নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Sunshine from paradise…

যে বিশ্বাস নিয়ে একটা ছোট্ট শিশু হেসে ওঠে তাকে পরে ছুড়ে দেয়া হলে, তেমনি বিশ্বাস আমি করি তোমাকে। আমি জানি তুমি দুঃখ কখনও দেবেনা আমাকে।

রাতজাগাপাখি

স্বপ্ন বলেই সুন্দর তুমি ভালবাসা বলেই এত কাছের আমার না হয়েও আমার তুমি বুকের গহীন মাঝে...

রাতজাগাপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কল্পনার চেয়ে ভাল একটা মানুষের সাথে স্বপ্নের চেয়ে সুন্দর একটা সন্ধ্যা কাটালাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। অনেক ভাল থাক, সুন্দর থাক।।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০২

যারা অনলাইনে চ্যাট করেন, তারা ভালো ভাবেই জানেন, অনলাইনে একটা ভাল বন্ধু পাওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যপার। এই দিক থেকে আমি অনেক অনেক ভাগ্যবতী বলতে হবে। ২/৪ জন অনেক ভাল বন্ধু আমি পেয়েছি। কাব্য এমনই একজন বন্ধু আমার।



আমার এই ব্লগে লেখা বেশীর ভাগ গল্পগুলোই আমার অনলাইন বন্ধুদের নিয়ে… কিছুটা বানানো… কিছুটা অন্যের গল্প গুছিয়ে বলা।



আজ নিজের একটা গল্প বলতে ইচ্ছা করছে।



কাব্যের সাথে আমার পরিচয় ১০ই জুন ২০১১ তারিখে। আমার স্মৃতি শক্তি ভীষন খারাপ। কিন্তু কোন অদ্ভূত কারনে ওর সাথের প্রতিটা কথা আমার মনে আছে। আরও অনেক দিনের মত ইয়াহু তে চ্যাট করছিলাম সেদিন। একটা রুমে বসে গান শুনছিলাম। ও “hi” দিলো। শুরু হলো কথা। অনলাইনের মানষগুলো সাধারনত যেসব কথা বলে, asl জানা, কি করে, কোথায় থাকে, এসব দিয়েই শুরু হল। ও বলল, ওর বয়স ৩১, সফট ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বললাম, তাহলে নিশ্চয়ই তুমি বিবাহিত, অথবা খুব পচা দেখতে। আমার এই ধারনার কারন জানতে চাইল। বললাম, আমার খুব ইচ্ছা আমি একজন সফট ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কে বিয়ে করব। কিন্তু পৃথিবীর কোথাও ভাল দেখতে, ৩০ উর্ধ, অবিবাহিত কোন সফট ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যদিবা অবিবাহিত পাওয়া যায়ও, সে দেখতে মাশাল্লাহ এত ভাল হয়, যে আমার বিয়ে করার ইচ্ছাই চলে যায়। ও বলল, আমি দেখতে ঐশ্বর্য রায়ের মত কিনা! বললাম, নাহ, এখানেই তো ভুল। আমি ঐশ্বর্য রায়ের মত সুন্দরী হলে সুন্দর স্বামী দিয়ে আমি করব কি! আমি নিজে দেখতে পচা। আমার স্বামী যিনি হবেন তিনিও যদি এমনই সুন্দর হয়, তাহলে ছেলে মেয়েগুলো তো এক একটা ইদুরের বাচ্চা হবে। তখন তিনি বললেন তাহলে তোমার মা কে জানিয়ে দাও তোমার খোজার পালা শেষ।



আমি হেসে বললাম, তুমি দেখতে শাহরুখ খান বুঝি? এভাবেই দু’জন একজন আর একজনকে খোচা খুচি করতে করতে অনেক অনেক কথা হল। আমি যখন বললাম আমি সিংহ রাশির জাতিকা, তার কথা হচ্ছে, তার খুব ইচ্ছা ছিল সিংহ রাশির কোন মেয়ের সাথে পরিচিত হবার। যখন আমার qualification এর কথা বললাম, তার তখনো কথা, এই profession এর কোন মেয়ের সাথে পরিচিত হবার তার অনেক দিনের শখ। বুঝলাম বেটা চরম ফ্লার্ট। তবু কথা বলতে ভাল লাগছিল। খোচাখুচির মধ্যে একটা ভাল বন্ধু পেলাম। যেন দু’জনের পেটের ভেতর কথার পাহাড় জমা হয়ে আছে। কত্ত কথা। সে থাকে অস্ট্রেলিয়াতে। প্রায় ৪ ঘন্টা কথা হবার পর তিনি আমার ফোন নম্বর চাইলেন, ভাবলাম, বেটার যদি পয়সা এত বেশি হয়, যে অত দূর থেকে ফোন করবেন, তো নম্বর দিলে আমার কি! দিলাম নম্বর। সাথে সাথে তিনি এসএমএস করলেন, ‘Its me, Kabbya’. তারপর আরও প্রায় ৪ ঘন্টা কথা হল। দু’জন দেখলাম দু’জনকে। ফেইসবুকে না। ওয়েব ক্যামেরার সাহায্যে। যিনি সেটা আবিষ্কার করেছেন, তাকে অশেষ ধন্যবাদ। যাহোক, দেখলাম, দেখে বললাম, কাব্য, অসম্ভব যে তুমি অবিবাহিত। এত সুন্দর দেখতে একটা ছেলে এখনও অবিবাহিত আছে এটা জগতের আর যেই বিশ্বাস করুক, আমাকে বোঝাতে পারবে না। ও শুধু হাসে। আর সবার কথা জানিনা, আমি সাধারনত কারও ক্যাম দেখলেও সেটার দিকে খুব একটা তাকাইনা। কিন্তু ওর সাথে কথা বলার সময় ওর প্রতিটা expression দেখতে ভাল লাগছিল। আসলে এত সুন্দর একটা মানুষকে না দেখে বোধ হয় থাকাও যায় না। সব থেকে মজার ছিল আমার প্রতিটা expression এ ওর মন্তব্যগুলো। আমি হাসলে ওর মন্তব্য ছিল sparkling teeth, আমার চোখ দেখে বলছিল sleepy eyes… আরও কত কি! আমার প্রতিটা expression এ ওর একটা মন্তব্য তো ছিলই। অনেক অনেক কথার পর অস্ট্রেলিয়াতে যখন ভোর সাড়ে চারটা তিনি আমার অনুমতি নিয়ে ঘুমাতে গেলেন। কি মনে করে তাকে একটা এসএমএস করলাম। আমাকে এত ভাল, এত সুন্দর, এত অসাধারন একটা বন্ধু উপহার দেয়ার জন্য তার শুকরিয়া আদায় না করে পারিনি। তিনি সেটার reply করলেন। তারপর মনে হল, অসম্ভব যে এই ছেলে অবিবাহিত। সন্দেহ প্রবন মন! Thanks to facebook। জগতটাকে ছোট করে দিয়েছে। তাকে পেয়ে গেলাম সেখানে। দেখে মনে হল বিয়েতে তোলা ছবি। এই নিয়ে কত প্রশ্ন কত জিজ্ঞাসা নিয়ে একটা পর একটা এসএমএস আদান প্রদান চলছিল। তারপর বললাম, আমার হাত ব্যথা করছে এসএমএস করতে করতে, সে আবার এল অনলাইনে। অনেক অনেক ক্ষমা চেয়ে বলল, শুরুতেই বিবাহিত আর ২ বাচ্চার বাপ শুনলে কেউ কথা বলতে চায়না। তাই তাকে মিথ্যা বলতে হয়েছে। তখন আমার পালা। বললাম, এর মধ্যেই যে আমি তার প্রেমে পড়ে গেছি, তার কি হবে? তার উত্তর “চড় খাবি… প্রেম কি রে!” সেই শুরু, মাঝে মাঝেই কথা হয় দু’জনে। অনেক অনেক ভাল বন্ধু আমরা। আমি একটু দুষ্টুমি করে প্রেমে পড়েছি বলতে গেলেই ওর চড় খেতে হয়।



