![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছোটবেলায় ভাবতাম আল-কোরআনে মনে হয় শুধু লেখা সদা সত্য কথা বলো, খারাপ কাজ করো না, নামাজ, রোজা ঠিক মতো করো ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু এখন যখন একটু বড় হলাম তখন বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ পড়ে অনেক ভায়োলেন্ট আয়াত জেনেছি। একে হত্যা করো। ওকে মারো, শিকল দিয়ে বেধে ফেলো, দুই হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে দাও। যুদ্ধ বিগ্রহ সংক্রান্ত প্রচুর আয়াত আছে আল কোরআনে। এতো গেলো কোরআনের কথা। বাইবেলেরও অনেক ভার্স পড়ে আতকে উঠতে হয়। একে হত্যা করো। তাকে ধরে নিয়ে নিয়ে উপর থেকে ফেলে দাও, পাথর ছুড়ে হত্যা করো ইত্যাদি আরো অনেক ভায়োলেন্ট ভার্স আছে। ধরেন বাইবেল এখন আর আসলটি নেই তবুও বাইবেলের একটা অংশতো আল্লাহর নিজের বানী যেটা হয়তো এখনো ঠিক আছে। কোন অংশ ঠিক আছে সেটা নিশ্চয়ই আমরা জানি না কিন্তু গোসপেল ও তোরাহতো আল্লাহর বানী। সেখানে প্রচুর ভায়োলেন্ট ভার্স লেখা।
ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পনের মাধ্যমে শান্তি কিন্তু আমরা কেনো সহিংস হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো? ইহুদি, খ্রিষ্টানেরা মহানবী (সাঃ)কে নবী স্বীকার করে না। এখন ইহুদিরা কেন ঈশাকে মসীহ ও রাসূল (সাঃ) শেষ নবী মানে না সেটাতো আল্লাহ ভালো জানেন। এটা কি আমাদের দায়িত্ব যে আমরা সহিংস হয়ে ধর্ম প্রচার করবো?
তালেবানেরা মুখে কালো কাপড় আর বন্দুক হাতে নিয়ে যে ঘুরে বেড়ায় এভাবে কি ইসলাম প্রচার সম্ভব? আল-কোরআনে কেনো এত সহিংস আয়াত আছে সেটা আমাকে কেউ খুলে বলেন। একজন মুসলিম যেমন আল্লাহর বান্দা, বাকি সব ধর্মের মানুষকে তো ঐ এক আল্লাহই বানিয়েছেন। তারাও তো আল্লাহর বান্দা। আল্লাহ কেন তার নিজের বান্দাদের মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ হতে দিলেন?
এসব প্রশ্ন আমাকে মাঝে মাঝে ভাবায়। ঐসব সহিংস আয়াত কি শুধু ঐ সময়ের জন্য প্রযোজ্য ছিলো নাকি এটা সার্বজনীন?
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আরেকটা বিষয় দেখবেন যীশুর উপাসক ও যীশুর খুনিদের বিশাল সৌহার্দ্য, বন্ধুত্ব, ঐক্য। পশ্চিমে ইহুদি-খ্রিস্টানরা যেভাবে মিলে মিশে থাকে--সেটা ধর্মের ভিত্তিতে বিস্মযকর। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৩
অপু কাউসার বলেছেন: ভাই আমাকে বলতে পারেন, কোন ধর্মের ওনুসারিরা ভায়োলেন্ট না !
