নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.....

সহজ পৃথিবী

দেশ ভাবনাঃ চলুন দেশটা'র পরিবর্তন করে ফেলি।

সহজ পৃথিবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইন হচ্ছে "ঢাকার রাস্তায় কোন প্রাইভেটে কারের ভেতরে ৫ জনের কম আরোহী পাওয়া গেলে ধরা হবে"।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮



অর্থমন্ত্রী বলেন একটি প্রাইভেটকারে ৪/৫ জনের কম যাত্রী হলে তা রাস্তায় চলতে দেয়া হবে না। গত ২২ ডিসেম্বর সংবাদে (sangbad.com.bd) খবরটি ছিল। অনলাইন আর্কাইভ দ্রষ্টব্য।



ঢাকায় ট্রাফিক জ্যাম কমাতে নতুন আইন করা হচ্ছে, খবরটা দেখে ভালো লাগলো। ভালো আইন অবশ্যই করা উচিত। সেই সাথে আমাদের সাজেশন থাকবে প্রাইভেটকারের ডেফিনেশন হওয়া উচিত "প্রাইভেট কার বলতে সরকারী বেসরকারী সেসব গাড়িগুলো কে বুঝায় যেগুলো যেকেউ বা পাবলিক ব্যবহার করতে পারে না। সাধারনত এসমস্ত গাড়িগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী থাকে। এই গাড়িগুলো সাধারনত আকারে ছোট হয়। এই গাড়িগুলোর মধ্যে সিডান, জিপ, ওয়াগন, পিকআপ উল্লেখযোগ্য।



তবে সর্বোচ্চ ৫ জনের জায়গায় ৪ জন করা যেতে পারে। রাস্তায় জনগন জ্যামে কুরুক্ষেত্র আর এর মাঝে একা একজন বিশাল পাজেরোতে বসে এসি ছেড়ে খবরের কাগজ পড়ছে এই দৃশ্যটা পিড়াদায়ক । খবরের কাগজ যদি পড়তেই হয় তবে একএকা কেন মাঝখানে একজন ধরবে আর তিন জনে এক পেপার পড়বে, কৃচ্ছতা সাধন!



যাক এতদিনে গরীব সাধারনের গাড়ি চড়ার ইচ্ছেটা পূরন হতে যাচ্ছে।



ঢাকার প্রাইভেট কারের উপর জরীপ



১. সাধারনতঃ রাস্তায় যেকোন সময় যেকোন লোকেশনে তাকালে দেখাযাবে রাস্তার পাঁচ ভাগের কমপক্ষে তিন ভাগ রাস্তা প্রাইভেটকার দখল করে রেখেছে।

২. একটি প্রাইভেট কার ১০০ থেকে ২৫০ বর্গফুট জায়গা দখল করে যা মাঝারি সাইজের একটি বাসের সমান।

৩. একই পরিমান জায়গা ব্যাবহার করে একটি বাস ২৫ থেকে ৩০ জন মানুষ বহন করে। সুতরাং একটি বাসের পরিবর্তে ১৫ টি প্রাইভেট কার। যে কোন জায়গায় এরকম ১৫ টি প্রাইভেটকার সরিয়ে সেখানে একটি বাস বসিয়ে দেখুন একটা ফুটবল খেলার মাঠ খালি পরে থাকবে।



এত প্রাইভেট কার কি ভাবে এলো ?



আজকাল এমনও কিছু রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে "ঢাকা শহরে যে পরিমাণ প্রাইভেটকার আছে, অন্য সব গাড়ি রিক্সা তুলে দিয়েও যদি শুধু সবগুলি প্রাইভেটকার এক সাথে ঢাকার রাস্তায় নামানো হয় তাহলে প্রতিটি গাড়ি একটির সাথে অন্যটি লেগে থাকবে এবং সামান্য নড়াচরাও করতে পারবে না।"



১. এই গাড়ীগুলির বড় একটা অংশ গত সাত আট বছরে যোগ হয়েছে। এবং এরও বড় একটি অংশ কেনা হয়েছে ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে। যার মধ্যে২০০৭ ও ২০০৮ এ সর্বোচ্চ ।