পরিচয়ের ৬ মাস পর কাব্য দেশে এসেছে। অবশ্য প্রথম দিনই বলেছিল, ডিসেম্বরে ওর বোনের বিয়ে। ৮ বছর পর দেশে আসছে। ওহ, আমরা কিন্তু ফেইসবুকে তখনও বন্ধু হইনি। ও এত সহজে অনলাইনের পরিচয়ে কাউকে ওর ফেইসবুকে স্থান দেয়না। আমাকে পরীক্ষা করছে। সীতার মত অগ্নি পরীক্ষা দিয়ে কল্পনাতীত ভাল একটা বন্ধু পেয়েছি। সত্যি বলতে, কিছুটা প্রেমে ওর পরিনি সেটা বলব না। শুধু কি কিছুটা, অনেক খানি। এটাকে প্রেম বলে আমার ভালবাসার সম্পর্কটাকে ছোট করব না। কিন্তু অজানা একটা মায়া তৈরি হয়েছে নিশ্চয়ই।



গত ২১শে ডিসেম্বর তার সাথে আমার দেখা হল। আমি ওর ছবি দেখেছি, ওকে ওয়েব ক্যামে দেখেছি। কিন্তু কোনদিন কল্পনাও করিনি সামনা সামনি ও এত সুন্দর দেখতে। এমন না আমি এর আগে সুন্দর কোন ছেলে দেখিনি। কিন্তু কেন জানিনা, ওকে দেখতে এত ভাল লাগছিল! আমি ওর ২ মিনিট আগে পৌছে গিয়েছিলাম। দেখলাম দূর থেকে ও হেটে আসছে। আমাকে দেখে মাথাটা একটু কাত করে হেসে হাত নাড়ল। আমি অনেক অনেক দিনের মধ্যে এত সুন্দর একটা দৃশ্য দেখিনি। ওকে ওই মুহুর্তে দেখে Kabhi Khushi Kabhi Gum ছবিটার একটা দৃশ্য মনে পড়ল। Blue Water Shopping Mall এ জয়া ভাদুড়ি শাহরুখকে যে অবস্থায় দেখেছিল। মাথা কাত করে, হেসে, হাত নেড়ে। যাহোক, সামনে এসে সালাম দিল। দিয়েই বলল, ওর বউ ফোন করেছে ওকে তাড়াতাড়ি যেতে হবে। আমি কি বলব ভেবে পাই না। একটা মানুষ দেখা করতে এসে কেমন আছি, কেমন ছিলাম, অনেক আগে এসেছি কিনা এসব কিছু না বলে, শুরুতেই যাবার কথা বলছে। ওকে অভিযোগও করলাম এই ব্যপারে। ও হেসে বলল, “পাগল তোকে আগে জানিয়ে না রাখলে, হঠাৎ বললে তুই মন খারাপ করবি, তাই আগেই জানালাম। জানানোটা একটু বেশিই তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে বুঝতে পারছি। কিন্তু কি করব বল। আমার যে একদম সময় নেই!” আমাকে আল্লাদ করে তুই করে বলে কাব্য।



যাহোক, একটা কফি শপের টেরিসে বসলাম দু’জনে। দোকানে ঢুকার সময় তিনি দরজা খুলে দাড়ালেন। বসার জন্য আগে আমাকে চেয়ার এগিয়ে দিলেন। ১ ঘন্টা দু’জন অনেক কথা বললাম, কিন্তু মনে হচ্ছে কিছুই যেন বলা হল না। কত্ত কথা মনে! বিকাল ৪টার সময় দেখা করেছিলাম। শুনেছি সন্ধ্যার এই আলোটাকে নাকি কনে দেখা আলো বলে।



ওকে বললাম আমার একটা মিউজিয়াম আছে, যেখানে আমার প্রিয় মানুষগুলোর কিছু না কিছু ব্যবহার্য জিনিস আমি রেখে দেই। কারও টাই, কারও লাইটার, কারও অসমাপ্ত সিগারেটের টুকরো…। সে তার হাতের



