![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইউনূস সরকার –অন্তবর্তীকালীন, আপদকালীন না কি গণশত্রু রাষ্ট্রযন্ত্র?
আজকের বাংলাদেশ এক অস্থির, আতঙ্কিত ও শোষণমুখর সময় পার করছে। রাজনৈতিকভাবে যে সরকার বর্তমানে রাষ্ট্রক্ষমতায়, তারা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে ‘অন্তবর্তীকালীন’ সরকার হিসেবে। আবার কেউ বলছে এটা ‘আপদকালীন’। কেউ বলছেন, এটা হলো এক ‘বিদেশি মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ’। তবে দেশের সাধারণ মানুষের হৃদয় থেকে উঠে আসা একটি কথাই এখন সবচেয়ে সত্য: এই সরকার আমাদের নয়। এটি হচ্ছে লুটপাট, দমন-পীড়ন ও জনগণকে নিঃশেষ করার এক নিষ্ঠুর যন্ত্র।
১. জনগণের শ্বাসরুদ্ধকর জীবন: দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি
দেশের মানুষের জীবনে আজ শ্বাস নেওয়ারও সুযোগ নেই। পেঁয়াজ, চাল, ডাল, লবণ, তেল যার নামই নিন, সবকিছুর দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। মজুরির হার অপরিবর্তিত, অথচ বাজারের দামে আগুন। একজন নিম্নবিত্ত মানুষ তিন বেলার খাবার নিশ্চিত করতে পারছে না, আর মধ্যবিত্তরা চোখের জলে বিল দিচ্ছে। এ যেন এক অর্থনৈতিক নিপীড়নের রাজত্ব।
এমন অবস্থা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনোই দেখা যায়নি এমনকি ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষেও মানুষ এতটা অসহায় ছিল না, কারণ তখন অন্তত শাসকের আন্তরিকতা ছিল।
২. আইন-শৃঙ্খলা নয়, এটি এক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের যুগ
একটি রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু আজ সেই রাষ্ট্রই তার নাগরিকদের সবচেয়ে বড় ভয়। ভিন্নমত প্রকাশ করলেই গ্রেফতার, পোস্টারে নাম এলেই রাতের অন্ধকারে তুলে নেওয়া। কেউ কেউ আর ফেরতও আসে না। রাজনৈতিক হত্যা, মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা, এবং পুলিশি নির্যাতনের করুণ ইতিহাস এই সরকারকে গণবিরোধী প্রতিচ্ছবি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
৩. নারী ও শিশুরা সবচেয়ে অনিরাপদ: ধর্ষণ যেন নিত্যদিনের চিত্র
দেশজুড়ে ধর্ষণের ঘটনা মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউই রেহাই পাচ্ছে না। কিন্তু বিচার নেই, শাস্তি নেই, বরং ধর্ষকরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়। নারীর চোখে আজ বাংলাদেশ নিরাপত্তাহীনতার এক বিভীষিকাময় ভুখণ্ড।
৪. এ সরকার আসলে কার স্বার্থ রক্ষা করছে?
ইউনূস সরকার নামে পরিচিত বর্তমান প্রশাসন নির্বাচিত নয়। এটি এসেছে বিদেশি সমর্থন ও প্রভাবশালীদের খুশি করতে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক কর্পোরেট শক্তি, বিশ্বব্যাংক-পন্থী অর্থনৈতিক গোষ্ঠী, এবং কিছু ভিনদেশি রাষ্ট্রদূতের ছায়া। এরা চায় এমন এক বাংলাদেশ, যেটি থাকবে চুক্তি-নির্ভর, স্বার্থ বিক্রির উপযোগী, এবং প্রতিবাদহীন।
দেশের ভূখণ্ডে একটি অদৃশ্য উপনিবেশিক শাসন কায়েম করতে চায় এই শক্তিগুলো আর ইউনূস সরকার তাদের সেটেলাইট মাত্র।
৫. এই সরকার ইতিহাসকে মুছে দিতে চায়
তাদের বক্তব্য, কার্যক্রম এবং নীতি স্পষ্টভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আত্মপরিচয়ের বিরুদ্ধে। জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের গুজব, শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি, এবং বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দেওয়ার মত পরিকল্পনা এ সবই এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা বাংলাদেশকে 'নতুন' নামে, নতুন ইতিহাসে, নতুন শাসকে সাজাতে চায়।
উপসংহার: এখনই সময় প্রতিরোধ গড়ার
আজ বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটিই পথ খোলা: প্রতিরোধ। এই সরকার যদি নির্বাচিত না হয়, যদি তাদের প্রতি মানুষের কোনো আস্থা না থাকে, যদি তারা জনগণের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে, তাহলে এ সরকার অবৈধ, অমানবিক এবং জাতির ভবিষ্যতের শত্রু।
সময়ের দাবি একটি নির্বাচিত, জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক সরকার, যেখানে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, অর্থনৈতিক সুবিচার নিশ্চিত হবে, এবং জাতির আত্মপরিচয় রক্ষা পাবে।
আমরা ১৯৭১-এ মাথা নত করিনি, ২০২৫-এও করব না। ইতিহাসের পেছনে নয়, জনগণের সামনে সরকার চাই।
এই আপদকালীন, বিদেশ-পরিকল্পিত সরকারকে প্রত্যাখ্যান করুন। দেশ বাঁচান। ভবিষ্যৎ বাঁচান।
--- সালাউদ্দিন রাব্বী
সংখ্যালঘু বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ
২| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইনটেরিম সরকার আমরা সাধারণ মানুষেরা বসিয়েছি। এবার কাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমান।
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১
কাঁউটাল বলেছেন: তোদের পভুপাদ মুদির দেশ ভঁড়ৎে গিয়া লেদা, বাল কুকুর কোথাকার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪
ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: বিগত ৩৫ মাসের ভেতরে ইনফ্লেশন সর্ব নিম্ন আর আপনি বলছেন দ্রবমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি? সকাল সকাল নেশা করেছেন নাকি?
হাসিনার পতন অন্যতম কারণ হচ্ছে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি। তার আমলে জিনিসপত্রের দাম কেমন ছিল মনে নেই আপনার? নেশা পাতি বাদ দিয়ে খোজ খবর নিন। তাহলে বুঝবেন।
ইউনুচের আমলে যতদিন এই দাম কম থামকে মানুষ তাকে নামানোর জন্য মাঠে নামবে না।