![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন আমার খুব একটা শেষ হয় নি।এই ছোট জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই পার করেছি।নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি।তবুও জীবনটা খুব যে বাজে কেটেছে তা নয়।পেশায় এখনো ছাত্র।জ্ঞানের জগতে আজীবন ছাত্র থাকতে চাই।ব্যাক্তিগতভাবে আমি খুব যে ধার্মিক তা নয় তবে ইসলামকে আমি আমার আদর্শ হিসেবে কঠোরভাবে বিশ্বাস করি।আর এই বিশ্বাসের কারনে অনেক বন্ধু ফেসবুকে ব্লক করেছে,অনেক ফেসবুক পেজ আমাকে ব্যান করেছে আর ব্লগগুলোর মাঝে নাগরিক ব্লগ আমাকে ব্যান করেছে।তবে আমি মনে করি তারা সবাই আমাকে আন্যায়ভাবে সেটা করেছে।আমি কোন দলের দালালী করি না কেউ কারো দালালী করলে সেটাও সহ্য করি না।ধর্মীয় গোড়ামীকে এবং যুক্তিহীন ধর্মবিদ্বেষ ও উগ্র জাতীয়তাবাদকে মারাত্নকভাবে অপছন্দ করি।রাজনীতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দলের যুক্তিগত সমালোচনা করতে এবং রাজনীতির বাইরে ক্রিকেট খেলা,বই পড়া আর ফেসবুক চালানো পছন্দ করি।
আসিফ মহিউদ্দিনকে ঘৃণা করি তার কৃতকর্মের জন্যই। আরও বেশি ঘৃণা করি তাদেরকে যারা আসিফকে ছুরিকাহত করে মেরে ফেলার অপচেষ্টা চালিয়েেছ। তাদের থেকেও আরও বেশি ঘৃণা করি সেই সব মুক্তমনাদের যারা ঘটনার কিছু না জেনেই ধরমকে তুলধুনা করে নিজেদের লোক দেখান ভাবকে জাহির করার চেষটা করেছেন।আসিফকে ঘৃণা করার প্রধান কারন তার নাস্তিকতা নয় ।একজন মানুষ নানবিধ কারনেই নাস্তিক হতে পারে।সেটা যদি বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে হয় তাহলে তাকে ঘৃণা করার কিছু নাই।কারন তার দারা মানুষের ভাল কিছু করা সম্ভব।কিন্তু আসিফের ব্যাপারটা সম্পুরন ভিন্ন।তিনি কেবলমাত্র হিটে উঠার জন্যই নাস্তিকতাকে বেছে নিয়েিছলেন।যেটা সত্যি অপছন্দনীয় এবং তার এই নাস্তিকতা আসলে অমঙ্গলই বয়ে নিয়ে এসেছে।তিনি ধরমের অসারতা থেকে রাসুলের চারিত্রিক বৈশিষটের দুশাবলি বানিয়ে বানিয়ে বলতেই বেশি ব্যাস্ত ছিলেন।আর সেটাই ছিল তার হিটে উঠার প্রধান অস্ত্র।পাশাপাশি আরও অন্নান্য কিছু ইস্যু নিয়ে লেখালেখি, তার হিটে উঠার ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেেছ।তার লেখালখিতে তিনি বহুবার বলেেছন মানুষ ধরমের কারনে পিছিয়ে যাচ্ছে।মানুষ ধর্ম পালন করতে গিয়ে যে সময় ব্যায় করে টা যদি বিজ্ঞান চর্চায় ব্যায় করত তাহলে পৃথিবী নাকি আরও গতিশীল হত।কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে তার সাথে তরকাতরকি করে বুঝতে পেরেছি তিনি ধর্ম সংক্রান্ত বইপত্র অনেক ঘাটাঘাটি করেন এবং তার পর স্বীয় চিন্তায় নতুন রুপ দান করে মানুষের কাছে উপস্থাপন করেন।মজার বিষয় হচ্ছে এই যে এত সময় ধরমের পিছনে তিনি এবং তার চেলারা নষ্ট করেছ সেটা কেন তারা বিজ্ঞান চর্চায় ব্যায় করছেন না।তাহলে তো পৃথিবী আরও এগিয়ে যেত।সুতরাং,তার ধরমবিরুধি কথাবার্তা ধৃষটতার শামিল।আর তাকে ঘৃনা করার মূল কারন হচ্ছে এটাই।তিনি নিজেকে যতই আদর্শবান লেখক হিসেবে যাহির করতে চান না কেন তিনি আর দশটা নাস্তিকের মতই আদরশের জারজ।
তাকে কারা হামলা করেেছ জানি না তারা কোন সংঠনের লোক।তবে যাই হোক তাদেরকে ঘৃনা করার দিতীয় কারন হচ্ছে একজন মানুষকে নিরস্ত্র অবস্থায় হত্যা করার অপচেষ্টা এবং প্রথম কারন হল লাইম লাইটে উঠার জন্য লোভী আসিফকে সহজেই লাইম লাইটে উঠিয়ে দেয়া । যার কারনে আসিফ হয়ে উঠতে পারে আরও অনেক বড় সাইকো টাইেপর নাস্তিক।আর যারা না জেনেই হামলাকারিদের ধরমের কিনবা আদর্শের ১৪ গুশঠী উদ্ধার করে নিজেদেরকে সুশিল মুক্তমনা রুপে প্রকাশ করতে চেয়েছেন তাদের প্রতি আমার ঘৃনার কোন শেষ রইল না।যারা সব সময় ধরমকে গালি দেয় অথচ নিজেরাই তথাকথিত চুশিলতার() লেজুড়বৃত্তি করে যায় তাদের মত ভন্ডদের প্রতি কোন সম্মান রাখা তো দুরের কথা তাদের নিয়ে কথা বলতেই আমার ঘৃনায় মনটা ভরে গেল।
যাই হুক, আল্লাহ তা’আলা যেন সবাইকে উত্তম পথের সন্ধান দেন।যাতে করে উপরিউক্ত লুকদের প্রতি আমার এবং আমাদের সকলের ঘৃনা দুরিভুত হয়। আমীন।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
doha057 বলেছেন: সহমত