বললাম, ওর লাইটারটা আমাকে দিয়ে যেতে। ওটার দিকে চেয়ে বলল, “এটা দিয়ে দিলে আজ আর আমার সিগারেট খাওয়া হবে না।” আমি হেসে ফেললাম। বললাম, কিছু তো দিয়ে যাবে! সে আর একটা সিগারেট জ্বালিইয়ে লাইটারটাই দিয়ে দিল। তারপর অনেক করে ক্ষমা চাইল। আমার জন্য আমার পছন্দের টোবলার ওয়ান চকলেট নিয়ে এসেছিল ও। কিন্তু ওর মা ঐ চকলেটগুলো কাউকে দিয়ে ফেলেছেন। আমি সত্যি অবাক হয়েছি আমার পছন্দের কথা ওর মনে আছে বলে। ওকে সেই পরিচয়ের দিন বলেছিলাম ওই চকলেটটা আমার পছন্দের। যাহোক, দু’জনে সান্ডুইচ আর কফি খেলাম। তারপর যে যার পথে। কিন্তু মনে হচ্ছে এই একটা সন্ধ্যার কথা এই জীবনে ভোলা সম্ভব না। এত ভাল, এত সুন্দর একটা মানুষের দেখা অনেক কালে পাইনি।



অনেকে বলে, বউ থাকতে আমার সাথে দেখা করা, বা আমার ওর সাথে দেখা করা উচিত হয়নি। আমি ভুল কিছু দেখতে পাচ্ছি না। তবে একটা তো কাজ হয়েছে, এর পর হয়ত অন্য কারও সাথে দেখা করতে গেলে আমি ওর সাথে তুলনা করব। ওকে মাপকাঠী বানিয়ে নিলে তো ইহ জগতে অন্য কাউকে ভাল মনে করতে কষ্ট হয়ে যাবে।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১২

যাযাব৮৪ বলেছেন: ভাল লাগলো............

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৬

রাতজাগাপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৩

জিসসান বলেছেন: এটা কি সত্যিই আপনার ঘটনা!! বাস্তবে তো এমন ঘটেনা!!

তবে সত্যিই আপনার ঘটনা হয়ে থাকলে আপনি ভাগ্যবান একজন মানুষ। শুভকামনা রইলো

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৬

রাতজাগাপাখি বলেছেন: এটা সত্যি আমার ঘটনা এবং নিঃসন্দেহে আমি ভাগ্যবান। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৪

মেঘলা মেঘ বলেছেন: আপনার লেখাটা একটানে না পরে পারলাম না। কেনযানি শুধু শেষ লাইন পড়তে ইচ্ছে করতে ছিল। .।। :(

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪২

রাতজাগাপাখি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। খুশি হলাম। ধন্য হলাম। ভাল থাকবেন।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৪

যাযাব৮৪ বলেছেন: দু জন কে ই

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৮

রাতজাগাপাখি বলেছেন: বুঝলাম না :(

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৭

পটল বলেছেন:
ভাল্লাগা ওনেক :)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৯

রাতজাগাপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক... ভাল থাকবেন।

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২১

ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: +

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১০

রাতজাগাপাখি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩১

যে আছো অন্তরে বলেছেন: হুম, এভাবেই সহজ-সরল মেয়েরা "অদ্ভুত সুন্দর" কিছু ছেলের ফাঁদে পড়ে ও সব হারায়। তারপর ঘোর বের হলে টের পায় সব। যাউকগা, worst case এ পড়েন্নাই দেইখা ভাল লাগল।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৩

রাতজাগাপাখি বলেছেন: "সহজ-সরল মেয়ে"দের প্রতি আপনার সহানূভুতি দেখে ভাল লাগল। যারা সাহজ সরল, তারা হয়ত বিপদে পরেই। আমি বেশি চালাক বলব না। আমি ভাগ্যবতি। অনলাইন আমাকে এমন সব বন্ধু দিয়েছে, যা বাস্তবেও কম মানুষ পায়। বাস্তবেও আমি ব্যতিক্রম নই। কিন্তু বাস্তবের মানুষগুলোর কাছ থেকে আমার কিছু expectation থেকেই যায়। কিছুটা হয়ত বেশি সময় চাই ওদের কাছে, যা অমূল্য, যা আজকের দিনে কারও কাছে কারও জন্য খুব কম আছে।

অনলাইনে আমার এমন একজন ভাইয়া আছেন, আমি যখন বিদেশে ছিলাম, আমার একবার দেশ থেকে টাকা আসতে সময় লাগছিল। এদিকে হাত একদম খালি। তাকে দেখিনি তখনও আমি। তিনি দেখেননি আমাকে। তিনি বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫৫,০০০ টাকা আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু বলেছিলেন, আপু তোমার দরকার এখন। একা একটা মেয়ে তুমি বিদেশে থাক, কার কাছে হাত পাতবে? পরে আমার টাকা আসলে আমি উনাকে উনার টাকাটা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম উনার কাজে। সত্যি মানুষ মানুষকে এতখানি বিশ্বাস করে? তিনি বলেছিলেন, তুমি নিলে কি নিতে? কয়েকটা টাকা। আমি হয়ত সাময়িক একটু সমস্যায় পরতাম, কিন্তু তুমি হারাতে একটা ভাল বন্ধু। সত্যি কৃতজ্ঞ ওই ভাইয়ার কাছে। আমার মায়ের শুধু দুঃখ আমি সবাইকে সব ভাল মানুষদের ভাই ডাকি, তাই এখন থেকে নাম ধরেই ডাকি আমি। এই শুধু তফাত।

আর একটা গল্প বলি। আর একটা বন্ধু থাকত আমার স্পেনে। আমার বাবা কাজে যখন স্পেন গিয়েছিলেন, তিনি ওর বাসায় থেকেছে, ও বাবাকে সব কাজ করতে সাহায্য করেছে। আমরা দুই বন্ধুতে কিন্তু এখনও দেখা হয়নি। ও দেশে আসছে আগামী বছর, আশা করি দেখা হবে।

তাই অনলাইন মানেই খারাপ মানুষের আড্ডা না। তাই বলে আমি এটা কোন দিন বলব না ঐ জগতটা ভাল। অসংখ্য মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। কোটি কোটি মানুষ আসছে নোংরামী করার জন্য। তবে আমি ভাগ্যবতি সে এত এত ভাল বন্ধু অনলাইনে আছে আমার। ভাল থাকবেন আপনি। সত্যি কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সে আপনারা আমার safety security নিয়ে এত concern. আমি কিন্তু আপনাদেরকেও আমার অনলাইন বন্ধুদের তালিকাতেই ফেলি। নিজেকে খারাপ বলবেন?