কোন ধর্মেই মানুষ কে ভায়োলেন্ট হওয়ার এডভাইস দেয়া হয়নি, এটি সবসময়ই মানুষ কে শানতির পথে ডাকে, মানুষ এটি কে ডুবায়, সো হুদাই দোষ দিয়ে লাভ নাই।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩১
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ইসলাম শাসনের ধর্ম।
আরো সার্বজনীন ভাবে বলা যায় ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। একটা জীবন, একটা সমাজ কিভাবে চলবে তার নিদের্শনা দেয়া আছে।
তেমনি খ্রীষ্ট ধর্মও একটা শাসনের ধর্ম।
সুতরাং যেখানে শাসন সেখানেই কিছু দমন মূলক ব্যবস্থা থাকবে।
লক্ষ্য করুন বৌদ্ধ ধর্ম। শাসনের ধর্ম নয়। বরঞ্চ বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক রাজা হয়ে শাসক হয়েও শাসন ছেড়ে ধর্মে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। দারূণ মজার ব্যাপার।
ইসলাম যখন নাজুক অবস্থায় ছিলো, প্রাথমিক অবস্থায় ছিলো তখন তার বাণী ছিল মোলায়েম।
ইসলামের ক্ষমতায়ন হওয়ার সাথে সাথে ইসলাম রিজিড হওয়া শুরু করলো। কালাক্রমিক ভাবে সুরাগুলো সাজিয়ে পড়ে দেখলেই হূদয়ঙ্গম করবেন। ভেরী ইন্টারেষ্টিং।
কালানুক্রমিক ভাবে পড়লেই বুঝতে পারবেন ২৩ বছরের ইসলামের বির্বতনের সাথে সাথে ইসলাম হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর ইন্তেকালের পর থিতু হয়েছে। এখানেই ব্যাখ্যা পাবেন কেন ইসলামের শাসন সব দেশে সব ইসলামের ধর্মানুরাগী জনগোষ্ঠী ও তার প্রতিনিধিত্ব কারী রাজনৈতিক দল চায় কিন্তু কেন তাদের বাস্তবায়নের নির্দেশনা ইসলামী রাজনৈতিক নেতাদের ভিন্ন ভিন্ন।
যেমন ধরুন, আমাদের দেশের তবলীগী আন্দোলন। নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখলেই বুজবেন তারা পিউরিটান। প্রাথমিক ইসলামী যুগের বিশুদ্ধতা, মোলায়েম প্রচার পন্থা তাদের। কোনো রকম উগ্রতা অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর চেয়ে কম। তাদের দাওয়াত খুবই উদার পন্থায়। তারা লোকজনকে বুঝিয়ে নামাজী করতে চায়। অন্ততঃ রাষ্ট্র ক্ষমতা এক্ষণি চায় না এরা।
এভাবে ভাবুন মধ্যপন্থী, উগ্রপন্থীদের আচরণ। দেখবেন পুরো ইসলামের বির্বতনের একেক টা অংশকে এরা তাদের "মোটো" করেছেন। আরো সহজে বলি, কুরান শরীফের ভাববোধক বিশেষ বিশেষ বিশেষ অধ্যায়, সুরা যেটা যেই দলের কাছে উপযুক্ত মনে হয়ে সেই দল সেই অধ্যায়ের প্রচারক, অনুশীলনকারী, বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পুরো কোরান শরীফকে ধারণ করে, মেধা দিয়ে তার ভিতরে আপাত কনফ্লিকট্ গুলো সমন্বয় করার মতো যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, দূরদশির্তা দেখা যায় না।
আমি কখনোই ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে উৎসাহ বোধ করি না। আজ বাধ্য হলাম । কেননা আপনার মতো এই রকম প্রশ্নের মুখোমুখি চলমান জীবনে আমাকে প্রায়ই হতে হয়। আমি উত্তর দেই না। কারন যারা আমাকে প্রশ্ন করে তারা আমাকে প্রশ্ন না করে নিজেই কোরান শরীফ ও হাদিসে এগুলো অনুসন্ধান করলেই পারে। কেন যে আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষকে করে অনেক সময় ভেবে পাই না।
এই প্ল্যাটফরম আমাকে কিছু লিখতে উজ্জীবিত করেছে, এজন্য সামু ব্লগ ও আপনার অনুসন্ধীষ্ঞু মনকে ধন্যবাদ।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪০
নাহিদ পারভেজ বলেছেন: হাসি, কান্না, রাগ, ইচ্ছা এসবের মত ভায়োলেন্সও মানবজাতের সাধারণ একটা ইমোশন। মানুষ ভায়োলেন্ট হবেই। ধর্মগুলায় শুধু বলা হইছে, কোন কোন ক্ষেত্রে ভায়োলেন্ট হলে অসুবিধা আছে আর কোন কোন ক্ষেত্রে ভায়োলেন্ট হওয়ার পারমিশন আছে।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
ঝটিকা বলেছেন: ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এই কথাটার অর্থ যদি বোঝার চেষ্টা করেন তাহলেই আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। শুধুমাত্র ঈমান আনলাম ইবাদত করলাম এটুকুর মধ্যে ইসলাম সীমাবদ্ধ না। একজন মানুষের, একটা সমাজের, একটা রাষ্ট্রের সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে যতটুকু ভায়োলেন্ট হওয়া দরকার আল্লাহপাক সেটাই নির্দেশ দিয়েছেন। এটাকে ভায়োলেন্ট বলারও আমি পক্ষপাতি না।
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৩
রফরফ বলেছেন: অন্য ধর্মের কথা বলতে পারবনা তবে কুরআনে যুদ্ধ ও হত্যা সংক্রান্ত বিধান গুলি যৌক্তিক কারনেই দেওয়া হয়েছে।
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধর্ষকের জন্য আপনি নিশ্চয়ই অনেক মানবতাবাদী তাইনা!!