৩. ঢাকার রাস্তার প্রাইভেটকার এর মধ্যে ১৫ ভাগ গাড়ি সরকরী যার তেল ও ড্রাইভারের খরচ সরকার বহন করে।

৪. এই গাড়িগুলির ৩০ ভাগের মালিক সামরিক বেসামরিক আমলাগণ।

৫. প্রইভেটকারের মালিকগনের বড় অংশটিই নানা ভাবে দুর্নিতীর সাথে জড়িত।

৬. সরকারী গাড়িগুলো তাদের মোবিলাইজেশনের উল্লেখযোগ্য সময় বেসরকারী কাজে রাস্তায় চলাচল করে।



ঢাকার রা্স্তার প্রাইভেটকার সম্পর্কে সহব্লগারদের কিছু মন্তব্য নিম্নরুপ



দেশজ বলেছেন: চুরি-দূর্নীতি- ছিনতাই- রাহাজানি আর ছল-চাতুরীর পেশা ছাড়া, গরীব মানুষকে না ঠকিয়ে প্রাইভেট কার হাঁকানো সম্ভব না।

আর গাড়িওয়ালারা আরো কতভাবে শোষণের সঙ্গে জড়িত এর জন্য জরিপ লাগে না। মাতঝিলের মতো জায়গায় সারাদিন ২০ টাকা দিয়া প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং করে রাখে। একটা গাড়ি পার্ক করতে ১৬০ বর্গফুট জায়গা লাগে। বিশ্বাস না হলে মেপে দেখেন। এদের জায়গা দেওয়ার জন্য হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। যেখানে ১০ বর্গফুট জায়গা পেলে একজন হকার তার পরিবার নিয়ে চলতে পারে। এরকম আরো অসংখ্য উদাহরণ আছে খুঁজলে সবাই উত্তর পাবেন।



ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন: কার কাছে যেনো শুনেছিলাম, সরকার প্রাইভেটকারের সিএনজি বন্ধ করে প্যাট্রলে চলতে বাধ্য করতেছে। শুধু সরকারী যানবাহনে সিএনজি ব্যাবহার চলবে। এ ব্যাপারে কিছু জানেন?

এটা হলে, ঢাকার যানজট ৫০%(আমার ধারনা) কমে যাবে। ৫০টাকার গ্যাস পুরায়া সারাদিন টইটই করে ঘুড়ে বেড়াবা? হেই দিন শ্যাষ!!!



মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আমারমতেও অন্তত প্রাইভেটকার আর হাইওয়ে বাসগুলার সিএনজি নিষিদ্ধ করা উচিৎ। সব হাইওয়ের বাস মালিকগুলাই চামে তাগো গাড়িগুলা সিএনজি কইরা ফালাইছে.......মাগার কেউতো ভাড়া ১টাকাও কমাইলোনা....। কি লাভ তাইলে অগো এ সুবিধা দেওয়া.......। আর গ্যাস বন্ধ করছে মানে পেট্রোলপাম্পের কর্মচারীগো টু পাইস কামানোর ব্যাবস্থা করা....। মনে হয়না এ আইন বেশিদিন চলবে.......।







এই হচ্ছে ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম ও প্রাইভেটকারের অবদানের গল্প। অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্য এ্যাক্সটিম একটি সমাধান আইডেন্টিফাই করে সচেতন সমাজকে সংশ্লিষ্ট সকলকে স্থূল খোচা দিয়ে বলেদিয়েছেন যদি আমরা ঢাকামূখিতাকে ও নগর ব্যবস্থাপনাকে এখনও ঠিক পদক্ষেপ নিতে না পারি তবে শিঘ্রই একএকা গাড়িতে না চড়ে সামনে একজন পেছনে দুইজন হায়ার করে তারপর রাস্তায় গাড়ি বের করার আইন করতে হবে।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৭/-৫

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯

গুরুজী বলেছেন: অর্থমন্ত্রী সাহেব কি তার প্রাইভেট কারেও ৫ জন নিয়া চলাচল করব???