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪২

chai বলেছেন: ভাল লাগলো।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৯

রাতজাগাপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ, শুধু পড়ার জন্য না, কষ্ট করে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্যও। অনেক ভাল থাকবেন আপনি।

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৮

অগ্নির বলেছেন: খুব বিরক্ত হইলাম । নিজেকে ওই ছেলের বউয়ের জায়গায় কল্পনা করেন । এবার ভাবেন আপনার হাসবেন্ড নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে নতুন নতুন বান্ধবি বানাচ্ছে, সারারাত জেগে তাদের সাথে লংডিস্টেন্স কল দিয়ে কথা বলতেছে ! লুল ছাড়া আর কি বলব এই ছেলেকে ! আপনে হয়তো এমন হাসবেন্ড পাইলে খুশীতে নাচতেন ? এমন ছেলেকে বিয়ে করতে হইলে আমি সুইসাইডের চিন্তা করতাম । চেহারা সুন্দর হইলেই মানুষ বন্ধুত্ব বা ভালবাসার যোগ্য হয়না । মেয়েরা যতটা চেহারা বা পেশা দেখে, তার ১০ভাগের ১ভাগও যদি চরিত্র দেখত তাইলে তাদের কপালে এত খারাবী থাকতনা ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৮

রাতজাগাপাখি বলেছেন: আপনাকে বিরক্ত করার জন্য আমি দুঃখিত। কাব্যের স্ত্রীর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করলে বন্ধু খুজতে ও আবার ছুটবে। তখন বেচারা ঠকবে। আমরা ফোনে সচরাচর কথা বলি না। নেটে গত ৬ মাসে মোট ৩ দিন কথা হয়েছে ওর সাথে আমার। ভীষন ব্যস্ত থাকে ও। প্রানের কথাগুলো বলার মত একটা বন্ধু লাগেই মানুষের। জীবন সঙ্গীর সাথে সব বলা যায় হয়ত, কিন্তু, হয়ত দু'জনে মিলে যে আনন্দ করল সেটা ব্যক্ত করার জন্য অন্য কাউকে খোজ়ে মানুষ! ওরা কোথাও বেড়াতে গেলে কি কি হয়েছে, ওর স্ত্রী কখন কি করেছেন, ছেলে মেয়েরা কি করে, এই নিয়ে গল্প আমাদের। আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়। ক্ষতি কি হচ্ছে এতে ঠিক বুঝলাম না।

লোকে বলে, যে যেমন সে অন্যকে ঠিক একই ভাবে বিচার করে। কেন এমন ছেলের সাথে বিয়ে হলে মরে যেতে হবে? কেন শুরুতেই কাউকে খারাপ বলতে হবে? আমি বিশ্বাস করি, খারাপ মানুষ বা বন্ধু হিসাবে যে খারাপ, তার চেহারা কখনও ভাল হয়না। চরিত্রতো ভাই দেখা যায় না! সেটা মনের ব্যপার। আমি আমার চরিত্র জানি, মানুষের চরিত্র খানিকটা বুঝি। একটা কথা আমি কাব্যকে প্রায়ই বলি। কাব্য যখন বলে, "যদি আমি খারাপ হতাম?" আমার কথা হচ্ছে, আমি ওকে এত ভাল বলতাম, এত বিশ্বাস করতাম, যে ও চাইলেও আর খারাপ থাকতে পারত না।

সেদিন কি নিয়ে গল্প করছিলাম বলি, আমার মায়ের জীবনে প্রথম শখ হয়েছে, তিনি রান্না করবেন না সেদিন। ঘরের সবাইকে কিছু একটা শিক্ষা দেয়ার শখ হয়েছে। হয়ত, তার অবর্তমানে যে আমরা অচল, সেটাই বুঝাতে চাইলেন। বাবাকে জীবনে দেখিনি রান্না ঘরের আশপাশে যেতে। সেদিন রাগ দেখিয়ে বাবা বলছেন তিনি রান্না করবেন। এখানে অনেকের প্রশ্ন হবে, আমার অন্য লেখাগুলোতে আমি বলি দোআ করবেন, আমার বাবা খানিকটা অসুস্থ, এখানে বলছি রান্না করছেন, কোনটা ঠিক। দু'টোই ঠিক। বাবার লিভার প্রতিস্থাপন হয়েছে। কিন্তু তার অনুমতি আছে একজন স্বাভাবিক মানুষের মত সব কাজ করার। যাহোক, আমি কাব্যকে বললাম আজ বাবা রান্না করবে, আল্লাহ জানে আজ ঘরে ভাত জোটে কি না! ও আমাকে দিল বকা। কেন ওর আঙ্কেল একা একা রান্না ঘরে কাজ করবে। আমি বললাম, উনাকে যা মানা করি, তিনি তাই করতে পছন্দ করেন, আমার মেজাজ খারাপ লাগে। তার উপর আমি over possessive. সেটা অন্য সবার মত উনার ও অপছন্দ। আমি রান্না ঘরে গেলেই মনে হবে, কেন বাবা চুলার এত কাছে দাড়াচ্ছে। কেন কাঠির এত গোড়ার দিকে ধরেছে, যদি হাতে আগুনের আচ লাগে! আরও কত্ত কি! এরপর লাগবে দু'জনে। এর থেকে এই ভাল যে আমি আমার ঘরেই থাকি।

ও আমাকে বলল, "বাবা মা একটা সময় বাচ্চাদের মত জেদ ধরেই। উলটা পালটা করেই। তুমি কিছু না বলে শুধু পাশে পাশে থাক, যেন কিছু হবার আগেই তুমি সামলে নিতে পার। দেখ, সেদিন বাবার জন্য একটা পাঞ্জাবী কিনেছি বসুন্ধরা সিটি থেকে (ও থাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়)। ঘরে ফিরতে প্রায় আড়াই ঘন্টা লাগল। বাবাকে পাঞ্জাবীটা পরিয়ে দেখি একটু ছোট হয়ে গেছে। সেই থেকে বাবা শুরু করেছে, তুই এক্ষন যা, এটা বদলে আন, কাল যদি দোকানদার বদলে না দেয়! আমি অনেক বুঝিয়েও বাবাকে শান্ত করতে পারিনি। শেষে আবার সেদিনই গিয়ে ওটা বদলে এনে দিয়ে শান্ত করেছি বাবাকে। বয়স হলে ওরা এমনই হয়ে যায়। আমরা ভালবেসে, বুঝিয়ে কখনই ওদের জেদকে আমল দিয়ে ওদের নিবৃত করতে হবে।"

