নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্টিগমা

রাফিন জয়

স্টিগমা

রাফিন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ত্রিশূলটাকে কি করতে বলা হচ্ছে?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৩

ত্রিশূলটাকে কি করতে বলা হচ্ছে?


ধর্ম এমন একটা বিষয় যে একজন মানুষ তার ধর্মের জন্য স্বীয় বিশ্বাসে মন্ত্রমুগ্ধের মত আত্ম বলীদান যেভাবে করতে পারে, তেমনি আবার কারো প্রাণও নিমিষেই নিতে সক্ষম। ধর্ম প্রাণ মানুষের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ধর্মকে পুঁজি করে রুযীর ব্যবস্থা করে নিতে মটেই ছাড়দেন না একদল স্বার্থান্বেষী। যাদের কে হিডেন স্পাই বলা চলে।

তারা প্রদর্শন করবে এমন যে, সে ধর্মের জন্য উদার মনে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে। যারা উক্ত স্বার্থান্বেষীর প্রতি বিশ্বাসী/অন্ধবিশ্বাসী নয়, তাদের খুন করার ইন্ধন প্রকাশ্যে দিয়ে যেতে কোন দ্বিধাবোধ করে না তারা। এতে নিজ সম্প্রদায় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে উক্ত সম্প্রদায়ের সকলে সেই স্বার্থান্বেষীদের পক্ষপাতিত্ব করে চলে এবং প্রয়োজনে দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রস্তুত করে। কিন্তু স্বার্থের জয় হয়ে গেলে উক্ত ব্যক্তিবর্গরা তার ভক্তদের লাথি মারতে মটেই দ্বিধাবোধ করে না। এদের উদ্দেশ্য যে কতটা ভয়াবহ, তা ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলালেই জ্ঞাত হয়ে যাওয়া যায়।

এই ধর্ম বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েই ভারত উপমহাদেশ বাসিদের নিষ্পেষণের চিত্র কারো অজানা নয়। ইতিহাস সাক্ষী দেয়, দাঙ্গা কখনই কোন সুফল বয়ে আনে না। কিন্তু তাতে ঐ আত্মম্ভরিদের কি আসে যায়! তারা তাদের কাজ করেই যায় স্বার্থ জয়ের জন্য।

তাদের একজন হচ্ছে ভাবধারী মুক্তমনা, ভিডিও ব্লগার কার্টুনিস্ট সানিউর রহমান। সে পূর্বে নিরপেক্ষ কথা বললেও, গত কয়েক মাস ধরে তার মাঝে লক্ষ করা যাচ্ছে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী আচরণ। বার বার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তোষণ করে তাদের দাঙ্গার জন্য প্রস্তুত হতে বলছে। সে নিজেই স্বীকার করেছে যে উনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চান না। নিজে নাস্তিকতা ছেড়ে দিয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক হয়েছেন তাও পরোক্ষ ভাবে বুঝাতে চেয়েছে। ভিডিও'টি দেখতে ক্লিক করুন

গত কয়েক দিন পূর্বে তার আরও একটা ভিডিও তে সে হিন্দু সম্প্রদায়কে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। ফার্স্ট ক্লাস, সেকেন্ড ক্লাস এবং থার্ড ক্লাস নামে। এর মধ্যে ফার্স্ট ক্লাস তারাই অর্জন করেছে, যারা ত্রিশূল হাতে দাঙ্গার রূপ দিতে চায়। ভিডিও'টি দেখতে ক্লিক করুন

তার উক্ত ভিডিও তে রাফিন জয় নামক একজনের কমেন্ট ছিল, “আমার প্রশ্ন সংখ্যালঘু যারা নিপীড়ন নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে, তাদের নিয়ে আপনার ভূমিকা কেমন?” আর তাতে প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল, তা ছবিতে দেখে নিন।





এবার কথা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কি সানিউর রহমান চায় না? উনি কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চায় নাকি? উনার সাম্প্রতিক দেয়া সাম্প্রদায়িক তকমা নিয়ে আমার কিছু আসে যায় না। তার হিন্দু স্বার্থ রক্ষা করা নিয়েও আমার কিছু আসে যায় না। উনি যদি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জাগরণের কাজ করে, তো আমি তাকে স্যালুট করি। কিন্তু আমার আসে যায় এই নিয়ে যে উনি বাকি সব ধর্মাবলম্বীদের ও মানবতার স্বার্থ রক্ষার জন্য কোন কথা বলেন না? অন্য ধর্মের মানুষরা কি মানুষ না? বাকিদের নিয়ে কেন তার কোন হ্যাডেক নেই? কেন তার এমন এক পাক্ষিক আচরণ? তার পরেও উনি কি করে নিজেকে মুক্তমনা দাবি করে? তার পরেও দেখা যাচ্ছে যে উনার প্রত্যেক পোস্টে হিন্দুদের তোষণ করে মুসলিম অপযশ করা হচ্ছে। এতে করে যে সনাতনরা খুব উপকৃত হচ্ছে, তাও কিন্তু নয়। তারা দাঙ্গার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। দাঙ্গার যে কি চমৎকার ফলাফল ভারত উপমহাদেশের মানুষ পেয়েছে অতীতে, তা কারো অজানা নয়। অনেকের বক্তব্য থাকতে পারে, হয়তো ইসলাম নিয়ে কথা বলায় আমি মৌলবাদীদের মত তার বিরুদ্ধে কথা বলছি। কিন্তু তা নয়, আমি দাঙ্গা প্রস্তুত যেন না হয় তার জন্য কথা বলছি। কারণ আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি মানুষ এবং দ্বিতীয়ত আমি মুক্তমনা।

তাই বলব, সানিউর রহমান থেকে সাবধান। চাইলে ফেসবুক একাউন্ট ঘুরে দেখতে পারেন। লিঙ্কে ক্লিক করুন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০১

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: ভাই সাম্প্রদায়িক সংঘাত চিরন্তন, শুশিলতার স্থান পৃথিবীতে নাই, আপনি শুশিলতা দেখিয়ে অস্ত্র ত্যাগ করলে অপর পক্ষ আরো শক্ত করে অস্ত্র ধরবে আপনাকে সাইজ করতে। হানাহানি মুক্ত পৃথিবী যুদ্ধ মুক্ত পৃথিবী কখনোই হবে না বড় জোর শান্তি ও সংঘর্ষে সাময়িক ব্যালেন্স হবে।

০২ রা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

রাফিন জয় বলেছেন: প্রতিবাদ করতে আমি বাঁধা দিচ্ছি না। যারা ইচ্ছা করে দাঙ্গা চায়, তাদের কার্যক্রমের প্রতি প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.