নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাফােয়ল িসদ্‌িদক

জীবন আমার খুব একটা শেষ হয় নি।এই ছোট জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই পার করেছি।নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি।তবুও জীবনটা খুব যে বাজে কেটেছে তা নয়।পেশায় এখনো ছাত্র।জ্ঞানের জগতে আজীবন ছাত্র থাকতে চাই।ব্যাক্তিগতভাবে আমি খুব যে ধার্মিক তা নয় তবে ইসলামকে আমি আমার আদর্শ হিসেবে কঠোরভাবে বিশ্বাস করি।আর এই বিশ্বাসের কারনে অনেক বন্ধু ফেসবুকে ব্লক করেছে,অনেক ফেসবুক পেজ আমাকে ব্যান করেছে আর ব্লগগুলোর মাঝে নাগরিক ব্লগ আমাকে ব্যান করেছে।তবে আমি মনে করি তারা সবাই আমাকে আন্যায়ভাবে সেটা করেছে।আমি কোন দলের দালালী করি না কেউ কারো দালালী করলে সেটাও সহ্য করি না।ধর্মীয় গোড়ামীকে এবং যুক্তিহীন ধর্মবিদ্বেষ ও উগ্র জাতীয়তাবাদকে মারাত্নকভাবে অপছন্দ করি।রাজনীতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দলের যুক্তিগত সমালোচনা করতে এবং রাজনীতির বাইরে ক্রিকেট খেলা,বই পড়া আর ফেসবুক চালানো পছন্দ করি।

রাফােয়ল িসদ্‌িদক › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা যারা টাকা ভাগাভাগী করে খাও।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল।পর্তুগিজদের শাসনের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়েছে প্রায় অনেক বছর আগে।অনেক বিপ্লবের ইতিহাস।তবে দেশের মানুষের সবচেয়ে গর্বের বিষয়বস্তু সে দেশের রাজধানীতে গড়ে উঠা বিশ্ববিদ্যালয় “ডাকার ইউনিভার্সিটি”।আফ্রিকার অক্সফোর্ডও বলা হয়ে থাকে।তবে সেদেশের আরেক আকর্ষন হলেন একজন লেখক।শিশু কিশোর তো বটেই সকল পেশাশ্রেনীর মানুষ তার লেখার গুনমুগ্ধ।বিশেষ করে তার ভাবশিষ্য আরেক প্রখ্যাত লেখক অ্যানিসল হকিন্স তিন চামচ বেশি গুনমুগ্ধ। যদিও তার চাটুকার বৈশিষ্টের জন্য অনেকেই তার বিরোধীতা করেন কিন্তু তারপরেও তার বই পড়া বাদ দিতে পারেন না স্বয়ং মহাবীর রম্যান রাফিন্সের মত লোকেরাও,এমনকি লেখকের বই না পড়ে তার ঘুম নাকি আসে না যদিও তিনি তার চাটুকারিতা বিরোধী।অনেকেই আবার তাকে মীরজাফর বলে ডাকে।তবে সেটা নিয়ে লেখক মোটেও ভাবিত নন।তিনি অনেকটাই “I don’t care what u think of me,I wasn’t born to impress you” নীতিতে বিশ্বাসী।তার বিরোধী যেমন আছে তার অন্ধভক্তও তেমনি আছে।তারা লেখকের সব কথাকেই ঔশীবানী বলে মনে করে।লেখকের বিরুদ্ধে কিছু বললেই হিটলারী ফ্যাসীজম শুরু করে।কারো কারো আবার সেই কারনে আনা ফ্রাংকের মত ডায়রী লেখতে ইচ্ছা জাগে।তার একজন মুগ্ধ পাঠক সে দেশেরই এক মন্ত্রী।অনেক ফর্মুলা তিনি লেখকের কাছ থেকে নিয়েছেন যেগুলো দেশের জন্যই অনেক ক্ষেত্রেই উপকারী ছিল।মাঝে মাঝে অবশ্য নিতান্তই রাজনৈতিক কারনেই কিছু কিছু ফর্মুলা নিতে পারেন নি।তবে তাদের মাঝে সখ্যতা সব সময় প্রবল।যেকোন বিপদে একজন আরেকজনের পাশে এসে দাড়ান।

একবার মন্ত্রী মহোদয় পড়লেন ব্যাপক সংকটে।তার আমলে স্টুডেন্টরা ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’লেভেল লাখে লাখে স্টার মার্ক পেতে থাকল।কিন্তু এ নিয়ে ব্যাপক কানঘুষা।সাবেক মন্ত্রী,শিক্ষাবিদ,চিন্তাবিদ,রাজনীতিবিদ সবাই দুর্নামের ঢেউ তুললেন।লেখাপড়ার মান নিয়ে আলাপ-আলোচনা,সমালোচনা চলতেই থাকল।সেই লেখকও গ্যাড়াকলে পড়ে গেলেন মাউথবুক না কিসে যেন প্রশ্ন আগেই আউট হয়ে যায়,তাই তিনিও কিছু না লিখে পারলেন না।বিপ্লবীদের স্মৃতিসৌধে বসে তিনি অনশন পালন করা শুরু করেছিলেন।তবে তাতে করে সখ্যতা তাদের মাঝে বিলকুল কমে নি।কিন্তু মন্ত্রী মহোদয় অনড়।তিনিই সেরা।তার আমলে দেশের শিক্ষাঙ্গনে প্রভুত উন্নতি সাধিত হয়েছে।এতে করে নিন্দুকদের কবলে তিনি পড়েছেন।কেননা এদেশে কোন নন্দিতই পরম নয়,পরম নয় কোন নিন্দিতও,সকল খেতাবই আপেক্ষিক।যাই হোক তিনি মারাত্মক গ্যাড়াকলে পড়ে গেলেন বিখ্যাত ডাকার ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার পরে।কারন সেখানে নাকি এ লেভেল পাশ করা স্টার গ্রেড প্রাপ্ত স্টুডেন্টরা পাশ মার্ক-ই তুলতে পারছে না।দেশে বিদেশে উঠতে শুরু করল নিন্দার ঝড়।একের পর এক ঝাপটা তিনি সইতে পারছেন না।তিনি প্রবল ঝড়ে বেকে যাওয়া বটগাছ।অতঃপর তিনি লেখকে সরনাপন্ন হলেন।কারন লেখক গুনী মানুষ,তার লেখা যে কেউ পড়ে,এমনকি তার হেটাররাও,আর মুরীদরা তো মুরীদরাই।বেকায়দার চরম সীমাতে পৌছাতেই তিনি লেখককে ফোন দিলেন।লেখকের মোবাইলে মন্ত্রীর ফোন বাজছে,লেখক ফোন তুলে রিসিব করলেন,

