নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শীর্ণ দেহের জীর্ণ বালক
চিবুক রেখে মাতৃ কোলে,
শূন্য কেন থালা তাদের
সে তা জানায় কান্না রোলে।
প্রতিক্রিয়াহীন থাকে মা
ঝরায় নয়ন-জল,
তলব করে মাণিক যে তার,
‘কাঁদছিস কেন বল?’
মা হেঁসে কয়, ‘ফুটো ঐযে কুটির
চালা, কাঁদবো কেন বল?
চুপসে এসে বদন উপর
পড়ছে বাদল জল।’
কমল মাতৃ বদন দেখে মাণিক
বুঝে নির্বাক,
‘ক্ষুধা নাই মা, থাক মা,
তুই শুয়ে থাক।’
কইছে মিছা মাণিক যে তার
বুঝে যায় মায় সব,
হৃদয়ঙ্গম করেও সব, থাকতে চায়
মায় নিশায় নীরব।
নিস্তব্ধ নিশার স্তব্ধতাকে কষ্ট
জানায় মাতৃ ফুপ্সে কেঁদে,
মাণিকও তার আড়ালে কাঁদছে
কষ্টে বক্ষ বেঁধে!
আড়াই বছর পূর্বে মাণিক
হারিয়েছে তার বাপ,
দারিদ্রতা দংশন করে রোজ
হয়ে দানব সাপ!
আজকে মালিক বড্ড ঠকায়ে
পয়সা দেয়নি হায়,
তাই তো মাণিক অন্নহীনা
ভাত জোটেনি তাই।
ফুপ্সে কাঁদা ঢেপসা কণ্ঠ্য মাণিক
শুনে মাকে জড়িয়ে কয়,
‘ক্ষুধার চাইতে মাতৃ ক্রন্দন
আরো অভিশাপময়!’
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৯
রাফিন জয় বলেছেন: ধন্যবাদ দিদি
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হুম , ক্ষুধার চেয়ে মাতৃ ক্রন্দন বেশি অভিশাপময়।
ভালো লাগা রেখে গেলাম কবিতায়।
ঘুচে যাক সমাজ থেকে দারিদ্র্যের বিষ খোঁচা, জেগে ওঠুক বিশ্ব মানবতা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
এ.টি. নূর শেখ লিটা বলেছেন: বাস্তব জীবন চিত্র যখন লেখায় ফুটে উঠে, কবিতারা তখন যেন এভাবেই প্রাণ খুঁজে পায়।
বাস্তবতা কবিতার মাঝে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভালো লাগা জানিয়ে যাচ্ছি