নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদালতে সাক্ষ্যে নীলাদ্রি হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিলেন স্ত্রী আশামনি

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:৩১

ভরদুপুরে বাড়ি দেখার নাম করে এসেছিল ‘জঙ্গিরা’, ঢুকেই কোপাতে শুরু করল নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়কে, মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যাওয়ার সময় বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে যায়।

আলোচিত এই হত্যামামলায় সোমবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে ঘটনার এমন বিবরণ দেন নীলাদ্রির স্ত্রী আশামনি।

তিনি বলেন, নীলাদ্রির উপর হামলার সময় তাকে পিস্তলের মুখে ঘরের বারান্দায় আটকে রাখা হয়েছিল।

যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২৭ বছর বয়সী নীলাদ্রি ইস্টিশন ব্লগে লিখতেন ‘নিলয় নীল’ নামে।

লেখালেখির কারণে খুন হওয়ার কিছু দিন আগে থেকে হুমকি পাচ্ছিলেন তিনি। নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে হত্যাকাণ্ডের আড়াই মাস আগে জিডি করতে গেলেও থানা তা নেয়নি বলেও ফেইসবুকে এক পোস্টে লিখে যান তিনি।

ঢাকার খিলগাঁওয়ের পূর্ব গোড়ান টেম্পোস্ট্যান্ডের কাছে ৮ নম্বর রোডের ১৬৭ নম্বরের পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলায় থাকতেন তিনি।

নিহত ব্লগার নিলয়ের স্ত্রী আশা মনি এখনও আশায়

দেশজুড়ে উগ্রবাদীরা একের পর পর ‘টার্গেট কিলিং’ শুরুর পর ২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট শুক্রবার ছুটির দিনে দুপুরে সেই বাড়িতে হামলায় চালিয়ে নীলাদ্রিকে খুন করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের দিনই আশা মনি অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় ১২ আসামিকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।

পাঁচ বছর পর ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর ১৩ জনকে আসামি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। তারও দুই বছর পর গত ১৮ জানুয়ারি ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন হয়।

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে সোমবার বাদী আশামনির সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হল।

এক ঘণ্টা ধরে আদালতে সাক্ষ্য দেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আশামনি। এসময় ভীত দেখাচ্ছিল স্বামীহারা এই নারীকে।

সাক্ষীর বয়ানে আশামনি বলেন, ওই দিন দুপুর ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাজার থেকে ফিরে ল্যাপটপ নিয়ে কাজে বসেছিলেন। তখন অপরিচিত এক ব্যক্তি এসে বলেন যে বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বলে তিনি বাসা দেখতে এসেছেন। ওই ব্যক্তির গায়ের রং শ্যামলা।


আশামনি বলেন, “কিন্তু সে বাসা দেখতে খুব সময় নিচ্ছিল। তারপর সে একটি বাটন ফোন বের করে কাউকে মেসেজ পাঠায়। এতে আমার সন্দেহ হয়। আমার স্বামী তাকে বলে- ‘আপনি কি বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বলেছেন?’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন লোক চাপাতি নিয়ে ঘরে ঢুকে আমার স্বামীকে কোপাতে শুরু করে। তার মাথার দুই দিকে দুটি চাপাতি দিয়ে দুই পাশে কোপ দেয়।

“পিস্তল ধরে অন্য একজন আমাকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। আমার চিৎকারে এ সময় কেউ এগিয়ে আসেনি। আমার বোন এ সময় রান্নাঘরে ছিল। যাওয়ার সময় সময় তারা বাসার দরজা লাগিয়ে দিয়ে যায়। পরে আমাদের ভবনের কেউ একজন এসে দরজা খুলে দেয়।”

হত্যাকারীরা যাওয়ার সময় নীলাদ্রির ল্যাপটপ, মোবাইল নিয়ে যায়। সে সময় রক্তমাখা শার্ট ময়লার বালতির পাশে পড়ে ছিল। এক ঘণ্টা পর পুলিশ আসে বলে জানান আশামনি।

