![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ভালবাসেন on line এ কাজ করতে । ঢাকা থাকেন । ভালবাসেন কাজ করতে । সময় অপচয় ভালবাসেন না । পড়াশোনা ACCOUNTING এ এম এম এস । কাজ করেন মতিঝিল এর একটি শেয়ার OFFICE এ। যা DSE এ তালিকা টপ এ আছে ।
মাত্র ৫০ বছরে জাপানের ইউবারি শহরের জনসংখ্যা কমেছে ৯০ শতাংশ। শহরের অবশিষ্ট বাসিন্দাদের বেশির ভাগই বুড়োবুড়ি। শিশুরা নেই বলে বন্ধ হয়ে গেছে পাঠশালা! আর পাঁচ-ছয় বছর পরই ইউবারিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবেন পেনশনভোগীরা। আর তা হলে ইউবারিই হবে বিশ্বের প্রথম এমন শহর! দ্য গার্ডিয়ান অবলম্বনে এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে মানুষ হারানো এই শহরের হালচাল।
বয়স্কদের শহর ইউবারি
পরিসংখ্যান নিয়ে বসলে অনেক হিসাবেই সবার ওপরে উঠে আসতে পারে এই শহরের নাম। ইউবারিই এখন জাপান এবং হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্কদের শহর। ২০১০ সালে এই শহরের বাসিন্দাদের গড় বয়স ছিল ৫৭ বছর। ২০২০ সালের মধ্যে এই গড় চলে যাবে ৬৫ বছরে। আর তখন ৪০ বছরের চেয়ে কম বয়সীদের তুলনায় ৮০ বছর বয়সীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবেন এখানে। এভাবে ইউবারি তখন বিশ্বের একমাত্র পেনশনভোগী সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরে পরিণত হয়ে উঠতে পারে।
এখানকার তরুণ-তরুণীরা কাজের খোঁজে পাড়ি জমিয়েছেন দূর-দূরান্তে। আর ছেলেমেয়েরা না থাকলে বাড়িঘর আগলে থাকা বুড়োবুড়িদের সংসারে নাতি-নাতনিরাই বা থাকবে কোথা থেকে? শহরের প্রতি ২০ জনে মাত্র একজনের বয়স এখন ১৫ বছরের নিচে। একটা শিশু জন্মাতে জন্মাতে অন্তত এক ডজন মানুষ মারা যান ইউবারিতে।
জন্ম ও মৃত্যুহারসহ জনসংখ্যার নানান পরিসংখ্যানে ইউবারি শহরকে পুরো জাপানের একটা ছোট্ট সংস্করণ হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই। দেউলিয়াত্বের শিকার এই শহরের শেষ হাসপাতালটিকে ছোট করে এনে একটা ক্লিনিকে পরিণত করার সময় খ্যাতনামা চিকিত্সক তোমোহিকো মুরাকামিও ঠিক এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন। কয়েক বছর আগে মুরাকামি বলেছিলেন, ‘২০৫০ সালের জাপানের একটা মাইক্রোজম এখনকার ইউবারি।’ পরিসংখ্যান বলছে, ২০৬০ সালের জাপানে প্রতি ১০ জনে চারজন নাগরিকের বয়স হবে ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি। ইউবারি প্রায় এক দশক আগেই বয়সের এই গড় অতিক্রম করেছে।
©somewhere in net ltd.