গাড়ির সিট ৪ জনের, বাকী ১ জন কি ডালায় ভৈরা নিয়া যাইব? X(

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: "গুরুজী বলেছেন: অর্থমন্ত্রী সাহেব কি তার প্রাইভেট কারেও ৫ জন নিয়া চলাচল করব???


গাড়ির সিট ৪ জনের, বাকী ১ জন কি ডালায় ভৈরা নিয়া যাইব"

এইটা তো এ জন্যই করা হয়েছে যাতে মানুষ প্রাইভেট কার ব্যবহার না করতে পারে। করলেও কষ্ট করে করতে হবে। সারা বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট করতে সে... বাসের এক সিটের জায়গা তিন সিট বানাইয়া রাখছে তাতে যখন মানুষ চরতে পারে তাহলে... গাড়ি ওয়ালাদের প্রবলেম কি ???

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সজল শর্মা বলেছেন: ++++++++++

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

স্বপ্নডানা বলেছেন: ইহা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এইখানে এধরণের আবালামি করার কোন মানে নাই। যার সামর্থ আছে সে গাড়ি কিনবে। যার নাই সে বাসে চড়বে। আর যে কিনবে সে একাই গাড়িতে চড়ুক আর দশকে নিয়াই চলুক সেটা নিয়ে সরকার কেন কথা বলবে?


প্রত্যেকটা গাড়ি রাস্তায় রোড ট্যাক্স দিয়ে নামে। ফ্রীতে নামে না। আর রোড ট্যাক্স দেওয়া মানে সরকারকে টাকা দেওয়া যা দিয়ে সরকার রাস্তা তৈরী করবে, আর ফ্লাইওভার বানাবে যাতে ভবিষ্যতে হাজার হাজার গাড়ি নিয়ন্ত্রিত ভাবে চলাচল করবে।

কিন্তু এই রোড ট্যাক্সের টাকা নিয়ে সরকার যদি কিছুই না করে, কোন প্ল্যানিং না করে তবে দোষ কি গাড়ি ক্রেতাদের? দূর্নীতি কইরা রাস্তা বানাইছে ছোট, আর অখন কয় গাড়ি চালাইতে দিমু না। এর মানে কি?

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৩

বিবেক বিবাগী বলেছেন: এসব ফালতু আইনের কোন মানে হয় না। মানুষের একটা প্রাইভেসি আছে, এভাবে অচেনা মানুষকে গাড়িতে নেওয়াটা একেবারেই অবাঞ্ছিত। আর ছিনতাইকারী টাইপ লোক এই সুযোগে গাড়িতে চড়ে পরে পকেট থেকে পিস্তল বের করবে। এসবের কোন মানে নেই। এর থেকে ভালো প্রাইভেট গাড়িতে সিএনজি ব্যবহার বন্ধ করা হোক, যার টাকা আছে সে পেট্রোল দিয়ে গাড়ি চালাবে। যদিও এটাও কোন ভালো সমাধান না। ঢাকা শহরকে অনেক বিকেন্দ্রিকরণ করতে হবে, ওভারহেড রেললাইন চালু করতে হবে, আন্ডারগ্রাউন্ডের কথা তো মাথাতে আছে। ব্যক্তিগত গাড়িতে টেম্পুর মত লোক উঠানোর আইনটা এক কথায় জঘন্য, অন্য দেশের লোকেরা শুনলে হাসবে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৭

সহজ পৃথিবী বলেছেন: প্রাইভেটকার ছাড়া ঢাকার রাস্তায় অন্য কোন থেরাপি বাকি আছে বলে মনে হয়না। তবে অর্থমন্ত্রী এই প্রাইভেটকার নিয়েই নিজেই একটা কাজ করতে পারেন সেটা হলো কিছু প্রাইভেটকারকে মোটরসাইকেল দিয়ে রিপলেইস করে দিলে রাস্তায় অনেকটা জায়গা বের হয়ে যাবে। কারন মোটরসাইকেল একজনের জন্য রাস্তায় অনেক কম স্থান দখল করে।

