![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সড়ক দুর্ঘটনার নিয়ে হাজার আলোচনায় অন্যতম কারন হিসাবে এযাবৎ যাযা পাই তা হলো মূর্খ ড্রাইভার, ভাঙ্গাচোরা রাস্তা, ফিটনেস বিহীন গাড়ি পর্যন্তই।
ড্রাইভার অশিক্ষিত ? বাই এইটা একেবারে মানলাম না! আগের দিনে ড্রাইভার কি ছিল, তা আমরা জানি।আপনি বলতে চাচ্ছেন, আগের দিনের পুলাপান আজকালের পুলাপানের চেয়ে বেশি শিক্ষিত ছিল ? কি বলেন, দ্যাশ সম্পর্কে কোন ধারনা নাই, নাকি ? তখন তো দেশে ইস্কুই ছিল না।আজকাল তো তবু ফাইভ পাশ কনফার্ম।একদশক আগেও দেশের প্রাইমারী এ্যারোলমেন্ট পঞ্চাশ শতাংশের নিচে ছিল।আজ সম্ভবত ৯৯%, ডাটা দিয়ে কথা বলবেন। ড্রাইভার অশিক্ষিত বলার আগে নিজের শিক্ষার দিকে নজর দেন।কি শিখছেন, জিগামু নি ?
বলবেন রাস্তাঘাট খারাপ ? মাথা খারাপ নাকি ! বাই কি মঙ্গল থাইক্কা অমঙ্গল নিয়া আইলেন নি ? বাংলাদেশ সড়ক ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার কোন ধারনা আছে ? কত বছর যাবৎ চেনেন এদেশের রাস্তাঘাট ? বর্তমানের চেয়ে পরিমানে ও গুনে বেশি বা ভালো রাস্তা বাংলাদেশে আগে কখনও ছিল ? আজ যেখানেই পাঁকা রাস্তা দেখবেন ধরে নিবেন ১৫ বছর আগে ওখানে রাস্তাই ছিল না।
ফিটনেস ? বর্তমানের চেয়ে ফিট গাড়ি বাংলার রাস্তার অভিজ্ঞতায় কখনো ছিল ? চালাইছেন তো হ্যান্ডেল মাইরা মুড়ির টিন আজ ভলবো হিনো টাটারে কন ফিটনেস নাই।ভাল অইয়া জান -আর কিছু কইলাম না! আমরা অতীতে এমনও গাড়ি দেখেছি, ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে, গাড়ির কলকব্জা খুলে খুল পরছে আর হেল্পার সেগুলো কুড়িয়ে কুড়িয়ে গাড়ির পেছনে দৌড়াচ্ছে।
আজও দশ জন মারা গেছে।সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন ৮-১০ জন নিহতের খবর আজকাল কোন খবরই না।আরেক জরিপে দেখা যায় সড়ক দুর্ঘটনার ১০% খবর সংবাদ বা মিডিয়ায় আসে আর ৯০% কোন মিডিয়ায় নিউজই হয় না।আজ এমনকি বাড়ির সামনে রাস্তায় নেমে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবে এই নিশ্চয়তা আজ একজন মুজুরের ছেলে যেমন দিতে পারেনা, একজন মন্ত্রীর ছেলেও পারে না।শুধু অসহায়ের মত নামিদামী কেউ নিহত হলে একটু মিডিয়া গরম করি।পুলিশ সদস্য হলে নহতের পরিবারকে ৮-১০ লাখ টাকা আর গরীব কাউকে গাড়ি চাপা দিয়ে রাস্তায় ফেলে গেলে কেউ হয়তো ফিরেও দেখি না।
ইদানীং সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে গবেষনা করছে না এমন কাউকে পাওয়া সত্যি অসম্ভব হবে।বুয়েটের বৃদ্ধ ঈঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সম্পাদকের খবরের কাগজে সড়ক দুর্ঘটনার বিশেষ রেগুলার পাতা, টেলিভিশনে টকশো থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল বৃদ্ধ প্রতিজন নিজ নিজ গবেষনা প্রসূত আউটপুট দিচ্ছেন নানা ভাবে।অথচ এত বড়বড় মষ্তষ্কের একটার মাথাতেও আসতেছে না।যার ফলে সড়ক দুর্ঘটা কমার কোন লক্ষন তো নাই'ই বরং পুনপুনিক ভাবে বেড়েই চলছে।তাহলে কি এই বৃদ্ধ প্রজন্ম আসল ঘটনাটা ধরতেই পারছে না ? নাকি বুঝেও নিজেদের স্বার্থে মুখ বন্ধ ?