আমি জানি কথাগুলো খুব সহজ সাধারন। যে কেউ এটাই বলবে। আপনাকে বলার অর্থ হচ্ছে শুধু এটুকুই বোঝানো, যে সবাইকে এক পাল্লায় মাপবেন না দয়া করে। হাতের পাচটা আঙ্গুল কোনদিন এক না। সম্পর্ক বিচার করার দৃষ্টিভঙ্গিতেও তারতম্য থাকে। শুরুতেই সম্পর্কের খারাপ দিকগুলো না দেখে ভালটা খুজুন, দোআ করি সেই ভালর সন্ধান যেন আপনি পেয়ে যান। আর, আপনার জীবনসঙ্গী বিপরিত লিঙ্গের কারও সাথে কথা বলছে দেখেই জীবন দিয়ে দেবেন না হয়া করে। এটা এমন জিনিস, একবার গেলে আর ফিরে আসে না। শুনেছি মরার পর ৪০দিন আত্মা পৃথিবীতে, প্রিয় মানুষগুলার আশপাশে ঘুরে। তখন দেখলেন, আপনার সঙ্গীর সম্পর্কটা ভীষন পবিত্র ছিল, সেটা নিয়ে সন্দেহ করাই আপনার অন্যায় হয়েছে, তখন অন্তর দহনে তো ভুগবেনই, ফাকতালে জীবনটাও গেল! ভাল থাকবেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯

রাতজাগাপাখি বলেছেন: আর একটা কথা, জীবনসঙ্গীর চেহারা বা পেশা যাচাই করিনি, কিন্তু বড় হয়ে কি হব সেটা যেমন আমরা স্বপ্ন দেখি, জীবনসঙ্গী কেমন হবে সেটা নিয়েও বোধ হয় স্বপ্ন থাকে মানুষের। সুন্দর চেহারা বা ভাল পেশার সঙ্গীর স্বপ্ন দেখাটা কি দোষের কিছু? সত্যি বলছি, অনেক কাল চোখের সামনে দেখেও মানুষের চরিত্র বোঝা মুশকিল।

আর এমন স্বামী পেলে... আমার স্বামীর কোন বান্ধুবী থাকলেই কষ্ট পাব, এত কষ্ট আমার নেই। আশা কম করি, তাই কষ্ট পাবার চান্স কম।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৮

অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, আপনার লেখার ট্রান্সিশন গুলা ভালো লাগছে কিন্তু থিম টা কেনো জানি মেয়েহীন হতাশাগ্রস্হ লাইফের স্বস্তা ফ্যান্টাসি গল্প লাগলো।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৫

রাতজাগাপাখি বলেছেন: অস্থির পোলাপাইন বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, আপনার লেখার ট্রান্সিশন গুলা ভালো লাগছে কিন্তু থিম টা কেনো জানি মেয়েহীন হতাশাগ্রস্হ লাইফের স্বস্তা ফ্যান্টাসি গল্প লাগলো।

বুঝিনি কিছুই... কার লাইফ মেয়েহীন হতাশা গ্রস্থ? কাব্যের কথা যদি বলে থাকেন, ওর লাইফ মেয়েহীন না, কিন্তু খানিকটা বন্ধুহীন। অনেক পরিচিত ওর, কিন্তু বন্ধু কম। নেই বলব না! কিন্তু বিদেশে থাকলে যা হয়!। দূরতদ দ্
দূরত্বের কারনে বন্ধুরা চাইলেও যোগাযোগ করতে পারে না!

আর, মানুষ সভাবতই বিপরিত লিঙ্গের কাছে মনের ভাব সহজে প্রকাশ করতে পারে, অথবা করে স্বস্থি পায়। তাছাড়া মেয়েরা তো হয়ই সভাবতই মায়াবতী, তাই কথা বলে শান্তি পায়। আমি দোষের কিছু দেখিনি। আপনারা হয়ত নেটের মাধ্যমে যারা ঠকেছে, তাদের গল্প বেশি শুনেছেন। আমি শুরুতেই বলেছি, আমি ভাগ্যবতী। ভাল থাকবেন।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৫

অনন্যমানুষ বলেছেন: খুব ভাল লাগল ঘটনাটা পরে, এরপর কারসাথে দেখা করবেন জানিয়েন, উইস করব যেন সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে হয় :)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৯

রাতজাগাপাখি বলেছেন: আমি ভাই বক বক করতে খুব ভালবাসি। কথা বলার থেকে আনন্দের আমার আর কোন কাজ নেই। সব কিছু যদি ঠিকঠাক করতে চাই, তাহলে তো সমস্যা। যাদের সাথে কথা বলে আনন্দ পাই, তাদের সমাজ সংসার ছেড়ে দিন রাত শুধু আমার ভাশন শুনতে হবে। আমার সব বন্ধুরা জানে এই কথা। কতজন শুধু আমার মন রক্ষার্থে না পারে বলতে, না পারে সহ্য করতে, বুঝি আমি, কিন্তু কি করব বলুন, কথা যে আমার ফুরায়ই না!। সব কিছু ঠিক করতে হলে wish না pray করুন, যেন অল্প কথায় আমার মন ভরে যায়।

আর ভাল কথা! আমি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আর একটা বন্ধুর সাথে দেখা করব। ও বেচারাও আমার কথা শুনে শুনে পেকে গেছে, দুঃখ যে মুখ ফুটে বলতে পারে না। ওর অবশ্য বউ বাচ্চা নেই! যাহোক, দোআ করবেন। ভাল থাকবেন।

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৪

গাউস বলেছেন: আপনি বিয়ে করুন জলদি। কাব্য এর ভূত ছুটে যাবে। অথবা ওকে বলুন ওর Wife ও সন্তানদের জানিয়ে আপনার সাথে বন্ধুত্ব রাখতে, দেখি পারে কি না?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৩

রাতজাগাপাখি বলেছেন: গাউস বলেছেন: আপনি বিয়ে করুন জলদি। কাব্য এর ভূত ছুটে যাবে।

কেন? কি করে? আপনি বিবাহিত? ভুলে গেছেন বন্ধুদের? অথবা আপনি দুর্ভাগা, নিস্বার্থভাবে আপনাকে ভালবাসার মত একটা বন্ধু জগতে পাননি আপনি। বন্ধুত্ত্ব ভিন্ন জিনিস ভাই। মানুষ বলে বাবা মা ছাড়া কারও সাথে মানুষের সম্পর্কগুলো নিঃস্বার্থ হয়না। কেন যেন বন্ধুর কথা ভুলে যায়। কেন ভুলে যায় জানি, আজ কাল নিঃস্বার্থ বন্ধু পাওয়া যায় না বলে। যাহোক...

