নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাগ্যের র্নিমম পরিহাস

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:০৯

জিয়া ইনডেমনিটি দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যাতে কেউ না করতে পারে । বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হয়ে গেছে ঠিকই রায়ও কার্যকর হয়েছ। ভাগ্যের কি র্নিমম পরিহাস, জিয়া অন্যের বিচার ঠেকাতে আইন করেছিল অথচ তার নিজের হত্যার বিচার আজও হয়নি।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৩৫

শাহ আজিজ বলেছেন: জিয়া কি ইনডেমনিটি দিয়েছিল না মুশতাক । সঠিক সংবাদ পরিবেশন করুন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫০

রাবব১৯৭১ বলেছেন: মুসতাক ইনডেমনিটি বিল এনছিলো সময় পায়নি সংবিধান লিপিবদ্ধ করতে কিন্তু জিয়া এসে সংবিধান আইন করে পাকাপোক্ত করেছিল।

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


জিয়া সাহেব যেভাবে এসেছিলেন, সেভাবেই চলে গেছেন; বাংগালীরা ভালুকের মত, যখন ধরে, ভালো মতে ধরে

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: জিয়া সাহেব যেভাবে এসেছিলেন, সেভাবেই চলে গেছেন; বাংগালীরা ভালুকের মত, যখন ধরে, ভালো মতে ধরে


চাঁদগাজী ভাই, এই ধরাটা যদি ভালুকের মত ক'দিন পরপর হত তবেই এই উদাহরণের সাথে মিলত। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, ৪৭ বছরে দু'তিনবারের বেশি ধরলো না।

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭

আবু তালেব শেখ বলেছেন: খন্দকার মোশতাকের জায়গায় জিয়াকে বসায়ে দিলেন ম্যাভাই?

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০০

বনসাই বলেছেন: আপনি ইতিহাসে পাতিহাস পেতেন।

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: জিয়া ভালো কাএর চেয়ে খারাপ কাজই বেশি করেছে।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মোস্তাক অধ্যাদেশ মাধ্যমে ইন্ডেমনিটি দিলেও সে ছিল হুকুম তামিলকারি একজন পুতুল প্রেসিন্ডেন্ট।

মূল ক্ষমতা ছিল মার্শালল চিফ সেনাপ্রধান জিয়া।

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

রুরু বলেছেন: কর্মফল অবশ্যই ভোগ করতে হবে।।

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনার জানায় মনে হচ্ছে একটু ঘাটতি আছে।
বিকৃত ইতিহাস দ্বারা আপনি প্রভাবিত।

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিরাট ভুল ছিল। ভুলের কোন মাফ নাই।

১১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৭

রাবব১৯৭১ বলেছেন: বিষয়টি ব্যাখ্যা করলে বুঝতে সহজ হবে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র ৯ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২৪ আগস্ট ১৯৭৫ এ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন জিয়াউর রহমান। আর মোশতাক সরকার ছিলো সমপূর্ণভাবে সেনাসমর্থিত সরকার।

স্বচ্ছ একটি ব্যাপার জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থাকাকালীন অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টম্বর অঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। যেহেতু মোশতাক সরকার ছিলো সেনাসমর্থিত। জিয়াউর রহমান ছিলেন সেনাপ্রধান সেহেতু এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না!

‘দি বাংলাদেশ গেজেট, পাবলিশড বাই অথরিটি’ লেখা অধ্যাদেশটিতে খন্দকার মোশতাকের স্বাক্ষর রয়েছে। মোশতাকের স্বাক্ষরের পর আধ্যাদেশে তত্কালীন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এইচ রহমানের স্বাক্ষর রয়েছে।

অধ্যাদেশটিতে দুটি ভাগ আছে। প্রথম অংশে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বলবত্ আইনের পরিপন্থী যা কিছুই ঘটুক না কেন, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টসহ কোনো আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না। দ্বিতীয় অংশে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে যাদের প্রত্যয়ন করবেন তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হলো। অর্থাৎ তাদের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ন্ত্রকারী হিসাবে আবিভূর্ত হন। সে সময় বিচারপতি আবু সা’দাত মোহাম্মদ সায়েম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি সায়েম জেনারেল জিয়াউর রহমানের কাছে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল সায়েম রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং জিয়া রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সামরিক আইনের অধীনে দেশে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ চার বছরে সামরিক আইনের আওতায় সব অধ্যাদেশ, ঘোষণাকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়। সংশোধনীটি পাস হয় ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল। সংসদে উত্থাপিত আইনটির নাম ছিল ‘সংবিধান (পঞ্চম সংশোধনী) আইন, ১৯৭৯’। এবং এই সংশোধনীর মাধ্যমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে বৈধতা দেওয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা দায়মুক্তি পেয়ে যায়।
একটু লক্ষ করুন, মোশতাকের জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বৈধতা দেওয়া না হলে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল সামরিক আইন প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গেই ১৫ আগস্টের খুনিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেত। জিয়াউর রহমানই ব্যবস্থা নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক, ভবিষ্যতে কেউ যাতে ব্যবস্থা না নিতে পারে সে ব্যবস্থা করে দিলেন এবং ঐ সময়ে একটি প্রপাগন্ডা ছড়িয়ে গেল যে, যেহেতু এটি সংবিধানের অংশ হয়ে গেছে এটি আর পরিবর্তন হবে না। এবং এই দোহাই দিয়েই জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরও বিচারপতি আবদুস সাত্তার, এইচ এম এরশাদ এবং ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলেও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি বাতিল বা রহিত করেননি। ফলে দায়মুক্তি পেয়ে খুনিরা ১৫ আগস্টের হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা প্রকাশ্যেই বলে বেড়াত। যা জাতি হিসাবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.