নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবতে শিখুন ; গভীর থেকে গভীরে

রাদিবিল্লাহিল বাকী

নিজের জন্য লিখি

রাদিবিল্লাহিল বাকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪২

৪ঠা জানুয়ারি, ১৯৪৮। ছাত্রলীগের জন্ম হয়- "শিক্ষা,শান্তি ও প্রগতি" এই মূলনীতির উপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাত ধরে । সময়ের প্রয়োজনে অন্যান্য দলের মতো এ দলটিও পূর্ব পাকিস্তানকে তার স্বকিয়তা ধরে রেখে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সমাজ প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হয়ে জন্মেছিল । ৫২,৬২,৬৯ এবং অবশেষে ৭১ কোনটাতে তাদের অবদান কম ছিল, বলতে পারবেন ? ইতিহাসের প্রতিটি ঘাত-প্রতিঘাতে এদের স্মরণীয় অবদান দেখলে চোখ দিয়ে পানি আসে । ২৪ বছরের লড়াই সংগ্রামের আগুনে পুড়ে খাক হয়েছে অসংখ্য ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা । ৭৫ এর ঘাতক রাত্রির পর দীর্ঘ ২১ বছর আবারো অন্ধকার - অপশক্তির বিরুদ্ধে মরণপণ সংগ্রামে নিয়োজিত ছিল ছাত্রলীগ । তাহলে, কেন তাদের উপর সমসাময়িক সময়ে এতো অভিযোগ ?
কথায় আছে -"যা রটে, তা কিছুটা হলেও বটে" । এ ভূখণ্ডের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই ছাত্রলীগে ধীরে ধীরে রংচটা ভেজাল মিশ্রিত হতে থাকে । দল ক্ষমতায় থাকাকালীন ছাত্রদের হাত দিয়ে বহুল সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেখা যায় । সে ছাত্রলীগের হোক, আর অন্য কোন সংগঠনের হোক, কিংবা নির্দলীয়ই হোক। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে - আইনি ঝামেলা এড়াতে অথবা নিজেকে বাঁচানোর পথ প্রশস্ত করতে দায়ভার চাপানো হয় ছাত্রলীগের উপর। এর সুফল বেশ কাজে দেয়ায় নতুন প্রজন্মের ছাত্রলীগ এটাকে পেশা হিসেবেই ব্যবহার শুরু করেছে । এরা ভাবছে - ছাত্রলীগের খাতায় নাম উঠালেই আমার একটা ক্ষমতা থাকবে, আর দশটা লোকের উপর কথা বলতে পারবো, দু'একটা মারামারি-লাঠালাঠিতে জয় নিশ্চিত থাকবে, অসাধু উপায়ে কার্য সম্পাদনেও বিপত্তি হবার সম্ভাবনা কম আর প্রশাসনিক ছাড় তো থাকছেই । আসলে ঘটছেও তাই । তারা যেমনটা চাচ্ছে সবকিছু যেন প্রায় তেমনভাবেই চলছে । ছোট ছোট অপরাধ বিনা বাঁধায় করতে পারার পর নেশাটা একটু বড় হবে এটাই স্বাভাবিক । যার ফলে আজকের এ অরাজকতা । ছাত্রলীগ আজ ছাত্রদের হাতে নেই, হাতছাড়া হয়ে গেছে কিছু ব্যবসায়ীদের কাছে । যার ফলে নতুন সদস্যরা তো দলের মূলনীতি জানেই না, উপরন্তু এই ব্যবসায়ীরাও মূলনীতি, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য সম্পর্কে না-ওয়াকিফ । মূলনীতির শুরুতেই আছে Education বা শিক্ষা ; কিন্তু এখন দেখা যায় -ক্যাম্পাসে শিক্ষার উল্টো পথে হেঁটে বেড়ালেই বড় বড় পদ পাওয়ার আশংকা থাকে । বখাটে কিছু ছাত্র নামের কঙ্কাল ঢুকে নষ্ট করে দিচ্ছে " Student league ", নষ্ট করে দিচ্ছে ইতিপূর্বের অর্জন ।
যদি যোগ্যতার সঠিক বিচারে ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী ছাত্রলীগ সংস্কার হতো ! আবার যদি সূর্যসেনারা শুধু দেশের কথা ভাবতো! জনকল্যানমূলক কাজে অগ্রগামীতার হাত বাড়াতো! যেখানে অবিচার সেখানেই লাঠি ধরতো! যেখানে অন্যায় সেখানে ক্ষমতার উপযুক্ত ব্যবহার করতো ! তাহলে, সমাজটা ফের আগের মত হয়ে যেত ; যখন নেতারা না খেয়ে থাকতো তবু বুকে-মুখে-চোখে ছিল অফুরন্ত সুখ আর সুন্দরের স্বপ্ন ।
এ সময় লিডারদের উচিৎ দল থেকে বেয়াদব, কদাচিৎ, অশিক্ষিত জানোয়ার, ছাত্ররূপে ঘাপটি মেরে থাকা পশুরূপি মানুষটাকে খুঁজে বের করে জনসম্মুখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ আইনের হাতে সোপর্দ করা । আর সদস্যদেরও উচিৎ হীনমনের নেতা নামক আগাছাকে উপড়ে সীমানার বাইরে ফেলে দেয়া । তাহলেই ধীরে ধীরে মেধাবী ছাত্ররাও Student League এর দিকে নজর দেবে, তবেই আসবে শান্তি, বৃদ্ধি পাবে প্রগতি ।
মনে রাখা দরকার : ছাত্রলীগের কাজ শুধু বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে মোকাবেলা নয় বরং সবার সাথে সমঝোতা করে দেশের প্রতিটি স্তরে উন্নয়নের শপথে মুষ্টিবদ্ধ হওয়া ।
আমরা বাঙ্গালি হলেও ধর্মনিরপেক্ষ নই । একজন ধার্মিক কখনওই অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষতি করতে পারে না । ছাত্রলীগের প্রতিটি সদস্য যদি নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে কাজ করতে পারে তাহলে সোনালি আঁশের এ দেশ সোনার খনিতে পরিণত হবে ।
'If you can, please try it from this moment not from today '

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.