ওর স্ত্রী এবং সন্তানরা জানে আমার কথা। আমার কথাও হয়, হয়েছে ওদের সাথে। ওর বোনের বিয়েতে আমিও আমন্ত্রিত। কাল বিয়ে, আমি উপস্থিত থাকব সেখানে। ওর সাহস আছে, আমার ও। সম্পর্কটার পবিত্রতা টুকু আপনাদের চোখকে কি করে ফাকি দিল বুঝলাম না। হয়ত বা ওই কথা থেকে যে ওকে ভালবেসে ফেলেছি? সে তো আমি আমার আর সব বন্ধুদের ও বাসি। আমার বন্ধুরা আমাকে অন্যের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয় ওদের "মায়ের মত" বলে। বিবাহিত পুরুষের বন্ধু থাকা দোষের কিছু, তা তো জানা ছিল না!

যা হোক, ভাল থাকবেন।

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৬

যে আছো অন্তরে বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যা ভাল লাগলো। ভাল-খারাপের ডেফিনিশন সবার কাছেই আলাদা। সত্যি কথা বলতে কি, বন্ধুত্বকে আমি এভাবে ডিফাইন করি না। কেউ আমার উপকার করল, আমার প্যাচাল শুনল, আমাকে বুঝলো মানে জগতে যত ভাল ভাল কাজ সম্ভব, সবই আমার সাথে করল, তার পরেও আমি তাকে বন্ধু বানাই না। আমি তাকেই বন্ধু বানাই, যে সবার জন্য ভাল (শুধু আমার জন্য না), মানুষ হিসেবে ভাল, আর যে আমার জন্য যা করে তা সবার জন্যই করার ইচ্ছা পোষণ করে।

তার মানে হচ্ছে অনেক সময় ধরে পর্যবেক্ষণ না করে বন্ধু বানানোর পক্ষপাতি আমি না। বন্ধুত্ব্ব অনেক বড় ব্যাপার। দুনিয়াতে যে যার বন্ধু হবে, আখিরাতে সে তার সাথেই থাকবে।

তো, মোদ্দা কথা হইতেছে, এমন আপাদমস্তক ভাল মানুষ খুঁজে পাওয়া বড় মুশকিল, আর তাই আমার বন্ধুর সংখ্যা ২-৩ জন মাত্র, হেহে।

ভাল থাইকেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫০

রাতজাগাপাখি বলেছেন: বুঝলাম। আমার কথা শুধু একটুকু, কাব্য মানুষ হিসাবে খারাপ না। শুধু মাত্র বিবাহিত হয়ে অনলাইনে অবিবাহিত বলেছে, বা কোন মেয়ের সাথে কথা বলেছে বলে তাকে খারাপ বলার কারন তো নেই।

সত্যিই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। ভাল থাকবেন।

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮

যাযাব৮৪ বলেছেন: বিবাহিত হয়ে অনলাইনে অবিবাহিত বলা কি সটিক ছিল.............।




লেখক বলেছেন:?শুধু মাত্র বিবাহিত হয়ে অনলাইনে অবিবাহিত বলেছে, বা কোন মেয়ের সাথে কথা বলেছে বলে তাকে খারাপ বলার কারন তো নেই।

১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪০

যাযাব৮৪ বলেছেন: শুধু মাত্র বিবাহিত????????????????????এটা কি ??????//

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫২

রাতজাগাপাখি বলেছেন: প্রশ্নের মানে বুঝিনি :(
আমাকে যে লোকে সাধে tube light ডাকেনা সেটা বুঝতে পারছি। যাহোক, "শুধুমাত্র বিবাহিত" বলতে বুঝাতে চেয়েছি যে শুধুমাত্র এটুকু মিথ্যা বলার জন্য কাউকে বিচার করাটা বোধ হয়না সঠিক। মিথ্যা আমরা সবাই বলি, কেউ কম কেউ বেশি। এমন মানুষ বোধ করি পাওয়া মুশকিল যে জীবনে একটাও মিথ্যা বলেননি। শুধু এই কারনে তাকে খারাপ বলাটা বোধ হয় ঠিক না।

যাহোক, ভাল থাকবেন।

১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫

পটল বলেছেন:

শুভকামনা :)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১২

রাতজাগাপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ :) । ভাল থাকবেন।

১৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৪

সুফি বলেছেন: দুঃখিত, আমি আপনার ইয়াহু আইডি জানিই না , অ্যাড রিকোয়েস্ট তো এন্টার্কটিকার পথ। আমার আইডি [email protected]

১৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৪

ডেজা-ভু বলেছেন: আমার মাঝে মিশ্রানুভূতির তৈরি হইলো!!!

ভালো লাগছে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৩

রাতজাগাপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ। অনুভূতি তৈরি হল এই বা কম কি! খারাপ ভাল তো পরের কথা। ভাল থাকবেন।

১৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৬

যাযাব৮৪ বলেছেন: rahaman_asad ..........yahoo msngr

২০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪০

যাযাব৮৪ বলেছেন: [email protected]

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৩

রাতজাগাপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৭

যাযাব৮৪ বলেছেন: সাগত

২২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩৬

অগ্নির বলেছেন: আপনার বিশাল উত্তরের জবাব দেবার সময় পাচ্ছিলামনা । অনেককিছু বলতে হয় । দেখি অল্প কথায় বলতে পারি কিনা ।