আমি বলি, শোনেন, সড়ক দুর্ঘটনার আসল কারন রাস্তায় গাড়ি মানুষ দুই'ই বেড়ে গেছে অনেক অনেক গুন বেশি। সে কি যেমন তেমন বেশি ! আগে রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে একজন গাড়ি চালককে পাঁচ দশ কিলোমিটার পর হয়তো একটা গাড়ি কে সাইট দিতে বা মুখমুখি ক্রসিং করতে হতো। আর আজ দেশের যেকোন রাস্তায় একজন ড্রাইভারকে প্রতিমিনিটে ছয়টা গাড়ি মুখোমুখি ক্রসিং, চাইরটা গাড়ি সাইড ও দুইটা গাড়ি কে ওভারট্যাক করতে হয়।প্রতি ৫ সেকেন্ডে একটা।কিছুদিন পর ঢাকা শহরের মত সারাদেশই স্কিন টাইট হয়ে যাবে।তখনও অবশ্য দুর্ঘটনা কমবে।আজকাল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও দ্রুত গতির যুগে আমরা বাইরে যাইও বেশি।আগে যেখানে ঢাকা যাওয়া আসায় চার দিন কাটাতো তারা আজ দিনে চার বার ঢাকা যায় আর আসে।
তাই আজ ভাবেন কিভাবে রাস্তা থেকে গাড়ির সংখ্যা কমানো যায় ? এছারা অন্য সব কাজ দুর্ঘটনা কমানো দুরে থাক বরং বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে।মূর্খ ড্রাইভার, ভাঙ্গাচোরা রাস্তা, ফিটনেস বিহীন গাড়ি এর উন্নয়ন করে সমান্যই সাপলিমেন্ট পাওয়া যাবে।
চলমান ....
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে চাইলে মোলিকিউল মোবিলাইজেশন কমিয়ে বিট মোবিলাইজেশন বাড়াতে হবে - কিভাবে ? আচ্ছা বলেন তো মোবাইলে কাম হইয়া গেলে আপনি কি জান ? এখানে কি মোবিলাইজ অইলো, বিট না মলিকিউল ? তাহলে অনলাইন দিলে কি হবে ? শোনেন, ২০০৪ সালে হল্যান্ডে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং অনুমোদোন দিলে ছয় মাসে সড়কের ৩০% ট্রাফিক কমে যায়।আপনারা শুধু ফ্লাক্সিলোড ভাঙ্গানোর মানে মোবাইল অপারেটরকে ব্যাংকিং লাইসেন্স দেন দেখবেন এতেই রাস্তার ১০% ট্রাফিক কমে যাবে। আচ্ছা মোবাইলে কাম হইয়া গেলে আপনি কি জান ? আর ফ্লাক্সি ভাঙ্গাইয়া যদি ক্যাশ পাইয়া যান তাহলে তো জাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
বিষয়টি বুঝতে এই পোষ্টা থেকে বেসিক নলেজ নেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ ওয়ারিওর্স - ব্যান্ডউইথ দে, নইলে বদলাইয়া উল্ডাই হালাই দিমু।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৭
অবহেলিত আমি বলেছেন: বেশ যুক্তি আছে আপনার কথায় ।
তবে আমি সড়ক দূর্ঘটনার জন্য বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দায়ী চালকরা । যেভাবে গাড়ি চালায় মনে হয় খোলা আকাশে বিমান চালাচ্ছে । চালকদের সতর্কতা ৭০ভাগ দূর্ঘটনা কমিয়ে দিতে পারে ।এর বাইরে ঝানজট।
ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম পৌছাতে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া থাকে চালকদের । বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ঢাকা থেকে বেরুতেই জ্যামের কারণে ঘন্টা দুয়েক নষ্ট । এরপর বেরিয়ে আসলেই ডাইভার হয়ে যায় বেপরোয়া।
আরো অনেক কারণ আছে যেমন একজন ডাইভারকে দেখা যায় ২৪ঘন্টার ১৮ঘন্টায় ড্রাইভ করতে হয় ।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১২
