![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষুধার্ত গাজায় শিশুর কান্না ও মৃত্যুর মিছিল।
ক্ষুধা কোনো ধর্ম বোঝে না। কোনো সীমানা মানে না। ধনী-গরিব, উন্নত-অনুন্নত বলে তার কোনো ভেদাভেদ নেই। ক্ষুধা শুধু জানে গলা শুকিয়ে যাওয়া, চোখে অন্ধকার নেমে আসা আর বেঁচে থাকার আকুল আকুতি।
আজকের আধুনিক সভ্যতায় দাঁড়িয়ে যখন আমরা প্রযুক্তির চূড়ায় পৌঁছে গেছি, তখন গাজা উপত্যকায় শিশুরা ক্ষুধায় কাঁদতে কাঁদতে প্রাণ হারাচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ গাজার অন্তত ৯০ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। সেখানে আজ প্রায় ১০ লাখ মানুষ অনাহারে আছে, যার মধ্যে অর্ধেকই শিশু।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মতে, গাজায় বর্তমানে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে যা "সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ" হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। সীমান্ত অবরোধ, মানবিক সহায়তা আটকে দেওয়া, এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি মিলিয়ে গাজা আজ এক বিশাল মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববাসী নির্বিকার, আর রাষ্ট্রগুলো কানে তুলো গুঁজে রেখেছে।
একটি শিশুর মৃত্যু কীভাবে আমাদের হৃদয় নাড়া দেয় না? আমরা কীভাবে প্রতিদিন আহার গ্রহণ করি, যখন জানি ঠিক এই মুহূর্তে কোনো এক মায়ের বুকের সন্তান ক্ষুধায় ছটফট করছে?
বিশ্বের অন্যত্রও প্রায় ৭০ কোটি মানুষ প্রতিদিন খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছে (FAO, 2024)। এর মধ্যে ৪৫ মিলিয়ন মানুষ চরম অনাহারের মুখোমুখি। কিন্তু গাজার অবস্থা এসবেরও নিচে সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট, নিষ্ঠুরতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।
আমরা যারা বেঁচে আছি, খেতে পারি, ঘুমাতে পারি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এই ক্ষুধার্ত পৃথিবীর পাশে দাঁড়ানো। বিশেষ করে গাজার মতো জায়গায়, যেখানে শিশুর কান্না ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে কামানের গর্জনে।
আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি:
১. গাজার অবরোধ অবিলম্বে তুলে নিতে হবে।
২. জরুরি খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে।
৩. যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার, সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
এই লেখা শুধু একটা আর্তনাদ নয়, এটা একটা জাগরণের ডাক। আজ যদি আমরা নীরব থাকি, কাল সেই ক্ষুধা আমাদের হৃদয়ও খেয়ে ফেলবে।
আসুন, ক্ষুধার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াই। গাজার শিশুটির কান্না যেন না হারিয়ে যায় অমানবিকতার গর্জনে।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৫৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ক্ষুধার কোন ধর্ম নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: সহমত...। গাজায় যে মানবতার চুড়ান্ত বিপর্যয় ঘটছে, প্রতিদিন অসংখ্য নারী-শিশু ও সাধারণ মানুষ এমনকি ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী মানুষ, ডাক্তার, সাংবাদিক প্রতিনিয়ত প্রাণ বিষর্জন দিচ্ছে নরপশুদের হাতে । কেন এমিনটি হচ্ছে - স্রষ্টার এই অনন্য লীলাখেলা, যা একমাত্র তিনি ছাড়া মানুষের পক্ষ্যে বুঝা সম্ভব নয় !