যুদ্ধাপরাধীর জন্য আপনার দরদ নিশ্চয়ই উথলে উঠে!!??
খুনি অপরাধী মিথ্যাবাদী দুর্নীতিবাজ দেশদ্রোহীর জন্য আপনার মায়া নিশ্চয়ই সীমাহীন!!!!
যদি এর উত্তর না হয়- তবে আপনার প্রশ্ন নিতান্ত বাতুলতা!
অথবা কেবলই ক্যাচালবাজি!!!!!
৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
আলাপচারী বলেছেন: আরেকটা পয়েন্ট বলতে ভুলে গেছি, বেশীর ভাগ প্রগতিশীল বক্তারা ধর্মকে রাজনীতির থেকে আলাদা রাখতে বলে। এদের বেশীর ভাগ আসলে পরের শেখানো বুলি মুখস্ত বুলি বলে। অল্প সংখ্যক আছে পাকা চোর, এরা জেনে শুনে ধর্মকে রাজনীতির থেকে পৃথক রাখতে বলে।
অন্য কোনো ধর্মের কথা জানিনা।
ইসলাম এমন একটা ধর্ম যাকে রাজনীতি থেকে আলাদা করা অসম্ভব।
এটা পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আপনার ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে সমাজ জীবন, সামাজিক জীবন, ভৌগোলিক জীবন, রাষ্ট্রিয় জীবন কিভাবে চলবে তা স্পষ্ট করে বলা আছে। মসজিদে বসে রাষ্ট্রিয় ফয়সালার কথা বলা আছে। অর্থাৎ ধর্ম থেকে জীবন আলাদা করা যায় না ইসলামে। ধর্ম থেকে জীবন যদি আলাদাই করার নিষেধ থাকে তা হলে জীবনের সমষ্টি নিয়ে সমাজ, রাষ্ট্র থেকে কিভাবে আলাদা করবেন।
ধর্মের অনুশীলন দিযে বর্তমান যুগে চলা সম্ভব কিনা সেটা কিন্তু ভিন্ন বিশাল ভাবনার ব্যাপার।
আধুনিক ব্যাংকিং কি মুসলিম রীতিতে সারা বিশ্বে গ্রহণ করানো সম্ভব ??
অর্থাৎ আপনার ধর্ম পালন করা আর তার অনুশাসন চালু করা যথাক্রমে সবচেয়ে সহজ ও অত্যন্ত কঠিন কাজ।
সেই রকম সংস্কারক, উদ্ভাবক, প্রাজ্ঞ নেতা ছাড়া তা বাস্তবায়ন অসম্ভব।
১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
HHH বলেছেন: সত্য কে অনুসন্ধান করলে অবশ্যই তার দেখা পাবেন। আমি আপনার সত্য অনুসন্ধান এপ্রিসিয়েট করি। কিন্তু সত্য যখন সামনে আসবে তখন তাকে গ্রহন করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। তখন অন্ধের মত ঘার ত্যাড়ামি করা যাবে না কিন্তু।
আল-কোরয়ানের কিছু কিছু আয়াত তখনকার যুদ্ধের সময় নাজিল হয়েছিল। কিছু আয়াতে অত্যাচারী, জঘন্য পাপীদের প্রতি কঠোর হবার নির্দেশ আছে। কিছু আয়াতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় কঠোর হতে বলা হয়েছে। এইসব ভায়োলেন্ট না।
আপনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনে খোজ নেন। যদি সত্যি ইচ্ছা থাকে তাহলে জাকির নায়েকের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
পাউডার বলেছেন:
ধরুন আপনার নানিকে কেউ একজন ুদে দিলো। তারপর তাকে খুন করলো। আপনি কি তখন উনার পাছায় চুমু দিতে যাবেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫২
মুহাম্মদ তাইফ বলেছেন: ইসলাম প্রয়োজনে মানুষকে হত্যার ও অনুমতি দিয়েছে ।কারন ইসলাম চায় সমাজ থেকে অনাচার দুর করতে ।