![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ছদ্মবেশে ক্ষমতা দখল ও রাষ্ট্রবিনাসের ষড়যন্ত্র।
========================================
বর্তমান বাংলাদেশ এক ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি। তথাকথিত “তথ্যাবদায়ক সরকার” গঠনের নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠী, ইউনূসের নেতৃত্বে, ইতিহাসের এক জঘন্য প্রতারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে। তারা জনগণের আস্থার ওপর ছুরি চালিয়ে, গণতন্ত্রের মঞ্চে রক্ত ছড়িয়ে এক ভয়াল ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছে যার ভিত্তি মিথ্যা, হত্যা ও জাতীয় বিশ্বাসঘাতকতায় গড়া।
এই গোষ্ঠী মুখোশ পরিয়ে মাঠে নামিয়েছে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের, যারা সত্যিকারের পরিবর্তনের আশায় নেমেছিল। অথচ, এই কৌশল ছিল নিছক প্রতারণা। তারা শিক্ষার্থীদের মানবঢাল বানিয়ে রাজপথে দাঁড় করিয়েছে, নিজেরাই গুলি ছুঁড়ে, আগুন লাগিয়ে, পরে সেই দোষ চাপিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর। আজ পর্যন্ত ৩০০০ জন পুলিশ সদস্যকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, ৫৮০ জন ছাত্র- ছাত্রী রাজনৈতিক চালের বলি হয়ে প্রাণ দিয়েছে।এরপরও এই গোষ্ঠী দোষ স্বীকার না করে,হত্যার শিকার ছাত্র-ছাত্রিদের পোস্টমর্টেম পর্যন্ত ঠেকিয়ে দিয়ে প্রকৃত সত্যকে চিরতরে গুম করে দিতে চাচ্ছে।
ইউনূসের ম্যাটিকুলাস বাহিনী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিনা বিচারে বাসা থেকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা নির্যাতন করছে, জেলে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় প্রতিদিনের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। বিনা বিচারে আদালত প্রাঙ্গগনে পেটানো হচ্ছে প্রশাসনের সামনে।কেউ কিছু বলছে না।
এই তথাকথিত সরকার যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তারা ১৯৭১ সালে পরাজিত পাকিস্তানি ভাবধারার উত্তরসূরি। তারা আজ এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধলে তারা এ দেশের মানুষদের পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড় করাতে চায়, যেন ভারতীয় আক্রমণের সম্মুখভাগে ঠেলে দিয়ে জনগণকে বলির পাঁঠা বানানো যায়। এ ধরনের অবস্থান শুধু বিশ্বাসঘাতকতা নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে।
তাদের আন্তর্জাতিক কূটনীতিও একইরকম ভয়ঙ্কর ও আত্মঘাতী। তারা রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের অবাধ যাতায়াতের নামে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশকে সংঘাতে ঠেলে দিচ্ছে। এই তথাকথিত 'ফ্রি রোড' দেওয়ার পরিকল্পনা কেবল সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে না, বরং সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে রোহিঙ্গা সংকটকে আরও জটিল ও বিস্ফোরণমুখী করে তুলবে। এর পরিণতিতে বাংলাদেশ পড়বে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ও মানবিক সংকটে।
এই গোষ্ঠী শুধুমাত্র ইতিহাস বিকৃত করছে না, বরং জাতিসত্তা, ভূখণ্ড ও জাতীয় নিরাপত্তা নিয়েও ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, শহীদদের স্মরণীয় স্থান, পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন এনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইতিহাস ভুলে যেতে বাধ্য করছে। তাদের কৌশল সুপরিকল্পিত, উদ্দেশ্য একটাই একটি বিকৃত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, যেখানে না থাকবে আত্মমর্যাদা, না থাকবে স্বাধীনতার কোনো চেতনা।
উপসংহার
তথ্যাবদায়ক সরকারের নামে এই ভয়াবহ রাজনৈতিক প্রতারণা, হত্যা ও বিশ্বাসঘাতকতা আর চুপচাপ দেখার সময় নেই। জাতিকে এখন জেগে উঠতেই হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, ভূখণ্ড এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার প্রশ্নে আপস করার সুযোগ নেই।এরা শুধু ইতিহাসের শত্রু নয়, এরা সময়ের পরাজিত শক্তির পুনর্জন্ম এদের প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হবে। এবারের লড়াই গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে জাতির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। জয় বাংলা জয় বঙ্গ বন্ধু।
২| ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ৯:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: দুষ্ট চক্রের বিরোদ্ধে সচেতন থাকতে হবে।প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তোলতে হবে।
৩| ০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: যারা আওয়ামীলীগ করে তাদের যেখানে পাচ্ছে, মারছে। এটা কেমন নিয়ম? দেশে কি কোনো আইন নেই?
৪| ০৩ রা মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: আওয়ামী লীগ এতদিন অন্য সবার সাথে যে আচরণ করেছে, এখন নিজেরাই সেরকম আচরণ পাচ্ছে। একেই বলে Tit for Tat. একদম উপযুক্ত বিচার করা হয়েছে।
কোন জঘন্য প্রতারণার মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা হয়নি। আওয়ামী লীগই বরং হাজারটা প্রতারণা করে জোর করে ক্ষমতায় বসে ছিল। ছাত্র জনতা হাজার প্রাণের বিনিময়ে এই জগদ্দল পাথরকে অপসারণ করে জনতার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। view this link
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সঠিক লেখা । একমত ।