নিচে কিছু শহরের রোড ট্রাফিক শেয়ার করলাম।


হোচিমিং সিটি মোটরবাইকস

মরনিং ট্রাফিক ইন হেনয়

মোটরবাইক ট্রাফিক


২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৯

সহজ পৃথিবী বলেছেন: মোটরসাইকেলের গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না যদিও এটা আমরা কখনও বুঝিনি। উল্টো বাইকের সাথে সবসময় একটা প্রিজুডিসড কাজ করেছে, "বাইক ইজ ব্যাড ভেইকল"। অথচ
১.বাইক আজকাল গড়ে এক লিটার ফুয়েলে ৫০ কিলোমিটার মোবিলাইজ করা যায়, যেখানে গাড়ি অর্থাৎ প্রাইভেটকার/জীপ ১০ থেকে ২ কিলোমিটার।
২.বাইকের দাম গড়ে গাড়ির দামের চেয়ে কম পক্ষে বিশ থেকে ত্রিশগুন কম তুলনা মুলক।
৩. বাইকে একজন/দুইজন আরহীর জন্য সর্বোনিম্ন রাস্তা ব্যবহার করে। অর্থাৎ ঢাকার রাস্তায় প্রাইভেট গাড়ির বদলে আরও দশগুন মানুষের জন্য দশগুন বাইক এক সাথে নামালেও রাস্তা খালিই পরে থাকবে।
৪. অধিকন্তু বাইক দিয়ে দেশের প্রায় ৯০% লোকেশনে পৌছানো যায়, যেখানে দেশে গাড়ির ২০% এর চেয়ে কম লোকেশনে এ্যাক্সেস আছে, রাস্তা না থাকার কারনে।
৫. প্রতিমাসে যে পরিমান মোবিলাইজেশনের জন্য ১ কোটি লিটার পেট্রোল ফরেন কারেন্সি দিয়ে আমদানী করতে হয় সে পরিমান মোবিলাইজেশন মোটরসাইকেলে করলে ৫ লাখ লিটার ফুয়েল ইমপোর্ট করতে হবে।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৪

বিবেক বিবাগী বলেছেন: আমি মাইনাস রেটিং দিলাম।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৪

রাহাত ইমাম বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৬

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: কি কন ভাই..??
মাথা নষ্ট.... :|| :|| :||
এখন তাইলে গাড়িতে রাস্তা থিকা ডাইকা মানুষ উঠাইয়া পাঁচজন বানাতে হবে?!?!?

তবে একদিক থেকে কাজটা ভালোই হয়েছে মনে করি...

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৭

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: @স্বপ্নডানা : অকাট্য যুক্তি । +++

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১২

মুক্ত আকাশ বলেছেন: কালে কালে আরো কত কি দেখবো!আরো কত কি শুনবো!দুদিন চললো লেন সিষ্টেম।কখনো দেখি লাল বাতি, হলুদ বাতিতে গাড়ি চলে,কখনো ট্রাফিকের হাত দেখে।দুদিন চললো মোটরসাইকেলে হেলমেট নিয়ে হইচই।

এ যেন হবু রাজার দেশ আর গবু মন্ত্রির দেশ।যার যা মনে আসে হুটহাট বলে দেয়,হুটহাট করে বসে।ফাকে দিয়ে আমরা জনতা হলাম গিনিপিগ।

১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৩

মাইন রানা বলেছেন: প্রাইভেট কার গুলো ভাড়া পরিভনে কাজে লাগাতে হবে তাহলে আইনের মারপ্যাচ থেকে ও বাচানো যাবে আর সাথে টু-পাই কামাই ও হবে তেলের টাকাও উঠে যাবে.....

শুভ অর্থমন্ত্রী !!!

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৪

ডাইনোসর বলেছেন:
বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?????

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৩

সহজ পৃথিবী বলেছেন: ঢাকা যেদিকে যাচ্ছে তাতে এরকম আইন দিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারবো না। পুরো সিটি শিঘ্রি ডেডলক হয়ে যাবে।