লেখকঃ- কি ভাই?কেমন আছেন।
মন্ত্রীঃ- ভাই,মজা লন।আমার অবস্থা কি আপনে জানেন না।
লেখকঃ-তা তো সবই জানি।কি আর করা একটু সবর করেন।
মন্ত্রীঃ- আরে না,আমার এখন মারাত্নক সমস্যা।আপনে আমার পাশে দাড়ান।আপনে না থাকলে আমার দিন শেষ।
লেখকঃ-যান যান।আমি আপনার সাথে এখন নাই।গত বছর কোন এক অর্বাচীন সংগঠন সচেতন সেন্ট লুসিয়াবাসী না কি একটা সংগঠনরে আপনে সাপোর্ট দিলেন আমার লগে বেইমানি করলেন।আবার আমার কাছেই আসছেন।আপনারা রাজনীতিবিদরা কি লোক মাইরি।যখন তখন রং পাল্টান।
মন্ত্রীঃ-দেখেন পুরান কথা ফালান।এখন আগের ব্যাপার নিয়া নিজেরার মাঝে ঝামেলা কইরা কি লাভ।
লেখকঃ-আপনারে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি।ঠেকা থাইকা উদ্ধার করার পরে আমারে আবার পল্টি দিবেন।সুযোগ পাইলেই তো পল্টি মারেন।‘বাংলাদেশ’ নামে একটা দেশ আছে না সাউথ এশিয়ায়,এর পল্টিবন্ধু এরশাদ থাইকাও আপনে কম যান না।
মন্ত্রীঃ- ভাই,আপনে আমার বাপ লাগেন।আপনে আমার বাচান ভাই।
লেখকঃ-বাপ ডাকলে তো আর কিছু করার থাকে না।আপনে কাইন্দেন না।ব্যাপরটা দেখতাছি।তয় সামনে আমার লগে পল্টি মারতে আসবেন না।আপাতত মিডিয়ার সামনে কথা বলা বাদ দেন।আমি সামলাইতাছি।এখন রাখি।
মন্ত্রী:- জি ভাই।আপনার দয়া।সালামালাইকুম ভাই।

এরপর লেখক সাহেব জ্বালাময়ী এক কলাম লেখলেন।কলামটা প্রকাশিত হল বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায়,অনলাইন পত্রিকা এবং তার নামে খোলা একটা ফ্যান পেজে।মুহুর্তেই অজস্র লাইক,সহস্র কমেন্ট আর শয়ে শয়ে শেয়ার।মহাবীর রম্যান রাফিন্সও তার সেই তথ্যবহুল লেখায় লাইক মারলেন।তিনি খুব চাতুরতার সহিত ইনিয়ে বিনিয়ে শুরু করেছিলেন আম গাছে কেন আম ধরে না সেই প্রসঙ্গ দিয়ে আর শেষ করেছেন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কিভাবে জাম গাছে আম ধারনো যায় তার সমাধান দিয়ে।মাঝে মাঝে অবশ্য আরো অনেক জ্ঞানের কথা বলেছিলেন তা নিয়ে চিন্তা করতে করতে সবাই মন্ত্রী সাহেবের কথা ভুলে গেল।প্রমানিত হল মসীর জোর অসীর থেকে সবসময় শক্তিশালী।
--------------------------------------------------------------------------------
এই লেখাটা আগাগোড়া কাল্পনিক।বাস্তবের কোন ঘটনার সাথে এর কোন মিল খুজে পেলে লেখক দায়ি নন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: এই লেখাটা আগাগোড়া কাল্পনিক।বাস্তবের কোন ঘটনার সাথে এর কোন মিল খুজে পেলে লেখক দায়ি নন।

হ্যাঁ, বাস্তবের সাথে কোন মিলই নাই... কোথায় ঢাকা আর কোথায় ডাকার! লেখক মীরজাফর, অ্যানিসল হকিন্স, রম্যান রাফিন্স, সেন্ট লুসিয়াবাসী... এসব তো বাংলাদেশে নাই... তবে খুবই আনন্দের কথা, আফ্রিকার লোকেরাও আমাদের পল্টিবন্ধু এরশাদকে চিনে!

+++++

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২২

রাফােয়ল িসদ্‌িদক বলেছেন: চিনবে না মানে খুব ভালোভাবেই চিনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.