নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুয়াশা

কুয়াশা

কুয়াশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুনিয়ায় নবী প্রেমের স্বীকৃতি

১১ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৪

দুনিয়ায় নবী প্রেমের স্বীকৃতি
আমরা সকলেই উসমানী খলীফা সুলতান আব্দুল হামিদ খানের হেজাজ রেল প্রকল্পের কথা জানি। যেটা ইস্তাম্বুল থেকে মদিনা যেতো। সেটা ঐ সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যায়বহুল ও বড় প্রকল্প ছিলো। দীর্ঘ দিন জার্মান ও তুর্কী লোকদের সম্মিলিত কাজের মাধ্যমে হেজাজ রেল প্রকল্প যখন শেষের দিকে, শুধু মদিনার কাজ বাকি তখন সুলতান নির্দেশ দিলেন জার্মান শ্রমিকরা যেনো মদিনার পবিত্র সীমানায় প্রবেশ না করে। মদিনা অংশের বাকি কাজ তুর্কী মুসলমান শ্রমিকরা করবে।
রেল লাইন যখন মসজিদে নববীর রওজা শরীফের নিকটে আসে তখন সুলতান নির্দেশ দিলেন রেললাইনের লোহার নিচপ চামড়ার কার্পেটের মতো কিছু বিছাতে। যাতে ট্রেনের চাকা ও রেল লাইনের লোহার ঘর্ষনে যে বিকট শব্দ হয় সেই শব্দ যেনো রওজা শরীফে না আসে। যাতে রেলের শব্দে প্রিয় নবীর কষ্ট না হয়।
সুলতানের নির্দেশ অনুযায়ী (খেচা) চামড়ার কার্পেট বিছানো হয় মদিনার মসজিদে নববীর নিকটতম অংশে। এটা শুধুই নবীর আশেকের দৃষ্টিতে দেখলে বুঝা যাবে সুলতান আব্দুল হামিদ নবীর কত বড়ো আশেক ছিলেন। তার দুরুদ শরীফের ঘটনা নিয়ে ভিডিও অনেকে দেখেছেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি সুলতান আব্দুল হামিদ ঐ রেলে চড়ে মদিনায় যেতে পারেনি। তার আগেই তাকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করা হয়।
২০১৮ ছিলো সুলতান আব্দুল হামিদের মৃত্যুর একশো বছর। ঐ বছর ইস্তাম্বুল সিটি করপোরেশন তার নবী প্রেমের কথা দেশবাসীকে জানাতে এবং নবী প্রেমের সম্মান স্বরূপ তার কবরের সামনে দিয়ে ইস্তাম্বুল ট্রামবাই ( ইলেক্ট্রনিক ট্রেন) লাইনের নিচেও একই পদ্ধতিতে কিছু বসায় যাতে করে তার কবরের সামনের দিয়ে যখন ট্রামবাই যায় তখন যেন চাকা ও লাইনের ঘর্ষনে কোন শব্দ না হয়।
নিচের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন লাল লাইট দিয়ে সেই অংশটুকু নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। আমি এই ইতিহাসটি জনতাম কিন্তু সিটি করপোরেশন যে এভাবে তাকে সম্মান দেখিয়েছে সেটা জানতাম না। এবার ইস্তাম্বুলের ফাতিহ থেকে এমিনোনোতে শপিং করতে যাবার সময় ট্রামবাই-এ উঠি। তখন আমার সাথের তুর্কী ভাই আমাকে বলে, "ইরফান রেল লাইনের এই অংশ লাল লাইট কেনো জ্বলছে জানো?" আমি জানিনা বলায় সে আমাকে বুঝিয়ে বলে।
দোষত্রুটি নিয়েই মানুষ, কিন্তু কিছু ভালো কাজ মানুষকে দুনিয়ায় সম্মানিত করে। আশা করা যায় মানুষ তার সেই কাজের ওসিলায় আখেরাতেও সম্মানিত হবে। মৃত্যুর ১০০ বছর পরে সুলতান আব্দুল হামিদ দুনিয়ায় তার নবী প্রেমর জন্য সম্মানিত হয়েছেন। আশাকরি সে তার নবী প্রেমের উসিলায় আখেরাতেও সম্মানিত হবেন। পাবেন প্রিয় নবীর শাফায়াত।
আমি নিজে মদিনা গিয়ে ঐ রেল স্টেশন দেখেছি। বর্তমানে ঐ রেল স্টেশন মিউজিয়াম। যারা মদিনায় যান তারা গিয়ে দেখে আসতে পারেন। মসজিদে বিলাল থেকে ১/ ১.৫ কিলো দূরে।
হে আল্লাহ আমাদের হৃদয়কে তোমার নবীর ভালোবাসায়, তাঁর প্রেমে পরিপূর্ণ করে দাও। কাল কেয়ামতের দিনে তোমার নবীর শাফায়াত নসীব করো।
#আমার_নবী #প্রেমের_নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.