![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবাদিকতার সংকট ও বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাওয়া: ভয়, দালালি নাকি দায়িত্বহীনতা?
সাংবাদিকরা একটি জাতির আয়না। একটি দেশের উন্নতি, অবনতি, ন্যায়-অন্যায় সবকিছুর প্রতিফলন দেখা যায় সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতার মাধ্যমে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজকের বাংলাদেশে আমরা এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি, যেখানে অধিকাংশ সাংবাদিক সত্য বলা বা লেখা থেকে বিরত থাকছেন। হত্যা, খুন, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, মব জাস্টিস প্রতিদিন অসংখ্য ঘটনা ঘটছে, কিন্তু সেগুলো নিয়ে খোলাখুলি প্রতিবেদন করার সাহস পাচ্ছেন না অধিকাংশ সংবাদকর্মী। এই ভীত, নীরব, ও আত্মসমর্পণ করা সাংবাদিকতা আমাদের জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।
আজ ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাৎবার্ষিকী। মাত্র কয়েক বছর আগেও এই দিনে দেশের সব প্রধান সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র বের হতো, টেলিভিশনে প্রামাণ্য অনুষ্ঠান প্রচার হতো, দেশি-বিদেশি বিশ্লেষকেরা বঙ্গবন্ধুর জীবন, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতেন। কিন্তু আজ? ভয় ও রাজনৈতিক চাপের কারণে অনেক গণমাধ্যম নীরব। প্রশ্ন জাগে এই ভয় কিসের? গণমাধ্যম কি জনগণের জন্য, নাকি ক্ষমতার কক্ষপথে বন্দি একটি হাতিয়ার?
বঙ্গবন্ধু ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতার রেফারেন্স
বঙ্গবন্ধুর প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও আগ্রহ এখনও অটুট। The New York Times ১৯৭১ সালের মার্চ ও ডিসেম্বর মাসে একাধিক সম্পাদকীয়তে তাঁকে "The voice of Bengali nationalism" আখ্যা দিয়েছিল। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে BBC, The Guardian, The Times of London—সবাই শিরোনামে লিখেছিল, "The man who brought independence to Bangladesh." ২০০৪ সালে BBC News তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করে "Greatest Bengali of All Time" জরিপে। ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার, ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং, এবং মার্ক টুলি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অসংখ্যবার লিখেছেন ও সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, যেখানে তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও ত্যাগের কথা উঠে এসেছে।
আজ যখন বিদেশি সাংবাদিকরা এখনও বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে লিখতে পারেন, তখন আমাদের দেশের অনেক সাংবাদিক কেন এই বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন? নীরবতা কি কেবল ভয়ের কারণে, নাকি ব্যক্তিগত স্বার্থ আর রাজনৈতিক দালালির কারণে?
সাংবাদিকতার নৈতিক দায়িত্ব
সাংবাদিকতার মূল নীতি হলো সত্য বলা, নিরপেক্ষ থাকা, এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকা। যারা এই নীতি বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতার চাপে নীরব থাকেন, তারা আসলে পেশার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। ইতিহাস সাক্ষী যে সাংবাদিকরা সত্যের পথে থাকেন, তাদের নাম প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্মরণ করে। আর যারা দালালি করেন, তারা ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে মুছে যান।
আজ প্রয়োজন এমন সাংবাদিকতার, যা বঙ্গবন্ধুর মতো অবিচল সাহস দেখাতে পারে। যা ভয়কে জয় করে সত্যকে সামনে আনে। জাতির এই সংকটকালে সাংবাদিকদের উচিত নিজের বিবেকের কাছে জবাবদিহি করা আমি কি জনগণের পক্ষে আছি, নাকি ক্ষমতার দালাল?
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২
নতুন মেসাইয়া বলেছেন:
আপনার গার্বেজ লেখার যায়গা কি সোস্যাল মিডিয়া?
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের সাংবাদিক রা যখন যার তখন তার ।