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: সহমত প্রায় পচানব্বই পারসেন্ট ক্ষেত্রে
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১৯
সহজ পৃথিবী বলেছেন: গত তিন বছরে রাস্তার ট্রাফিক অন্তত ৩০% কমে যেত।শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক এর কারনে কাজটি হয়নি।
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২৬
একজন অপদার্থ বলেছেন: সব দোষ গাঞ্জা আর বাংলা মদের ।। কেউ খাইয়া চালায়। কাউ খাইয়া হাঁটে
৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৫
মাহমুদ মান্না বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশ ওয়ারিওর্স - ব্যান্ডউইথ দে, নইলে বদলাইয়া উল্ডাই হালাই দিমু।
৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৪
কাম্রুল বলেছেন: লেখক চমৎকার একটিই আইডিয়া দিয়েছেন, কিন্তু আমি প্রথম মন্তব্যের সাথে একমত। সড়ক দূর্ঘটনার প্রধান কারন আমি মনে করি আইন না মানার সংস্কৃতি... আইন না মানা কে আমরা স্মার্টনেস মনে করি...
সড়ক বাতি মানবেন না, গতি মানবেন না, উলটা পালটা লেন পরিবর্তন করবেন, পাশে ওভারব্রিজ রেখে নিচ দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করবেন তো দূর্ঘটনা হবে না তো কী হবে?
৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৭
ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: আপনার কথার সাথে প্রায় পুরোপুরি একমত।
আমাদের দেশের মিডিয়া আর বুদ্ধিজিবী্রা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুফলটুকুকে ঠিক মতো ব্যাবহার করছে না বা করতে পারছেনা। তারা আসলে হাওয়া যেদিকে সেদিকেই দৌড়াতে পছন্দ করে, তাই কোন যৌক্তিক এবং গবেষনাধর্মী মতামতের চেয়ে এমন কোন মতামত প্রকাশ করতে পছন্দ করে যেখানে পাব্লিকের ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের কাটতি বাড়ানোর আগ্রহ টাই যেনো বেশী থাকে।
কেনো আমারা পজেটিভ হইনা, কেনো সবকিছুতেই নেগেটিভ টাকেই চোখে দেখি, জানি না, বুঝতে পারিনা, তবে আমাদের এমন কার্যকলাপের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা চিরদিন দায়ী হয়েই থাকবো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৫
রাজীব বলেছেন: ভাই আপনার সব কথার সাথে একমত শুধু একটি বাদে, সেটি হলো
সড়ক দুর্ঘটনার আসল কারন রাস্তায় গাড়ি মানুষ দুই'ই বেড়ে গেছে অনেক অনেক গুন বেশি।
কারন আমি যখন প্রথম বার ইন্ডিয়া যাই তখন সেখানে কিভাবে যেন (সাপ্তাহিকের সাথে ২ দিন যোগ হয়ে) ৩-৪ দিনের একটি ছুটি পড়ে গিয়েছিল। সেদিন কলকাতার হাওড়া স্টেশনের সামনে এত লোক দেখেছিলাম যে স্টশনে ঢুকতেই আমার ৩০ মিনিট লেগেছিল। এরকম মানুষের ভিড়ের সাথে আমাদের দেশের একটি ভিড়েরই মিল পাই সেটি হচ্ছে এজতেমার ভিড়। তারমানে কলকাতাতেও অনেক মানুষ থাকে অনেক গাড়ি চলে কিন্তু তাদের দেশে এত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে কি?
কারন
তারা আইন মানে আমরা মানি না।