নীলাদ্রির দেহে ধারালো অস্ত্রের ১২টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা তখন জানিয়েছিলেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা।


জবানবন্দি দিতে আশামনিকে সহায়তা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া।

জবানবন্দিতে আশামনি বলেন, আক্রমণকারীদের কাউকে চেনেননি তিনি, এথনও চিনতে পারবেন না।

ডিবির পরিদর্শক শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াসের দেওয়া অভিযোগপত্রে হামলাকারীদের নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের জঙ্গি বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হককে প্রধান আসামি করে দেওয়া অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন- মাসুম রানা, সাদ আল নাহিন, মো. কাওসার হোসেন খাঁন, মো. কামাল হোসেন সরদার, মাওলানা মুফতি আব্দুল গফ্ফার, মো. মর্তুজা ফয়সল সাব্বির, মো. তারেকুল আলম ওরফে তারেক, খায়রুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাহাব, মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩৫

বিটপি বলেছেন: উনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের কততম শহীদ?

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:১৮

কামাল৮০ বলেছেন: দৃষ্টান্তেমূলক শাস্তি দাবি করছি।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আহা!সামান্য লিখার কারণে হত্যার শিকার।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪১

অর্ক বলেছেন: অতিমাত্রায় দুঃখজনক। সম্পূর্ণ কারণহীন এই হত্যা। এ নিয়ে যারা টিটকিরি মারে, ব্যাঙ্গাত্মক কুৎসিত মন্তব্য করে হাসিতামাসায় মেতে উঠি, ওরাই খুনি, জঙ্গি। ওরাই সেদিন হত্যা করেছিলো। এই ব্লগেও ঢের পাবেন ওরকম মানসিকতা, চিন্তাভাবনার মানুষ। কতোটা সংবেদনহীন পাশবিক হলে এরকম হতে পারে। এভাবে সম্পূর্ণ কারণহীন জ্বলজ্যান্ত একজন মানুষকে মধ্যযুগীয় আদিম বর্বরতায় তার স্ত্রীর সামনে হত্যা করা হচ্ছে, একদলের কাছে তা নিছক হাসিঠাট্টা মসকারা চটুল আড্ডার রসদ। যারপরনেই দুঃখজনক। এদের সঙ্গেই ব্লগিং করতে হয়! আমার ঘোর দুশমনকেও যদি এভাবে হত্যা করা হতো, তাহলেও প্রতিক্রিয়া একইরকম হতো। এর ওপর একজন বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য যদি কিন্তুর কোনও সুযোগ নেই।

লেখার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা থাকলো।

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১০

সাসুম বলেছেন: পাকি জারজ রা এখনো ব্লগার হত্যা নিয়ে টিটকারি করে।


বেজন্মার জাত গুলো এখনো আনন্দে মাতে ব্লগার খুন করার পর।

এভাবে একদিন সকল বিধর্মী মেরে ফেলার পর আর খুন করার জন্য কোন বিধর্মী পাওয়া যাবেনা। তখন খুন শুরু হবে নিজেদের ঘরের ভেতরেই। শিয়া সুন্নি আহমাদিয়া বাহাই হাদিস পার্টি আল্লাহ পার্টি আলাদা আলাদা শত্রু দিনে দিনে বাড়বে খালি নিজেদের ভেতর।

এরপর একদিন জারজ দের কে তাদের মোমিন ভাইরা যখন শুক্কুরবারে নামাজ পড়ার সময় সুইসাইড বোম্বিং করে মেরে রেখে যাবে সেদিন ও এভাবেই লাফাবে তাদের সন্তান রা!

যাক এক মোমিন ভাই আমার অপবিত্র জারজ বাপ কে মেরে রেখে গেছে।

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক।
ধর্মের কারনেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইহা ভুল।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এখনো বহু পাকি জারজ শুধু মতের বিরুদ্ধে লেখার অপরাধে গালির ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষকে আহত করসে। এরা ব্লগ ফেসবুক সবখানে আছে। এরা খুবই সংঘবদ্ধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.