ছেলে আর মেয়েতে বন্ধুত্ব করা উচিত নয় কিংবা বিবাহিত হলেই বন্ধুত্ব বাদ দিতে হয় এমন ধারণা আমি আদপেই রাখিনা । আমার নিজের অনেক ছেলেবন্ধু আছে এবং প্রিয় মানুষটারও আছে মেয়েবন্ধু । কিন্তু সারারাত জেগে তাদের সাথে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার প্রয়োজন আমাদের কারোরই পড়েনা তো ! কারন ‌‌"বন্ধুত্ব" আর "বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষনজনিত বন্ধুত্ব" ----- দুটা সম্পূর্ন ভিন্ন জিনিষ । ১মটা হার্মলেস, ২য়টাই পরবর্তীতে নানা ঝামেলা বাধায় । তাই ২টার তফাৎ বোঝাটা জরুরী । অনেকসময় মানুষ নিজেও সেটা বুঝতে পারেনা । আপনার বন্ধুত্বের যে বর্ননা পোস্টে দিয়েছেন , তা থেকে মনে হয় ২য়টার সাথেই ওটার মিল বেশী । কেমন করে ?
আপনার বন্ধু কাব্য কি কোন ছেলের সাথে বন্ধুত্ব শুরুর সময়েও নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দেয় ? এই ভয়ে যে সে বন্ধুত্ব করতে রাজী হবেনা ?
উনি কি তার ছেলেবন্ধুদের সাথেও মাঝরাতে ৪ ঘন্টা ধরে গল্প করেন (লং ডিস্ট্যান্স) ? তাদের চেহারার এক্সপ্রেশনের প্রশংসা ?
এখন পর্যন্ত আপনি কটি মেয়ের সাথে অনলাইনে বন্ধুত্ব করে পরে বসুন্ধরায় দেখা করেছেন ? ভালো কথা, মেয়েবন্ধুদের সাথে দেখা হলে নিদর্শনস্বরুপ কি তাদের লিপস্টিকটা চেয়ে রাখেন ? এবং `কনে দেখা আলোয়' দেখা হয়েছে বলে আনন্দিত বোধ করেন ?
আচ্ছা, কাব্য তো মানুষ হিসেবে খারাপ নয়, তাইনা ? তার স্ত্রী যদি তার মতই অনলাইনে `সামান্য মিথ্যা' বলে দুচারটা প্রাণের ছেলেবন্ধু জোটায় এবং সারারাত ধরে গল্পগুজব করে তাতে কাব্যর আপত্তি নেইতো ? একটু জিজ্ঞাসা করবেনতো !

বন্ধু যখন শুধুই বন্ধু, জেন্ডার ভিন্ন হলে তাদের প্রতি আচরন যদি বদলে না যায় , তাহলেই সেটা হার্মলেস এবং গ্রহনযোগ্য । তা না হলে আপনার যতই ভাল লাগুক না কেন , আর কাব্যর বউ যতই সোনামুখ করে রাখুক না কেন, গেঞ্জাম তো হবেই ।

আপনার লেখায় পরিষ্কার বলেছেন কাব্য নিজে থেকে নিজের বিবাহিত পরিচয় দেয়নি, আপনার সন্দেহ হওয়ায় প্রশ্ন করে করে সেটা বের করেছেন । quite strange for a harmless friendship.

লোকে বলে, যে যেমন সে অন্যকে ঠিক একই ভাবে বিচার করে।
ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত যে মিথ্যা বলে বন্ধুত্ব করাটাকে আপনি তেমন কোন অপরাধ মনে করেননা । এর মানে কি আপনি নিজেও তাই ?

আপনি বিশ্বাস করেন খারাপ মানুষের চেহারা কখনো ভাল হয়না । মানে যারা দেখতে খারাপ তারা মানুষও খারাপ ! অথচ আপনি নিজের চেহারা সম্পর্কে বলেছেন, আপনি দেখতে পঁচা !!!

চরিত্র দেখা যায়না কথাটা সত্যি নয় । মানুষের ছোট ছোট আচরনে তার চরিত্র প্রকাশিত হয়ে পড়ে । যেমন কেউ যদি আপনার বাইরের চেহারা দিয়ে আপনাকে বিচার করে বা আপনি বন্ধুদের সামনে প্রেজেন্টেবল না বলে লজ্জা পায় , তাকে না দেখেও আমি বুঝতে পারি তার চরিত্র কেমন ! এই বিবেচনাটুক আপনি করলে হয়তো অনেক ভোগান্তির হাত থেকে বেঁচে যেতেন ! যেমন আমার কখনো নিজের সঙ্গীকে সন্দেহ করার প্রয়োজনই পড়েনা । কারন তিনি সন্দেহ করবার মত কোন আপত্তিকর আচরন করেননা ।

ও হ্যাঁ , সুন্দর চেহারা বা পেশার সঙ্গীর স্বপ্ন দেখা তো দোষের কিছু নয় । যতদূর জানি , আপনার বয়ফ্রেন্ডও সুন্দর চেহারাকেই বেশী গুরুত্ব দিয়েছিলো ! সেটা কি দোষের ছিলো ? কি মনে হয় ?

অনেক কড়া করে বলে ফেল্লাম মনে হয় । মানুষ চেনা জরুরী আপু ! নিজের ভালোর জন্যই । আর অন্যের ভালোর জন্যেও ।

বেশী বড় হয়ে গেল !

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:২৫

রাতজাগাপাখি বলেছেন: ভাই অগ্নির, আমি তুমি করেই বলছি, তাতে আপন মনে হয়। তোমার লেখার জবাব দেবার সময় পাচ্ছিলাম না। অনেক দুঃখিত তোমাকে অপেক্ষা করানোর জন্য।

প্রথম কথা, সারারাত জেগে ভবিষ্যত কল্পনা আমরা কেউই করিনি, করিনা। আবার এটাও খানিকটা মিথ্যা। ভবিষ্যত নিয়ে নিশ্চয়ই কথা হয়। কেন কাজ করছিনা, কি করব, কি করার ইচ্ছা, এগুলো নিয়ে কথা হয় অবশ্যই, কিন্তু আমাদের ভবিষ্যত, আমাদের কিসের ভবিষ্যত? যাইহোক, এত সহজ কথা ধরে তোমরা অনেক অনেক সিরিয়াস হয়ে গেছ, দেখে ভাল লাগে।

