নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সূর্যের পানে সূর্যমুখী ফুল, যেমন চাহিয়া রয় বিরহ-ব্যাকুল

০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮



সূর্যমুখী
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : রাধাপদ্ম, সুরজমুখী (হিন্দি)
সংস্কৃত নাম : আদিত্যভক্তা, সূর্যকান্তি, সূর্যকান্তিপুষ্প
Common Name : Sunflower, Common sunflower
Scientific Name : Helianthus annuus

সূর্যমুখী একটি বর্ষজীবী ফুলগাছ। সূর্যমুখীকে শুধু ফুলগাছ বলাটা ঠিক হবে না, বরং এটি ভোজ্য তৈলবীজ ফসল এবং ভেষজ উদ্ভিদ বটে। ১৯৭৫ সাল থেকে সূর্যমুখী ভোজ্য তেল ফসল হিসেবে বাংলাদেশে চাষ করা হচ্ছে।


প্রভাতরবির ছবি আঁকে ধরা
সূর্যমুখীর ফুলে।
তৃপ্তি না পায়, মুছে ফেলে তায়--
আবার ফুটায়ে তুলে।

----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -----



সূর্যমুখী গাছ ৪ থেকে ৯ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর গাছের কান্ড রুক্ষ লোমযুক্ত হয়। পাতাগুলি রুক্ষ এবং মোটা, বেশ বড় বড় ৩ থেকে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। পাতার প্রান্তগুলি করাতের মতো দাঁতযুক্ত। গাছের নিচের দিকের পাতাগুলি বড় এবং উপরের দিকের পাতাগুলি তুলনামূলক ছোট হয়।


সূর্যমুখী ফুলের রং উজ্জ্বল হলুদ। আকারে বেশ বড়, ব্যাস প্রায় ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। সূর্যমুখী ফুল দেখতে কিরণ ছড়ানো সূর্যের প্রতিকের মত। তাছাড়া ফুলটি সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এর নামকরণ করা হয়েছে সূর্যমূখী ফুল।

সূর্যমুখী ফুলের বীজের ভিতরের সাদা শাস অনেকেই খেয়ে থাকেন। তাছাড়া এর বীজ হাঁস মুরগি এবং বেশ কিছু শৌখিন পাখির খাদ্য।





যাহা কিছু প্রিয় জীবনের মম
হরিয়া লহ তুমি, লও প্রিয়তম।
সূর্যের পানে সূর্যমুখী ফুল
যেমন চাহিয়া রয় বিরহ-ব্যাকুল
তেমনি প্রভু আমার এ মন তোমার পানে ফিরাও॥

----- কাজী নজরুল ইসলাম -----



সূর্যমুখী ফুলের বীজ যন্ত্রে মাড়াই করে তেল বের করা হয়। বাংলাদেশে উৎপাদিতো এবং আমদানিকৃত প্রায় সকল ভোজ্য তেলের চেয়ে সূর্যমুখী তেল অনেক ভালো এবং উপকারী। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এতে ভিটামিন এ, ডি ও ই রয়েছে। সূর্যমুখীর তেল বনস্পতি তেল হিসেবেও পরিচিত।

ভোজ্য তেলের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সূর্যমুখী চাষ করে থাকে।
বাংলাদেশের রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, নাটোর জেলা, পাবনা, দিনাজপুর, গাজীপুর, টাংগাইল প্রভৃতি জেলাতে এর চাষ হয়। সমভূমি এলাকায় শীতকালে ও বসন্তকালে, আর উঁচু লালমাটি এলাকায় বর্ষাকালীন শস্য হিসাবে এর চাষ হয়।





কী কথা উঠে মর্মরিয়া বকুলতরুপল্লবে,
ভ্রমর উঠে গুঞ্জরিয়া কী ভাষা!
ঊর্ধ্বমুখে সূর্যমুখী স্মরিছে কোন্‌ বল্লভে,
নির্ঝরিণী বহিছে কোন্‌ পিপাসা!

----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -----


সূর্যমুখীর বীজের প্যাটার্ন ও ফিবোনাক্কি রাশি
ফিবোনাক্কি রাশি হচ্ছে - রাশির কোনো একটি পদ তার পূর্বের দুইটি পদের যোগফলের সমান।
যেমন : ০, ১, ১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪…

বিজ্ঞানী এবং ফুল গবেষক যারা সূর্যমুখী ফুল নিয়ে গবেষণা করেছেন তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন যে সূর্যমুখী বীজে যে সর্পিলাকার প্যাটার্ন দেখা যায় তা ফিবোনাক্কি সংখ্যায় সাজানো থাকে।




জানে সূর্যেরে পাবে না তবু অবুঝ সূর্যমুখী
চেয়ে’ চেয়ে’ দেখে তার দেবতারে দেখিয়াই সে যে সুখী।
হেরিতে তোমার রূপ–মনোহর
পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।

