নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যোদ্ধা

গল্পসল্প

মাঝে মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে দূরে বহু দূরে। কাছের মানুষ গুলো বড় বেশি অচেনা লাগে মাঝে মাঝে। তবুও ভালোবসি সবাই কে। সবাই যখন নিজেকে চালাক ভাবে আমি ঠিক বুঝতে পারি এরা কতটা বোকা । তাই একা একা সাইলেন্ট হাসা হাসি। এটাই আমার জীবন লীপি।

গল্পসল্প › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিরপুরের ভোটানিক্যাল গার্ডেন ও পতিতা পর্ব

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৬

আজকের সকালটা এত সুন্দর ছিল যে বেরিয়ে পড়লাম। সাথে ক্যামেরা ও আমার আদরের ভাগ্নে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। ২ হাটতে হাটতে আমাদের এলাকার পাশে ভোটানিক্যাল গার্ডেনে হাজির। সকালের বৃষ্টিতে সবুজ যেন আরো সবুজে পরিনত হয়েছে। চমৎকার একটা নির্জন পরিবেশ ও হালকা ফোটা ফোটা বৃষ্টি আমাদের বন্ধু। ব্যাস ২ মামা ভাগ্নে মিলে ২ টি ক্লিক বের করে ক্লিক করা শুরু। ভাগ্নের এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে খুব খুশি আমি কারন আজ সে সাটার স্পিড ও এপারচার নিয়ে কাজ করছে। যাই হোক ক্লিক চলছে আমরা হাটছি এবং হাটতে হাটতে সিগারেটে হালকা টান। চা খাব কোথায় ভাবছি । ভাবতে ভাবতে বাঁশ বাগানের পাশ দিয়ে সোজা বেরি বাঁধ এর গেইটে পোছে গরম গরম চা পেয়ে ২ জন মহা খুশিতে খেলাম। অতপর আবার ভোটানিক্যাল গার্ডেন এ ঢুকলাম আরো কিছু ক্লিক করার জন্য । আমরা হাটতে হাটতে একটু এসে একটি চমৎকার অজানা পরগাছার সন্ধান পেলাম দারুন দেখতে। আমরা দেখছি ঘটনাটি ঠিক ঐ মুহুর্তের একটি ছেলে কোথা থেকে উদয় হয়ে বলে "যাও যাও করবা করবা" আমি তো অবাক কি করবো বলতেই সে বলে "ছোট বড় সব মেয়ে আছে যাও যাও ঐ দিকে সোজা " আমি তো পুরাই ভোদাই কয় কি সালা মেজাজ পুরা খারাপ আমার ভাগ্নে আর আমি ২ জন ২ জনের দিকে তাকাই আর কি বলবো। আমি ছেলেটিকে ধমকের সুরে আমার পরিচয় দিতেই সে হাওয়া। আমি ততক্ষন ও খেয়াল করি নি আমার পিছনে কি আছে। পিছনের দিকে তাকাতেই দেখি নিচু একটা জায়গা এবং ঐ জায়গাতে কিছু একটা হচ্ছে । ঘর ও আছে । আমি দ্রত আমার জায়গা ত্যাগ করে সোজা হাটতে থাকি একটু সামনে আসতেই দেখি একজন বাবা তার মেয়ে সহ জগিং করতে করতে আসছে। তার ও সামনে কিছু মায়ের বয়সি মহিলা জগিং করছে। হায়রে আমাদের কোপাল ভাবতে লাগলাম এ ভোটানিক্যাল গার্ডেনে ফেমিলি নিয়ে মানুষ কি ভাবে আসবে। মন মেজাজ দুই টাই খারাপ হয়ে গেল। এলাকায় এসে তথ্য সংগ্রহ করলাম ঐ খানে যে কোন ধরনের মেয়ে এভেলেবেল এবং কেউ যদি চায় তার গার্লফেন্ড নিয়ে ও সহবাস করার উত্তম ব্যবস্থা আছে। আমি আপনারা হয়তো এগুলোর সাথে পরিচিত নই আমরা পরিবার নিয়ে যাচ্ছি ঘুরছি। আমরা ভাবছি ও না কতটা ভয়াবহ নোংরা একটা জায়গায় আমরা হাজির হচ্ছি। নিজের বোন কে ও যদি কেউ নিয়ে যায় আর ঐ সময় এ ধরনের অফার দেয় তো কেমন হবে। ভাবুন। আমার জন্ম এ মিরপুরের মাটিতে আর আমি আজ থেকে কসম নিচ্ছি মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আর ঐ নোংরা ভোটানিক্যাল গার্ডেনে যাব না।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, শেষের কসমটাকে পরিবর্তন করুন।

