![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি দেশজুড়ে একযোগে মুক্তি পেলো অশ্লীল এক বাংলা ছবি দাবাং। অত্যন্ত বাজে কুশ্রী এক নায়ক জায়েদ খান ছবির নায়ক। এত কুশ্রী নায়ক আমি কখনো দেখি নি। এর চাইতে কালো মানিক হাসান মাসুদের চেহারাও অনেক সুন্দর। নায়ক হতে হলে নূন্যতম চেহারা লাগে। যাকে তাকে এনে অভিনয় করালেই সে নায়ক হয় না। এই নায়কের দাবাং ছবিটি অশ্লীলতার দিক থেকে মনে হয় মুনমুন-ময়ূরীর সময়কালের ছবিগুলোকেও হার মানাবে।
এই তো গেলো দাবাং ছবির কথা কিন্তু তথাকথিত সুস্থ ধারা ছবি বলতে আমরা কি বুঝি? দুই ঘন্টার টেলিফিল্ম? আর্ট ফিল্মেরও তো নির্মানের একটা স্টাইল আছে। ছবি দেখলে যদি সেটা নাটক নাটক লাগে তবে সেটা কিভাবে ছবির ক্যাটাগরীতে পড়ে? ফারুরীর টেলিভিশন ছবিটি আমার দেখা অন্যতম বাজে একটা ছবি। এটাকে কোনভাবেই সিনেমা বলা যায় না। ছবির ক্যামারা ওয়ার্কই বলে দেয় এটা নাটক কিন্তু সিনেমা না। আঞ্চলিক ভাষায় আইঁ , উঁই বলিয়ে একটা রিয়েলিস্টিক টাচ দিতে চেয়েছে কিন্তু যেই গ্রামে কোনো টেলিভিশন নাই কিন্তু হাই স্পীড ইন্টারনেট আছে যার স্পীড এত বেশি যে স্কাই পে তে কোনো বাফারিং ছাড়াই ক্রিশটাল ক্লিয়ার ছবি দেখা যায় এমন গ্রাম বাংলাদেশের কোথায় আছে আমি জানতে চাই। দুনিয়ার কোথায় এমন গ্রাম আছে আমি জানতে আগ্রহী। এই ফালতু ছবিতে ধর্মকে পঁচানো হয়েছে সুকৌশলে। যার কারনে ছবিটি নাকি বিভিন্ন পুরষ্কারও পেয়েছে।
দেশের কমার্শিয়াল ছবিগুলো যদি বিগ বাজেটের হয় (২ কোটি) তবে লোকেশন দেখায় থাইল্যান্ড। ক্যান রে ভাই, থাইল্যান্ড ছাড়া কি এর কোনো বিদেশী লোকেশন নাই। কালে ভাদ্রে অন্য বিদেশী লোকেশন দেখায়। লাল টিপ ছবিতে ফ্রান্সকে দেখনো হলো কিন্তু ছবির মান নাটকের চাইতেও খারাপ।
আমাদের দেশে এত সুন্দর সুন্দর লোকেশন আছে কিন্তু ছবিতে শুধু দেখা কক্সবাজার। ক্যান রে ভাই, পার্বত্য চট্রগ্রাম, সিলেটের চা বাগান, নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ, গাজীপুরের সাফারী পার্ক এগুলো লোকেশন হিসেবে দেখানো যায় না?
ছবির নায়ক একজন। শাকিব খান। বুঝলাম সিনেমায় এখন নায়ক সংকট চরমে উঠেছে কিন্তু পেপার পত্রিকা ও বিলবোর্ডে যে হাংকি মডেলদের ছবি দেয়া হয় এগুলো কি বাইরের মডেল? এদের গ্রুমিং করিয়ে ছবিতে নেয়া হয় না কেনো?
প্রতিটি ছবির দৃশ্যায়ন এক, প্রতিটি ছবি নায়ক-নায়িকা এক, প্রতিটি ছবির লোকেশন, সিনেম্যাটোগ্রাফি, কোরিওগ্রাফি এক, প্রতিটি ছবির গল্প এক, গানের কথা অশ্লীল, গানের সুর সব গানের এক। ছবির আবহ সংগীত এক। হয় হিন্দি ছবির আবহ সঙ্গীত মেরে দিবে , না হয় সেই বস্তা পঁচা নির্ধারিত কিছু আবহ সঙ্গীত আছে যেগুলো সব ছবিতে ইউজ করা হবে।
ছবির ট্রেইলারের শুরুতেই এক মোটা কন্ঠের আওয়াজ শুনা যায়। কানটা মনে হয় ফেটে যাবে এমন জোড়ে চিৎকার দিয়ে বলে 'আসিতেছে' 'আসিতেছে'। এত বিরক্ত লাগে এই আওয়াজ শুনলে যে ট্রেইলার দেখার রুচি থাকে না।
আমাদের পাশের দেশ ভারতের কলকাতায় এখন যশ রাজ ফিল্মস ছবি প্রযোজনা করছে, হলিউডের প্রডাকশন হাউস ডিসট্রিবিউশন করছে আর আমরা কি করছি?
একটি দেশের শিল্প সাহিত্যের বিকাশ হয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আর আমাদের দেশের সিনেমা ধীরে ধীরে পচে গলে যাচ্ছে কিন্তু আমরা কিছুই করছি না। কেনো?
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: ওহ দাবাং এর দিকে নজর পড়ে, আর ঘরে ঘরে যে হিন্দি চ্যানেলে পেট, নাভি, উরা বাইর কইরা ভারতীয় মেয়েদের নগ্ন শরীর দেখানো হচ্ছে সেটা নজরে পড়ে না। আপনার পোষ্টগুলি দেখলাম, হিন্দি চ্যানেলের অশ্লীলতা নিয়া তো একটা পোষ্টও দেন না, কিন্তু দাবাং নিয়া বিশাল চিন্তিত। আমি অত কিছু বুঝি না, গু যদি পাবলিক খাইতে চায়, চাইলে দেশী গুই খাক, বিদেশীদের গু খাওয়ার দরকার নাই। জায়েদ খানের গু, সালমান খানের গুয়ের থেকে অনেক উত্তম। বাংলা ছবি থেকে অশ্লীলতা সরানি সম্ভব না, পাবলিকের মধ্যে এর চাহিদা বিকট। বরং ছবিরে গ্রেডিং কইরা কম বয়সী পুলাপানের কাছ থেকে এসব দুরে রাখা দরকার।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: ছিঃ ছিঃ ছিঃ! মানুষের রুচি.। সত্যি বর্তমান সময়ের হলিউড বলিউড টালিউড এর সাথে একটু তুলনা করলে অনেক লজ্জা লাগে। হাইরে বাংলাদেশী চলচিত্র জগত। মূর্খ পরিচলক দিয়া এর চেয়ে বেশি আর কি আশা করতে পারি?
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: মুনমুন -ময়ুরী রা কি আবারো ফিরে এলো??? ধিক্কার