![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামায়াত ও পাকিস্তানের গোপন অভিসন্ধি: স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য
সম্প্রতি ‘দ্য ক্যাচলাইন’ পত্রিকায় প্রকাশিত East Pakistan Must Return: Pakistan’s Hour of Reckoning After 54 Years শীর্ষক নিবন্ধে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তা আবারও স্মরণ করিয়ে দেয় স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতি জামায়াত ও পাকিস্তানি রাজনৈতিক মহলের অপশক্তির চক্রান্ত। ছবিতে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আজমিকে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের ব্যাজ পরানো হচ্ছে। এ দৃশ্য শুধু একটি সাধারণ আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানের প্রতি জামায়াতের আনুগত্য ও তাদের গোপন রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুর প্রতীক হিসেবেই দেখা উচিত।
গোলাম আযম ও পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি
স্বাধীনতার পরপরই গোলাম আযম ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি’ গঠন করেছিলেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশকে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে টিকতে না দেওয়া। তিনি বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত দেশে সফর করে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য সরকার ও প্রভাবশালী মহলের কাছে আহ্বান জানান। পাকিস্তানের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ভেঙে যাওয়াকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে, তাঁর এ প্রচেষ্টা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজিত মনোভাবের ধারাবাহিক প্রকাশ।
পাকিস্তানের কৌশল ও জামায়াতের ভূমিকা
পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল এখনও বাংলাদেশে জামায়াতকে ব্যবহার করে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। ১৯৭১ সালের পরাজয়ের দগদগে ক্ষত ঢাকতে তারা সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করতে না পারলেও জামায়াতকে সামনে রেখে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক খেলা চালিয়ে আসছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্ন সময়ের রাজনীতিতে—
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কখনওই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। বরং জামায়াত ও পাকিস্তানপন্থী মহল সিমলা চুক্তিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দায় এড়িয়ে যায়।
জামায়াতের প্রচারযন্ত্র এখনও পাকিস্তানের ভৌগোলিক অখণ্ডতার ভাঙনকে ‘অন্যায়’ আখ্যা দিয়ে থাকে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক অভ্যন্তরে এখনো “Lost East Pakistan” ফেরানোর কল্পনা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় পুনরায় প্রভাব বিস্তারের স্বপ্ন লালিত হয়।
জামায়াতের অভ্যন্তরীণ লক্ষ্য
বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি কখনোই কেবল ধর্মভিত্তিক নয়, বরং এর গভীরে পাকিস্তানপন্থী একটি রাজনৈতিক রূপরেখা লুকিয়ে আছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো—
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে পাকিস্তানপন্থী প্রজন্ম তৈরি করা।
গণতন্ত্রকে দুর্বল করে দেশের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টি করা।
পাকিস্তানের সঙ্গে একটি আদর্শিক ও রাজনৈতিক সেতুবন্ধন জিইয়ে রাখা।
পাকিস্তান ও জামায়াত আসলে কী চায়?
স্পষ্টতই বোঝা যায়, পাকিস্তানের জন্য জামায়াত হলো ‘প্রক্সি শক্তি’। পাকিস্তান সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারলেও জামায়াতের মাধ্যমে তারা এদেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। অন্যদিকে জামায়াতের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ধ্বংস করা এবং পাকিস্তানপন্থী আদর্শ কায়েম করা।
উপসংহার
বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে। পাকিস্তান ও জামায়াতের ষড়যন্ত্র কেবল ইতিহাস বিকৃতি নয়, বরং এই রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। তাই বাংলাদেশের জনগণের কাছে এ প্রশ্ন জোরালোভাবে রাখা জরুরি— আমরা কি আবার পাকিস্তানি ভাবধারার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে চাই, নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই?ত ও পাকিস্তানের গোপন অভিসন্ধি: স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য
সম্প্রতি ‘দ্য ক্যাচলাইন’ পত্রিকায় প্রকাশিত East Pakistan Must Return: Pakistan’s Hour of Reckoning After 54 Years শীর্ষক নিবন্ধে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তা আবারও স্মরণ করিয়ে দেয় স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতি জামায়াত ও পাকিস্তানি রাজনৈতিক মহলের অপশক্তির চক্রান্ত। ছবিতে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আজমিকে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের ব্যাজ পরানো হচ্ছে। এ দৃশ্য শুধু একটি সাধারণ আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানের প্রতি জামায়াতের আনুগত্য ও তাদের গোপন রাজনৈতিক লক্ষ্যবস্তুর প্রতীক হিসেবেই দেখা উচিত।
গোলাম আযম ও পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি
স্বাধীনতার পরপরই গোলাম আযম ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি’ গঠন করেছিলেন। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশকে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে টিকতে না দেওয়া। তিনি বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত দেশে সফর করে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য সরকার ও প্রভাবশালী মহলের কাছে আহ্বান জানান। পাকিস্তানের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ভেঙে যাওয়াকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে, তাঁর এ প্রচেষ্টা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজিত মনোভাবের ধারাবাহিক প্রকাশ।
পাকিস্তানের কৌশল ও জামায়াতের ভূমিকা
পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল এখনও বাংলাদেশে জামায়াতকে ব্যবহার করে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। ১৯৭১ সালের পরাজয়ের দগদগে ক্ষত ঢাকতে তারা সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করতে না পারলেও জামায়াতকে সামনে রেখে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক খেলা চালিয়ে আসছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্ন সময়ের রাজনীতিতে—
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কখনওই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। বরং জামায়াত ও পাকিস্তানপন্থী মহল সিমলা চুক্তিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দায় এড়িয়ে যায়।
জামায়াতের প্রচারযন্ত্র এখনও পাকিস্তানের ভৌগোলিক অখণ্ডতার ভাঙনকে ‘অন্যায়’ আখ্যা দিয়ে থাকে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক অভ্যন্তরে এখনো “Lost East Pakistan” ফেরানোর কল্পনা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় পুনরায় প্রভাব বিস্তারের স্বপ্ন লালিত হয়।
জামায়াতের অভ্যন্তরীণ লক্ষ্য
বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি কখনোই কেবল ধর্মভিত্তিক নয়, বরং এর গভীরে পাকিস্তানপন্থী একটি রাজনৈতিক রূপরেখা লুকিয়ে আছে। তাদের উদ্দেশ্য হলো—
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে পাকিস্তানপন্থী প্রজন্ম তৈরি করা।
গণতন্ত্রকে দুর্বল করে দেশের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টি করা।
পাকিস্তানের সঙ্গে একটি আদর্শিক ও রাজনৈতিক সেতুবন্ধন জিইয়ে রাখা।
পাকিস্তান ও জামায়াত আসলে কী চায়?
স্পষ্টতই বোঝা যায়, পাকিস্তানের জন্য জামায়াত হলো ‘প্রক্সি শক্তি’। পাকিস্তান সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারলেও জামায়াতের মাধ্যমে তারা এদেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। অন্যদিকে জামায়াতের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ধ্বংস করা এবং পাকিস্তানপন্থী আদর্শ কায়েম করা।
উপসংহার
বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে। পাকিস্তান ও জামায়াতের ষড়যন্ত্র কেবল ইতিহাস বিকৃতি নয়, বরং এই রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। তাই বাংলাদেশের জনগণের কাছে এ প্রশ্ন জোরালোভাবে রাখা জরুরি— আমরা কি আবার পাকিস্তানি ভাবধারার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে চাই, নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই?
©somewhere in net ltd.