বরং, পুলিশে রিপোর্ট করে এসব বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন, যাতে আমরা সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে যেতে পারি।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

কালো চিতা বলেছেন: আর কইয়েন নারে ভাই এইহাইনে লাইফে জীবন মরন নিয়া প্রশ্ন দেখা দিছিলো এমন মাইন্ক চিপাই পরছিলাম । যেমন পতিতালয় তেমন ব্ল্যাইকমেইলের সন্ত্রাসি এবং গুম করার উপযুক্ত স্থান। আমার উপর যেই বর্বরতা গেছে সেইটা আর মনে করতে চাচ্ছিনা :(

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:০৭

তারেক বলেছেন: কোন লাভ নাই , কারন যারা করে তারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় করে ।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬

জাহিদ গাছবাড়ী বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, শেষের কসমটাকে পরিবর্তন করুন।

বরং, পুলিশে রিপোর্ট করে এসব বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন, যাতে আমরা সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে যেতে পারি।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:১২

ভিটামিন সি বলেছেন: আমি ২০০৭ এর দিকে একবার হান্দাইছিলাম চিড়িয়াখানার দেয়াল টপকাইয়া। (আগেও অনেকবার হান্দাইছি টিকিট কইরা)। তো এইবার সাথে ছিলো আমার এলাকার দুই বড় ভাই, গ্রাম থেকে ঢাকা এসেছে। ঢুকার পরেই সামনে পড়লাম লাঠিয়াল বাহিনীর। তারা প্রথমে ধরলো টিকিটের জন্য, তারপর ৫০ টাকা করে মাশূল দিলাম। এরপর হাটাহাটি শুরু করলাম। বাঁশ ঝাড়ের কাছে ওই নিচু জায়গায় দেখি জোড়ায় জোড়ায়..... ..... কেউ কাউকে পরোয়া করছে না। তখন আপনার উল্লেখিত ঘর ছিলো না। যাই হউক বড় ভাই নিয়ে পড়লাম সমস্যায়। চলে আসলাম পূর্ব প্রান্তে। এখানে এসে দেখি ব্যবহৃত মোজা পড়ে আছে রাস্তা জুড়ে। শেষমেস যখন বেরিয়ে পড়ব তখন দেখি অনেক নিচে এক বেঞ্চির উপর মেয়ে শুয়ে আছে তার উপর ছেলে, হলুদ ওড়না মাটিতে। একবারে শেষ মুহুর্তে দেখি এক জুটি বিল্ডিংটার কাছে এমনভাবে বসেছে যে পিছনের একটা এঙ্গেল থেকে দেখা যায় তার জামা খোলা। সামনে থেকে দেখে বোঝা যায় না। শেষপর্যন্ত বের হয়েই আসলাম। আর জীবনেও হান্দাই নাই।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭

চলতি নিয়ম বলেছেন: ভোটানিক্যাল না বোটানিক্যাল??

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

ঝটিকা বলেছেন: "আমি আজ থেকে কসম নিচ্ছি " এই টুকু এসে ভেবেছিলাম আপনি লিখবেন চেষ্টা করব এই খারাপ অবস্থা পাল্টে দিতে।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

হেডস্যার বলেছেন:
আমি মেলা দিন আগেই কসম করছি আর যাব না, এখন ও যাই না।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

আরিফুর রহমান বাবুল বলেছেন: এভাবে কসম না করাই ভাল। কসম করলে আগে বলবেন ""ইনশাল্লা"", অন্যতায় আল্লাহ রাগ করেতে পারে। আর সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, চলোন প্রতিদিন একটা করে প্রতিবাদি কলাম লিখি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.