অনলাইনে বস কিনা জানিনা, বসে দেখ, কম লোক আছে যারা একদিনের বেশি বন্ধুত্ত্ব করেনা সেখানে। তাই বিবাহিত কিনা সেটা শুরুতেই বলেনা। কারন বেশির ভাগ ছেলে/মেয়ে অবিবাহিতদের সাথেই কথা বলতে পছন্দ করে, যদি সে নিজে অবিবাহিত হয়। শুরুতে নিজেকে অবিবাহিত বলাটা খুব দোষের হয়ত তখন হত, যখন ও এই কথাটাই continue করত। ও চাইলে অনায়াসে সব সময় বলতে পারত ও অবিবাহিত। তা কিন্তু সে করেনি। এই credit টুকু বেচারাকে তোমরা কেউ দিতে রাজী না। কেন জানিনা।

তোমার জানার জন্য বলছি, এই পর্যন্ত আমার প্রায় ৭টা বান্ধুবী আছে অনলাইনের। আমি যাদের সাথে বসুন্ধরায়, ধানমন্ডি লেকে, ওদের বাসায় অনেক জায়গায় দেখা করেছি। লিপস্টিকের প্রতি আমার দূর্বলতা নেই, তাই সেটা নেইনি, মেয়েদের যে জিনিসটা আমার ভাল লাগে সেটা হল চুল। আমি ওদের সবার একটা করে চুল আমার মিউজিয়ামে রেখেছি কিন্তু। তাই এই দোষ তুমি আমার কখনই দিতে পারবে না যে আমি ওদের পর করে রেখেছি। আমরা কনে দেখা আলোতেও দেখা করেছি। এবং এই জন্য খুশিও হয়েছি।

আমি কাব্যকে জিজ্ঞেস করেছিলাম “তার স্ত্রী যদি তার মতই অনলাইনে `সামান্য মিথ্যা' বলে দুচারটা প্রাণের ছেলেবন্ধু জোটায় এবং সারারাত ধরে গল্পগুজব করে তাতে কাব্যর আপত্তি নেইতো?” ওর উত্তরটাও কোট করছি, ‘যদি তোর মত জাদরেল বন্ধু হয় আমার আপত্তি নেই, তানাহলে ওদের সাথেও একদিনের পর আর কথা হবে না, তাই আপত্তির কিছু থাকছেই না।’

আমার জিজ্ঞাসার পর যদি ও মিথ্যা বলত, আমার করার কি বা থাকত?

আমি নিজে কেমন সেটা না হয় তুমি কখনও আমার সাথে কথা বলে বিচার কর। [email protected] এটা আমার ইয়াহু আইডি। ইচ্ছা হলে কথা বলে দেখ।

তুমি চেহারাটাকে কিভাবে দেখ আমি জানিনা। আমার কাছে তাই মনে হয়। যারা বাজে ইচ্ছা চরিতার্থ করার জন্য অন্যের সাথে মেশে তারা যত সুন্দরই হোক, আমার কাছে সুন্দর মনে হয়না। সৌন্দর্য আমার কাছে ৬ ফিট লম্বা, জিম করা ফিগার, সুন্দর গায়ের রঙ দিয়ে হয়না। সৌন্দর্যের আলাদা সংগা আমার কাছে। সেটা কি জিজ্ঞেস করলে হয়ত উত্তর দিতে পারবনা। এই লেখাটাকে অনেকে অনেক রকম করে নিয়েছে। ভাল কথা। আমি শুধু আমার অনেক অনেক ভাললাগা একটা অনুভূতি কারো সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছিলাম। অনেকে আমাকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন। ভাল কথা। অনেকে বলেছেন পরবর্তিতে যেন সব ঠিকঠাক হয় সেই দোয়া করবেন। ঠিক বেঠিক হবার কিছু ছিলই না। আর আমার বিয়ে হওয়া বা না হওয়ার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।

আমার বয়ফ্রেন্ড কি জিনিসকে গুরুত্ত্ব দিয়েছে সেটা সে নিজেই ভাল বলতে পারে। সেই ব্যপারে মন্তব্য না করাই ভাল।

আমার বেহারা পচা এটা আগে বলতাম না। কারন আগে বাজারে উঠিনি। এখন বিয়ের বাজারে দেখি কেউ জিজ্ঞেস করেনা মেয়ে কি পড়েছে, বা বংশ কেমন। প্রথম কথা আগে ছবি দেন, দেখে পছন্দ করলে পরে বায়োডাটা দেয়া যাবে। কোন সম্বন্ধ আগাইনি কারন আমি এসব মানুষদের অশিক্ষিতদের দলে ফেলি এবং বিয়ে করিনি। তাই নিজেকে সান্ত্বনা দেই এই বলে যে আমি কুৎসিত বলে বিয়ে হয়নি। আমি ঐশ্বর্য রায়ের মত না হলেও খুব সাধারন।

মানুষ চেনা জগতে সব চেয়ে কঠিন আপু। চেষ্টা করে দেখ, একদিন কথাটার সত্য উপলব্ধি করবে। কড়া কথায় রাগ করিনি সোনা। এত অল্পে রাগ করিনা আমি লক্ষী। আর তোমাকে মায়া করে এই শব্দগুলো যেভাবে বলছি, আমি কথা এভাবেই বলি। তোমাকে তেলাচ্ছিনা। আমাকে যারা জানে তাদের প্রশ্ন করে দেখতে পার। ভাল থেক তুমি।

২৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:০৮

অাহেমদ হাসান বলেছেন: ভাল লাগল।

মানুষ মাত্রই ভাল থাকার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক।অন্যের ক্ষতি না হলেই হল।

দুই জন মানুষের ভাললাগা হতেই পারে।

২৪| ২০ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১২:১৩

রাতজাগাপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

মহসিন৭১ বলেছেন: তোমার এ লেখা আমি অনেক দিন পর পড়লাম সেজন্য কোনো মন্তব্য করলাম না। তবে কাব্য যদি অবিবাহিত হতো আর তোমার সঙ্গে এর বিয়ে হতো। তাহলে আমার ভাল লাগতো।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

রাতজাগাপাখি বলেছেন: ভাইয়া, এত বেশি সুন্দর ছেলের সাথে বিয়ে হলে আমি নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে শুধু ওর দিকেই রাকিয়ে থাকতাম। আর, সর্বক্ষন ভয়ে থাকতে হত। বেশি সুন্দর মানুষকে দূর থেকে দেখতেই সুন্দর। বেশি কাছে যেতে নেই :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.