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪০

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: উন্মাদ এবং আবাল ছাড়া কি বলা যায় এদের? গাড়ি চড়তে হলে সব সময় পাঁচ জন নিয়ে গাড়ি চড়তে হবে? এটা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বলতে পারে? আজ যারা নিজের গাড়ীতে চলাচল করে তারা সবাই যদি পাবলিক বাসে চলতে শুরু করে তাহলে কি অবস্থা হবে একবার চিন্তা করছেন? আর আমাদের পাবলিক পরিবহনের অবস্থা সম্পর্কে কোন ধারনা আছে এই মাল নামক আবাল টাইপ অর্থমন্ত্রীর? মনে করা যাক পাচ জন মিলে বাসা থেকে গাড়িতে চড়ে বের হইছে, এখন একজন নামল আসাদ গেট, আরেকজন নামল বিজয় সরণি, তাহলে বাকি তিনজন আর তাদের যে জায়গায় যাওয়া দরকার সেখানে যাবে না, না? আবালের দল। নাকি প্রাইভেট গাড়ি রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড় করিয়ে ফার্মগেট ফার্মগেট বলে ডাকতে হবে। আবাল আর দুর্নীতিবাজের দল। রাস্তা বানাইছে দুর্নীতি করে, রাস্তার পাশে সরকারের জায়গা দখল করে রাজনীতিবিদদের মার্কেট বানায়, আর তার জন্য নাকি গাড়িতে পাঁচজন তুলতে হবে। কতটা নির্বোধ ,মূর্খ, অযোগ্য আর ছাগল টাইপ হলে এরকম কথা বলা যায়। অসহ জ্যাম শুধু ঢাকা না নিউইয়র্ক , বেইজিং, কলকাতা, দিল্লী সহ পৃথিবীর সব বড় বড় শহরেই হয়। সেটার সমাধানের জন্য তারা এরকম আবালামি করে না। মন্ত্রী-সচিব গুলা নিজের বউ এর জন্য ২ টা, পোলার জন্য ২ টা , পোলার বউ এর জন্য ২ টা, কাজের লোকের জন্য ১ টা, নিজের জন্য ৩ টা এরকম করে গাড়ী ব্যবহার করে আর তার জন্য সাধাওরন মানুষের উপর এরকম জুলুমবাজি করবে? এটা মগের মুল্লুক? এই মাল দের মাথায় এরকম মাল বলেই ভারতের কাছে দেশ বেঁচে আর এরকম আইন করার কথা ভাবে। লাথিয়ে এগুলোকে ইন্ডিয়ায় পাঠানো দরকার।

অঃটঃ আমার নিজের কোন গাড়ী নাই। সি এন জি তেও খুব কম চড়ি। পাবলিক পরিবহনেই আমার চলাচল। কিন্তু সরকারের এরকম আবালামি সহ্য করা যায় না। এই আবালগুলা মানুষের লাইফ নিয়ে খেলতিছে।ঘড়ির কাঁটা নিয়ে বদমাইশি করে ,এ বার শুরু করছে গাড়ী নিয়ে।

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৬

নাহিয়ান বিন হোসেন বলেছেন: যেই আবালগুলা এই আইনের পক্ষে কথা কয়, তাদের কই, ওই আবালের দল, মনে কর তোর বোইনে গাড়ীতে কইরা ভার্সিটিতে যাইতেছে , এখন সে রাস্তার মোড়ে মোড়ে গাড়ী নিয়ে দাঁড়ায় থাকব অন্য মানুষরে তুলনের জন্য? মানুষ প্রাইভেট গাড়ী কিনে কেন? টেম্পুর মত রাস্তায় লোক তুলনের লাইগা? নিজে যখন তোরা গাড়ী কিনবি তখন কি সেইটা নিয়া লোকাল সার্ভিস চালু করবি? এই দেশটা চালায় আবাল, দুর্নীতিবাজ , বদমাইশের দল। আর তাগো পেছনে আছে আরো বড় আবাল কিছু অন্ধ সমর্থক। এদের কারনেই আজ আমাগো এই অবস্থা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩০

সহজ পৃথিবী বলেছেন: এখন কি করবেন যেভাবে প্রাইভেটগাড়ি বাড়ছে ও বাইরে থেকে যোগ হচ্ছে বাস থেকে আর কয়েক জন নেমে গাড়ি কিনলেই পুরো রাস্তা ঐমাথা টু এইমাথা অল্প কিছু দিনের মধ্যে ডেডলক হয়ে যাবে তখন গাড়ি ছেড়ে ফুতপাথেও জায়গা পাবেন না হাটারও। তখন !!!

