নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাফােয়ল িসদ্‌িদক

জীবন আমার খুব একটা শেষ হয় নি।এই ছোট জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই পার করেছি।নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি।তবুও জীবনটা খুব যে বাজে কেটেছে তা নয়।পেশায় এখনো ছাত্র।জ্ঞানের জগতে আজীবন ছাত্র থাকতে চাই।ব্যাক্তিগতভাবে আমি খুব যে ধার্মিক তা নয় তবে ইসলামকে আমি আমার আদর্শ হিসেবে কঠোরভাবে বিশ্বাস করি।আর এই বিশ্বাসের কারনে অনেক বন্ধু ফেসবুকে ব্লক করেছে,অনেক ফেসবুক পেজ আমাকে ব্যান করেছে আর ব্লগগুলোর মাঝে নাগরিক ব্লগ আমাকে ব্যান করেছে।তবে আমি মনে করি তারা সবাই আমাকে আন্যায়ভাবে সেটা করেছে।আমি কোন দলের দালালী করি না কেউ কারো দালালী করলে সেটাও সহ্য করি না।ধর্মীয় গোড়ামীকে এবং যুক্তিহীন ধর্মবিদ্বেষ ও উগ্র জাতীয়তাবাদকে মারাত্নকভাবে অপছন্দ করি।রাজনীতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দলের যুক্তিগত সমালোচনা করতে এবং রাজনীতির বাইরে ক্রিকেট খেলা,বই পড়া আর ফেসবুক চালানো পছন্দ করি।

রাফােয়ল িসদ্‌িদক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারনে ইজরাইলকে সমর্থন করি এবং ফিলিস্তিনিদের ঘৃনা করি

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

লিংকন পূরববর্তী আমেরিকার কথা।কাল্লু কৃষ্ঞাঙ্গরা সব সময় তৃপ্ত হত ভগবান সদৃশ শেতাংগদের চাবুকের কমনিয়তা দিয়ে।তবুও শালারা ছিল বেইমান গোছের,শেতাংগদের দয়ায় পেট চালাত আবার শেতাংগদেরই পিছনে হাত দেওয়ার চেষ্টা করত।একবারের ঘটনা,একবার এক শেতাংগের খামার বানানোর কাজে এক কাল্লু কৃষ্ঞাঙ্গকে রাখা হয়েছে।শালা ঠিকমত কাজ করতে না পারায় শেতাংগ লোকটি খেপে গেল।তাকে চাবুকের কমনিয়তার চুম্বনে আকৃষ্ট করার জন্য এগিয়ে আসল কিন্তু শালার বেটা কিছুতেই চুমু খেতে দিল না।উল্টা চাবুক কেড়ে নিয়ে সেইরম উত্তম মধ্যম শুরু করে দিল।অতঃপর সেখানে আরো কিছু শেতাংগ চলে আসলেন আর সেল্ফ ডিফেন্সের জন্য কাল্লুটাকে গাছে ফাস দিয়ে লটকিয়ে রাখলেন।সবারই তো সেল্ফ ডিফেন্সের অধিকার আছে তাই না?



কথাগুলো শুনে হয়তবা রেগে যাচ্ছেন।আসলে বাস্তবতা ছিল কৃষ্ঞাঙ্গরা ভিকটিম কিন্তু তখনকার সময়ে নিশ্চয়ই এমন কিছু লোক ছিল যারা এইভাবেই দুর্বল ভিকটিমদের বিপক্ষে গিয়ে দোষীদের পক্ষে সাফাই গাইত।তাদের ভাষা আমার কথাগুলার থেকেও হয়ত আরো ভয়ংকর ছিল।প্রকৃতঅর্থে ফেরাউনের পক্ষে সাফাই গাওয়ার মত লোক ফেরাউনের সময়ে নিশ্চয়ই কম ছিল না।



ইসরাইল যখন প্যালেস্টাইনের নিরীহ মানুষকে খুন করে তখন নাস্তিক এন্ড চুশীল গংরা ইজরাইলের সেল্ফ ডিফেন্স থিউরীর বুলি আওড়ায়।আসলে এই লোকগুলো সব সময় শক্তের ভক্ত আর নরমের জম।কারন নিরীহ মানুষ মারার মধ্যে নিজের কোন ক্রেডিট কিংবা সেল্ফ ডিফেন্সের কিছু নেই।তবুও তারা এইসব ভুয়া স্লোগান তুলে।কেউ কেউ আরো দুই চামচ বেশি।তারা বলে প্যালেস্টাইনি শিশুরা মরলে পৃথিবীর কোন ক্ষতি নেই কারন তারা বড় হয়ে হবে জংগী-সন্ত্রাসী কিন্তু ইজরাইলী শিশুরা মরলে সেটা হবে পৃথিবীর চরম ক্ষতি কারন তারা বড় হয়ে হবে ডাক্তার,ইনজিনিয়ার,বিজ্ঞানী ব্লা ব্লা ব্লা।চিন্তা করুন কতবড় দালালের বাচ্চা হলে এই কথা বলতে পারে।কেন ইজরাইলি শিশু কি বড় হয়ে শিমন পেরেস,এহুদ ওলমার্ট,বেনিয়ামিন নেতনিয়াহুর মত জানোয়ার হতে পারে না?উত্তর হল,অবশ্যই পারে।কিন্তু তাই বলে কোন ইজরাইলি শিশু নিহত হোক সেটা কারো কাম্য হতে পারে না।যুদ্ধে মরবে মুজাহিদরা আর মরবে জানোয়াররা(আর্মি)।এর বাইরে কেউ মারা যাক সেটা মানুষ মাত্রেরই কাম্য হতে পারেনা সে যে আদর্শেরই হোক আর যে ধর্মেরই হোক।কিন্তু এই সেলফ ডিফেন্স থিউরী আউড়িয়ে এই লোকগুলো প্রকারান্তরে গনহত্যাকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।অনলাইনে এই সমস্ত খচ্ছর থেকে বিবর্তিত লোকগুলোর মানবতার বয়ান শুনলে সবসময় জর্জ ডাব্লিউ বুশের কথা মনে পড়ে।কেননা তার শাসনামলে তার মুখেই সবচেয়ে বেশি “শান্তি” শব্দটি ধ্বনিত হয়েছিল।ইতিহাস জানে এই বুশ কে এবং কতবড় নরপশু।



