![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ষড়যন্ত্রের জালে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও গণতন্ত্রের করুণ পরিণতি
২০২৪ সালের বাংলাদেশ ছিল গভীর ষড়যন্ত্রের এক নির্মম অধ্যায়। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের দানবীয় থাবায় নিরীহ ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত করে রক্তের নদী বইয়ে দেওয়া হলো। প্রতিশ্রুতি, প্ররোচনা আর মিথ্যা আশ্বাসের ফাঁদে ফেলে তরুণ প্রজন্মকে ঠেলে দেওয়া হলো নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে। এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটাই নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার মঞ্চ দখল করা।
প্রশ্ন উঠছে, যারা এই ষড়যন্ত্রের ফসল ঘরে তুললো, তারা কি সত্যিই দেশের উন্নয়ন সাধন করেছে?
বাস্তবতা হলো:
উন্নয়ন: দেশব্যাপী অর্থনৈতিক স্থবিরতা, বিনিয়োগপতন এবং বৈদেশিক ঋণের লাগামছাড়া বৃদ্ধি স্পষ্ট করে দেয়, উন্নয়নের বদলে বাংলাদেশ আরও গভীর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত হয়েছে।
দুর্নীতি: দুর্নীতির মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশ দুর্নীতির সূচকে আরও নিচে নেমেছে।
হত্যা-নির্যাতন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বেড়েছে ক্রসফায়ার, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বাংলাদেশে গুম ও হত্যার ঘটনা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এখন পেছনে ফিরে দেখা যাক ২০২৪ সালের আন্দোলন-পরবর্তী ভয়াবহ বাস্তবতা কেমন ছিল:
ছাত্র-ছাত্রী হত্যার সংখ্যা (২০২৪):
বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০২৪ সালের সহিংস আন্দোলনে প্রায় ৫৫৮ জন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী নির্মমভাবে নিহত হন।
তারা দেশের ভবিষ্যৎ ছিল, তারা বিশ্বাস করেছিল পরিবর্তনের নামে ছড়ানো প্রতারণায়।
পুলিশ হত্যার সংখ্যা (২০২৪):
বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুযায়ী, ওই আন্দোলনের সময় প্রায় ৩,০০০ জন পুলিশ সদস্য নির্মম হত্যার শিকার হন। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর পরিকল্পিত নৃশংস আক্রমণ ছিল এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম ভয়ঙ্কর দিক।
এই ভয়াল পরিসংখ্যান চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়
ষড়যন্ত্রের থাবা কতটা নির্মম ছিল।ছাত্রসমাজ, পুলিশ বাহিনী কেউই রেহাই পায়নি। বাংলাদেশের মেধা, সাহস এবং সুরক্ষা সবই ছিল নিশানা।
তবুও প্রশ্ন রয়ে যায়: যারা এই রক্তের স্রোত বইয়ে ক্ষমতা দখল করলো, তারা দেশের কি উন্নয়ন করলো? না। তারা শুধু নিজেদের ভাগ্য গড়েছে আর দেশের সর্বনাশ ডেকে এনেছে।
আজ ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না:
যারা ছাত্রদের রক্ত নিয়ে খেলা করে, যারা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর লাশের ওপর দিয়ে মসনদে বসে তারা কখনো দেশের উন্নয়ন করতে পারে না।
এখন সময় এসেছে:
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর,
ইতিহাসের কলঙ্কমুক্তির,সত্য, ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রের পতাকা নতুন করে উঁচিয়ে ধরার। কারণ বাংলাদেশ কারও দয়ার উপরে টিকে থাকা একটি দেশ নয় বাংলাদেশ রচিত হয়েছে ত্যাগ, রক্ত, সংগ্রাম আর বুকের ভেতর আগুন নিয়ে হাঁটার মানুষের দ্বারা।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: ইতিহাসের সবথেকে অযোগ্য সরকার হলো বর্তমান সরকার।দ্রুত বিদায় করতে হবে এই সরকার কে।অন্যথায় চরম সংঙ্কটে পড়বে দেশ।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশ জন্ম নেওয়াটাই পাপ।
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭
নতুন বলেছেন: পুলিশ হত্যার সংখ্যা (২০২৪):
বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুযায়ী, ওই আন্দোলনের সময় প্রায় ৩,০০০ জন পুলিশ সদস্য নির্মম হত্যার শিকার হন।
পুলিশ হত্যা হয়েছে এটা বড় একটা ষড়যন্ত্র। জামাত/বিএনপি/শিবিরের ক্যাডারেরা ঝোপ বুঝে কোপ দিয়েছিলো ঐ সময়। পুলিশ হত্যার বিচার হওয়া দরকার। হত্যার বিচার না হলে সমাজে কখনোই শান্তি আসেনা।
কিন্তু ৩০০০ সংখ্যাটা মিথ্যা। এটা আয়ামীগুজব।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এ ধরণের অপতথ্য যারা লীগ করে তারাই বলে থাকে। গুম তেমন হচ্ছে না।