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৫

আলুমিয়া বলেছেন: আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ মত আবাল আর কোথাও আছে কিনা জানি না। যে হারামজাদা রাজনীতিবিদের মাথা থেকে এই বুদ্ধি আসল - ওকে জলদি পাগলা গারদে পাঠান উচিত। এই ব্যাটাদের একটু উন্নত দেশগুলো সম্পর্কে পড়াশুনা করতে স্কুলে পাঠানো উচিত। আহাম্নকগুলা high occupency (HOV) lane কখনও শুনছে কিনা? এদের যে সিটি প্লানিংয়ের কোনো কনসেপ্টই নাই এটা তার একটা বিশাল প্রমান। মাথামোটা আহাম্মকের দল। সরি ভাই আপনার লেখায় একরকম রাগ ঝাড়লাম বলে। আপনাকে প্লাস। আমিও খবরটা পড়েছি।

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩২

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: নাহিয়ানের কথার পর আর কিছুই বলার থাকেনা...

চরম সত্য কথা...

নাহিয়ানরে প্লাস...

১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৩৭

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: পোস্টের শেষ ছবিটা এদেশের না। হলুদ বেবি ট্যাক্সি ঢাকায় চলে না-দিল্লির ছবিএটা। এসব ছবি দিয়া জ্যামের কারন প্রাইভেট কার সেটা প্রমান কইরা লাভ নাই। আমার কাছেও দশ-বারটা ছবি আছে, যেখানে থেকে প্রমান করা যাবে রিক্সাই ট্রাফিক জ্যামের মূল কারন।
মূল কথা হইলো- দিল্লি, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর বা ঢাকা যাই হোক না কেন, জ্যাম কিছু না কিছু থাকবেই। আইন কইরা জনগনকে সিধা করার স্বৈরাচারী মনোভাবাপন্ন গোবর মস্তিষ্কের সরকার অন্তত এইসব দেশে নাই। অনেক কিছু করার আছে ঢাকায়।

১৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৫৮

কাকপাখি ২ বলেছেন: বিবেক বিবাগী বলেছেন: ব্যক্তিগত গাড়িতে টেম্পুর মত লোক উঠানোর আইনটা এক কথায় জঘন্য, অন্য দেশের লোকেরা শুনলে হাসবে।

এই ব্যাপারটা আসলে আইন করে বাস্তবায়ন করা ঠিক হবে না, এর থেকে ব্যাপারটা একটা সামাজিক প্র্র্যাকটিস হিসাবে চালু করা যায়।
১। এতে অবসর সময়ে গাড়িগুলো ট্যাক্সির মত ভাড়া খাটবে (অবশ্য মালিকের অনুমতিক্রমে)
২। পার্কিং এর যায়গার সমস্যা কিছুটা কমবে।
৩। অন্যান্য যানবাহনের উপর চাপ কমবে
৪। গাড়ির মালিকের বাড়তি টাকা উপার্জন হবে, ফলে গাড়ির পিছনে যা খরচ হইত তা উঠে আসবে।
৫। ওভার অল ট্রাফিক লোড বেশ খানিকটা কমে যাবে।

সরকার এই ব্যাপারে গাড়িমালিকদের উৎসাহিত করার জন্য পরোক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে, যেমন প্রাইভেট গাড়ি ট্যাক্সি হিসাবে আংশিক ব্যাবহারের জন্য লাইসেন্স, ট্যাক্স, গাড়ি সংক্রান্ত অন্যান্য আইন শিথিল করতে পারে।

১৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:০২

কাকপাখি ২ বলেছেন: নাহিয়ান রে ++++++++++++++++

২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১১

বিদ্রোহী কান্ডারী বলেছেন: আবাল টাইপ পোষ্ট।

২১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪০

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: যাক এতদিনে গরীব সাধারনের গাড়ি চড়ার ইচ্ছেটা পূরন হতে যাচ্ছে।

মুরোদ থাকলে নিজের বাপের টেকা দিয়া গাড়ি কিনা চড়েন। অন্যের গাড়িতে চড়ার এত্ত শখ কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.