তো যা বলছিলাম,এই নাস্তিক এন্ড চুশীল গং নিশ্চয়ই(আমি শতভাগ শিউর) তখনকার সময় কৃষ্ঞাংগদের প্রতি শেতাংগদের এহেন আচরনকে এই পোষ্টের প্রথম প্যারার মত ভিকটিমের উপরেই দোষ চাপিয়ে ক্ষান্ত দিত।হয়ত সেটাও বলত “এই কৃষ্ঞাংগের বাচ্চারা বড় হয়ে ঝাড়ুদার হবে,মালী হবে আর শেতাংগের বাচ্চার বড় হয়ে সাইন্টিস্ট হবে,কবি হবে ,দার্শনিক হবে।”কারন সাম্যবাদী আর মানবতাবাদী দাবীদার লোকেরা যখন পুজিবাদের মত একটি আদর্শের পক্ষে থাকে তখন সহজেই বুঝা যায় এরা কতটুকু অধঃপতিত।



আসলে এত কিছু বলে লাভ হবে কিনা জানিনা।তবে দুষ্টু লোকের মিষ্টি কথা হতে সাবধান।দালালরা চিরকাল দালাল,শক্তের ভক্ত আর নরমের জম।এরা একসময় ফেরাউন-নমরুদের দালালী করেছে আজকাল মোসাদ-রো য়ের দালালী করছে।ভবিষ্যতে যদি কখনো ইসলামী শানব্যবস্থা তথা খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে হয়ত মুসলমানদেরও পক্ষাবলম্বন করবে।যে মুখে তারা রাসুল(সঃ)কে বিশ্রী ভাষায় গালি দিচ্ছে সেই মুখেই তারা প্রশংসায় পন্ঞমুখ হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

দাকুড়াল বলেছেন: মোনাফিকের কোনো দল নাই।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

রাফােয়ল িসদ্‌িদক বলেছেন: তবে নাস্তিকরা সবলের দলে।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

রাজিব বলেছেন: ১৯৭১ সাল থেকেই এমনকি মুক্তিযুদ্ধ চলার এমনকি স্বাধীনতার আগে থেকেই বাংলাদেশের সব দল ফিলিস্তনিদের পক্ষে। জাতিসংঘের প্রতিটি ভোটে বাংলাদেশের যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ভোট দিয়েছে। ফিলিস্তিনি সরকারকে যেসব দেশ সবার আগে স্বীকৃতি দিয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আস্তিক হোক, নাস্তিক, হোক সুশীল হোক আর কুশিল হোক বাংলাদেশের সব দলই সবসময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলেছে।
বাংলাদেশের সব দলের সরকারের উপরই সবসময় আমেরিকার চাপ ছিল ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবার ও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কিন্ত আমাদের সরকার কখনো তা মানেনি। করলে আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে অনেক আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যেত। কিছু মুসলিম দেশ সে সুবিধার লোভে তা করেছে।
তাই যারা বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে উপহাস করে তাদের বলতে হয় আপনার পারলে আরেকটি মুসলিম দেশ দেখান যারা বাংলাদেশের মানুষের মত ধর্ম বর্ণ, রাজনীতি, আস্তিক নাস্তিক নির্বিশেষে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে গত ৫০ বছর ধরে একই ভাবে অব্যাহত সমর্থন দিয়ে গেছে নিঃস্বার্থভাবে।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

রাফােয়ল িসদ্‌িদক বলেছেন: আমার পোষ্টটা নাস্তিকদের লেজুড়বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার নিয়ে নয়।তবে যেহেতু প্রশ্ন করলেন তাই কিছু বলছি।

///করলে আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে অনেক আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যেত। কিছু মুসলিম দেশ সে সুবিধার লোভে তা করেছে। ////

এরা মুনাফিক।সে কারনেই করেছে।তারা সমর্থন করতে বাধ্য কেননা তারা আমেরিকাকে প্রভু বলে মনে করে।আমেরিকাই তাদের ক্মতায় টিকে থাকার পাথেয় জুগায়।তুরস্ক,মিশরের কথা বাদই দিলাম খোদ ফিলিস্তিনের ফাতাহ গ্রুপও আমেরিকার দাসানুদাস।বাংলাদেশের সাথে বোর্ডার থাকলে বাংলাদেশকেও বাধ্য করা হত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.