| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতার চেতনা কি আজ পরাজয়ের মুখে?
বাংলাদেশ আজ এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও বহুত্ববাদী সমাজব্যবস্থার ওপর যে ধারাবাহিক ও সংগঠিত আক্রমণ চলছে, তা আর অস্বীকার করার সুযোগ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে দীপু দাসকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা প্রমাণ করে রাষ্ট্রীয় আইন ও শাসনের প্রতি প্রকাশ্য অবজ্ঞা এখন বাস্তবতা।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, মানুষকে ভিটেমাটি ছাড়া করা, নির্বিচারে হামলা এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমাদের সামাজিক নিরাপত্তাকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। হত্যা, ধর্ষণ ও সহিংসতা যেন ভয়ংকর নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর চেয়েও উদ্বেগজনক বিষয় হলো এসব অপরাধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের দৃশ্যমান, কার্যকর ও নিরপেক্ষ পদক্ষেপের অভাব।
যারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, প্রতিবাদ করছেন, তারাই আজ সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার। হামলা, মামলা ও ভয়ভীতির মাধ্যমে প্রতিবাদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা চলছে। ফলে বহু সাংবাদিক, লেখক ও বুদ্ধিজীবী সত্য উচ্চারণে সাহস হারাচ্ছেন। কিন্তু যে রাষ্ট্রে সত্য বলা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, সে রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক থাকতে পারে না।
আমরা কি ভুলে যাচ্ছি এই দেশ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং ৩ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত? মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শুধু একটি মানচিত্র দেয়নি; দিয়েছে অসাম্প্রদায়িকতা, মানবিকতা ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রের আদর্শ। আজ সেই আদর্শকে পরিকল্পিতভাবে ক্ষয় করা হচ্ছে। ধর্মকে রাজনৈতিক অস্ত্র বানিয়ে সমাজকে বিভক্ত করা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে নীরবতা কোনোভাবেই নিরপেক্ষ অবস্থান নয়। নীরবতা মানেই অন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এভাবে চলতে পারে না। অবিলম্বে সহিংসতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, নাগরিকের জানমাল রক্ষা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
আজ সময় এসেছে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার আমরা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করব, নাকি ভয়ের সংস্কৃতির কাছে মাথা নত করব? ইতিহাস আমাদের নীরবতা নয়, আমাদের অবস্থানই বিচার করবে।-
--সালাউদ্দিন রাব্বী
সভাপতি, সংখ্যালঘু বাঁচাও আন্দোলন

©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন:
স্বাধীনতার চেতনা দেখেন।