----- কাজী নজরুল ইসলাম -----




সূর্যমুখীর গ্রীক মিথলজি
Statue of Clytie (1848), by Joseph-Stanislas Lescorné

গ্রীক পুরাণে ক্লাইটি ছিল একজন জলপরী। ক্লাইটি সূর্যদেবতা হেলিওসকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। ক্লাইটি হেলিওসের প্রেমে পাগল হলেও দুর্ভাগ্যবশত হেলিওস ক্লাইটিকে ভালোবাসতো না। সে ভালোবাসতো অর্কামাসের কন্যা লিউকোথিয়াকে। হেলিওসের ভালোবাসা না পেয়ে ক্লাইটি ক্ষুব্ধ হয়ে অর্কামাসকে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়। পিতা অর্কামাস তার কন্যা লিউকোথিয়ার উপরে প্রচন্ড রেগে গিয়ে তাকে জীবন্ত কবর দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন।

ক্লাইটি ভেবেছিলেন লিউকোথিয়ার মৃত্যু হলে সূর্যদেবতা হেলিওস তার কাছে ফিরে আসবে। কিন্তু সূর্যদেবতা হেলিওস তার দিকে ফিরেও তাকায়নি।

শেষ পর্যন্ত, ক্লাইটি নগ্ন হয়ে পাথরের উপর নয় দিন শুয়ে থেকে কেবল সূর্যের দিকে তাকিয়ে রইলো। এই নয় দিন সে কিছুই খেলোনা, কিছুই পান করলো না। নবম দিনে ক্লাইটি একটি সূর্যমুখী ফুলে রূপান্তরিত হয়ে গেলো, যা এখনো সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে।
Clytie Turning into a Sunflower (1718-1720), by Charles-Antoine Coypel
সূত্র: Clytie



Ah Sun-flower! weary of time,
Who countest the steps of the Sun:
Seeking after that sweet golden clime
Where the travellers journey is done.

Where the Youth pined away with desire,
And the pale Virgin shrouded in snow:
Arise from their graves and aspire,
Where my Sun-flower wishes to go.

----- William Blake -----




তথ্য সূত্র : অন্তর্জাল
ছবি ও বর্ণনা : নিজ
ছবি তোলার স্থান : কার্জন হল, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯শে এপ্রিল ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ।



=================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে

অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী, এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কালো বাসক, কালো বাদুড় ফুল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, ক্যাসিয়া রেনিজেরা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কাঠগোলাপ, কাঁটামুকুট, কন্টকমুকুট, কাঞ্চনার, কাঞ্চনক, কুর্চি, কুরচি, কৃষ্ণচূড়া, খাড়া মুরালি
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু, গুলমোহর, ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা), ছোটপানা
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, ঝুমকা জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা, হাইব্রিড গোলাপী জবা, হাইব্রিড ক্রিম জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা, ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
টগর, জংলি টগর, ডালিয়া, তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দদ্রুমর্দন, দাদমারী, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা, দুপুরমনি, ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগেসর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীলচূড়া, নীল বনলতা, নীল লতা, নীলাতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা, বার্মিজ গোলাপি সোনাইল, ভাট ফুল, ভ্রমরপ্রিয়া
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক, রক্তপুষ্পিকা, রক্ত শিমুল, রক্ত কমল, রক্তচূড়া
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লাল কাঞ্চন, লাল শাপলা, লাল কমল, লাল শিমুল
শটি ফুল, শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শিমুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সুলতান চাঁপা, সুভদ্রা, সুখ মুরালি, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে, সোর্ড লিলি, সাদিমুদি
হাতি জোলাপ, হলুদ জবা

অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল

মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, তিল ফুল, বিষকাটালি, পাহাড়ি বিষকাটালি,

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, পারিজাতের পরিচয়, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ছবিগুলো না দিলে হতো না :(

সূর্যমূখী সুন্দর পোস্ট

০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
- ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের জন্যও জানাই।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার খামার ও আপনার পরিবারের গল্প হচ্ছে না অনেকদিন যাবত।

০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কোনো গল্পই হচ্ছে অনেকদিন যাবত।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গ্রীক মিথলজি ভালো লেগেছে, সময়ের সাথে সাথে কত কাহিনী যে মিথলজিতে পরিনত হয় তার কোন হিসেবই নেই।

০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সময়ের সাথে সাথে কাহিনীর হয় ইতিহাস। মিথলজি নতুন করে তৈরি হয়না খুব একটা।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

পবন সরকার বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট

০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য ও মতামতের জন্য।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নজসু বলেছেন:


অনেকদিন পর।
কেমন আছেন ভাই?
ভালো লাগলো।
খুব সুন্দর।

০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অনেকদিন পরেই পোস্ট করা হলো।
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি ভালো আছেনতো?

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: নাটরকে জেলা লেখার মাজেজ্ কি? যশোর পাবনা এগুলিতে জেলা লেখেন নাই।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- মাজেজা খুব সহজ ভাইজান। জেলার নামের তালিকাটা উইকি বা অন্য কোথাও থেকে কপি করা। সেখানে যেমন আছে তেমনই এখানে দেখতে পাচ্ছেন।

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৪০

সোহানী বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। কানাডায় এসে ভিন্ন রংয়ের সূর্য্যমুখী দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ছবি এড করছি;


০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:



- হলুদ ছাড়া অন্য কোনো রংয়ের সূর্যমুখী দেখার সুযোগ আমার কখনো হয় নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.