নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
” ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়”
জাতির জনক কে স্বপরিবারে হত্যা করে সাথে ২০০০ মুক্তিযোদ্ধা আর্মি অফিসার খুন করে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে : বিসমিল্লাহির- রহমানির রাহিম সংযোজন করে এ দেশের নিরীহ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বাহবা কুড়ানোর অপচেষ্টা চালায়। আরেক ভন্ড এইচ এম এরশাদ তার গুরু সেনা শাসক জিয়াকে খুন করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে । সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযুক্ত করে। এরপরে ইসলাম বিরোধী ও মানবতা বিরোধী এমন কোন অপকর্ম নাই যা তিনি করে নাই।
জ্ঞান হওয়ার পর থেকে দেখে আসছি আ্ওয়ামী লীগ ও বাম দল গুলো অবৈধ জিয়া সরকারের অবৈধ ভাবে পাশ করা পঞ্চম সংশোধনী মানে সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন ও এরশাদের অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের আন্দোলন করে আসছে। জাতির জনক ঠিকই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে কোন ধর্ম দিয়ে কোন দেশের উন্নয়ণ সম্ভব না। ২৪ বছরের ধর্মীয় অপশাসন আর ধর্মীয় দাঙ্গা দেখে দেখেই তিনি রাজনীতিতে পরিপক্ক হয়েছিলেন। যা আমরা বঙ্গবন্ধুর আন্তজাতিক আচরনেও দেখতে পাই। ১৯৭২ এ জাতিসংঘের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ শেষে তৎকালীন সৌদি প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধুকে করমর্দন করে বলেছিলেন দেশের নাম দ্য মুসলিম রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ রাখেন সাহায্যের কোন কমতি হবেনা, প্রতি উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আপনার দেশ একজন যুবরাজের নামে রাখা হয়েছে, মুসলিম রিপাবলিক অফ সৌদি আরব নয়। আমাদের দেশ আমার জনগনের কথা মতো চলবে।
আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের বজ্রকঠিন শ্লোগান গুলো দেশের দেয়ারে দেয়ালে শোভা পেত ” ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়”। এটা আগে জামাত বিএনপির সমর্থকদের বুঝাতে বলতে হতো। দুঃখজনক হলেও সত্য আজ নিজ দলের নব্য মুজিব কোট পরা আওয়ামীলীগ নামধারীদের বোঝাতে হয়। মুজিব আদর্শকে বুকে ধারন করতে হয়। মুজিব কোট পরে জয়বাংলা বললেই আওয়ামীলীগার হওয়া যায়না। ত্যাগ না করেন অন্তত ত্যাগের ইতিহাসটা জানুন। আজ ধর্মনিরেপেক্ষতার কথা বললে জামাত বিএনপির সাথে নিজে দলের তথাকথিত নব্য আওয়ামীলীগাররাও আমাদের কাফের বলে, হত্যার হুমকি দেয়।
আমাদের লিঙ্গের আগা কাটুক না কাটুক। টুপি পৈতা পরি না পরি। আমাদের রাজনৈতীক ও ধর্মীয় পরিচয়ের উর্দ্ধে আরেকটা পরিচয় আছে আমরা মানুষ। আমরা মানুষ পরিচয়ে গর্বিত ভাবে বাচতে চাই।
©somewhere in net ltd.