানেই সুন্দর কিছু।
০১ লা জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শুভ্র অর্থ < ফর্সা, সাদা, সফেদ, শ্বেত, শুল্ক, ধবল, নির্মল,
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
৮| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঘ্রাণ নাই মনে হয়। আমার কাছে সুগন্ধি ফুল ভালো লাগে। হাসনাহেনা ফুলের গন্ধ খুব ভালো লাগে।
০১ লা জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সাধারণত সাদা রঙের ফুলগুলিতে চমৎকার সুগন্ধি থাকে। কিছু কিছু ব্যাতিক্রমও আছে অবশ্য। সোর্ড লিলি আমার ছিলো, এর ঘ্রাণ আছে কিনা এখন মনে করতে পারছি না।
৯| ০১ লা জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার ভীষণ প্রিয়।
০১ লা জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ফুল এবং গাছ দুটিই আমার পছন্দের। বাড়ি করার চাপে আমার সব গাছ শেষ হয়ে গেছে। এখন আবার একটু একটু করে শুরু করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন: মাঝে মাঝে কোথায় উধাও হয়ে যান।