নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আমাদের স্বাধীনতার প্রায় চার যুগ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫১

কতো আন্দোলন কতো সংগ্রাম করতে হয়েছে এ বিচারের জন্য। স্বপ্ন দেখতাম একদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, জাতীর জনকের খুনীদের বিচার হবে, বিচার হবে যুদ্ধাপরাধীদের। মাঝে মাঝে আশাহতও হতাম।যখন দেখতাম রাষ্ট্রিয় পৃষ্টপোষকতায় অর্থবিত্তে ক্ষমতার শীর্ষস্থানে উঠেছে এ যুদ্ধাপরাধীরা।আজ এ দিনে যাদের কথা বিশেষভাবে মনে পরে, জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি সদ্য স্বাধীন দেশের এতো প্রতিকুলতার মাঝেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছিলেন ও চিকণ আলীকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসীর রায় কার্যকর করেছিলেন।আরো দশ হাজার যুদ্ধাপরাধীদের জেলে ডুকিয়েছিলেন, বাকি যুদ্ধাপরাধীরা পালিয়ে বিভিন্ন দেশে আস্রয় নিয়েছিল। পরে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পরে জেনারেল জিয়া পালিয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের দেশে এনে প্রকাশ্য রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।এরপরে আওয়ামী লীগ ও এদেশের প্রগতিশীল আন্দোলনরত মানুষ গুলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন থেকে কখনো সরে আসেনি।তারপর বিশেষভাবে মনে পরছে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের কথা। ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্ত্বে যুদ্ধাপরাধীদের উন্মুক্ত বিচারের আয়োজন করেছিলেন ও সে বিচারে প্রধান যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ প্রায় প্রথম সারির সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসীর সুপারিশ করেছিলেন। এতে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী খলেদা জিয়া, ক্যান্সার আক্রান্ত শহীদ জননী জাহানারা ইমামসহ সবার বিরোদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীর মামলা করেছিলেন।তারপর আন্দােলন থেমে থাকেনি। আওয়fমী লীগ ক্ষমতায় এসে ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার কার্যর এ পর্যায় নিয়ে এসেছেন। আজ আরো মনে পরে মুনতাসীর মামুন,শাহরীয়ার কবীর,বেগম সুফিয়া কামাল,কাজী অারেফ আহমেদ আব্দুর রাজ্জাক,হাসান ইমাম্ আরো বিশেষভাবে মনে পরছে সেসব বীর শহীদের বীর সন্তানদের যারা মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে ট্রাইবুনালে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আরো মনে পরছে প্রতক্ষ্যদশী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যারা দীর্ঘদিনের বুকে জমানো কষ্ট ট্রাইবুনালে এস নিগরে দিয়েছেন।যারা এ ট্রাইবুনালের সাথে জড়িত সকল কলাকুশলিদের যাদের অক্লান্ত কষ্ট ও মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে বিচার কার্য এতোদুর নিয়ে এসেছেন। সর্বশেষ আরেকজনের নাম আমার মনে পরছে যিনি বিচার কার্য নিয়ে যখন আমরা একটা কনফিউসনে ভুগছিলাম এবং দৃশ্যত বিচার কার্য নিয়ে একটা ধুম্রঝাল সৃষ্টি হয়েছিল ও আইনের ফাক গলে যুদ্ধাপরাধীরা ওদের প্রাপ্য ফল ভোগ না করে প্রায় পার পেয়ে যাচ্ছিল । ঠিক সে সময় এদেশের সকল মানুষকে যিনি অল্প সময়ের মধ্যে রাজপথে নামাতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর সে আন্দোলনের ফসল ট্রাইবুনালে সংশোধনীর ফলে কাদের মোল্লার যাবত জীবন কারাবাসের পরিবর্ত ফাঁসীর রায় হয় ও রায় কার্যকর হয়।আমি ইমরান এইচ সরকারের কথা বলছি।আরো মনে পরছে নাম যানা না যানা বীর সেনানীদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজকের এ আন্দোলনের ফসল।
জয় বাংলা জয় বঙ্গ বন্ধু

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.