নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্টিগমা

রাফিন জয়

স্টিগমা

রাফিন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্যাবুময় সোসাইটি।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১১

গত পরশু রাতের ১টা ৪০এ ক্যাম্পাসের এক বান্ধবীর (একাডেমিক দিক থেকে সিনিয়রের) কল রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে ভয়ার্ত গলায় ও বলল, দোস্ত একটু ঝামেলায় আছি। একটু সাহায্য কর। ভাবলাম ওর পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলো কিনা! IEDCR'র নাম্বার লাগবে নাকি! কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করাতে ও বলল ওর তলপেটে প্রচুর ব্যথা হচ্ছে। তবে মিন্সট্রুয়াল ঝামেলা নয়। ঘুমিয়েছিলো, সাডেনলি ও ফিল করতে পারলো যে ও বিছানাতেই মুত্র বিসর্জন করেছে। তবে ফিল করতে পারেনি। বেডশিট একবার চেঞ্জ করে ফেলেছে। দশ মিনিটের মধ্যেই ঘটনা আবার ঘটলো। সঙ্গে তলপেটে প্রচুর ব্যথা। এর পর থেকে ইউরিনারি ব্লাডার থেকে বারবার ব্লাড-রেড ইউরিন বের হচ্ছে। আমি বললাম আমি ডক্টর না। এটাতো গায়নিকলজিক্যাল ঝামেলা মনে হচ্ছে। কী করতে পারি? আন্টি-আঙ্কেলকে জানালে হয়না? ওর উত্তর আরো হরিফিক। বললো বাবা-মা এসব বিষয়ে ফ্রি না। বড়বোন বাসায় নেই। ওর মাকে জানাতে পারে, তবে লজ্জা লাগছে। বুঝলাম না কী করবো। ধরিয়ে দিলাম একজন গায়নেকলোজিস্টের নাম্বার। বললাম কনফারেন্সে কল করতে। আমার ফোনে টাকা নেই। পরিচিত ডক্টর সে। যাতে করে সে রেগে না যায়। তাই হলো। প্রথমে আমি ডক্টরকে বললাম আমি রাফিন জয়। তারপর বন্ধুকে বললাম তুই কথা শেষ হলে আবার কল করিস আমায় (ডক্টর আর পেশেন্টের মাঝে থাকাটা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়।) আমি ফোন রেখে দিলাম। ডক্টর আর ওর মধ্যে কথা হওয়ার পর ডক্টর নিজে ওর মার নাম্বারে কল করে জানিয়েছে। তারপর শুনলাম ওকে নিয়ে নাকি সেই রাতেই হসপিটালে যেতে হয়েছে। এখন সে সুস্থ আছে।
ভয়ঙ্কর বিষয় এটাই যে, শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে বা একটা নিয়মিত ন্যাচারাল সার্কেল অথবা শারীরিক জটিলতা সম্পর্কে সার্বিকভাবে বাঙালি পরিবার কতোটা স্টিগমাটাইজড! এই বিষয়ে কেউ স্টাডিও করতে চায়না।

[বিঃদ্রঃ পোস্ট লেখার জন্য ওর কাছে পার্মিশন নিয়েছি। তবে প্রাভেসি কন্সার্ন থাকায় নিজে থেকে নাম প্রকাশ করছিনা।]

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


আমি যতটুকু জানি মায়ের কাছে সব মেয়েরা এসব বিষয় নিয়ে কথা বলে, মায়েরা মেয়েদের কে গাইড করে এমন সময়ে।
কিন্তু আপনার কথা শুনে তো তাজ্জব হলাম।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৩

রাফিন জয় বলেছেন: আমি হয়েছি ঐ রাতে।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৫

রাফিন জয় বলেছেন: হয়তো বেডশিট ভিজিয়ে ফেলেছি এতেই জড়তা কাজ করছিলো।

২| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



আমি হয়েছি ঐ রাতে।
ব্যঙ্গ করলেন কি?
আপনার কথার অর্থ বুঝতে পারি নি।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৭

রাফিন জয় বলেছেন: বলতে চেয়েছিলাম আমিও সেই রাতে তাজ্জব হয়েছিলাম। বুঝিয়ে বলতে পারিনি। দুঃখিত।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যের আগেই আমি কমেন্ট করে ফেলেছি।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
এটা ভয়ানক সমস্যা।
আরো বেশি হচ্ছে একক পরিবার গুলোতে। বড় পরিবারে আগে দাদি/নানীরা যাতটা সম্ভব
এসব বিষয়ে মেয়েদের হেল্প করতে পারতো। দাদী নানীতে ফ্রি ফ্রান্ক সম্পর্ক টুকু থাকতো।

আমি ভেঙ্গেছি ট্যাবু।
প্রথম মিস্ট্রুয়ালের দিন মেয়েকে বলেছি - কংগ্রেটস। আজ থেকে তুমি মেয়ে থেকে নারী হলে।
এখন ও অবলীলায় তার প্রয়োজন আমাকে বলে নি:সংকোচে।
এবং বাকী সব বিষয়ও গল্পচ্ছলে দারুন বুঝিয়েছি। এখন তার কলেজের দুষ্ট মেয়েদের কথাও অবলীলায়
শেয়ার করে।

১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৭

রাফিন জয় বলেছেন: ছেলে হওয়ার কারণেই আমাকে সোসাইটি পোক করেনি। তাই মেয়েদের মতো ফিল করতে পারবোনা। তবে আমার পরিবার টিপিক্যাল কনজার্ভেটিভ মিডেল ক্লাসের হয়েও এই ট্যাবু ভেঙ্গেছে। আমার দুই বোন এই সমস্যা পহায়নি। দরকার হলে আব্বুই ওদের স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনে এনে দেয়। আমি এনে দেই। আপনাকে স্যালুট করতে ইচ্ছে হচ্ছে।

৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মা মেয়েদের ভালো বন্ধু

৬| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: কথায় বলে- বান্দার শরীর গান্ধা

৭| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৬

বিজন রয় বলেছেন: এ ই যুগে এসেও এমন শুনতে হয়!
খুব চিন্তার বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.